৭ দেশের ১২৬ হাওর ঘুরে টাঙ্গুয়ায় ফিরল ‘কিশোয়া’



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
টাঙ্গুয়ার হাওরে আইইউসিএন পাখি গবেষকদের ক্যামেরায় ‘গিরিয়া-হাঁস’

টাঙ্গুয়ার হাওরে আইইউসিএন পাখি গবেষকদের ক্যামেরায় ‘গিরিয়া-হাঁস’

  • Font increase
  • Font Decrease

শীত এলেই বাংলাদেশের হাওর, জলাভূমি ও নদীচরে চোখে পড়ে অচেনা পাখি। স্থানীয় মানুষ ‘অতিথি পাখি’ নামেই ডাকে এদের। যদিও ‘অতিথি পাখি’ টার্মটিই ভুল! এরা মূলত পরিযায়ী অর্থাৎ যাযাবর পাখি। এক দেশে থেকে আরেক দেশে ঘুরে। প্রজননকালে ছুটে যায় শীতপ্রধান অঞ্চলে। বলা হয়ে থাকে- পূর্ব ইউরোপ, সাইবেরিয়া এবং হিমালয়াঞ্চলে ওদের ঘর!

পরিযায়ী পাখিদের রয়েছে চমকপ্রদ কিছু অভ্যাস। যার মধ্যে অন্যতম হলো- প্রথম বছর এসে এরা যে হাওর, নদীচর কিংবা জলাভূমিতে আশ্রয় নেয়, পরের বছর ঘুরে-ফিরে ঠিক সেখানেই ফিরে আসে। মজার বিষয় হলো- সেটি আগের বছরের মাস বা দিন হিসেবেও খুবই কাছাকাছি সময়ে। অকল্পনীয় সূক্ষ্ম মস্তিষ্কের কারণে পরিযায়ী পাখিদের পক্ষে এটি সম্ভব হয়।

টাঙ্গুয়ার হাওড় থেকে জিপিএস ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছাড়া ‘গিরিয়া-হাঁস’, ছবি: আইইউসিএন

সাতটি দেশ ঘুরে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ফিরে এসে তেমনটি প্রমাণ করেছে একটি ‘গিরিয়া-হাঁস’। গবেষকরা এটির পিঠে ট্রান্সমিটার লাগানোর সময় নাম দিয়েছিল ‘কিশোয়া’। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সীমান্ত দীপু এ তথ্য জানান।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গুয়ার হাওরে আমরা এটির পিঠে জিপিএস ট্রান্সমিটার লাগিয়েছিলাম। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ‘কিশোয়া’ ফের টাঙ্গুয়া হাওরে ফিরে আসে। মাঝে একবছরে এটি পাড়ি দিয়েছে ৫২০০ কিলোমিটার পথ। পরিযান করেছে বাংলাদেশ ছাড়াও সাতটি দেশ। বর্তমানে বুনোহাঁসটি টাঙ্গুয়ার হাওরে অবস্থান করছে।’

পাখামেলে উড়ে চলা ‘গিরিয়া-হাঁস’, ছবি: আইইউসিএন

‘কিশোয়া’ নামের গিরিয়া-হাঁসটির সবচেয়ে দূরের গন্তব্য ছিল মঙ্গোলিয়া। সেখানে এটির প্রজননভূমি। ২০১৯ সালের মার্চে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারত-নেপালের হিমালয়াঞ্চল এবং চীন রুট পাড়ি দিয়ে এপ্রিলের শেষ দিকে এটি শীতপ্রধান অঞ্চলে পৌঁছে বলে জানায় আইইউসিএন সূত্র।

পাখি গবেষক সীমান্ত দীপু আরও বলেন, ‘আমরা জিপিএস ট্র্যাকার লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়ার পর এটি বাংলাদেশের শতাধিক বিলজাতীয় জলাভূমিতে অবস্থান করে। তারপর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারত, নেপাল, হিমালয়াঞ্চল এবং চীনের কয়েকটি হাওরে অবস্থান করে। সেখান থেকে সরাসরি মঙ্গোলিয়া প্রজননভূমিতে পাড়ি দেয়।’

গেল কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশে আসা পরিযায়ী পাখিদের গায়ে জিপিএস ট্র্যাকার লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে আইইউসিএন। বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৫২টি পরিযায়ী পাখির শরীরে জিপিএস ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে আরেকটি ‘গিরিয়া-হাঁস’-এর গায়ে ট্র্যাকার বসানো হয় বলে জানান আইইউসিএন’র আরেক গবেষক অনু তারেক। তিনিও এখন টাঙ্গুয়ার হাওরে অবস্থান করছেন।

অনু তারেক বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছেড়ে দেওয়া সকল পাখি এখনো পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে। ট্র্যাকারের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত এদের চমৎকার তথ্য পাচ্ছি। এদের আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক রীতিসহ অনেক তথ্য মিলেছে। গবেষণা কাজে এসব তথ্য অমূল্য সম্পদ হিসেবে কাজে দেবে।’

টাঙ্গুয়ার হাওরে আইইউসিএন টিম

পরিযায়ী পাখিদের এমন অভ্যাস বিষয়ে জানতে চাইলে বন্যপ্রাণী গবেষক সারোয়ার আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ট্র্যাকারের মাধ্যমে পাওয়া ম্যাসেজটি অত্যন্ত মূল্যবান। পরিযায়ী পাখিরা যেখানে আসে, পরের বছরও প্রথমে সেখানেই আসবে। যদি আগের মতো অনুকূল পরিবেশ আর না পায়, সেক্ষেত্রে এরা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে। খুব বেশি দূরে খাদ্যের সংগ্রহে আর যেতে পারে না। ফলে খাদ্যাভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা যায় কিংবা দলছুট হয়ে আর ঘরে ফিরতে পারে না।’

