অবরুদ্ধ রুদ্র বৈশাখ, তবু নতুন আলোয় জাগে প্রাণ

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ প্রাকৃতিক নিয়মে বাংলা নববর্ষকে নিয়ে এসেছে বসন্তের উজ্জ্বল নীলাকাশ ও উজ্জ্বলতর সবুজ প্রকৃতির পরশ মাখিয়ে। তবু করোনায় আক্রান্ত নতুন বছর ১৪২৭ বঙ্গাব্দে পৃথিবীর রং ধূসর। মানুষের চেহারা ভীত-বিহ্বল, পাণ্ডুর। প্রকৃতির পাতায় পাতায় ও নিসর্গের প্রতিটি অঙ্গনে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো হে’ স্পন্দন, তবু এই নববর্ষের, এই পহেলা বৈশাখের, সকল রুদ্রতা অবরুদ্ধ।

এই অচিন্তনীয় অবরুদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক দূরত্ব ও সঙ্গরোধের ফলে। মনুষ্য চলাচলহীন, নিস্তরঙ্গ পৃথিবীতে ঘরবন্দী হয়ে বেঁচে থাকাই বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। উৎসবের প্রসঙ্গ তো রীতিমতো অকল্পনীয় বিষয় করোনাপীড়িত কালে।

তবুও গৃহের নিভৃত কোণ থেকে চিরচেনা, চিরপরিচিত প্রকৃতি ও ঋতুর অনিন্দ্য পালাবদল মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারে না। মানুষ, প্রকৃতির শিহরণ থেকে দূরে থাকলেও নির্বিকার থাকতে পারে না। উৎসবমুখর বাঙালি অন্তরের আলো ও উত্তাপে আমোদিত হয় নববর্ষের স্পর্শে, পহেলা বৈশাখের পরশে।

বাংলা জনপদে বাঙালি জীবনে পহেলা বৈশাখ নবতর চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার আনন্দধ্বনি নিয়ে আসে। পুরনো ও জীর্ণকে ফেলে ‘ঐ নতুনের কেতন’ উড্ডয়নের ডাক দেয় বৈশাখ। আবাহন জানায়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালির ঐক্য, বিকাশ ও সমৃদ্ধির।

 

দক্ষিণ এশিয়ার সুবিশাল ভূগোলের মধ্যে বিশাল ও বহুবিচিত্র ভারত উপমহাদেশে একমাত্র বাঙালি জাতিরই রয়েছে নিজস্ব ও কার্যকরী একটি বর্ষপঞ্জি, যাকে কেন্দ্র করে বাঙালির অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবন আবর্তিত হয় ঋতুবৈচিত্র্য এবং পালা, পার্বণ ও অনুষ্ঠানের সমান্তরালে। মাটি ও মানুষের সম্মিলনে সেই বর্ষক্রমের সূচনা আনে রুদ্র বৈশাখ।

বৈশাখে বাঙালির জাতীয় সাংস্কৃতিক জাগরণের মতো আলোড়ন তৈরি হয়। ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসে। শতসহস্র কণ্ঠে বলতে থাকে, ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’।

ভোরের নতুন আলোয় রমনার ঐতিহ্যবাহী বটমূলের সুর ও ছন্দে আবাহন করা হয় নতুন বছরকে। চারুকলা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয় বর্ণিল শোভাযাত্রা। প্রত্যয়দীপ্ত বাঙালি অশুভ, অন্যায় ও অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর ডাক দেয়। বাঙালির শতকণ্ঠে জাগৃতির গানে গানে সমগ্র বাংলাদেশ মুখরিত হয় নববর্ষের প্রথম দিনে, পহেলা বৈশাখে।

কিন্তু ঐতিহাসিক বাস্তবতার কঠিন পরিস্থিতিতে ১৪২৬ বঙ্গাব্দ শেষে নতুন বছর ১৪২৭ এসেছে ঘোরতর সঙ্কুলতার মধ্যে। শুধু বাংলাদেশই নয়, সারা বিশ্বই এই নতুন বছরের মাহেন্দ্রক্ষণে তাপিত, পীড়িত। উৎকণ্ঠায় প্রকম্পিত। তবু মানুষের শাশ্বত সংগ্রামশীলতার শক্তিতে চলছে সঙ্কট মোচনের লড়াই। রোগের সঙ্গে মানুষের এই প্রচণ্ড দ্বৈরথে বিশ্বের প্রতিটি মানুষই আজ একেক জন সৈনিক। হয়তো কেউ লড়াই করছে বাইরে থেকে, কেউ ঘরের মধ্যে থেকে। তথাপি লড়াই চলছেই।

মানব সভ্যতার এই লড়াইয়ে বাঙালিকে আরও প্রাণিত করে বৈশাখের জীবনমুখী চৈতন্য। রুদ্র বৈশাখের প্রবল প্রতাপে করোনা-সৃষ্ট অবরুদ্ধতাকে পরাজিত করার প্রত্যয় ও প্রতীতি জাগে নববর্ষের নবতর আবহে, পহেলা বৈশাখের প্রাণময় স্পর্শে। যে পরশ প্রতিটি বাঙালি ঘরে বসেও অনুভব করে। উপলব্ধি করে প্রাণের আলোয় বিপদ উত্তরণের প্রেরণা। সামষ্টিক উৎসবময়তাকে পায় ব্যক্তিগত, পারিবারিক পরিমণ্ডলে।

মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির, প্রাণের সঙ্গে প্রাণের মিলিত মুখরতায় বাঙালির চিরন্তন উৎসব বাংলা নববর্ষের পহেলা বৈশাখ। বাঙালি যেকোনও পরিস্থিতিতে এই সর্বজনীন, কল্যাণময় উৎসবের সঙ্গে একাত্মবোধ করবেই। হয়তো বাইরের সব আয়োজন আপতকালীন পরিস্থিতিতে স্থগিত থাকবে। কিন্তু নববর্ষের নতুন আলোয় অন্তরের রজতশুভ্র আলোক দ্যুতিতে বাংলার প্রতিটি প্রান্তর, গৃহকোণ আলোকোজ্জ্বল হবেই। নতুন আলোয় জাগবেই প্রাণ।

আজ নয় কাল, অবরুদ্ধ প্রহর পেরিয়ে বাঙালি জাগবেই রুদ্র বৈশাখের উচ্ছ্বাসে। অবরুদ্ধ রুদ্র বৈশাখেও বাঙালির ঘরে ঘরে, অন্তরের গহীন প্রদেশে জাগবে প্রাণ।

বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথি বার্তা২৪.কম বাংলার, বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে ঘরে ঘরে অবস্থানরত প্রতিটি বাঙালিকে জানাচ্ছে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

   

সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে বাসের ধাক্কায়  এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ নোমান মোল্লা (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একতা গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। তিনি মাতুয়াইল মেডিকেল মহিলা মাদ্রাসার পাশে ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (২৭এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোমান মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী রাজু বলেছেন, আজ রাতের দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় ওই আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ রোববার (২৮ এপ্রিল)। ১৯৫৪ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শেখ জামাল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন।

সংস্কৃতি ও ক্রীড়াপ্রেমী শেখ জামাল গিটার শেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তিনি একজন ভালো ক্রিকেটারও ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস, বিএলএফ) যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঐ দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন শেখ জামাল।

শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ রোববার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ট্রেনিং নিয়ে ফেরার পথে গুলিসহ ২ রোহিঙ্গাে আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মায়ানমার সেনাবাহিনীর ১৭ রাউন্ড জিথ্রি রাইফেলের বুলেটসহ ২ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কক্সবাজার -টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের নয়াপাড়া এলাকায় তাদের আটক করা হয়।

মায়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আটক হওয়া দুই যুবক। সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম।

আটককৃতরা মায়ানমারের কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক-ই-৩১৪ এর মো. ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (১৯) ও নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্লাষ্টার-৬৫, রুম নং- জে-১২৩ এর আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ার মোস্তফা (১৮)।

অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম জানান, টেকনাফ-কক্সবাজারমুখী পায়রা সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি করছিল হোয়াইক্যং থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে যাত্রীর আসনে থাকা দুজন যুবককে সন্দেহজনক মনে হলে তাদের দেহ তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় কেফায়েত উল্লাহর কোমরে বাঁধা কালো রংয়ের ব্যাগ থেকে গুলি গুলো জব্দ করা হয়। পরে অবৈধ বুলেট রাখায় ওই রোহিঙ্গা যাত্রী ও তার সহযাত্রী আনোয়ার মোস্তফাকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মায়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে বহন করছিল। আসামিরা আরো জানায়, এ বছরের ১৯ এপ্রিল তারা দালালের মাধ্যমে মায়ানমারের মংডু জেলায় মায়ানমার সেনাবাহিনীর বুচিডং ক্যাম্পে যায়। সেখানে মায়ানমার সেনাবাহিনী তাদেরকে জি-থ্রি রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়। সেনাবাহিনীর পক্ষে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মায়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ৭ দিন থাকার পর অতিরিক্ত গরম ও খাদ্য কষ্টে সেখান থেকে আজ মায়ানমার সীমান্ত পার হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন থেকে পড়ে নিখোঁজ নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন থেকে মেঘনায় পড়ে সালেহা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। সালেহা বেগম উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের আব্দুল করিম সিকদারের স্ত্রী।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হিজলা পুরাতন লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন,বরিশাল হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম তিনি জানান, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ভাসানচর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী রাজহংস-১০ লঞ্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হিজলা পুরাতন লঞ্চঘাটে ভেড়ানো হয়। যাত্রী সালেহা বেগম পন্টুনের কিনারে দাঁড়ানো ছিলেন। লঞ্চটির ধাক্কায় ঝাঁকুনিতে পন্টুন থেকে নদীতে ছিটকে পড়েন তিনি।

তাঁকে রক্ষায় আরেকজন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও স্রোতের টানে তাঁকে ধরে রাখতে পারেননি। নিখোঁজের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বরিশাল নগর থেকে রওনা হয়েছে। তারা পৌঁছে সন্ধানের কাজ শুরু হবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;