‘মাস্ক নেই’ লেখা ঝুলছে ফার্মেসিতে, ফুটপাতে ভিড়

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
জিরোপয়েন্টের অ্যাপোলো ড্রাগসে ঝুলছে ‘মাস্ক নেই’ লেখা

জিরোপয়েন্টের অ্যাপোলো ড্রাগসে ঝুলছে ‘মাস্ক নেই’ লেখা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর থেকে রাজশাহীতেও ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। সোমবার (৯ মার্চ) নগরীতে বেড়েছে মাস্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সঙ্গে সচেতনতার অংশ হিসেবে হাত ধোয়া এবং সর্দি-কাশিতে ন্যাপকিন টিস্যু ব্যবহারেও উদ্যোগী হতে দেখা গেছে। আর সেই সুযোগে ফার্মেসিগুলোতে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মাস্কের দাম।

কসমেটিকস থেকে শুরু করে অধিকাংশ মুদি দোকানেও মিলছে না হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার। অসংখ্য অভিযোগ মিলেছে ন্যাপকিন টিস্যুর মূল্য বেশি নেয়ার। তবে ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাপের কারণে নগরীর অধিকাংশ ফার্মেসি মালিকরা তাদের দোকানে ‘মাস্ক নেই’ ফেস্টুন ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

এদিকে, মজুত থাকলেও মাস্ক বিক্রি করছেন না কেউ কেউ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। ফার্মেসিগুলোতে প্রায়ই ক্রেতা-বিক্রেতার বাকবিতণ্ডার দৃশ্য চোখে পড়ছে। ক্রেতারা বলছেন- আরও বেশি মূল্যে বিক্রি করতে ‘মাস্ক নেই’ বলে প্রচার চালাচ্ছেন ফার্মেসি মালিকরা। দোকানে মজুত থাকলেও তারা বিক্রি করছেন না।

বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার

তবে ফার্মেসি মালিক ও কর্মচারীদের দাবি- রোববার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে থেকে সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরের মধ্যে তাদের মাস্ক সব বিক্রি হয়ে গেছে। নতুন করে সরবরাহ না থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না। কিন্তু ক্রেতারা সেটা কোনোভাবে বিশ্বাস করছেন না।

সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এবং লক্ষ্মীপুরের ফার্মেসিগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে ‘মাস্ক নেই’ লেখা ফেস্টুন ঝুলছে। তবুও দোকানগুলোতে গিয়ে মাস্ক চাইছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ অনুনয়ের সুরে অনুরোধও করছেন- ‘থাকলে দুই/একটা দেন ভাই।’

জিরোপয়েন্টে স্টার মেডিকেল হল ফার্মেসির বিক্রেতা আবু সাঈদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে মাস্ক নিয়ে থাকি। গত তিনদিনে আমাদেরকে কোনো মাস্ক সরবরাহ করা হয়নি। যা ছিল তা সোমবার দুপুরের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা ১৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বিকেলে মাস্ক ক্রেতাদের ব্যাপক চাপ ছিল। বাধ্য হয়ে মাস্ক নেই ফেস্টুন টানিয়েছি।’

হাফিজ ভ্যারাইটি স্টোরে মজুত থাকলেও হ্যান্ডওয়াশ বিক্রি বন্ধ

অ্যাপোলো ড্রাগসের কর্মচারী শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সত্যি বলছি ভাই, আমাদের কাছে আর মাস্ক নাই। মাস্ক ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানে ওষুধ বিক্রি করতে পারছি না। মাস্ক আছে, কী নেই এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে হয়রান হয়ে মাস্ক নেই লিখে টানিয়ে দিয়েছি।’

নগরীর ফার্মেসিপাড়া হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীপুরেও অধিকাংশ দোকানে মাস্ক নেই লেখা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘সার্জিক্যাল অ্যান্ড ড্রাগস’ ফার্মেসির বিক্রেতা সবুজ বলেন, ‘রোববারই আমাদের মাস্ক শেষ। দিব কোথা থেকে? কিন্তু সবাই এসে বলে লুকিয়ে রেখেছি! ঝামেলা করতে চাই না, তাই লেখা টানিয়েছি।’

দোকানে দোকানে এমন বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়

এদিকে, ফার্মেসিগুলোতে মাস্ক শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন ফুটপাতের সাধারণ মাস্ক ব্যবসায়ীদের বেচাবিক্রি রমরমা। তারা গেঞ্জি কাপড় দিয়ে তৈরি ৫ টাকা মূল্যের মাস্ক বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। নগরীর আরডিএ মার্কেটের সামনের ফুটপাতে সন্ধ্যায় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

আরডিএ মার্কেটের সামনের ওভারব্রিজের নিচে শুধু ৫০/৬০টি মাস্ক নিয়ে দোকান বসিয়েছেন আমিনুল ইসলাম। তিনি সেগুলো কিনছেন কাপড়পট্টির ভেতরে দর্জিদের কাছ থেকে। দর্জিরা ‘ছাট কাপড়’ সেলাই করে মাস্ক বানিয়ে তাদের সরবরাহ করছেন।

আমিনুল বলেন, ‘আমি ২০ টাকা করে কিনেছি। পাওয়া যাচ্ছে না, তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করছি। যে জিনিসের চাহিদা বেশি, তার দাম বেশি তো হবেই।’

অপরদিকে, নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়ন্টে থেকে মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজার পর্যন্ত মুদি দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে হ্যান্ডওয়াশ নেই। হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার ও ন্যাপকিন টিস্যু কিনতে মিনিটে মিনিটে ক্রেতারা দোকানে আসছেন। সুযোগ বুঝে ন্যাপকিনের দাম বেশি রাখছেন।