পরিযায়ী পাখিদের আগমন ও বিচরণস্থল সংরক্ষণ করার তাগিদ দিয়ে এই গবেষক বলেন, ‘পাখিদের এমন অভ্যাসের বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সবাইকে অনুধাবন করাতে হবে যে- যদি কোনো হাওর বা জলাভূমি আমরা হঠাৎ নষ্ট করে ফেলি, তবে পরের বছর পাখিগুলো এসে মারা পড়বে। বিপন্ন হবে আমাদের পরিবেশ।’

একনজরে ‘গিরিয়া-হাঁস’:

গিরিয়া হাঁসের ইংরেজি নাম Garganey। দেখতে ছোট আকারের। পুরুষ হাঁসের মাথা ও বুক বাদামী বর্ণের। চোখের উপর সাদা সীমানাযুক্ত দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এদের ঠোঁট, পালক ও পা দেখতে খয়েরি রঙের। তবে ডানার নিচের অংশ সাদা সীমানাযুক্ত হালকা নীল। মাথার উপরের অংশ গাঢ় বর্ণের। মুখ লালচে বাদামি।

টাঙ্গুয়ার হাওরের রওয়া বিলে লাল-ঝুঁটি ভূতিহাঁস, ছবি: আইইউসিএন

স্ত্রী হাঁসটি দেখতে অনেকটা পাতি তিলিহাঁসের মতো। স্ত্রী হাঁসের বিশেষত্ব হলো- মুখের আকার। পুরুষ হাঁস ভিন্নতা হলো- এরা পানিতে ডুব দিয়ে বারবার মাথা ঝাঁকায় এবং ঠোঁট একটু লম্বা। চোখের ভ্রু ফ্যাকাসে। গিরিয়া হাঁস ভূচর স্বভাবের। লোনাপানি ও মিঠাপানি উভয়ে এদের দেখা মেলে।

এদের প্রিয় খাবার ছোট মাছ, জলজ পোকামাকড় ও উদ্ভিদের বীজ, মূল, কাণ্ড, পাতা। মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুলাই প্রজনন সময়কাল। ভাসমান জলজ উদ্ভিদে আচ্ছন্ন জলাভূমিতে বাসা বেঁধে ডিম পাড়ে। আইইউসিএন তালিকায় ‘গিরিয়া-হাঁস’ আশঙ্কাহীন প্রজাতির পাখি। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ।

   

ঢাকার বায়ু আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের ১০০টি দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সপ্তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে এ সময় ঢাকার স্কোর ১৪৮। বায়ুর এই মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছে বয়স্ক মানুষ, শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারী। 

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।

আজ সকাল ৯টার দিকে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ১৭৭।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে চীনের চেংদু ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। চেংদুর স্কোর ১৬৯। চিয়াং মাইয়ের ১৬৮।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষকে মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে ব্যায়াম না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

;

নওগাঁয় ঝরে যাচ্ছে আম, চিন্তায় চাষিরা 



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই সপ্তাহের টানা তাপপ্রবাহের কারণে যেমন জনজীবন অতিষ্ঠ; তেমনই ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। ফলে চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে আম চাষিদের কপালে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় এবছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে; যা গতবছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরজেমিনে রোববার ( ২৮ এপ্রিল) বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, সবুজ পাতায় ভরে আছে গাছ। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত আমের দেখা। গাছে গাছে আমের গুটির খরা। রোদের তীব্রতায় গাছের নিচে অসংখ্য ছোট, মাঝারি আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতি আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই।

চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবছর আম বাগানে মুকুল এসেছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এরপর চলতি মাসে প্রায় ১৫ দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে গুটি। এতে পানি সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছে না। ফলে এদিকে আম চাষে যেমন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।

সাপাহার উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের আমচাষি রউফ বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম ছিল মুকুল। যে মুকুল এসেছিলো সেটি টিকিয়ে রাখার জন্য পরিচর্যা করা হয়। মুকুল বের হওয়া শেষ হলে আমের গুটি আসে। কিন্তু গুটি আসার পর অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে গাছে আম টেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

একই এলাকার আরেক আমচাষি আসিফ বলেন, বাগানের আম রক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। পানি, ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচণ্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হবে। সব মিলিয়ে আম চাষিরা এবছর বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে

বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, সাপাহার উপজেলা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকায়। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোন বৃষ্টি নেই। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে।

যেসব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সেসব বাগানগুলোতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই সেসব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। তাই আমাদের সরকারের কাছে দাবি বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মেহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোন আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়র পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

;

কুমিল্লায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন হাজারো মুসল্লি। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় উপজেলার সুয়াগঞ্জ টি.এ. হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে মুসল্লিরা দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। ভারী বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।

হানজালা কাসেমী ফাউন্ডেশন এই ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করেন। নামাজের ইমামতি করেন জামিয়া ইসলামিয়া হামিদিয়া বট্টগ্রাম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা এমদাদুদ হক। পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা কওমী মাদ্রাসা সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূরুল হক। এতে আশপাশের এলাকার প্রায় ১ হাজার স্থানীয় মুসল্লি অংশ নেন।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো কুমিল্লা অঞ্চল। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একই মাত্রায় তাপ নামছে। এরই মাঝে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় বেশ ক'জন হিট স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার খবর রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগী।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৭এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৭০ পিস ইয়াবা, ১৮ গ্রাম হেরোইন, ৫৫০ গ্রাম গাঁজা, ৭টি গাঁজার গাছ, ৬ বোতল দেশি মদ ও ১ কেজি আইস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

 

;