করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুলনা নগর ত্যাগ ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
সোমবার (০৬ এপ্রিল) রাতে কেএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা থেকে যাতে কোনো লোক বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরে থেকে কোনো মানুষ যাতে খুলনায় আসতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দিয়েছেন কেএমপি কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সাধারণ ছুটির সময় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুলনায় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং খুলনার বাইরেও কেউ যেতে পারবে না।
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বন্যার পানিতে আটকে পড়া শাশুড়িকে উদ্ধার করতে গিয়ে জামাতা মো. উজ্জল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার হাটপাগলা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত উজ্জল মিয়া শেরপুর জেলার নকলা পৌর শহরের মৃত আমজত আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের পূর্ব চিকনা এলকায় উজ্জলের শাশুড়ি কুলসুম বেগম (৫৫) পানিবন্দি হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে রোববার সকালে উজ্জল মিয়া ঘটনাস্থলে এসে শাশুড়িকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেন। এসময় হাটপাগলা এলাকায় যাওয়ার পথে প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
ফুলপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হওয়ার পর ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হাটপাগলা এলাকা থেকে উজ্জলের মরদেহ উদ্ধার করে।
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন। উদ্ধারকাজ শেষে হঠাৎ তিনি গর্তে পড়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। সে সময় এলাকাটিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার লাশ উদ্ধার করেন।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তামর্তা (ওসি) আবদুল হাদী বলেন, সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হওয়ার পর বিকেলে পূর্ব চিকনা এলাকা থেকে উজ্জল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অভিযান চালিয়ে চার লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়িসহ একটি ইঞ্জিন চালিত নসিমন জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দারোগামোড় এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নসিমন চালক ইমারুল (৫৫) কে আটক করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে নকল আকিজ বিড়ি ও কমদামী অবৈধ বিড়ি উৎপাদন করে আসছে।
দৌলতপুর উপজেলার দারোগামোড় এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নসিমনে করে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি), বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী দৌলতপুর উপজেলার দারোগামোড় এলাকায় অভিযান ও তল্লাশি চালায়।
এসময় একটি ইঞ্জিন চালিত নসিমন থেকে ১৫ বস্তায় চার লাখ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে নসিমন চালক ইমারুলকে আটক করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত নকল আকিজ বিড়ি প্রথমে বিজিবি ক্যাম্প এবং পরবর্তীতে দৌলতপুর থানায় পাঠানো হয়। অভিযান শেষে চালক ইমারুল (৫৫) এবং নকল বিড়ির মালিক কাবিল মোল্লার (৪০) বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে দৌলতপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। আটককৃত আসামী ইমারুলকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান এবং বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. রফিকুল ইসলাম অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ জানান, অভিযানে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল আকিজ বিড়িসহ একটি নসিমন জব্দ করা হয়েছে। নসিমন চালককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোষ্ট করায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে সরকার।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।
তিনি জানান, এখনো নির্দেশনা হাতে আসেনি। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের স্বাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
সমালোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে ফেসবুকে লেখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরে স্ট্যাটাস বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি মুঠোফোনে বলেন, আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। পরে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।
এদিকে তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুকে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, এই ঘটনায় তাকে অলরেডি (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে। তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত মন্ত্রনালয়ই নিবে।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট বাজারে সড়কে অবৈধ দোকান স্থাপন ও ফুটপাত দখলের দায়ে ৫ ব্যবাসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৬ অক্টোবর) নাজিরহাট পৌর এলাকার বাজারটিতে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন।
তিনি জানান, অভিযানে রাস্তার উপর অবৈধভাবে দোকান স্থাপন এবং ফুটপাতে মালামাল রেখে পথচারীদের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করার অপরাধে ৫ জন ব্যবসায়ীকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ অনুসারে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া প্রায় ২০টি দোকানের সামনের ফুটপাত হতে অবৈধ মালামাল এবং ফুটপাত থেকে বিভিন্ন সামগ্রী অপসারণ করা হয়। ভবিষ্যতে যাতে কেউ দোকানের সামনে ফুতপাতে মালামাল না রাখে সে জন্য অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
অভিযানে সাধারণ ছাত্র-জনতা, ফটিকছড়ি থানা পুলিশ, নাজিরহাট পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলী ও কর্মচারী এবং ভূমি অফিসের কর্মচারীরা সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন।