পটুয়াখালী জেলায় আরও ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসক জানান, পটুয়াখালীতে এ পর্যন্ত মোট ২৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এর মধ্যে ১৫৬ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এতে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় একজন, রাঙ্গাবালী উপজেলায় চারজন, দশমিনা উপজেলায় তিনজন এবং দুমকি উপজেলায় দুই জনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে দুমকি উপজেলার একজন মারা গেছেন।
গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে পটুয়াখালী জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের জনসমাগম কম থাকলেও বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
চট্টগ্রামে ট্রাকসেল-এ পণ্য বিক্রি না করা নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার হুঁশিয়ারির পর ঘুম ভেঙেছে কৃষি বিপণন অধিদফতরের।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থেকে সংস্থাটি নগরীর পাঁচ পয়েন্টে ৪৫০ টাকায় ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। এই কার্যক্রমে তাদের সহযোগিতা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। ট্রাকের ওপর পেঁয়াজসহ নানা সবজির বস্তা। আছে ডিমের তাকও। ট্রাকের সামনে নারী ও পুরুষের দুটি দীর্ঘ লাইন। ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়ায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে। ফলে পণ্য বিক্রির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা দম ফেলার ফুসরতও পাচ্ছিলেন না।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা ৪৫০ টাকার প্যাকেজে পাঁচ পদের পণ্য দিচ্ছেন। এর মধ্যে আছে এক ডজন ডিম, দুই কেজি পেঁয়াজ, চার কেজি আলু, এক কেজি করল, এক কেজি পেঁপে। ভোক্তারা প্রতি ডজন ডিম ১৩০টাকা, দুই কেজি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, চার কেজি আলু ১২০টাকা, এক কেজি করলা ৪০ টাকা ও এক কেজি পেঁপে পাচ্ছেন ২০ টাকায়।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের এই কার্যক্রম তদারকি করছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক ও ট্রাস্কফোর্স টিমের সদস্য জোবায়ের আলম মানিক।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদফতরের অধীনে নগরীর পাঁচটি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও এর আগে এমন কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এখন থেকে কৃষি বিপণন অধিদফতরও শুরু করল। আমরা সরাসরি কৃষক আর বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা স্বল্পলাভেই কিন্তু এসব পণ্য দিচ্ছি। সুতরাং যারা মধ্যসত্বভোগী ব্যবসায়ী যারা আছে তাদের একটা বার্তা দিতে চাই, সেটি হলো আমরা শিক্ষার্থী কিংবা সরকার যদি স্বল্প লাভে পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারি-তাহলে আপনারা কেন পারবেন না। আমরা অতি মুনাফা করার সেই পথ থেকে সরে আসুন। আপনারা ব্যবসা করুন, তবে কোনোভাবেই জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে করা যাবে না।
সেখানে পণ্য কিনতে আসা বেশিরভাগ মানুষই ছিলেন উৎফুল্ল। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি উদ্যোগ নিয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন পারছেন না। নিশ্চয় তারা আমাদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি লাভ করছেন। আজকাল বাজারে সবজিতে হাত দেওয়া যায় না, অথচ এখানে ন্যায্যমূল্যে পাচ্ছি। তারাও তো কিছুটা লাভ করতেছে। তারা যদি লাভ করেও এত কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন পারছেন না। যেসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন তাদের সেই সিন্ডিকেট দ্রুতই ভেঙে দিতে হবে।’
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পতিতালয় থেকে দেশীয় চোরাই মদসহ মাদক কারবারি মরিয়ম বেগম (৪২) কে গ্রেফতার করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ লিটার দেশীয় চোরাই মদ জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মরিয়ম বেগম বাগেরহাটের মংলা উপজেলার হাজী আফছার উদ্দিন সড়ক, সেলবুনিয়ার মোজাম্মেল শেখের মেয়ে। তার স্বামীর নাম আক্তার হোসেন আক্তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সনজিব জোয়াদ্দার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান চালায় দৌলতদিয়া পতিতালয়ে অবস্থিত গোরস্থান গলির জনৈক বাবু ব্যাপারীর বাড়িতে।
বাবু ব্যাপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকত গ্রেফতারকৃত মরিয়ম বেগম ও তার স্বামী আক্তার হোসেন আক্তার। ওই বাড়িতে চোরাই দেশীয় মদ বিক্রির সময় তাকে আটক করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ৫০ লিটর দেশীয় চোরাই মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত চোরাই মদের আনুমানিক অবৈধ বাজারমূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মাদক মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী, লিবিয়া এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় লিবিয়ার মিসরাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হতে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক ১৫৭ জন আটকে পড়া অনিয়মিত বাংলাদেশী নাগরিককে দেশে ফিরেছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ০৪:২৫ ঘটিকায় Buraq Air (UZ 0222)-এর চার্টার্ড ফ্লাইট যোগে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় এ সকল বাংলাদেশী নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, এই আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে অধিকাংশই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশ্যে মানবপারচারকারীদের মাধ্যমে লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেছৈন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৬০০০/- টাকা কিছু খাদ্য সমগ্রী উপহার, মেডিক্যাল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টোরে আটক বাংলাদেশী নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ সদরদফতর।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ৮২৩ জন ক্যাডেট এসআই সদস্যদের ট্রেনিং শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে ২৫০ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৪ নভেম্বর।
উল্লেখ্য, পুলিশে এসআই পদে চাকরির জন্য প্রার্থীকে শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। পরীক্ষা দিতে হয় কম্পিউটার চালানোর দক্ষতার ওপরও। এসব ধাপ পেরিয়ে প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এরপর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থী ‘আউটসাইড ক্যাডেট’ হিসেবে সারদায় এক বছরের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নেন।