নরসিংদীতে প্রার্থী হত্যার ঘটনায় পরিদর্শনে ডিসি এসপি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ ৩য় ধাপের নির্বাচনে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় নির্বাচনের প্রচারণাকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী এক পক্ষের হামলায় তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন মিয়া হত্যার ঘটনায় এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

বুধবার (২২ মে) বিকালে উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের মিরেরকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো: সুমন মিয়া চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নাসুর ছেলে ও রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামসুল আরেফীন জানান, ওই প্রার্থী নির্বাচনের প্রচারণার সময় হামলার শিকার হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই প্রার্থী মারা যান।

পরবর্তীতে রাত ৯ টায় জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম অপরাধীরা দ্রুত গ্রেফতারও তাদের উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দেন।

   

বরিশালে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল ঢাকা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।

রোববার (১৬) জুন সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ব্র্যাক অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সোহাগ (১৮) ও প্রায় ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক।

আহতরা হলেন- জিয়াউল করিম (৩৩), জাহাঙ্গীর মোল্লা (৪৫), একরামুল (২৬), আরিফ (৩০) ও ইমন (৩০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ব্যাপারী পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে বরিশালের নথুল্লাবাদ টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই একটি ট্রাক মহাসড়কে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় দ্রুতগতির বাসটি থেমে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি ছিটকে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। বাসের সামনে অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দুইজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

;

ঈদের ছুটিতে বাসার মূল্যবান সম্পদ থানায় রাখা যাবে: সিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, ঈদের ছুটিতে প্রতিবছরই স্বজনদের সাথে ঈদ করতে নগরবাসী শহর ছেড়ে যায়। এসময় শহর ফাঁকা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের একটি অভিজ্ঞতা আছে। আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে, আপনাদের মূল্যবান যদি কোনো সম্পদ থাকে সেগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাসায় কিংবা থানায়ও রাখতে পারেন।

শনিবার (১৫ জুন) নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার কর্ণফুলী পশুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে সেসকল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একসাথে ছুটি না দিয়ে পালাক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর কোনো রকম ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবেন। পাশাপাশি যাদের অবস্থা ভালো আছে তাদেরকে বলেছি, আপনারা আইপি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান। যেন আপনি দূরবর্তী স্থান থেকেও আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সেই অনুসারে প্রয়োজনে পুলিশের সাথে যোগাযোগও করতে পারবেন।'

ঈদে নগরবাসীর নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় সাজানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদকে ঘিরে আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের পোশাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, আমাদের সাদা পোশাকে ব্যবস্থা আছে। আমাদের স্পেশালাইজড টিম প্রস্তত আছে। তাছাড়া আমরা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্য নিয়েছি। আমাদের থানার বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।'

নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিনভাগে ভাগ করার কথা জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো উৎসব-পার্বনে আমাদের সদস্যরা খুব কমই ছুটিতে যেতে পারে। আমরা নিরাপত্তা স্তরকে তিনভাগে সাজিয়েছি। ঈদের পূর্ব সময় পর্যন্ত এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। সেখানে আমাদের অধিক সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ঈদের দিন ঈদ জামায়াতকে কেন্দ্র করে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ আরেকটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সেই ধরনের কর্মসূচি আমাদের নেওয়া আছে। আমরা আশা করছি আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা নগরের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে পারবো।’

পশুরহাটের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি যেখানে-সেখানে যেন পশুরহাট না বসে। আমরা এক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই ধারণা ছিলো। কোনো কোনো সময় স্থানীয় লোকজন নানা ধরনের অত্যাচার করে থাকে ইজারাদারদের। আমার সে বিষয়েও খোঁজখবর নিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অভিযোগ পাইনি। এরইসাথে এক হাটের গরু জোরপূর্বক আরেক হাটে নেওয়ার যে প্রবণতা ছিল সেটা এ বছর নেই বললেই চলে। আমরা এ পর্যায়ে এসে বলতে পারি যে, আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এবারের পশুরহাটে সন্তোষজনক অবস্থা বজায় রাখতে পেরেছি। আশা করছি, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ অবস্থা অটুট থাকবে।’

‘ঈদের দিনের জন্য আমাদের একটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি হাটে জালনোট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা আছেন। কিছু কিছু মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা আছে। সবমিলিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অজ্ঞান পার্টির যে প্রবণতা থাকার কথা, অতীত অভিজ্ঞতা বলে এটা এবারও থাকতে পারতো। আমরা তাই ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রেস্টুরেন্ট করতে বলেছি। আর সেই রেস্টুরেন্ট যেন পরিচিত কেউ চালায় সে ব্যবস্থা করতে বলেছি, যাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের শঙ্কা না থাকে।’

