করোনা প্রতিরোধে কার্যকর সামাজিক-পারস্পরিক দূরত্ব



ফাতিমা তুজ জোহরা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে প্রয়োজন ব্যক্তি সচেতনতা, সামাজিক ও পারস্পরিক দূরত্ব গড়ে তোলা। এখনও করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, আর রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় সংক্রমণ রোধে একমাত্র উপায় হলো দূরত্ব বজার রাখা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত করোনা যে মহামারি আকার ধারণ করেছে তা একেবারে বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু এর সংক্রমণের হার কমানো সম্ভব। আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজার রাখি তাহলে এই সংক্রমণ আশানুরূপভাবে কমে আসবে।

আর এখন চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের কথা না বললেই নয়। কারণ কোনো প্রতিষেধক ছাড়া শুধুমাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আজ করোনা জয় করতে সক্ষম হয়েছে চীন। অথচ মাস দুয়েক আগেও সবাই ভেবেছিল চীন হয়ত এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে না।

এমনকি বর্তমানে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানিও একই পথ অবলম্বন করছে। যেহেতু এসব দেশে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে এজন্য এই দূরত্ব বজায় রাখার পর ১০-১৫ দিন সময়ের প্রয়োজন। আর এই দূরত্ব বজায় রাখতেই আক্রান্ত দেশগুলো লক ডাউন ঘোষণা করছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এসব দেশে সংক্রমণের হার আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।

এখন প্রশ্ন হলো সামাজিক দূরত্ব কী?

এক কথায় বলতে গেলে যেকোনো ধরনের জনসমাগম স্থল এড়িয়ে চলা, একে অপরের থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। কারণ রোগটি সম্পর্কে তারা বেশি কিছু জানেন না। যেমন- কীভাবে করোনাভাইরাস ছড়ায়, কেন দূরত্ব রেখে চলতে হবে এগুলো জানেন না অনেকেই। প্রথমত করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে রোগ। হাঁচি- কাশি, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ অথবা ব্যবহার্য জিনিসের মাধ্যমে এই ভাইরাস অন্য দেহে সংক্রমণ ঘটায়। যেহেতু ভাইরাসটি ভারি হওয়ায় বাতাসে বেশিক্ষণ ভাসতে বা বেশি দূরে যেতে পারে না। এমনকি মানুষের দেহের বাইরেও বেশিক্ষণ বেঁচে থাকে না এ ভাইরাস এজন্য আমাদের সবাইকে কমপক্ষে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এর মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব।

বাড়িতে কীভাবে পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রাখব—

এখন গোটা বিশ্বে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে প্রায় সবারই ছোট বাচ্চা ও বয়স্ক বাবা-মা আছেন। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিভিন্ন দেশের মানুষ লকডাউনের সময় অন-লাইন মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কেনাকাটা করছেন। এক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞরা সচেতন হতে বলছেন। এমন সময় যিনি গৃহকর্ত্রী তাকে বেশি সচেতন হতে বলছেন। উদাহরণস্বরূপ- বাইরে থেকে আসা সকল পণ্য ধরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। শুকনো খাদ্যদ্রব্য হলে প্যাকেটটি জীবাণুনাশ (ডিটারজেন্ট/ব্লিচিং মিশ্রিত পানি) দিয়ে মুছে নিতে হবে।

গবেষকরা বলছেন, পরিবারের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে। কারণ আক্রান্ত অনেকেই আছেন যাদের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। যেমন হাঁচি-কাশি কিংবা জ্বর থাকে না শরীরে। সেক্ষেত্রে বয়স্ক ও বাচ্চারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য খেতে বসেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলার কথা বলা হচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে কীভাবে দূরত্ব রেখে চলবেন—

এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে জরুরি প্রশাসনিক ও দাফতরিক কাজ চলমান। এক্ষেত্রে সরকারি দফতরে মেনে চলা হচ্ছে কিছু নিয়ম। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এ অবস্থায় হোয়াইট হাউজের প্রশাসনিক কাজ অব্যাহত আছে। এজন্য সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করা, বাইরের খাদ্য এড়িয়ে চলা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, ১০ জনের বেশি সমাবেত নিষিদ্ধ করছেন। পরস্পর থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব রাখা, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার, মুখে মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু ও রুমাল ব্যবহার করা, নির্দিষ্ট সময় বাদে হাত ধোঁয়া, হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই—

এই মহামারি প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ব্যক্তি সচেতনতা। অর্থাৎ নিজেকে নিজের সুরক্ষা দেওয়া। এই ছোঁয়াচে রোগে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিবর্গ আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছেন। এতে বিষয়টি পরিষ্কার যে, এই রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে ও আক্রান্তের পর নিজেকে সচেতন থাকতে হবে। প্রথমত হাত ধোঁয়া, জনসমাগম স্থলে যাওয়া থেকে বিরত ও শারীরিক পরিচ্ছন্নতা আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে। আর দ্বিতীয় ধাপ হলো- আক্রান্ত হওয়ার পর আপনার করণীয় কী হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রেও এই সচেতনতার বিকল্প নেই। জ্বর, কাশি কিংবা করোনার সামান্য লক্ষণ পাওয়া মাত্রই নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে নিতে হবে। যাতে পরিবারের কাছের মানুষটি আক্রান্ত না হতে পারে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না গিয়ে ফোনে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়া। লক্ষণ বেশি খারাপ হলে হাসপাতালে যোগাযোগ করা। তবে এসব কাজই ঘরে বসে করতে হবে। না হলে আপনার থেকে আরও অনেকে আক্রান্ত হতে পারে। একইসঙ্গে সবার আগে এটি জানা যে, করোনায় আক্রান্ত মানেই মৃত্যু নয়। খাবার-ঘুম এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে এ রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য আতঙ্ক নয় প্রয়োজন সচেতনতার।

