ট্যুরিস্ট ভিসায় মরুভূমির বিস্ময় দুবাইয়ে…



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘ড্রিম ডেস্টিনেশন’ দুবাই/ছবি: বার্তা২৪.কম

‘ড্রিম ডেস্টিনেশন’ দুবাই/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুবাই থেকে ফিরে: স্বপ্নের শহর দুবাই!  না, নিছকই কোনো কথার কথা নয় এটি। গোটা বিশ্বের মানুষের কাছেই দুবাই ‘ড্রিম ডেস্টিনেশন’। হবেই না কেন-অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যাতায়াত ব্যবস্থা, নৈসর্গিক সমুদ্রসৈকত ও আকাশচুম্বি ভবন-সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসংযুক্ত আরব আমিরাতের এই শহরটি বাস্তবিকই পর্যটকদের কাছে অতি জনপ্রিয় এক গন্তব্য।

শুধু পর্যটক নয়, অভিবাসী শ্রমিকদের কাছেও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যস্থল মধ্যপ্রাচ্যের অত্যাধুনিক ব্যয়বহুল শহরটি। তবে আরব আমিরাত সরকার কর্মী নিয়োগে বিধিনিষেধ আরোপ করায় দেশটির শ্রমবাজার অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রায়ই বন্ধ বলা চলে।

শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র দুবাই একসময় পরিচিত ছিল মরুর শহর বলে। এখন দুবাইয়ের প্রতিটি শহরে রয়েছে নিজ নিজ সৌন্দর্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। সেখানে ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য আকাশ ছোঁয়া ভবন যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র। আরব সাগর বেষ্টিত দুবাইয়ে রয়েছে অনেকগুলো সমুদ্র সৈকত। সৈকতগুলোতে বছরজুড়ে ভ্রমণ বিলাসী মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকে।

জুমেরা সমুদ্র সৈকত

ভাগ্যচক্রে মধ্যপ্রাচ্যের স্বর্গরাজ্য দুবাই ভ্রমণের সুযোগ মিলল আমারও। ভ্রমণপ্রিয় এডিটর ইন চিফ শ্রদ্ধেয় আলমগীর হোসেনের তত্ত্বাবধানে কাজ করলে কল্পনাকেও হার মানানো এমন সুযোগ আসবে অবধারিতভাবেই!

দুবাই যাত্রার আগে এডিটর ইন চিফ পাসপোর্ট ছাড়া ভিসার কপি যখন হাতে ধরিয়ে দিলেন তখন বিস্ময়ের পাশাপাশি চিন্তায়ও পড়লাম! যাই হোক, হালকা ভয়কে সঙ্গী করে অনলাইন ভিসার কপি নিয়ে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে যাই।

নয়নাভিরাম ওয়াটার ক্যানেল, দুবাই

সেখানে হোঁচট খেলাম! কাউন্টার থেকে ইমিগ্রেশনের ওই কর্তা জানিয়ে দিলেন ট্যুরিস্ট ভিসা? সোজা ওই গোল পিলারের কাছে যান। আমার আগে সেখানে এক নারী ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিজে একটু শঙ্কামুক্ত হতে তার সমস্যার কথা জানতে চাইলাম। ভ্রু কুচকে ওই নারী জানালেন, ট্যুরিস্ট ভিসা তাই এখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখান থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই বলেনি।

ধু ধু মরুভূমিতে স্থাপনাশৈলীর বিস্ময় দুবাইয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বাধাহীনভাবে ঘুরতে যাচ্ছে। আর সেখানে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে রয়েছে নানা ঝক্কিঝামেলা। তারই প্রমাণ পেলাম যাত্রার শুরুতেই।

শারজাহ বিমানবন্দর

দৈবক্রমে আমার খুব একটা অপেক্ষা করতে হলো না! ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক এ কে আজাদের হাতে পাসপোর্টটি দিলাম। নামটি অবশ্য ইউনিফর্মের নামফলক দেখে নিশ্চিত হয়েছি। পাসপোর্ট হাতে নিয়ে তিনি প্রশ্ন করলেন কেন যাবেন? কোন কোন দেশ গেছেন? প্রতিউত্তরে কয়েকটি দেশের নাম বলতেই জানতে চাইলেন-ব্যবসা করেন? বললাম ব্যবসা করি না, সাংবাদিক। এরপর আর কোন কথানা বলেই পাসপোর্টের সঙ্গে দেওয়া ফরমে ‘ওকে’ লিখে পাঠিয়ে দিলেন কাউন্টারে।

