বরিশালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন যারা



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ও ১টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ জন্য ১০৭টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ৩০ ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডের ৯ জন সাধারণ ও ৬ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম আটকে গেছে। তবে এর বাইরে ২১টি ওয়ার্ডের ২১ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত ৪টি ওয়ার্ডে ৪ জন কাউন্সিলরের বিজয়ী হওয়ার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এরমধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে আগে থেকেই তিনজন এবং সংরক্ষিত আসনে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

বিজয়ীদের মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪ জন আওয়ামী লীগ দলীয়, ৩ জন বিএনপির, ১ জন জাতীয় পার্টি ও ৪ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী রয়েছেন।

অপরদিকে সংরক্ষিত ৪ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে ১ জন আওয়ামী লীগের, ১ জন বিএনপির, ১ জন স্বতন্ত্র ও ১ জন সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী নারী নেত্রী রয়েছেন।

সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলররা হলেন- ২ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট এ.কে. এম মুরতজা আবেদীন (জাপা), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক (স্বতন্ত্র), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৌহিদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. কেফায়েত হোসেন রনি (স্বতন্ত্র), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান মোহাম্মদ জামাল হোসেন (স্বতন্ত্র), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সেলিম হাওলাদার (বিএনপি), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন অর রসিদ (বিএনপি), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এ টি এম শহিদুল্লাহ (স্বতন্ত্র), ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবর রহমান (আওয়ামী লীগ), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জাকির হোসেন (আওয়ামী লীগ), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মেহেদী পারভেজ খান (আওয়ামী লীগ), ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিয়াকত হোসেন খান (আওয়ামী লীগ), ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মো. মোশারফ আলী খান বাদশা (আওয়ামী লীগ), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মীর এ কে এম জাহিদুল কবির (বিএনপি), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় গাজী নঈমুল হোসেন লিটু (আওয়ামী লীগ), ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ সাঈদ আহমেদ (আওয়ামী লীগ), ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবীর (আওয়ামী লীগ), ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (আওয়ামী লীগ), ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফরিদ আহমেদ (আওয়ামী লীগ) ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আজাদ হোসেন মোল্লা কালাম (আওয়ামী লীগ)।

এর বাইরে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৫টির মধ্যে ৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন মো. আমির হোসেন বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ)।

এদিকে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত হওয়ায় ৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি।

তবে ওই সকল ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৌহিদুর রহমান (আওয়ামী লীগ), ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আকতার উজ্জামান গাজী হিরু (আওয়ামী লীগ), ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান (স্বতন্ত্র), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক (বাহার), ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ মো. আনিছুর রহমান (আওয়ামী লীগ), ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এম সাইদুর রহমান জাকির (আওয়ামী লীগ) ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) এগিয়ে রয়েছেন।

কিন্তু ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি কেন্দ্রেরই ফলাফল স্থগিত হওয়ায় সেখানকার কোনো তথ্যই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ৪টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রদত্ত ফলাফল অনুযায়ী এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী (বই প্রতীক) মিনু রহমান।

এর বাইরে ফলাফল স্থগিত হওয়ায় ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি।

তবে ওই সকল ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইসরাত জাহান (স্বতন্ত্র), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গায়েত্রী সরকার (আওয়ামী লীগ), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সালমা আক্তার শিলা (আওয়ামী লীগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেশমী বেগম (আওয়ামী লীগ), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডালিম বেগম (আওয়ামী লীগ) এগিয়ে রয়েছেন।

ইতোমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম (স্বতন্ত্র), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কোহিনুর বেগম (আওয়ামী লীগ), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আয়শা তৌহিদ লুনা (সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী) ও ১০ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রাশিদা পারভীন (বিএনপি)।

বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান জানান, ফল স্থগিত থাকা ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এবং স্থগিত কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠনো হবে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্তের পর নির্ভর করবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল।

   

ভোক্তা অধিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তনির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ভোক্তা অধিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তনির

ভোক্তা অধিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তনির

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। মনগড়া অভিযোগকারী তৈরি করে জরিমানা, আইন অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান এবং জরিমানা প্রদানের পরও মনগড়া তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তনি দাবি করেছেন, একটি অবৈধ অভিযোগ ও অপর একটি ভুয়া অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে তাকে। একইসঙ্গে পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত সানবিসের প্রধান শোরুম বেআইনিভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার অফিস ও অন্যান্য শোরুমে প্রতিদিন পুলিশ নিয়ে হানা দিচ্ছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। এজন্য নিজের ও ব্যবসার সুরক্ষায় ভোক্তা অধিদফতরের এমন তৎপরতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক তনি। এর আগে অধিদফতরকে আইনি নোটিশ দেন তিনি।

