মানিকগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মানিকগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির না হওয়ায় মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র রমজান আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী আজিজ উল্লাহ জানান, পৌর মেয়র রমজান আলীর বিরুদ্ধে তিনটি দুদকের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। রোববার ওই মামলায় হাজির হয়নি পৌর মেয়র রমজান আলী। বিচারক তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

পৌর মেয়র রমজান আলীর আইনজীবী এটিএম শাহজাহান বলেন, দুদকের মামলায় মেয়র রমজান আলী জামিনে ছিলেন। মেয়র বর্তমানে চীনে থাকায় আদালতে আজ হাজির হতে পারেননি।

ব্যক্তিগত কাজে বিদেশ থাকার কারণে বিচারক তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মেয়র দেশে আসার পর আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে তার জামিন হয়ে যাবে বলে জানান ওই আইনজীবী।

   

কৃষককে ভর্তুকির মাধ্যমে সবকিছুই দিয়ে যাচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
কৃষককে ভর্তুকির মাধ্যমে সবকিছুই দিয়ে যাচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী

কৃষককে ভর্তুকির মাধ্যমে সবকিছুই দিয়ে যাচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, কৃষি ক্ষেত্রে সরকার দায়িত্ব পালন করতে কার্পণ্যতা করছে না। কৃষি বিভাগ এবং কৃষকের উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার সবকিছুই ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষককে দিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে সদর উপজেলার রিচি মাঠে ব্রি-৯২ ধান কাটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পরে মন্ত্রী রিচি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এসময় তিনি বলেন, সারের জন্য কৃষককে এখন গুলি খেয়ে মরতে হয়না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকের হাতে হাতে সার পৌঁছে দিচ্ছে। কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের কৃষিকে অনুসরণ করছে। এছাড়া কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা প্রমুখ।

;

নওগাঁয় কৃষক-ধান ব্যবসায়ীদের ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মহাদেবপুরে ব্যবসায়ী ওসমান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওসমান গণির বিরুদ্ধে ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

কৌশল হিসেবে তার প্রতিষ্ঠানটি একটি কোম্পানিকে ভাড়া দিয়ে পরিবারসহ ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা টাকা না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে পাওনাদাররা রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার মডেল স্কুল মোড়ে ‘ভুক্তভোগী সকল পাওনাদার গং’-এর ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী ও কৃষক উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

মানববন্ধনে আড়ৎদার আবু আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে আড়ৎদার সামিউল আলম, ইমতিয়াজ হোসেন সরদার, মাসুদ মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী কৃষক বক্তব্য রাখেন।

অভিযোগে জানা যায়, ন্ওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-মহাদেবপুর সড়কের আখেড়া এলাকায় ওসমান গণি গত প্রায় ৪০ বছর আগে চালকল গড়ে তুলে ব্যবসা শুরু করেন।পর্যায়ক্রমে চালকলটি অটোমেটিকে রূপান্তর করে ওসমান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেড নাম দেন। সেখানে কয়েক একর জায়গার ওপর পাঁচটি ইউনিট গড়ে তোলেন, যা টাকার অংকে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।

ধানের আড়ৎদারদের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে ধান কিনে চালকল পরিচালনা করা হতো। এতে ব্যবসার সুবাদে আড়ৎদারদের সঙ্গে ওসমান গণির সখ্যতা গড়ে উঠে। এভাবে জেলা ও জেলার বাইরের প্রায় ২শ ৬০ জন ধান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে ধান কিনতেন তিনি। এক পর্যায়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ধান ব্যবসায়ীদের কাছে বকেয়া রাখেন। গত ৩-৪ মাস থেকে ধান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওসমান গণির দূরত্ব বাড়তে থাকে। এরপর তিনি পরিবারসহ ঢাকায় অবস্থান করতে থাকেন।

এদিকে, গোপনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি একটি কোম্পানির কাছে ভাড়া দিয়ে দেন। গত দেড়মাস থেকে ওই প্রতিষ্ঠানটি অন্য একটি কোম্পানির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এরপর ধান ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারেন যে, ওসমান লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছেন। কৌশল হিসেবে ওসমান গণি ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলার মাতাজি হাট এলাকার মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সামিউল আলম বলেন, গত কয়েক বছর থেকে ওসমান গণিকে ধান দিয়ে আসছি। নগদ ও বাকিতে ধান দিতাম। এভাবে প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা পাওনা হয়েছে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে ওসমান গুণি বিভিন্নভাবে টালবাহানা শুরু করেন। তিনি ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আলিসান জীবন-যাপন করছেন। সম্পদগুলো ছেলে ও মেয়ে-জামাইয়ের নামে লিখে দিয়েছেন। এখন তিনি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করছেন। অথচ তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

সামিউল আলম বলেন, আমার মতো ২শ ৬০ জন ব্যবসায়ীর প্রায় ৩৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। আমরা এখন পথে পথে ঘুরছি।

ধামইরহাট উপজেলার মেসার্স বেলাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবু আহসান হাবিব ও বেলাল ইসলাম দুই ভাই যৌথভাবে ধানের ব্যবসা করেন। আবু আহসান হাবিব বলেন, ওসমান গণির সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর থেকে ব্যবসা করে আসছি। ব্যবসা চলমান ছিল। আমন মৌসুম থেকে লেনদেন করা হয়নি। কিন্তু সপ্তাহে ৫০ হাজার করে টাকা দিতো।