এরপর কাউন্টার থেকে পাসপোর্ট স্ক্যান করে বললেন আপনি তো সাংবাদিক? বললাম হ্যাঁ। আরকোন প্রশ্ন নেই। তবে আমার আগে যে নারী ওই পিলারের কাছে ছিলেন তাকে আর ছাড়লেন না। পরে জানতে পেরেছি তার কাছে বাড়তি টাকা চাওয়া হয়েছিল।

এভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশ যাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়।

এয়ার অ্যারাবিয়া

সব প্রক্রিয়া শেষে এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে যখন দুবাইয়ে উদ্দেশে উড়াল দিলাম। তবে ঢাকা বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা মনের ভেতর অজানা শঙ্কা তৈরি করে। না জানি শারজাহ বিমানবন্দরে কী হয়!

শারজাহ বিমানবন্দরে একবারেই ভিন্নচিত্র। প্রথম স্মার্ট গেটে গেলাম। সেখানে পাসপোর্ট স্ক্যান মেশিনে দেওয়ার পর কোনো রিপ্লাই আসছে না, ভয়টা বেড়ে গেল। এরপর একজন ভদ্র মহিলা ইমিগ্রেশনের অফিসার এসে তিনিও আমার পাসপোর্টটি মেশিনে দিলেন সংকেত আসে না। এবার একটু ঘাবড়ে গেলাম! ভাবলাম আমার যাত্রা এখানেই শেষ।

পরে ওই ভদ্র মহিলা বললেন ‘গো টু ইমিগ্রেশন’। এরপর ইমিগ্রেশনে গেলাম। সেখানে নেই কোন দীর্ঘ সারি, নেই কোনো বাড়তি ঝামেলা। পাসপোর্টটি দিতেই মেশিনে স্ক্যান করে একটি সিল মেরেজানিয়ে দিলেন ‘ওকে’। আমি তখন তাজ্জব হয়ে গেলাম। একটি কথাও জিজ্ঞেস করলেন না। হোটেল বুকিং, ডলার এনডোর্সমেন্ট কোন কিছুই না। অথচ কত না চিন্তায় ছিলাম।

জুমেরা সমুদ্র সৈকতে ফ্রেমবন্দী হচ্ছেন পর্যটক

যত ঝামেলা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তার অবশ্য একটি কারণ জানা গেল ভিজিট ভিসায় অনেকেই দুবাইতে গিয়ে অবৈধ শ্রমিক হিসেবে রয়ে যান।  এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এজন্যই যত কড়াকড়ি।

কিন্তু প্রবাসীদের কথা ভিজিট ভিসা যদি সমস্যাই হতো তাহলে তো দুবাই সরকার ভিসা দিত না।তারা তো ভিসা বন্ধ করেনি, করেছে আমাদের দেশের ইমিগ্রেশন।

দুবাই প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুবাই সরকার তো ভিসা বন্ধ করেনি। আমাদের দেশের বিমানবন্দরেই যত ঝামেলা, এখানে কোন ঝামেলা নাই। ট্যুরিস্ট ভিসা যদি সমস্যার হতো তাহলে ভিসা দিচ্ছে কেন? আর বাড়তি টাকা খরচ করলেই সব ঝামেলা মিটে যায়, এটা কিভাবে হয়?--

   

নরসিংদীতে গরমে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নরসিংদী
নরসিংদীতে গরমে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

নরসিংদীতে গরমে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে তীব্র গরমে সুলতান উদ্দিন (৭৮) নামে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদী আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

সুলতান উদ্দিন নরসিংদী সদর উপজেলার ভেলানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন আইনজীবীর সহকারী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো নিজ বাড়ি থেকে পেশাগত কাজে নরসিংদীর আদালতে আসেন সুলতান উদ্দিন। কাজ করার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এসময় তিনি বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পায়ে হেঁটে নরসিংদী কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে পৌঁছলে তিনি ঢলে পরে যান। এসময় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালো তত্ত্বাবধায়ক এএনএম মিজানুর রহমান বলেন, রোগীটাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা মুশকিল। তবে রোগীর স্বজনরা জানিয়েছে তার বুকে ব্যথা ছিল। তার উপর প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কাজ করছিলেন।

