বইপড়ার জন্য পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বইপড়ার জন্য পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন/ছবি: সংগৃৃহীত

বইপড়ার জন্য পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন/ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত স্কুল ছাত্রছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে খুলনা মহানগরীর ৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৩৪১ জন শিক্ষার্থীকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই পড়ার জন্য গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় পুরস্কার দেয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পিটিআই খুলনা প্রাঙ্গণে এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব সম্পন্ন হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

খুলনা মহানগরীর ৪৩টি স্কুলের পুরস্কার বিজয়ী মোট ৩৩৪১ জন শিক্ষার্থীকে স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার এই চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম পর্বে ১৮টি স্কুলের ১৬৩৯ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় পর্বে ২৫টি স্কুলের ১৭০২ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে । তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ১৮০৪ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ৯৭৮ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৪৬২ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৯৭ জন। সেরাপাঠক পুরস্কার বিজয়ী ৯৭ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ১০জনকে প্রদান করা হয় ২০০০ টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার। এছাড়াও লটারির মাধ্যমে ৪ জন অভিভাবককেও একই ধরণের বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়।

এই উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. ফসিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর; ডা. আব্দুন নূর তুষার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব; জনাব মো. হাবিবুল হক খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা; জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, জেলা প্রশাসক, খুলনা, জনাব মেহেরুন নেছা, উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা অঞ্চল, খুলনা, জনাব খো. রুহুল আমীন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, খুলনা; জনাব ফারজানা রহমান, জেনারেল ম্যানেজার, সাসটেইনএবিলটি, গ্রামীণফোন লি.; জনাব স্বপন কুমার বিশ্বাস, সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই খুলনা ও জনাব হুমায়ুন কবির ববি, সাবেক খুলনা মহানগর সংগঠক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

বইপড়ার জন্য পুরস্কার দিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন/ছবি: সংগৃৃহীত

শুরুতে ফুলের মালা কেটে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য পর্বে অতিরিক্ত সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান কারণ এখন তোমাদের বাবা-মা ও শিক্ষকরা বই পড়ার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিচ্ছেন। আমাদের সময় এই বই পাওয়াটা এত সহজ ছিল না। এক্ষেত্রে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তোমাদের স্কুলে স্কুলে গিয়ে বই পৌঁছে দিচ্ছে। তোমরা বই পড়বে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ২০৪১ সালে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ হবে তোমাদের হাত ধরেই। বইপড়ার এত সুন্দর কর্মসূচি অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কথা বলতে শিখি বাবা-মার কাছ থেকে, সেই কথাকে সুন্দর করে তোলেন বড় মানুষেরা, আর তারা হলেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের মতো বড় মানুষরা। সেরা মানুষ হতে হলে বাবা-মা, শিক্ষকদের শিক্ষার পাশাপাশি অবশ্যই এইসব বড় মানুষদের বই পড়তে হবে। তবেই আমাদের দেশ উপকৃত হয়। আগামী দিনে তোমাদের দিয়েই দেশ উপকৃত হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুল হক খান বক্তব্য শুরুতেই পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন তোমরা অবসর সময়ে হাতে মোবাইল না রেখে একটি বই রাখবে। যখনই সুযোগ পাবে বইটি পড়বে। এতে তোমাদের বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা হবে, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম বাড়বে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন উন্নত দেশ গঠনে আলোকিত মানুষের বিকল্প নাই। আর আলোকিত মানুষ হওয়ার জন্য বেশি বেশি বই পড়তে হবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার, সাসটেইনেবিলটি ফারজানা রহমান বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমের সাথে গ্রামীণফোন যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরও বলেন সবার জন্যে চমৎকার সব বইয়ের একটি ই-লাইব্রেরি তৈরি করেছে গ্রামীণফোন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে। আগ্রহী পাঠকগণ পছন্দের বই পড়তে পারবেন ই-লাইব্রেরি www.alorpathshala.org ঠিকানায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে খুলনা মহানগরীর সাবেক সংগঠক হুমায়ুন কবির ববি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বই মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে সহায়তা করে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে জীবনে সার্বিক উন্নয়ন অনেকটাই সহজতর হয় সেজন্য তিনি বেশি বেশি বই পড়তে শিক্ষার্থীদের আহবান জানান। তিনি আরও বলেন সরকারের ঘোষিত মুজিব বর্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই বইপড়া কর্মসূচি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং মুজিব বর্ষ সফল হবে। তিনি উৎসব আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

মোমবাতি প্রজ্বলন ও আগুনের পরশ মণি ছোঁয়াও প্রাণে .. গানের সুরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

 

   

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে মো. সাইফ (৯) নামের এক ছাত্রকে অপহরণ করেছে অপহরণ চক্রের সদস্যরা। অপহৃত ভিক্টিম জাদিমুড়ার রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদরাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মৃত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ছাত্রের মামা জামাল উদ্দীন জানান, রোববার বিকালে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিনের মত মাদরাসা ছুটি হয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজ করতে বের হয়। অনেক খুঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে সকালে একটি মোবাইলফোন থেকে বাড়িতে কল করে বলে সাইফকে পেতে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, না হয় তাকে পাওয়া সম্ভব না বলে মোবাইল কেটে দেন। তখন জানতে পেরেছি তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