রাজশাহী নগরীর ফুটপাতে রমারমা মাস্ক বিক্রির ব্যবসা

বসুন্ধরা বা ফ্রেশ ন্যাপকিন টিস্যুর যে প্যাকেটের দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, তা বিক্রি করছেন ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। আর হ্যান্ডওয়াশ দোকানে থাকলেও অনেক বিক্রেতা তা বিক্রি করছেন না।

‘হাফিজ ভ্যারাইটি স্টোর’ নামে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে দেখা গেল- ক্রেতা আসলেই হ্যান্ডওয়াশ শেষ বলে বিদায় করছেন। কিছুক্ষণ পর দোকানের ভেতরে ঢুকে দেখা যায়- কার্টুন ও বস্তাভর্তি বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের ‘পলিব্যাগ’ হ্যান্ডওয়াশের মজুত।

জানতে চাইলে দোকানের মালিক হাফিজুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে বলতে শুরু করেন, ‘আমার জিনিস আমি এখন বিক্রি করব না। কবে করব সেটাও আমার ব্যক্তিগত বিষয়। সেটা নিয়ে আপনার মাথা না ঘামালেও চলবে।’
পণ্য থাকলেও বিক্রি না করা আইন ও নৈতিকতাবিরোধী জানা আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যবসা করি, পয়সা দরকার। আইন-কানুন বুঝি না। সময়-সুযোগে দু’পয়সা লাভ করব, এটা কিসের আইনবিরোধী।’

করোনা আতঙ্কে রাজশাহীর সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম সোমবার রাতে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরাও কিছু অভিযোগ শুনেছি। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সুস্থ মানুষদের মাস্ক ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। যাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রাথমিক লক্ষণগুলো (সর্দি-কাশি, জ্বর) দেখা দিবে, তারা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে হাত-মুখ পরিষ্কার রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে সর্দিতে নাকে হাত ব্যবহার না করে ন্যাপকিন টিস্যু ব্যবহার করা ভালো।’

   

রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে ভারতের প্রতিনিধি দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি) অধীন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারা রাবার বাগান, নার্সারি ও রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শন করেছেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ রাবার বোর্ড, বিএফআইডিসি এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ভারতীয় রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসান বলেন, বাংলাদেশের রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে এসেছি। দুই দেশের আবহাওয়াগত মিল থাকলেও রাবার চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পার্থক্য রয়েছে। ফলে রাবারের মানের তারতম্য হচ্ছে। উন্নতজাতের গাছের চাষ হলে রাবার উৎপাদন বাড়বে এবং তা ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বিশ্ববাজারে রফতানি করা যাবে।

বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরওয়ার জাহান বলেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল আমাদের রাবার বাগান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের দেশে রাবার গাছের যেজাত আছে তা থেকে যে কষ পাওয়া যায় তা খুবই কম। তাই আমরা চেষ্টা করছি ভারত থেকে রাবারের উন্নত ক্লোনিং জাত আমদানি করতে। তাদের জাতটি আমার যদি ক্লোনিং এর মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারি তাহলে দেশের রাবারের উৎপাদন বাড়ানো যাবে।

তিনি বলেন, আমরা যে গাছগুলো থেকে রাবার সংগ্রহ করছি তা প্রায় ৪০-৫০ বছর আগে বিদেশ থেকে আনা জাত। যা থেকে ২০০-৩০০ গ্রাম রাবারের কষ পাওয়া যায়। কিন্তু উন্নতমানের গাছ লাগালে এর উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়বে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে হিট স্ট্রোকে লতিফা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। লতিফা বেগম উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের নারগুন গ্রামের মৃত মোকসেদুলের স্ত্রী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের সিংহাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম‌্যান আবু তাহের বলেন, অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ পায় তার দেবর ইলিয়াস। সোমবার সকালে দেবরের পরিবর্তে শ্রমিক হিসেবে কাজে আসেন ল‌তিফা বেগম। এ সময় একটি মাটির রাস্তা সংস্কারে মা‌টি কাটার কাজ কর‌ছিলেন তি‌নি। এসময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অন‌্য শ্রমিকরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার প‌থে তি‌নি মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা নুর নেওয়াজ আহমদ। তিনি বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে তিনি মাটি কাটা কাজ করছিলেন৷ ধারণা করা হচ্ছে তাপপ্রবাহ সহ্য না হওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান৷

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

উপজেলা নির্বাচন

ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকবে ১৭ থেকে ১৮ জনের ফোর্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে দায়িত্বে পালন করবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট।

প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান।

গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সাধারণ ভোট কেন্দ্রসমূহে নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগে যা ছিল, সেটা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ পুলিশ মোতায়েন থাকবে তিনজন, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি এপিসিসহ থাকবে তিনজন, মোট ছয় জন অস্ত্রধারী সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য কমপক্ষে ১০ জন আনসার থাকবে। ছয়টির বেশি বুথ যেখানে আছে সেখানে অতিরিক্ত আরও একজন করে থাকবেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন, মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

যেহেতু ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বন্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে যেটা করবে, সেইভাবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখভালের জন্য ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স প্রস্তুত থাকবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতি বছরের মতো এবারও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এই পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেইরকম কোন সহিংসতার খবর নেই। তারপর আমাদের প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।

সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল খোলা হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আদলে সকল ধরনের নির্বাচন সংক্রান্ত কমপ্লেইন ৯৯৯- এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে, প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কিভাবে নিষ্পত্তি হলো, কে এটি দেখল- সবকিছু ট্র্যাকিং থাকবে এবং একটি টিম এখানে বসে দেখভাল করবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন আমাদের এই সমন্বয় সেল থাকবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এ সময়ে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তবে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একইসময়ে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;