;

রাজধানীতে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে ছিন্নভিন্ন শিশুর মাথা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ডেমরায় বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ৫ বছর বয়সি এক শিশুকে কামড়ে তার মুখ ও মাথা ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে বেওয়ারিশ তিনটি কুকুর।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ডেমরার বক্সনগর আলফালা স্কুলের পাশে তাদের বাসার গেটের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশু মাহিনুর আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অটোচালক মতিউর রহমান ও কুলসুম বেগম দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে মাহিনুর ছোট। সে তার পরিবারের সঙ্গে আলফালা স্কুলের বিপরীত পাশের একটি বাসায় থাকে।

শিশুর মা জানান, দুপুরের বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল মাহিনুর। হঠাৎ একটি কুকুর প্রথমে তাকে আক্রমণ করে। কুকুরটি তার মাথায় কামড়ে ধরে। পরে আরও ৩টি কুকুর তার সারা মুখে কামড়াতে থাকে। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কুকুরগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। তবে কুকুরগুলো শিশুটিকে না ছাড়ায়, পরে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে সেগুলোকে তাড়ানো হয়। পরে বাবা মাকে খবর দিলে তারা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির সারা মুখমন্ডলে কুকুরের আঁচড় ও কামরানোর কারণে মাংসগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া মাথায়ও কামড়ের চিহ্ন আছে। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানান চিকিৎসকরা।

;

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব কিছুই কঠোর হবে: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব কিছুই কঠোর হবে, কোনো কিছু নরম হবে না। শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন, করা হবে, যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন, হতে হবে। এর কম করা যাবে না, আর কেউ কম করলে, গাফিলতি করলে তাকেও ছাড়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি জোরদার করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে শুধু সেনাবাহিনী ছিল। আর উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরাও থাকবেন।’

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচন করেছি গত ৭ জানুয়ারি। এ নির্বাচনটি গোপালগঞ্জে যেমন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা যে রেকর্ডটি করেছি সুষ্ঠু নির্বাচনের, সেটি আমরা ধরে রাখতে চাই।

তিনি আরও জানান, উপজেলায় নির্বাচনে যাতে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, সুষ্ঠুভাবে যাতে ভোট গণনা হয়, সুষ্ঠুভাবে যাতে ফলাফল ঘোষণা করা যায় এবং জনগণ যাকে ভোট দেবেন, তিনিই যেন নির্বাচিত হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি যেন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট আদায় করতে না পারেন বা ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন।

গণমাধ্যমকে সব কথা বলা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘পূর্বে আমরা দেখেছি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সবসময় ভোটের হার বেশি থাকে। আমি কোথাও বলিনি যে, শতকরা ৮০ ভাগ ভোট পড়বে। তবে কিছু গণমাধ্যম এমনটা প্রচার করেছে। অনেকে আবার এ নিয়ে কলামও লিখেছেন। এজন্য আমি গণমাধ্যমকে ভয় পাই।’

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত কমিশন ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) কিনেছিলেন, এটার কিছু সমস্যা ছিল। ইভিএমগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এটার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে লোকবল, অর্থ এবং সংরক্ষণের যে স্থান প্রয়োজন, সেসব আগের প্রজেক্টে ছিল না। ফলে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে ইভিএমগুলো ভালো আছে, তার ভিত্তিতে আমরা নয়টি জেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছি।

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সুরা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

;

হাওরে ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলে ধান কাটার পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হাওরের ধানক্ষেত

হাওরের ধানক্ষেত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্ভাব্য ভারী বৃষ্টিপাতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষায় হাওর অঞ্চলে ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলে বোরো ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

রোববার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দিয়েছে অধিদফতর।

এতে বলা হয়, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ মে থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব হাওর অঞ্চলের (সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনো) অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় হাওর অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দণ্ডায়মান ফসল রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পরামর্শ দেওয়া হলো-

>> বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে নিরাপদ ও শুকনো জায়গায় রাখুন।
>> দ্রুত পরিপক্ক সবজি সংগ্রহ করুন।
>> নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন ধানের জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।
>> জমির আইল উঁচু করে দিন।
>> ফসলের জমি থেকে অতিরিক্ত পারি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা রাখুন।
>> সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রদান থেকে বিরত থাকুন।
>> বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
>> কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।

;