ভিক্টিমের ভাই রিয়াজ উদ্দীন জানান, আমার পিতা নাই। বেশি টাকাও নাই। অপহরণকারীরা এত টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমরা তা কীভাবে দেব। আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে তাহার সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদরাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাইফকে একজন যুবক এসে বলে, তোমার ভাবি আমার থেকে ৫ হাজার টাকা পাবে সেগুলো নেওয়ার জন্য বাড়িতে যায়। এর পরও যখন ভিক্টিমকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না তখন অপহরণ চক্রের সদস্য তাহার মোবাইল থেকে সাইফের ভাবিকে কল দিয়ে কথা বলিয়ে দেওয়ার অভিনয় করে ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

;

কক্সবাজারে র‍্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে কৃষক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ভারুয়াখালীতে র‍্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে বায়াত উল্লাহ নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশীর এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরী আজ বিকেলে অপহরণের স্বীকার হয়। বিষয়টি র‍্যাব জানতে পেরে ভারুয়াখালীর ৯ নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এলাকার পাহাড়ে র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে ডাকাতরা। এসময় এক পর্যায়ে একজন নিরীহ কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।

নিহত বায়াত উল্লাহর ভাই করিম উল্লাহ জানান, শেরে বাহিনীর প্রধান ডাকাত ফরহাদ-মোস্তক এঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বাজারে আসলে সবার মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতো।

এঘটনায় এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এসময় ডাকাত ফরহাদকে আটক করেছে বলে র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে।

;

আমার ধারণাই ছিল না যে নড়াইল এত সমৃদ্ধ: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেছেন, নড়াইল হলো মাশরাফি ও আপনাদের এবং আজকে আমার মনে হচ্ছে নড়াইল আমারও। আজকে থেকে নড়াইলের প্রতিটা কাজ আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে দেখব। আমার আসলেই ধারণা ছিল না যে নড়াইল এত সমৃদ্ধ।

তিনি বলেন, নড়াইল মাশরাফির এলাকা। নড়াইলের বাতিঘর আমার ছোট ভাই মাশরাফি। মাশরাফি যা চাইবে, আমি সেটা করে দিব।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানে ৯৯ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরে আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলার সমাপনী ও সুলতান পদক প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের কাছে নিজ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের আবদার করেন। তারই প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মাশরাফি যেমন একজন স্বচ্ছ, পরিষ্কার মনের মানুষ। আমরা দেখতে চাই, নড়াইলের প্রতিটা মানুষ যেন ঠিক মাশরাফির মত। নড়াইলবাসীর মধ্যে যেন বিভেদ না থাকে। তারা যেন প্রত্যেকে মাশরাফির সাথে হাতে হাতে রেখে নড়াইলের উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নড়াইল হলো মাশরাফি, আপনাদের এবং আজকে আমার মনে হচ্ছে নড়াইল আমারও। আজকে থেকে নড়াইলের প্রতিটা কাজ আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে দেখব। আমার আসলেই ধারণা ছিল না যে নড়াইল এত সমৃদ্ধ।

বক্তব্য শেষে প্রতিমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুলতান মেলায় আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। এরপর এস এম সুলতান কমপ্লেক্স, বাঁধাঘাটসহ নড়াইলের বিভিন্ন ঐতিহ্য ঘুরে ঘুরে দেখেন। এর আগে চিত্রশিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভীর হাতে সুলতান পদক ২০২৩ তুলে দেন।

এসময় জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদি হাসান, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার খান শাহাবুদ্দিনসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

;

চোখের অপারেশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল ৬ জনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকায় সকাল সাড়ে ১১ টায় বাস-মাইক্রোর মুখামুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৫ জনসহ এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে ২ জন মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো ৪ জন। এনিয়ে সড়ক দুর্ঘটনাটিতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। এসময় বাঁশখালীর ৬ জনসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলেও জানা যায়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউপির ইলশা গ্রামের মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম, খানখানাবাদ ইউপির কুফিয়া ডোংরা গ্রামের গোলাম সোবহানের ছেলে মো. দুলা মিয়া, বাহারছড়া ৭ নং ওয়ার্ডের ইলশা পুরাতন গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে আবু আহমদ, পশ্চিম ইলশার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম, ডোংরা চৌকিদার বাড়ির আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সায়রা খাতুন।অপরজনের নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে সায়রা খাতুন এবং মাহমদা খাতুন পরস্পর মা-মেয়ে বলে জানান স্বজনরা।

এই ঘটনায় আহতরা হলেন- বাহারছড়া ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত আকমল মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, একই ইউপির দক্ষিণ ইলশা ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত আবু ছালেকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, খানখানাবাদ ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ, কাথরিয়া ২ নং ওয়ার্ডের মাতব্বর বাড়ির তৈয়ব আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম, ৩ নং ওয়ার্ড বাগমারা গ্রামের আবুল খাইয়েরের ছেলে রফিক আহমদ, একই এলাকার আব্দুল কায়ুম প্র. কাইয়ুম মিয়ার ছেলে নুরুল হোসেনসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহতরা চোখের চিকিৎসা করাতে শুক্রবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম সিকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বাঁশখালীর সাবের আহমদ মাস্টার স্মৃতি সংস্থা এবং বাঁচাও এর উদ্যোগে বিনামূল্যে গরীব দুস্থ মানুষের চোখের চিকিৎসা করে থাকেন। এবারও ২১৫ জনের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করা হচ্ছে। কক্সবাজারের বাইতুশ শরফ হাসপাতালে অপারেশন করানো হয়। একদম শেষ পর্যায়ের অপারেশন করে ফেরার পথে আমার এলাকার পাঁচ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এটা খুবই মর্মান্তিক।

নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক।

;