চোরাই পথে গরু আসলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চোরাই এবং অবৈধ গরু যদি শনাক্ত হয় বা অভিযোগ আসে তাহলেই ব্যবস্থার প্রশ্ন আসবে। কিন্তু যখন একটি গরু নিয়ে আসা হবে তখন চট করে বোঝা যাবে না এটি চোরাই কিংবা অবৈধ কিনা। আমাদের চট্টগ্রামের বড় বড় মার্কেটে যেসকল বেপারিরা গরু নিয়ে আসেন তারা সাধারণত নির্ধারিত। তারা এই মার্কেটগুলোর সাথে অনেকদিন ধরে সংযুক্ত আছেন। যদি কোনো অভিযোগ আসে এবং যেখান থেকে চুরি হয়েছে সেখানের সোর্স থেকে খবর পাই তবে সোর্সের সাথে কানেক্টেড হয়ে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) মো. তারেক আহম্মেদ, চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রমুখ।

;

নওগাঁয় প্রতি কেজি লেবুর দাম ২০ টাকা



শহিদুল ইসলাম,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই কোরবানি ঈদ, তাই ঈদকে ঘিরে বাজার করার ব্যস্ততা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। মাংসের মসলা থেকে শুরু করে শাক-সবজি, চাল-ডাল, লবণ ইত্যাদি কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতা। পোলাও বা ভাতের পাতে শসা আর লেবুর চাহিদাও ব্যাপক। সচরাচর এই লেবু হালি হিসেবে বিক্রি হলেও সেটি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নওগাঁয়। সেই সুযোগে লাইন ধরে কিনছেন ক্রেতারা। 

আজ রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে নওগাঁ পৌর কাচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের লেবু প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ হয়েছে। কয়েকজন লেবু ব্যবসায়ী বস্তার উপরে লেবু ঢেলে প্রতি কেজি ২০ টাকা করে ডাকছেন। এমন সহজলভ্যতায় ক্রেতারা অবাক হয়ে লাইন ধরে লেবু কিনছেন, কারণ লেবু কেজি দরে বিক্রি হবার কথা না। 

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

পার-নওগাঁ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন,‘লেবু বাজারে প্রচুর উঠেছে। তাই হয়তো এতো কম দামে পাচ্ছি। খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে; কিন্তু এখানে কম দামে পেয়ে গেলাম, তাই ২ কেজি কিনলাম। বাসায় সবাই লেবু পছন্দ করে।’

স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ সামিহা বলেন, ‘আমার স্বামী হাটে গিয়েছে কোরবানির গরু কিনতে। এদিকে আমি কাঁচা বাজার করতে আসলাম। এসে দেখি লেবু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, তাই ১ কেজি নিলাম। আমিতো প্রথমে অবাক হয়েছি যে, কেজি দরে লেবু বিক্রি হয় নাকি আবার!’  

লেবু ব্যবসায়ী নাহিদ বলেন, ‘লেবুর এবার উৎপাদন ব্যাপক হয়েছে ও সরবরাহ বেশি এজন্য লেবুর দাম কম। আমরা আরো কম দামে কিনেছি বলেই কম দামে বিক্রি করতে পারছি। প্রতি কেজি লেবু বিক্রি ২০ টাকা শুনে মোটামুটি সবাই ২-১ কেজি কিনছেন।’

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

আরেক ব্যবসায়ী জানান, ‘আমি ১ টা লেবু ১ টাকা করে বিক্রি করতেছি। আর ৪ টা ৪ টাকা। লেবু যেহেতু বাজারে অনেক উঠেছে, সেজন্য দাম বেশি ধরলে কেউ কিনবে না। তাই কম দামেই দিয়ে দিচ্ছি। অনেকেই কেজি দরেই বেশি কিনছেন।’

লেবুর খুচরা ব্যাবসায়ী সামসুল বলেন,‘আমি ৪ টা লেবু বিক্রি করছি ১২ টাকা। কারণ পাইকারি কিনে যদি সামান্য লাভ না করি, তাহলে তো আর সংসার চলবে না।‘

;

সেন্টমার্টিন পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর থাকার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শুক্রবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদেরকে সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

রোববার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সীমান্তবর্তী মংডু অঞ্চলে মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মংডু সীমান্তের বিপরীতে বাংলাদেশের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ সীমান্ত অবস্থিত হওয়ায় উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)’র অধীনস্থ সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিওপি পরিদর্শন, বিওপির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যেরকে দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

দুর্গম এই দ্বীপে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

একইসাথে মায়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সদস্যদেরকে সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

এছাড়া বিজিবি মহাপরিচালক রামু সেক্টর সদর দফতর, রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসমূহের অধিনায়কগণসহ বিজিবি'র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;