সাভারে যেভাবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে!

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওএমএসের চাল কিনতে জনতার ভিড়, ছবি: বার্তা২৪.কম

ওএমএসের চাল কিনতে জনতার ভিড়, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানুষের গিজগিজে ভিড়। একজনের গায়ে লেপ্টে আছে আরেকজন। এভাবে মানুষের দীর্ঘ সারি। সবার চোখ সামনে থাকা মাঝারি একটি ট্রাক ঘিরে। ট্রাক থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল কেনার জন্য লাইনে হাজারো মানুষ।

হই হুল্লোড়ের মধ্যে কারো খেয়াল নেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কথা। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব রাখার জন্য সরকার যখন মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, স্বল্প মূল্যে খোলাবাজার থেকে চাল কিনতে তখন সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে এমন চিত্র।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এক পাশে যখন শুনশান নীরবতা, ঠিক অন্য পাশে তখন ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে আসা মানুষের হুড়োহুড়ি।

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যু। কিন্তু সেদিকেও হুঁশ নেই যেন কারো।

এ পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি আর পরিকল্পনার অভাবকে দুষছেন সাধারণ নাগরিকরা। তারা বলছেন, প্রশাসনের চোখের সামনেই এভাবে ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গায়ে গা ঘেঁষে ভর্তুকি মূল্যে চাল সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য।

সাভারের সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সতর্কবার্তা- দয়া করে এভাবে জনসমাগম ঘটিয়ে মহামারি করোনাভাইরাসকে কেউ আমন্ত্রণ জানাবেন না।

কিন্তু কেউ আমলে নেয়নি এই সতর্কবার্তা। এমনকি প্রশাসনের তরফেও দেখা যায়নি কোনো পদক্ষেপ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খোলাবাজারে চাল বিক্রি এ কর্মসূচি ঘিরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অনেকের কপালে।

স্থানীয়রা বলছেন, খোলাবাজারে চাল বিক্রির কাজে নিয়োজিত ডিলারদের এখন রমরমা ব্যবসা। তারা ব্যবসার বিষয়টিই ভাবছেন। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নাগরিকদের নিরাপত্তায় সরকারি নির্দেশনা মানার বিষয়ে তাদের তেমন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

ওএমএসের চাল কিনতে জনতার ভিড়, পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডিলার বলেন, আপৎকালীন ঝুঁকি নিয়েই ঘর থেকে বের হয়েছি। জনগণকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হাজার বার বলা হলেও তাতে কেউ কর্ণপাত করছে না। আমাদের সামর্থ্য কতটুকু? প্রশাসন যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমার কি করার আছে?

১০ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল কিনতে প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে এসেছেন মাটি কাটা শ্রমিক রোকসানা বিবি (৪৫)।

দেশে কী একটা রোগ আইছে। কী ভাইরাস জানি মনে নাই। তাই কাজকাম বন্ধ। কারো কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাই নাই। ঘরে তেমন টাকা পয়সাও নাই। তাই চাল কিনতে এতদূর থন আইসি। তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ায়াও চাল পাই নাই, বলছিলেন রোকসানা বিবি।

কথা হয় লাইনে দাঁড়ানো রিকশাচালক ছমির আলীর সাথে।

গাদাগাদির মধ্যে দাঁড়িয়েই তিনি বলছিলেন, গরিবের পেটের ক্ষিধা হইল আসল রোগ। পেটের ক্ষিধায় তো মরতাছি, কেউ দেখে না। আগে ক্ষিধা থাইক্যা বাঁচান। তারপরে বাঁচান ভাইরাস থাইক্যা।

ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গাদাগাদি করে খোলাবাজারে চাল বিক্রির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুস সাকিব। তিনি বলেন, গাদাগাদি করে চাল কেনার এ প্রতিযোগিতা আমাদের সাধারণ নাগরিকদের জন্য এক অশনিসংকেত। রেশন কার্ড চালু করা এখন সময়ের দাবি। করোনার আপৎকালে টিসিবি'র (ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) মাধ্যমে পণ্য বিক্রি নয়, দ্রুত রেশন কার্ড তৈরি করুন। প্রয়োজনে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় খাদ্যের সন্ধানে ক্ষুধার্ত মানুষের জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। এ জনস্রোত আমাদের মৃত্যুর মিছিলে নিয়ে দাঁড় করাতে পারে। যা সবার জন্যই বিপদজনক।

রেশন কার্ড হলে সুষম বন্টন হবে এবং চাল চুরির ঘটনাও কমে যাবে। এছাড়া করোনাভাইরাস গণসংক্রামণের ঝুঁকিও কমে যাবে, যোগ করেন নাজমুস সাকিব।

ওএমএসের চাল কিনতে জনতার ভিড়, ছবি: বার্তা২৪.কম


মহামারি করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী লাগোয়া জনপদ সাভার। যে কারণে গোটা সাভার-আশুলিয়া জুড়েই আতঙ্ক। জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার মত কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ নিয়ে এরই মধ্যে ১৫ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করিয়েছেন।

এদের মধ্যে নয়জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও এখনো হাতে রিপোর্ট না আসায় নমুনা সংগ্রহ করা অন্যদের পরিবারকে কার্যত রাখা হয়েছে লকডাউনে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে গাদাগাদি করে চাল বিক্রির ঘটনা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে বলে মনে করেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সায়েমুল হুদা।

বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, বাস্তবিক অর্থে তার চোখের সামনে এভাবে চাল বিক্রি তিনি নিজেও দেখেছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লক্ষ্য করেছেন, সাধারণ মানুষের উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। এভাবে আমরা করোনাভাইরাসকে আমন্ত্রণ জানাতে পারি না। এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে কঠোর না হলে নিশ্চিত আমাদের অশুভ পরিণতি বরণ করতে হবে।

 

   

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এ বছরই আম নিতে চেয়েছে চীন। সেইসঙ্গে চীনের একটি এক্সপার্ট প্রতিনিধি দল আম পাকার সময়ে আম বাগান ও উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম দিকে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসতে চায়। প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চীনের কাস্টমস বিভাগ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, যুগ্মসচিব মো. মাহমুদুর রহমান, চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সঙ ইয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিতে চীনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণ করতে চীনের বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের কৃষকেরা যাতে কম দামে আধুনিক কৃষিযন্ত্র পেতে পারে, এক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, চীন থেকে তুলনামূলক কম দামে আমরা যন্ত্র কিনতে পারি।’

এর আগে দুপুরে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন বৈঠক করেন। বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও চালুর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ সংরক্ষণাগারে সারা বছর পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানানো হয়।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফসল। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আমরা পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করছি। নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে সংরক্ষণাগার নির্মাণ এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগারটি আগামী ২ মে কৃষিমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব্ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মোঃ জাফর ওয়াজেদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়। তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ১১ জন কাউন্সিলরের আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র এর পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী 'পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা' এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মেয়র এর পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এতে আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ২০২২ সালে ২৭ নভেম্বর জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জন। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও আবেদন করেন তারা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র (বরখাস্ত) আব্দুল কাদের সেখের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল কারিগরি সহায়তায় এবং ইউএসএইড-এর সহযোগিতা বাস্তবায়িত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস কর্মসূচি জাতীয় রাউন্ডটেবিল আলোচনায় খুলনা, ও ঢাকার প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা পরিবেশ দূষণ রোধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও নদীর পানি দূষণ রোধে ১০টি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে টেকসই নগরায়ণ ও পরিবেশের সুরক্ষায় সুপারিশ শীর্ষক জাতীয় রাউন্ডডটেবিল আলোচনায় সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়।

আলোচনায় সুপারিশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন, একবার-ব্যবহার্য প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, প্রস্তাবিত নীতিমালার বাস্তবায়ন, জাতীয় পর্যায়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মনিটরিং ও নজরদারির ব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে মাল্টি-সেক্টরাল সভায় নদী এবং পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পদক্ষেপের অগ্রগতি আলোচনা, জাতীয় পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদারকি ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি এবং নতুন সরকারি অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশগত দিক মূল্যায়ন করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরি বলেন, পিএআর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পিত নগরায়ণ,সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সেবা প্রদান ব্যবস্থা, নদী দূষণ রোধে সকলের অংশগ্রহণে সুপারিশসমূহ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তা সুশাসন ও জবাবদিহিতার একটি মডেল পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সংসদীয় কমিটিতে ককাস গঠন করে এই সব সুপারিশমালা দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আলোকবর্তিকার ধারক প্রান্তিক মানুষকেই উদ্যোগ নিতে হবে ও সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

ইউএসএআইডি-এর অফিস অফ ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মুহাম্মদ এন খান বলেন, মানবাধিকার এবং দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এবং রাইটস প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলি নাগরিকবান্ধব শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, প্রান্তিক মানুষ এবং সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করায় মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে। ইউএসএইড আজকের এই ফলপ্রসূ আলোচনার অংশ হতে পেরে গর্বিত এবং নাগরিকরা কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তনকে আরো প্রভাবিত করে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে চায়।

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক অনুষ্ঠান বলেন, নানাবিধ নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সারা বাংলাদেশে জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নাগরিক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মেলবন্ধনের যে শিক্ষণীয় মডেল আপনারা সবাই তৈরি করছেন, তা আমাদের কাজকে সার্থক করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে, পিএআর প্রকল্প বাংলাদেশি সহযোগী সংস্থাদেরকে দেশের অপেক্ষাকৃত কম ও প্রতিনিধিত্বহীন দুই হাজার ৩০৩ জন নাগরিককে একই কাতারে আনতে সহায়তা করে যারা নিজেরাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করে ও এবং তা সমাধানের কার্যকরী সুপারিশ দেয়। এরপর সেসব চিহ্নিত সমস্যা এবং সুপারিশ নিয়ে তারাই ২১৭ জন রাজনৈতিক নেতা এবং ৪৬ জন সংসদীয় প্রার্থীর কাছে সরাসরি তুলে ধরে ও নির্বাচনী ইশতেহারে এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি সেগুলো অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়। যার ফলশ্রুতি রাজনৈতিক নেতা ও প্রার্থীদের কাছ থেকে ২৬৩ টি অঙ্গীকারনামা। নির্বাচনের পর পিএআর কর্মসূচি সেইসব নাগরিক সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধান প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে রূপরেখা তৈরিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। এই রূপরেখা লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন তাদের দেশের টেকসই উন্নয়নে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করবে বলে পিএআর কর্মসূচি বিশ্বাস করে। 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;