ভোক্তা অধিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তনির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ভোক্তা অধিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তনির

ভোক্তা অধিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তনির

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। মনগড়া অভিযোগকারী তৈরি করে জরিমানা, আইন অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান এবং জরিমানা প্রদানের পরও মনগড়া তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তনি দাবি করেছেন, একটি অবৈধ অভিযোগ ও অপর একটি ভুয়া অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে তাকে। একইসঙ্গে পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত সানবিসের প্রধান শোরুম বেআইনিভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার অফিস ও অন্যান্য শোরুমে প্রতিদিন পুলিশ নিয়ে হানা দিচ্ছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। এজন্য নিজের ও ব্যবসার সুরক্ষায় ভোক্তা অধিদফতরের এমন তৎপরতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক তনি। এর আগে অধিদফতরকে আইনি নোটিশ দেন তিনি।

তনির পাঠানো উকিল নোটিশ ও রিট পিটিশন থেকে জানা গেছে, গত ১৪ মে সানবিসকে দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানবিস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ করেন। পরে ১২ মে সানবিসের প্রধান শোরুমে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেন সহকারী পরিচালক জব্বার মন্ডল।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৬০ ধারা অনুযায়ী অধিদফতরে অভিযোগ দায়ের করতে হয় ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে। কিন্তু লুবনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেছেন ৫৩ দিন পর। ফলে তার অভিযোগ আমলে নেয়ার বৈধতা হারিয়েছেন। এই ৫৩ দিন তিনি ওই কাপড় ব্যবহার করে নষ্ট করেছেন কিনা সেটিও নিশ্চিত নয় কেউ। কিন্তু এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে ৪৫ ধরা মতে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫০ হাজার টাকা সানবিসকে জরিমানা করা হয়। এমন অবৈধ অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান আইনের প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।

অন্যদিকে মিথ্যা বিজ্ঞাপনের অভিযোগে ৪৪ ধারায় সানবিসকে দ্বিতীয় জরিমানা (দুই লাখ টাকা) করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। দ্বিতীয় জরিমানার টাকা আদায়ের রশিদে অভিযোগকারী হিসেবে রাজু নামের এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু রাজু নামে কোনো ব্যক্তি সানবিসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি বলেও জানান তনি। এমনকি এই অভিযোগের বিষয়ে সানবিসকে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি বা শুনানিও হয়নি।

লুবনা ইয়াসমিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সানবিসের মালিক তনিকে তলব করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা ইন্দ্রানী রানি। কিন্তু সেই তলবের শুনানিতে অযাচিতভাবে হাজির হন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। ভুয়া অভিযোগকারীর নামে নোটিশ বা শুনানি ছাড়াই বেআইনিভাবে দুই লাখ জরিমানা করেন তিনি। তার আইনজীবী অভিযোগ করে বলেন, দুটি জরিমানার ক্ষেত্রেই তনিকে কোনো আদেশের কপি দেওয়া হয়নি। যা রীতিমতো বেআইনি। শুধু জরিমানার টাকা গ্রহণের রশিদ দেওয়া হয়।

এমন অবৈধ ও ভুয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে জরিমানা দিতে আব্দুল জব্বার মন্ডল রোবাইয়াত ফাতিমা তনিকে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ তনির। জরিমানা দিলে বিষয়টি এখানে মিটমাট হয়ে যাবে, না দিলে তনির অন্য যে ১০টি শোরুম রয়েছে সেগুলো অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও তাকে হুমকি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে তনি বলেন, সহকারী পরিচালক আমাকে বলেছিলেন, জরিমানা প্রদান করা হলে আপনার শোরুম আজ খুলে দেয়া হবে। না হলে অন্যান্য শোরুমে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন আমার ব্যবসা বাঁচাতে ওনারা যা বলেছেন তাই করেছি। কয়েকটি কাগজেও স্বাক্ষর নিয়েছে। কিন্তু ওনারা আমার শোরুম খুলে না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে।

এদিকে তনিকে দুই দফা জরিমানা করার পর তার শোরুম খুলে না দিতে কৌশলের আশ্রয় নেন জব্বার মন্ডল। তিনি তনির ব্যবসা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করেন। পরেরদিন শোরুম খুলে দিতে প্রতিশ্রুতি দিলেও তনিকে জানানো হয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শোরুম বন্ধ থাকবে।

