বেঙ্গালুরুতে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা খাদ্য সংকটে

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়া মেহেদী আরিফ ও তার পরিবার

বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়া মেহেদী আরিফ ও তার পরিবার

  • Font increase
  • Font Decrease

“দিন গেলেই ৫৫০ রুপি লজ ভাড়া গুণতে হচ্ছে। খেতেও হচ্ছে নিজের টাকায়। টাকা শেষ, খাবার যা আছে টেনেটুনে দুই দিন চলবে। বাংলাদেশ হাইকমিশনে দফায় দফায় কল করছি, কিন্তু কেউ রিসিভ করছে না। পরবাসে ভাগ্যে কী আছে, কিছুই বুঝছি না!”

ফোনের ওপাড় থেকে এক নিঃশ্বাসে এভাবে কথাগুলো জানালেন ভারতের বেঙ্গালুরুতে আটকেপড়া বাংলাদেশি মেহেদী হাসান আরিফ। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগরের সপুরা এলাকায়। গত ৩ মার্চ অসুস্থ মামা ও সঙ্গে মামিকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর নারায়ণা হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।

তার মামার ওপেনহার্ট সার্জারি হয়েছে। গত ২৭ মার্চ তাদের ট্রিটমেন্ট শেষ হয়। তবে ভারতে লকডাউন চলায় সেখানে আটকে পড়েছেন তারা। উঠেছেন বোম্মসান্দ্রা শিল্প এলাকায় অবস্থিত শান্তিনিকেতন গেস্ট হাইজে। মেহেদী আরিফের তথ্যমতে, ওই লজে আটকে পড়েছেন ১৫ জন বাংলাদেশি। সেখানে অজানা শঙ্কা মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবন কাটছে তাদের।

বার্তা২৪.কমকে মেহেদী আরিফ বলেন, ২৯ তারিখে সবশেষ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছিল। তারা আমাদের সকলের তথ্য নিযে জানিয়েছিল— ১৪ তারিখে ভারতে লকডাউন উঠে গেলে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে। কিন্তু এরপর আর কোন খবর নেয়নি। আমরা কল করলেও রিসিভ করছে না।

তিনি বলেন, লজের আশেপাশে কোনো বাড়ি-ঘর নেই। পুরোটা শিল্প এলাকা। লজ থেকে বের হয়ে মূল রাস্তায় গেলেই তাড়া করছে পুলিশ। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনোমতে চাল-ডাল, শাক-সবজি কিনে গত ১৭ দিন কাটছে। যে দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী কিনছিলাম, সোমবার (১৩ এপ্রিল) সেই দোকানিও জানালেন—আগামীতে আর চাল-ডাল নাও পাওয়া যেতে পারে।

লজে আটকে পড়েছেন দুই সহোদর মিজানুর রহমান ও মামুনুর রশিদ

লজে আটকে পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষার দুই সহোদর মিজানুর রহমান ও মামুনুর রশিদ। চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন।

মিজানুর রহমান মোবাইলে বার্তা২৪.কমকে জানান, লকডাউনের পর লজ থেকে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার কথা ছিল। দু’দিন দিয়েছিলও। পরে তারা খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

ভেলোরে যারা আছেন, তাদের লজ ভাড়া কমানো হয়েছে। সেখান থেকে খাবার দিচ্ছে বলেও শুনলাম। কিন্তু আমরা কিছুই পাচ্ছি না। দুই-তিন দিন পর খাবারও থাকবে না। কী যে করব, কিচ্ছু বুঝতে পারছি না, বলেই ঢুকরে কেঁদে ফেলেন মিজানুর রহমান।

মেহেদী ও মিজানুরের তথ্যমতে, লজে আটকে পড়া অন্যরা হলেন— রাজশাহীর শিরোইল কলোনির মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী সখিনা কামাল, শিবগঞ্জের মনাকষার মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রামের শীতাকুণ্ডের আব্দুল হোসাইন ও তার পরিবারের দুই নারী সদস্য, খুলনার রায়পাড়ার শোয়েবুর রহমান এবং তার পরিবারের একজন নারী ও আরেকজন পুরুষ সদস্য, জামালপুরের মাদারগঞ্জের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী এবং ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার সুনীল সাহা এবং তার পরিবারের একজন নারী সদস্য।

