লকডাউনের শেষ কবে?



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি:  বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে স্থবির গোটা বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে এ অচলাবস্থায় হাঁপিয়ে উঠেছে ঘরবন্দি মানুষেরা। কবে পুনরুদ্ধার হবে এই বন্দিজীবন এ নিয়ে শঙ্কিত বিশ্ববাসী। কতদিন ধরে চলবে এই লকডাউন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকমাস অথবা কয়েকবছর চলমান থাকতে পারে লকডাউন।

রোববার (৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অথবা ওষুধ আবিষ্কার করা যাবে না ততদিন পর্যন্ত চলমান থাকবে এই লকডাউন।

অধ্যাপক গ্রেহাম মেল্ডলি বলেন, এই ভাইরাসটি এতটাই বাজে যে আমরা এখন সবকিছু বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। এটি আমাদের ঘরের এক কোণে আবদ্ধ করে ফেলেছে। এখন প্রশ্ন থাকে এরপর আমরা কি করব?

তিনি বলেন, প্রায় কয়েক সপ্তাহের লকডাউন চলছে বিশ্বজুড়ে। এখন সম্ভবতই প্রশ্ন আসে লম্বা এ বন্ধে বয়োজ্যেষ্ঠদের বাঁচাতে গিয়ে আবার শিশুদেরকে দুর্যোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছি নাতো।

লকডাউন পরবর্তী সময়টাও কি আগে মতো হবে এটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এখন লকডাউনের মধ্যে থাকলেও আমরা একে অপরের থেকে দূরত্ব রেখে চলাফেরা করছি। বন্ধ রাখা হয়েছে সামাজিক সকল কার্যক্রম। স্কুল-অফিস-যানবাহন সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ লকডাউন শেষে কী সবকিছু আগের মতো হবে? নাকি অফিসে আমরা দূরত্ব রেখে চলব? হয়তবা হাত ধোঁয়া, ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় আরও বেশি মনযোগী হব আমরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থা মোকাবিলায় অবশ্যই ব্যক্তি সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। অসুস্থ হলে লুকিয়ে না থেকে অথবা পালিয়ে না বেড়িয়ে নিজে গিয়ে ডাক্তারকে জানাতে হবে। তাহলে নিজে বাঁচা যাবে সঙ্গে অন্যদেরকেও বাঁচানো যাবে।

আর সবার আগে প্রয়োজন এটা জানানো যে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানেই মৃত্যু নয়। এ থেকে সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।

উদাহরণস্বরূপ চীনের উহানের কথা বলা যেতে পারে। ইতোমধ্যে সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সীমিত আকারে হোটেল, শপিংমল, অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে।

আর শেষমেশ প্রতীক্ষা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কিংবা ওষুধ আবিষ্কারের।

   

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বিকল হয়ে পড়েছে সাহায্য কার্যক্রম



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বিরতির আলোচনা কোনও চুক্তি ছাড়ায় শেষ হওয়ায় নগরীর দক্ষিণে রাফাহতে অব্যাহতভাবে হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেওয়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত তিন দিন ধরে গাজায় সাহায্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে, এতে বিকল হয়ে পড়েছে সকল ধরণের সাহায্য কার্যক্রম।

শুক্রবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি হামলার জবাবে হামাস যোদ্ধারা রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করেছে। এতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ-এর মাটিতে ভারী যুদ্ধ চলছে এবং বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাঙ্কগুলোকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিযানে জোরদার করার পর থেকে গত তিন দিনে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় সাহায্য কার্যক্রম বিকল হয়ে পড়ায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন অবরোধ সম্পূর্ণভাবে মানবিক কার্যক্রমকে পঙ্গু করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শহরের উপর পূর্ণ মাত্রায় হামলার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করবেন না বলে জানানোর পরও রাফাহ স্থল আক্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত অস্ত্র রয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি সৈন্যরা রাফাহতে বড় বড় ভবন উড়িয়ে দিয়েছে।

গাজা শহরের সাবরা এবং জেইতুন এলাকাকে লক্ষ্য করে তীব্র কামানের গোলাবর্ষণেরও খবর পাওয়া গেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায় চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে, ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে ৪৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৯০৪ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৮ হাজার ৫১৪ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক।

 

;

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রধানকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সার্জি লিওনিডোভিচ রুডকে বরখাস্ত করার আদেশ জারি করা হয়।

এরআগে গত সপ্তাহে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগেে এই বিভাগের লিওনিডোভিচ রুডসহ দুই কর্মকর্তাকে আটক করা হয়।

গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের এসবিইউ সিকিউরিটি সার্ভিস জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যার একটি রাশিয়ান চক্রান্ত নস্যাৎ করার ঘোষণা দেওয়ার পর এই ঘোষণা আসলো।

ইউক্রেনের এসবিইউ সিকিউরিটি সার্ভিস জানায়, রাশিয়ার এফএসবি সুরক্ষা পরিষেবাকে গোপন তথ্য দেওয়ার সন্দেহে দেহরক্ষী বিভাগের দুই কর্নেলকে আটক করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে একজন এজেন্টকে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যক্তিগতভাবে রকেট রাউন্ড, ড্রোন এবং অ্যান্টি-পারসনেল মাইন সরবরাহ করেছিল।

৪৭ বছর বয়সী রুড ২০১৯ সাল থেকে বিভাগটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। যা রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান করে আসছিলো।

;

ভারতের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মার্কিন হস্তক্ষেপের রুশ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৯ মে) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভারতের নির্বাচনে নিজেদেরকে জড়িত করি না কারণ আমরা বিশ্বের কোথাও নির্বাচনে নিজেদেরকে জড়িত করি না। এটা ভারতের জনগণের জন্য সিদ্ধান্ত।

এর আগে ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW)-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত খালিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিংকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতি বলেন, নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত ভিত্তিহীন অভিযোগ এটি। আমরা দেখতে পাচ্ছি তারা ভিত্তিহীনভাবে শুধু ভারতকেই নয়, অন্যান্য অনেক রাজ্যকেও দোষারোপ করে। যা ভারতীয় রাষ্ট্রের উন্নয়ন এবং একটি রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের প্রতি অসম্মান।

তিনি এই অভিযোগকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঔপনিবেশিক মানসিকতা হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারা ভারতে চলমান সাধারণ সংসদ নির্বাচনকে জটিল করার জন্য ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ভারসাম্যহীন করার চেষ্টা করছে। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অংশ।

;

হামাসকে পরাজিত করতে প্রয়োজনে ইসরাইল একা লড়বে: নেতানিয়াহু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় বড় ধরনের অভিযান চালালে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনের হামাসকে পরাজিত করতে প্রয়োজনে ইসরাইল ‘একা লড়াই’ করবে।

বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

নেতানিয়াহু বলেন, ৭৬ বছর আগে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা অনেকের বিরুদ্ধে অল্প ছিলাম। আমাদের কাছে অস্ত্র ছিল না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিল, কিন্তু আমাদের মধ্যে প্রবল চেতনা, বীরত্ব ও ঐক্যের জোরে - আমরা বিজয়ী হই।

নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের যদি একা দাঁড়াতে হয়, তাহলে আমরা একাই দাঁড়াব। প্রয়োজনে আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমরা জানি আমাদের আঙুলের নখের চেয়ে অনেক বেশি কিছু আছে’।

নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং গাজায় তাদের অব্যাহত হামলায় ইসরাইল- যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়বে।

এদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে, রাফায় বড় হামলা চালালেই যে হামাসকে পরাজিত করা সম্ভব হবে তা নাও হতে পারে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জন কিরবি এক মিডিয়া ব্রিফিং এ বলেন, বাইডেনের দৃষ্টিতে রাফাতে হামলা চালালেই ইসরাইলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হবে তা নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে রাফা নিয়ে কথোপকথন এখনও চলছে বলে যোগ করেন কিরবি।

সাত মাস আগে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৪ হাজার ৮৪৪ জন নিহত হয়েছেন।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর বাইডেন প্রথম প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সতর্ক করেন। বাইডেন স্বীকার করেন, গাজায় বেসামরিক মানুষ হত্যায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বোমা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ব্যবহারের ফলে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাইডেন দুঃখ প্রকাশ করেন।

;