একজনকে একটি অবৈধ অভিযোগে ডেকে দুই দফা শাস্তি দেওয়ার পর তদন্ত কমিটি করায় অধিদফতরের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তনির আইনজীবী। তিনি বলেন, আপনি যদি কোনো ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি করেন তাহলে তদন্তের আগে কীভাবে দুই দফা শাস্তি দিয়ে ফেললেন? আর শাস্তি যখন দিলেন, তাহলে শোরুম বন্ধ রাখলেন কীসের ভিত্তিতে? তাছাড়া তাকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার আদেশের কোনো কপি বা শোরুম বন্ধের আদেশের কোনো কপি তাকে দেয়া হয়নি। পুরো বিষয়টি তারা বেআইনিভাবে করেছে। এজন্য তারা আদেশের কপি দেননি। যাতে তনি চ্যালেঞ্জ করতে না পারে। এখন আমরা উচ্চ আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি। একজন নারী উদ্যোক্তাকে এমন হয়রানি করার প্রতিকার আমরা উচ্চ আদালতে পাবো আশা করি।

এদিকে ১৩ মে জরিমানা দেওয়ার পর থেকে শোরুম খুলে দিতে অধিদফতরের মহাপরিচালক ও জব্বার মণ্ডলসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছেন তনি। শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার (২১ মে) অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ৮ জনকে আইনি নোটিশ পাঠান তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন। একই সঙ্গে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন (পিটিশন নং ৬৩৩৯/২৪) দায়ের করেছেন। আগামী দুই থেকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (২১ মে) আইনি নোটিশ পাওয়ার পর তনির সঙ্গে আরও বেপরোয়া আচরণ করছেন আব্দুল জব্বার মন্ডল। সকালে আইনি নোটিশ পাওয়ার পর বনানীতে অবস্থিত তনির অফিসে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালাতে যান তিনি। তবে অফিস বন্ধ পান। সেখানে থেকে ধানমন্ডিতে অবস্থিত সানবিস বাই তনির শোরুমে অভিযান চালাতে যান। কিন্তু সেটিও বন্ধ পাওয়াতে সানবিসের ধানমন্ডি শাখার সামনে পুলিশ বসিয়ে রাখেন জব্বার মন্ডল। ফলে শোরুম খুলতে পারেননি তনির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

   

শেষ মুহূর্তে শঙ্কা-ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে ঘরমুখী মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কর্মব্যস্ত নগরী ছেড়ে পরিবারের কছে ফেরার চিত্রটা নতুন কিছু নয়। তবে ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে মানুষের ধল নেমেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাঁদে গন্তব্যে ফিরছেন সাধারণ মানুষ।

রোববার (১৬ জুন) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে আজ ট্রেনে ঈদ যাত্রার পঞ্চম দিন। বিগত দিনগুলোতে ট্রেন যাত্রায় গন্তব্যগামী মানুষের এমন চিত্র না থাকলেও শেষ মুহূর্তে গন্তব্যে ফিরতে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের।

এদিন সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রোববার সকাল হতেই ঢল নামতে শুরু করে গন্তব্যগামী সাধারণ মানুষের। এছাড়া ট্রেন যাত্রার প্রথম দিন শিডিউল বিপর্যয় থাকলেও পরবর্তী দিনগুলোতে কোনো শিডিউল বিপর্যয় দেখা যায়নি। তবে ঈদযাত্রার শেষ দিনে সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো কিছুটা দেড়িতে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। প্রতিটি ট্রেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট দেড়িতে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

তবে এই স্বল্প সময় শিডিউল বিপর্যয়কে যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে প্ল্যাটফর্মে যেন টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

দেখা গেছে, স্টেশনের প্রবেশদ্বারে র‌্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছে। প্লাটফর্মে প্রবেশের মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) দেখা গেছে যাত্রীদের টিকিট চেক করতে, তবে এনআইডি মিলিয়ে দেখতে দেখা যায়নি এবার। যাদের টিকিট নেই, তারা ১-৬ নাম্বার কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তারপর যাত্রীরা পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্ম হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেনে উঠছেন।

স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, শেষ মুহূর্তে যে যেভাবে পারছে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যাত্রীর চাপ বাড়ার কারণে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা লেট হচ্ছে।

ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ট্রেনের ছাঁদে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী রফিকুল বলেন, অনেক চেষ্টা করেও টিকিট পাইনি। কিন্তু ঈদ পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে বাড়িতে যেতে হবে। তাই বাধ্য হয়েই ট্রেনের ছাঁদে উঠেছি।

অন্য এক যাত্রী মমিন শেখ বলেন, গতকাল অফিস করেছি। অফিস শেষ করে টিকিট না পাওয়ার কারণে যেতে পারিনি। ভেবেছিলাম আজ যাত্রীর চাপ কম থাকবে টিকিট পাবো বাড়ি যেতে পারবো। কিন্তু স্টেশনে এসে টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে ট্রেনের ছাঁদে উঠেছি।