তনির পাঠানো উকিল নোটিশ ও রিট পিটিশন থেকে জানা গেছে, গত ১৪ মে সানবিসকে দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানবিস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ করেন। পরে ১২ মে সানবিসের প্রধান শোরুমে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেন সহকারী পরিচালক জব্বার মন্ডল।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৬০ ধারা অনুযায়ী অধিদফতরে অভিযোগ দায়ের করতে হয় ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে। কিন্তু লুবনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেছেন ৫৩ দিন পর। ফলে তার অভিযোগ আমলে নেয়ার বৈধতা হারিয়েছেন। এই ৫৩ দিন তিনি ওই কাপড় ব্যবহার করে নষ্ট করেছেন কিনা সেটিও নিশ্চিত নয় কেউ। কিন্তু এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে ৪৫ ধরা মতে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫০ হাজার টাকা সানবিসকে জরিমানা করা হয়। এমন অবৈধ অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান আইনের প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।

অন্যদিকে মিথ্যা বিজ্ঞাপনের অভিযোগে ৪৪ ধারায় সানবিসকে দ্বিতীয় জরিমানা (দুই লাখ টাকা) করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। দ্বিতীয় জরিমানার টাকা আদায়ের রশিদে অভিযোগকারী হিসেবে রাজু নামের এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু রাজু নামে কোনো ব্যক্তি সানবিসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি বলেও জানান তনি। এমনকি এই অভিযোগের বিষয়ে সানবিসকে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি বা শুনানিও হয়নি।

লুবনা ইয়াসমিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সানবিসের মালিক তনিকে তলব করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা ইন্দ্রানী রানি। কিন্তু সেই তলবের শুনানিতে অযাচিতভাবে হাজির হন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। ভুয়া অভিযোগকারীর নামে নোটিশ বা শুনানি ছাড়াই বেআইনিভাবে দুই লাখ জরিমানা করেন তিনি। তার আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, দুটি জরিমানার ক্ষেত্রেই তনিকে কোনো আদেশের কপি দেওয়া হয়নি। যা রীতিমতো বেআইনি। শুধু জরিমানার টাকা গ্রহণের রশিদ দেওয়া হয়।

এমন অবৈধ ও ভুয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে জরিমানা দিতে আব্দুল জব্বার মন্ডল রোবাইয়াত ফাতিমা তনিকে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ তনির। জরিমানা দিলে বিষয়টি এখানে মিটমাট হয়ে যাবে, না দিলে তনির অন্য যে ১০টি শোরুম রয়েছে সেগুলো অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও তাকে হুমকি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে তনি বলেন, সহকারী পরিচালক আমাকে বলেছিলেন, জরিমানা প্রদান করা হলে আপনার শোরুম আজ খুলে দেয়া হবে। না হলে অন্যান্য শোরুমে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন আমার ব্যবসা বাঁচাতে ওনারা যা বলেছেন তাই করেছি। কয়েকটি কাগজেও স্বাক্ষর নিয়েছে। কিন্তু ওনারা আমার শোরুম খুলে না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে।

এদিকে তনিকে দুই দফা জরিমানা করার পর তার শোরুম খুলে না দিতে কৌশলের আশ্রয় নেন জব্বার মন্ডল। তিনি তনির ব্যবসা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করেন। পরেরদিন শোরুম খুলে দিতে প্রতিশ্রুতি দিলেও তনিকে জানানো হয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শোরুম বন্ধ থাকবে।

একজনকে একটি অবৈধ অভিযোগে ডেকে দুই দফা শাস্তি দেওয়ার পর তদন্ত কমিটি করায় অধিদফতরের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তনির আইনজীবী। তিনি বলেন, আপনি যদি কোনো ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি করেন তাহলে তদন্তের আগে কীভাবে দুই দফা শাস্তি দিয়ে ফেললেন? আর শাস্তি যখন দিলেন, তাহলে শোরুম বন্ধ রাখলেন কীসের ভিত্তিতে? তাছাড়া তাকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার আদেশের কোনো কপি বা শোরুম বন্ধের আদেশের কোনো কপি তাকে দেয়া হয়নি। পুরো বিষয়টি তারা বেআইনিভাবে করেছে। এজন্য তারা আদেশের কপি দেননি। যাতে তনি চ্যালেঞ্জ করতে না পারে। এখন আমরা উচ্চ আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি। একজন নারী উদ্যোক্তাকে এমন হয়রানি করার প্রতিকার আমরা উচ্চ আদালতে পাবো আশা করি।