শান্তিনিকেতন গেস্ট হাইজের কাছাকাছি ¬¬স্বৈতা গেস্ট হাউজে আটকে পড়েছেন আরও ৪৫ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে আতিকুল ইসলাম নামে একজন রাজশাহী নগরের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, আমার ৭ মাস বয়সী বাচ্চার হার্টে ছিদ্র। চিকিৎসা করাতে গত ১২ মার্চ ভারতে এসেছি। নারায়ণা হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা সেবা পাইনি। তারা এখন আমাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করছে।

চট্টগ্রামের আব্দুল হোসাইন ও তার পরিবার

আতিকুল আরও বলেন, গেস্ট হাউজে প্রতিদিন রুম ভাড়া ৮০০ রুপি। ভাড়ার টাকা বকেয়া হয়েছে। হাতে টাকা-পয়সা শেষ। গেস্ট হাউজের বেশ দূরে কাঁচাবাজার ও একটি মুদিখানা দোকান আছে। সেখানে খাবার কিনতে বের হলে পুলিশ বাধা দেয়।

তিনি আারও জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ৪৫ জন বাংলাদেশি স্বৈতা গেস্ট হাউজে আটকে পড়েছেন। সবাই রোগী নিয়ে এসেছিলেন। তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। হোটেল থেকে খাবারসহ কোনো সার্ভিস নেই। শুধু কোনমতে থাকার ব্যবস্থাটা হচ্ছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করছি। তারা কোনো সহযোগিতাও করছে না।

আতিকুল বলেন, এখানে আমরা প্রতারণার শিকারও হচ্ছি। এয়ার এশিয়ার লোকজন এসে বিমানের টিকিট দিয়ে গেছে। ৬৫ হাজার টাকার টিকিট নিয়েছি। কিন্তু ভারতে লকডাউন বাড়ানোয় তারা আর যোগাযোগ করছে না। বলছে— পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিমান চললে ব্যবস্থা করবে।

এদিকে, লকডাউন শেষে চেন্নাই হয়ে সিলেট ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন বেঙ্গালুরুর অন্য একটি লজে আটকে পড়া ১২ জন বাংলাদেশি। শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই ৩০০০ রুপি এবং চেন্নাই থেকে সিলেটে ১৯০০০ রুপি মূল্যে আগাম টিকিট সংগ্রহ করেন।

তবে টিকিট সংগ্রহের পরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দেন। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। এসব তথ্যও জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর শান্তিনিকেতন লজে আটকেপড়া মেহেদী আরিফ। তবে তাদের নাম-পরিচয় বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।

বেঙ্গালুরুতে আটকেপড়া খুলনার একটি পরিবার

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মোবাইলে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভারতে আটকে পড়াদের বিষয়ে হাইকমিশন অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ নেবে। কিন্তু তাদের হাইকমিশনে টেলিফোন করে নাম-তথ্য দিয়ে তালিকাভুক্ত হতে হবে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে দ্রুত তাদের ফিরিয়ে আনব আমরা।

খাদ্য সংকটে পড়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা যে সমস্ত হোটেলে থাকছেন, সেখান থেকে দুঃসময়ে খাদ্য সরবরাহ করার কথা। যদি তা না করে থাকে, সেটাও হাইকমিশনে হোটেলের নামসহ জানাতে হবে। হাইকমিশন থেকে সেইসব হোটেলের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

সার্বিক বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মুম্বাইয়ে বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশন দফতরের প্রশাসনকি কর্মকর্তা শাহীন আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রতিদিনিই প্রচুর ফোন কল আসছে। আমরা তাদের নাম-পরিচয় ও তথ্য নিচ্ছি। তালিকাভুক্ত করে রাখা হচ্ছে। ভারতে লকডাউন শেষ হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিকে সবাইকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে।

বেঙ্গালুরুতে আটকেপড়াদের যেসব নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে: +৯১৯৯৩০০৭৫০২৬ (মো. লুৎফর রহমান, সহকারী হাইকমিশনার, মুম্বাই), +৯১৯৮৩৩১৯৯৩০ (নাফিসা মনসুর, ফার্স্ট সেক্রেটারি, মুম্বাই) ও +৯১৯৬৫৩২৯৮৪ (শাহীন আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মুম্বাই)।