সবশেষ, ফেরুয়ারিতে ১ লাখ টাকা দিয়েছে। লেনদেনের সুবাদে প্রায় ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে যায়। পাওনা টাকা ‘দিচ্ছি’, ‘দেবো’ বলে সময়ক্ষেপণ করছিলেন। এখন তিনি লাপাত্তা হয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। পুঁজি হারিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছি। পাওনাদার বা কৃষকের কাছ থেকে ধান নিয়েছিলাম। তারা এখন টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। পাওনাদারদের ভয়ে এখন বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে আমাদের।

দিনাজপুর জেলার ডুগডুগিহাট এলাকার মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মাসুদ মোল্লা বলেন, গত ৫ বছর থেকে ওসমানের চালকলে ধান দিয়ে আসছি। তবে গত ৩ বছর থেকে ধান দেওয়ার পর টাকা বকেয়া রাখা হচ্ছে। এভাবে প্রায় আমার ৭৮ লাখ টাকা বকেয়া রেখেছে। বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে অনেকবার তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু ওসমান গণি ‘দিচ্ছি’, ‘দেবো’ বলে এখন লাপাত্তা। ফোন করা হলে ওসমান ফোন ধরে না। কিন্তু আমার কাছে অনেক কৃষকের টাকা পাওনা রয়েছে। তারা এখন চাপ দিচ্ছে।

দুশ্চিন্তার কারণে ইতোমধ্যে আমার দুইবার স্টোক করেছে। বাবাও অসুস্থ। ৭ বিঘা জমি বিক্রি করে কিছুটা দেনা পরিশোধ করেছি। এদিকে, ব্যাংকের ৭০ লাখ টাকা ঋণ এখন কোটি টাকায় ঠেকেছে। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, এখন পথে বসার উপক্রম। বকেয়া টাকা দ্রুত ফেরত পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে মহাদেবপুর উপজেলার ওসমান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওসমান গণির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রায় ৩৮ বছর থেকে ব্যবসা করছি। ব্যবসার সুবাদে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছেও আমার দেনা রয়েছে। আমার কাছে নগদ টাকা নেই। পাওনাদারদের বলেছি, যে সম্পদ আছে, তা বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করা হবে।

আমি গত ৩১ জানুয়ারি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আদালতে একটি আবেদন করেছি। তবে আমি আমার প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া দিয়েছি।

;

এসএসসি পরিক্ষা: নীলফামারীর এক বিদ্যালয়ে পাশ করেনি কেউ!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডিমলায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেনি কোন শিক্ষার্থী। এতে সমালোচনার ঝড় বইছে উপজেলা জুড়ে।

রোববার (১২ মে) সকালে এসএসসি পরিক্ষা ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে কোন শিক্ষার্থী পাশ না করার তালিকায় এ বিদ্যালয়ের নাম পাওয়া যায়৷

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরিক্ষায় দুইজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এতে অংশগ্রহণ করা দুইজন শিক্ষার্থীর কেউই পাশ করতে পারেনি। তবে এ বিদ্যালয়ে পাঠ দানের জন্য ১২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন৷

এবিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, এ বিদ্যালয়ে এবার কেউ পাশ করতে পারেনি। এতে আমাদের এলাকার নাম খারাপ হচ্ছে। এখানে শিক্ষকরা তো প্রত্যেকদিন আসে ঠিকমত ক্লাস নেয় কিনা সেটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেখা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালের প্রধান শিক্ষক আক্তার হাবিবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডিমলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, এ বিদ্যালয়ে কেউ পাশ করতে পারেনি বিষয়টি দুঃখজনক। এখানে শিক্ষার্থী এত কম আর কেউ পাশ করতে পারেনি কেন বিষয়টি দেখা হবে।

;

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এসব কারণে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নয়, আশেপাশের দেশেও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক বিস্তারজনিত সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

রোববার (১২ মে) কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আগে তিনি এসব কথা বলেন।

রাখাইনে সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দেরি হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখুন 'উই এনগেইজ উইথ দ্য গভর্নমেন্ট', আমরা মিয়ানমারের সরকারের সাথেই আলাপ-আলোচনা করছি। সেখানে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দেরি হচ্ছে সেটিও সঠিক। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে মিয়ানমারে সবসময়েই গোলযোগ ছিলো।

গত ৭০-৮০ বছরের ইতিহাস দেখুন, মিয়ানমার কখনোই গণ্ডগোলমুক্ত ছিলো না, কিন্তু সেই কারণে মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক, শতশত বছর ধরে সেখানে আছে, তাদেরকে ফেরত নিয়ে না যাওয়ার কোনো অজুহাত হতে পারে না' যুক্তি তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের সাথেও নিয়মিতভাবে আমরা আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি, যাতে করে নিজেদের নাগরিকদের পূর্ণ অধিকারসহ ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর কার্যত চাপ প্রয়োগ করা হয়।

পরিতাপের সুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, মিয়ানমার সবসময় বলে তারা ফেরত নেবে, কিন্তু আজ পর্যন্ত গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত নেয়নি। উপরন্তু আমাদের ওপর নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে ইতোমধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি'র প্রায় পাঁচশত সদস্য ও তাদের সেনাবাহিনীর সদস্য পালিয়ে আমাদের দেশে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তাদের ফেরত পাঠিয়েছি কিন্তু নতুনভাবে আরও ১৩৮ জন এখন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তার মধ্যে সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও দু'জন মেজরও আছে।

;