এদিকে ১৩ মে জরিমানা দেওয়ার পর থেকে শোরুম খুলে দিতে অধিদফতরের মহাপরিচালক ও জব্বার মণ্ডলসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছেন তনি। শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার (২১ মে) অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ৮ জনকে আইনি নোটিশ পাঠান তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন। একই সঙ্গে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন (পিটিশন নং ৬৩৩৯/২৪) দায়ের করেছেন। আগামী দুই থেকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (২১ মে) আইনি নোটিশ পাওয়ার পর তনির সঙ্গে আরও বেপরোয়া আচরণ করছেন আব্দুল জব্বার মন্ডল। সকালে আইনি নোটিশ পাওয়ার পর বনানীতে অবস্থিত তনির অফিসে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালাতে যান তিনি। তবে অফিস বন্ধ পান। সেখানে থেকে ধানমন্ডিতে অবস্থিত সানবিস বাই তনির শোরুমে অভিযান চালাতে যান। কিন্তু সেটিও বন্ধ পাওয়াতে সানবিসের ধানমন্ডি শাখার সামনে পুলিশ বসিয়ে রাখেন জব্বার মন্ডল। ফলে শোরুম খুলতে পারেননি তনির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

;

আজ নড়াইলের ইতনা গণহত্যা দিবস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতনা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার একটি গ্রাম। ২৩ মে এ গ্রামের জন্য একটি ভয়াল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী লোহাগড়া উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ইতনা গ্রামে একের পর এক ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শিশুসহ ৩৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। নিহতদের মরদেহ ঘর-বাড়ির জ্বলন্ত আগুনে ফেলে দিয়ে উল্লাস করে।

চর-ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক অনিল কাপালী। তিনি মা-বোনদের ওপর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে খালি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক পাক-সেনার ওপর।

বীর বাঙ্গালী অনিল কাপালী পাক-সেনার কাছ থেকে তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে দৌঁড়ে যায় নদীর দিকে। মধুমতি নদীতে অস্ত্র ফেলে নিজে সাঁতার কেটে চলে আসে এপারে ইতনা গ্রামে। পরের দিন পাক-সেনারা অনিল কাপালীকে ধরতে চর-ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আত্মরক্ষার জন্য চর-ভাটপাড়া বাসীরা বলে কাপালীর বাড়ি ইতনায়।

পরের দিন ইতনায় গণহত্যার পরিকল্পনা করে ৫টি নৌবহর ধারা পাক-সেনারা পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে কাক ডাকা ভোরে। তারা ৫ ভাগে ভাগ হয়ে ঢুকে পড়ে গ্রামের ভিতর। মানুষ তখন ঘুমন্ত। কেউ কেউ ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছে। পাক সেনারা প্রথমেই হিমায়েত মিনাকে গুলি করে। তখন সে গুলি অবস্থায় বীর দর্পনে “জয়বাংলা” বলে চিৎকার দেয়। এভাবে সে চিৎকার দিয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। যতক্ষণ সে জয়বাংলা বলেছে ততবার পাক-সেনারা তাকে গুলি করেছে। এরপর আব্দুর রাজ্জাক ফজরের নামাজ পড়ে কোরান শরীফ পড়ছে এসময় তাকে গুলি করে।

বানছারাম মন্ডলকে গুলি করতে উদ্যোগ নিলে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঁচে যান,বজলার রহমান, আ. জলিল, হারুন শেখসহ অনেকে। ইতনা হয়ে পড়ে ভুতুড়ে গ্রাম। লাশ আর লাশ। দাফন করার মত মানুষ নেই। গ্রামবাসীরা ধর্মীয় সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কোনো মতে শহীদদের দাফন করে গ্রাম ছাড়া হয়। এ আতঙ্ক সবার মধ্যে। ওইদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ গ্রামবাসীকে পাক-সেনারা হত্যা করে।

এ উপলক্ষে ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ইতনায় শহীদদের স্মরণে বিকালে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

মুক্তিযুদ্ধে লোহাগড়া উপজেলার মধুমতী নদী তীরবর্তী পাশাপাশি দুই গ্রাম ইতনা ও চরভাট পাড়া। এই দুই গ্রামে বসেই মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণের নানা পরিকল্পনা করত। ভৌগোলিক ও কৌশলগত কারণে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা এই দুই গ্রামে অবস্থান করে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালাতেন।

;

রাইসির মৃত্যু: রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যদের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ। এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গত ১৯ মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যদের মৃত্যুতে ২৩ মে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।

রাষ্ট্রীয় শোক উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

এছাড়া নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

;

শ্যামনগরে ট্রাক্টর-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ডাম্পার ট্রাক্টরের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল করিম (৩২) নামে ভাড়ায় চালিত এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার হায়বাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল করিম শ্যামনগরের দাঁতপুর গ্রামের মৃত গফফর শেখের ছেলে।

স্থানীয় মেহেদী হাসান জানান, সকালে নওয়াবেকীর দিক থেকে শ্যামনগরে আসার পথে হায়বাতপুর বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছুলে বিপরীতগামী ডাম্পার ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক করিমের মৃত্যু হয়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ ডাম্পারটি জব্দ করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

;