সারাবিশ্বে করোনায় আঠারো লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।

আরও পড়ুন- করোনাভাইরাস: ‘প্লিজ, উহানের ভুল থেকে শিক্ষা নিন’

করোনা লড়াইয়ে চলচ্চিত্রকার যখন ওষুধ সরবরাহকারী

ক্লোরোকুইন ওষুধে কি করোনা নিরাময় সম্ভব?

গরমে কমবে করোনার সংক্রমণ, দাবি মার্কিন গবেষকদের

করোনার চিকিৎসায় চার ওষুধ নিয়ে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বন্যপ্রাণীর অবাধ বাণিজ্য, ভয়াবহ মহামারির দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব

নীল আকাশ বলে দিচ্ছে, ভারত কতটা দূষণমুক্ত

পৃথিবীর যেসব অঞ্চল এখনো করোনামুক্ত

ক্ষমতার অন্দরমহলে করোনার আধিপত্য!

বাতাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্ভব?

লকডাউনের শেষ কবে?

   

লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন থেকে পড়ে নিখোঁজ নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন থেকে মেঘনায় পড়ে সালেহা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। সালেহা বেগম উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের আব্দুল করিম সিকদারের স্ত্রী।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হিজলা পুরাতন লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন,বরিশাল হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম তিনি জানান, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ভাসানচর স্টেশন থেকে ঢাকাগামী রাজহংস-১০ লঞ্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হিজলা পুরাতন লঞ্চঘাটে ভেড়ানো হয়। যাত্রী সালেহা বেগম পন্টুনের কিনারে দাঁড়ানো ছিলেন। লঞ্চটির ধাক্কায় ঝাঁকুনিতে পন্টুন থেকে নদীতে ছিটকে পড়েন তিনি।

তাঁকে রক্ষায় আরেকজন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও স্রোতের টানে তাঁকে ধরে রাখতে পারেননি। নিখোঁজের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বরিশাল নগর থেকে রওনা হয়েছে। তারা পৌঁছে সন্ধানের কাজ শুরু হবে।

;

সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

তিনি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।

আগামীকাল ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা জানান, রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য ও দায়িত্ব হল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, সমতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো এমন এক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং সুবিচার নিশ্চিত হবে।

সেই লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ, সম্পত্তির অধিকারসহ ১৮টি মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত করেন। কিন্তু জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, সামরিক শাসন এবং স্বৈরাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নকে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে সকল দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে। ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং এ সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করব।’

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রম ও সেবাসমূহ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রায় ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সারা বাংলাদেশের আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। সরকারি আইনগত সহায়তাকে আরো টেকসই, উদ্ভাবনী, জনবান্ধব এবং পক্ষদের আইনগত বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়ে মামলাজট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নে সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ এবং সর্বোপরি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সকলের সমন্বিত উদ্যোগেই অচিরেই সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।’

শেখ হাসিনা ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’র সার্বিক সাফল্য এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।

;

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সকল উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে প্রদত্ত শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বাণীতে আহ্বান জানান।

আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’। দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ: গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধি শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলও’র ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সকল কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্পকারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সাথে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল সর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

;

মেধাবী শিশুদেরকে পুরষ্কৃত করেছে বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক সংগঠন বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট ৭৬ জন প্রতিভাবান শিশুশিল্পীকে পুরষ্কার প্রদান করেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি কাচার আসরে বিডি চাইন্ড ট্যালেন্ট বেস্ট চাইল্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এই পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

বিডি চাইল্ড ট্যালেন্টের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রজিৎ চন্দ জানান, সারা বাংলাদেশ থেকে ১৫০জন প্রতিভাবান শিশুকে নির্বাচিত করা হয়েছে। সেখান থেকে জনপ্রিয় ও প্রতিভাবান ১০ জন শিশুকে সেরা শিশুশিল্পী, ১৫ জন শিশুকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭৬ জন প্রতিভাবান শিশুকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদ রানা জানান, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মেধাবী ও অবহেলিত শিশুদের প্রতিভা সবার মাঝে তুলে ধরা'র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট। এর পাশাপাশি দরিদ্র ও মেধাবী শিশুদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সামাজিক সচেতনতামূলক তথ্যচিত্র ও নাটক নির্মাণও করা হচ্ছে নিয়মিত।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে টিবি হাসপাতালের উপ পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, শিশুদের মেধা বিকাশে অভিভাবকদের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। মেধাভিত্তিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে সরকারকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিডি চাইল্ড ট্যালেন্টের সাথে যুক্ত ২০০ এর অধিক শিশু এবং তাদের অভিভাবক সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

;