এদিকে এবার ঈদে ভোগান্তিহীন ট্রেন যাত্রায় গোল্ডেন প্লাস পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জিল্লুল হাকিম বলেন, গত ঈদে রেলের সার্ভিস ভালো হয়েছে। এতে করে অনেকেই বলেছে আমি প্রথম পরীক্ষায় নাকি গোল্ডেন প্লাস পেয়েছি। আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে নিরাপদে ঈদুল আজহার যাত্রা এবারও ভালো করতে চাই। এবারও গোল্ডেন প্লাস পাবো আশা করি। সব প্রস্তুতি আছে। ঢাকা থেকে ৬৪টি ট্রেন ছাড়ে, দুই একটা ট্রেন বাদে ৩০টা ট্রেন ইন টাইম যাত্রা করেছে। সবাইকে অনুরোধ করব এবারের যাত্রা যেন গতবারের চেয়ে ভালো হয়। আপনাদের জন্য রেল কাজ করে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, পুরাতন কোচ রাতারাতি নতুন করতে পারব না। ফ্যান ঠিক করা হচ্ছে। আবার অনেক সময় যাত্রী বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত কোচ লাগাতে হয় এতে সময় বেশি লাগে। কিছু ট্রেনে লম্বা দূরত্বে ক্রসিংয়ে সময় বেশি লাগে। আগামী ঈদ থেকে আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।

;

প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মো‌দি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জা‌নি‌য়ে‌ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রোববার (১৬ জুন) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকায় ভারতীয় হাইক‌মিশন।

হাইক‌মিশন জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেছেন, এই উৎসবটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যা একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়তে অপরিহার্য। তিনি ঈদুল আজহাকে বহু-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।

চি‌ঠি‌তে ভার‌তের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেছেন।

;

শঙ্কা কাটিয়ে স্বস্তি ফিরেছে উত্তরবঙ্গের ঈদযাত্রায়



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কল্যাণপুর থেকে: শঙ্কা কাটিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে। রোববার (১৬ জুন) সকালের দিকে শিডিউলে ফিরেছে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলো। কাউন্টারে এলেই মিলছে গন্তব্যের টিকিট, ৯টার পর থেকে অনেক পরিবহন বাড়তি গাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

ঈদ যাত্রায় শনিবার (১৫ জুন) রাতে সূচিতে ছেদ পড়ে, কোনো কোনো পরিবহন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে গাড়ি ছেড়েছে। তবে রোববার (১৬ জুন) সকালের দিকে সূচিতে ফিরেছে গাড়িগুলো। নির্ধারিত সময়েই গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে গাড়ি। এসআর ট্রাভেলসের সকাল ৮ টার এসি বাস, হানিফ পরিবহনের শান্তাহারগামী কোচ, আগমনী এক্সপ্রেসের রংপুরগামী কোচ, শামলী পরিবহনের গাইবান্ধাগামী কোচ নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে দেখা গেছে।

শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মোঃ এরশাদ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমাদের শঙ্কা কেটে গেছে, সকাল ৯টার দিক থেকে বাড়তি গাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যাত্রী পেলে গাড়িগুলোর টিকিট ছাড়া শুরু করতে করব। রাস্তায় গাড়ি আটকা পড়লে যাত্রীরা মানতে চান না। যে কারণে আমাদের মধ্যে টেনশন কাজ করছিল।


এসআর ট্রাভেলসের ড্রাইভার মাসুদ রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালোই বলতে হয়। আমার রংপুরের পথে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৪ ঘণ্টার মতো বেশি লেগেছে। কোনো কোনো বার ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টায় রংপুর যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে আমার। আজকে রাস্তার অবস্থা উন্নতি হয়েছে, আরামেই যেতে পারবো বলে আশা করছি।

আগমনী এক্সপ্রেসের ম্যানেজার আনিসুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকাল ৮টার কোচ নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে, আমাদের শেষ কোচটি ছেড়ে যাবে আজ দুপুরে। ওই এসি বাসটির কিছু টিকিট এখনও অবিক্রিত রয়েছে। যাত্রী এলে কিনতে পারবেন।

একই অবস্থা হানিফ এন্টারপ্রাইজেও সুপারভাইজার পারভেজ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের কাউন্টারে এলে টিকিট পাওয়া যাবে। শান্তাহার রুটের পারভেজ মিয়া বলেন, গতরাত ১০টায় শান্তাহার থেকে ছেড়ে এসেছি, রাত ৩ টায় ঢাকায় পৌঁছার কথা ছিল, আমরা ৫টার দিকে পৌঁছেছি।


রোববার সকাল পৌঁনে ৮টায় সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা হয়, তখন তিনি আবার যাত্রী তুলছিলেন শান্তাহার যাওয়ার জন্য। শান্তাহার যাত্রী নামিয়ে ঢাকায় ফিরে ঈদ করবেন তিনি।

শামলী এন আর পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, গতরাতে যমুনা সেতু ও আমিনবাজার এলাকায় যানজট হয়েছে। কোনো কোনো কোচের যমুনা সেতু পার হতে ৪ ঘণ্টার মতো লেগে গেছে।

;

দুপুরের মধ্যে ৫ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ৫ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার (১৬ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ এবং সিলেট জেলার ওপর ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা সপ্তাহজুড়েই অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

;