   

টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ২২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাটিকাটা, চিতুলিয়াপাড়া, গোবিন্দাসী ও নিকলা নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার কাগমারী পাড়ার মিজানুর রহমানের শিশু ছেলে তৌফিক, গোলাবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আলিফা, নিকলা নয়াপাড়ার আজহারের ছেলে আম্বিয়া, নূরুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন, গোবিন্দাসী গ্রামের রফিকের ছেলে শামিউল, মহিউদ্দিনের ছেলে সুজন মন্ডল, চিতুলিয়াপাড়ার গ্রামের মোখলেছ মিয়ার মেয়ে মনিজা খাতুন, নাজমুল হুদার ছেলে সাফওয়াল ইসলাম, শাহজাহানের স্ত্রী হোসনে আরা, ভালকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ ইসলাম। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা যায়, আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।

এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে রোগীদের ভ্যাকসিন কিনে আনতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

কুকুরের আক্রমণের শিকার সুজন মন্ডল জানান, সকালে বাড়ির পাশে চড়ানো ছাগলকে আক্রমণ করে অনবরত কামড়াতে থাকলে আমি এগিয়ে গেলে কুকুরটি লাফ দিয়ে এসে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কামড়াতে থাকে। কুকুরটি মানুষ ও পশু দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, হাসপাতালে কিছুদিন আগেও কুকুড়ে কামড়ানো ভ্যাকসিন সরবরাহ ছিল। ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করছি দ্রুত ভ্যাকসিন সরবাহ করতে পারব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিন্তে আখতার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজনের ওপর আক্রমণ করা পাগলা কুকুরটিকে দ্রুত ধরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে শুনেছি গোবিন্দাসী খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়রা কুকুরটি মেরে ফেলেছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

উত্তরায় লেকের পানিতে ডুবে ২ কিশোরের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় লেকে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিকেলের দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মারা যাওয়া দুই কিশোর হলেন, মো. আশরাফ (১৬) ও মো. তামিম (১৬)। তারা মিরপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বলেন, মারা যাওয়া দুজনসহ পাঁচ বন্ধু মিলে মিরপুর থেকে দিয়াবাড়ি এলাকায় ঘুরতে আসে। তারা দিয়াবাড়ির ১৮ নম্বর সেক্টরের রংধনু সেতুর কাছে লেকে নেমে গোসল করতে থাকে। এসময় তারা লেকের মাঝামাঝি চলে যায়। সেখানে পানির গভীরতা বেশি থাকায় আশরাফ ও তামিম পানিতে ডুবে যেতে থাকে। এসময় অন্য তিনজন তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে আশরাফ ও তামিম পানিতে ডুবে যায়।

তিনি আরও জানান, দুই বন্ধু ডুবে যাওয়ার পর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লেক থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে।

তুরাগ থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার পর পুলিশও সেখানে উপস্থিত হয়। মারা যাওয়া দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

গফরগাঁওয়ে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ক্যাম্প



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ক্যাম্প

গফরগাঁওয়ে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ক্যাম্প

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের উদ্যোগে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার(৪ মে) দুপুরে উপজেলার হাতিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ছানি অপারেশন ক্যাম্প উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বালেল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালন ডা. শেখ মহিউদ্দিন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুল আলম খোকন।

আদ্-দ্বীন চক্ষু প্রকল্পের এজিএম রবিউল হক বলেন, গফরগাঁওসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৮শ রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করা হয় এবং অপারেশনের পর রোগীদের কালো চশমা ও বিনামূল্যে ঔষুধ দেওয়া হয়। উক্ত রোগীদের নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা করা হবে।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. মো. শফিউল আজমের নেতৃত্বে একটি চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এ ক্যাম্প পরিচালনা করেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

৩০ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত সব বগি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই রুটে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সেতাবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের সব বগির উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বগি ও তেলের ওয়াগন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আপলাইন ক্লিয়ার আছে।

এর আগে, শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জয়দেবপুর জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায়
তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার চার ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন। এর ১২ ঘণ্টা পর রাত ১১টা থেকে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানো কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী দল।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত বগিগুলো একে একে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে রেললাইন সচল করা হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সচল হয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;