শিক্ষা ক্ষেত্রে এখনও নানা ‘প্রতিবন্ধকতায়’ পিছিয়ে গ্রামের মেয়েরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪,কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সদর লাইনপাড়া এলাকার জুঁথি। ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ায় অনেক ভালো। এইচএসসি পাশ করে রাজশাহীতে সরকারি নাসিং কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। ভর্তিও হয়ে এক বছর পড়েছিলেনও জুঁথি। কিন্তু এরপরে পরিবার থেকে খরচ বন্ধ করে দেয়া হয়। জুঁথিকে ফিরে আসতে হয়। কারণ পরের বছর জুঁথির ছোট ভাই এইচএসসি পাশ করেছে। ছেলেকে শহরে রেখে পড়াতে হবে।

পরিবারের পক্ষে দুইজনকে পড়ানো অনেকটা কষ্টের। তাই শেষ পর্যন্ত পরিবারের সিদ্ধান্তে জুঁথিকে ফিরে আসতে হয়। নাসিং শিক্ষায় জুথির পথ চলা থেমে যায়। পরে গ্রামের একটি কলেজে জুঁথি ডিগ্রিতে ভর্তি হয়।

উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রামের মেয়েরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কেউ আর্থিক অভাবে, কেউ সামাজিকতার কারণে ছেলেদের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। এতে, ছেলেদের তুলনায় গ্রামের মেয়েরা পিছিয়ে পড়ছে। উচ্চ শিক্ষায় ছেলেরা যতো বেশি এগিয়ে যাচ্ছে সে তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে যেতে পারছে না।

সাম্প্রতিক সময়ে নারী শিক্ষার্থীরা অনেক এগিয়েছে। তবে উচ্চ শিক্ষার দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় এখনো গ্রামের মেয়েরা অনেক পিছিয়ে আছে। প্রাথমিক শিক্ষায় সমানভাবে এগিয়ে গেলেও যতো উচ্চ শিক্ষার দিকে ধাবিত হয় ততোই যেনো গ্রামের নারীরা পিছিয়ে পড়তে থাকে। গ্রাম থেকে ছেলে শিক্ষার্থীরা যেভাবে উঠে আসে। ঠিক সেভাবে পেরে উঠে না মেয়েরা। আর্থিক, সামাজিকসহ নানান কারণে গ্রামের মেয়েরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন।

সাধারণত গ্রামে উচ্চশিক্ষার বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেই। তাই এইচএসসি পাশ করে উচ্চ শিক্ষা নিতে গেলে শহরে আসা ছাড়া শিক্ষার্থীরাদের বিশেষ কোন সুযোগ নেই। শহরে আসতে গিয়ে পিছিয়ে পড়ে মেয়েরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোদাগাড়ী এলাকার দশম শ্রেণির এক ছাত্রী তার অভিমতে জানান, গ্রামের অনেক অভিভাবকের ধারণা মেয়েরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে কি হবে? তাই অনেক অভিভাবক এসএসসি পাস করার আগেই বিয়ে দিয়ে দেয়। আবার কেউ এসএসসি বা এইচএসসি পাস করলেও ডিগ্রি পর্যন্ত এগুতে পারে না। নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে বেশিরভাগ মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ অথবা বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা সদর এলাকার শিক্ষক নুর আলম সুমন জানান, আশেপাশের গ্রামগুলোতে মেধাবী অনেক শিক্ষার্থী আছে। এরা স্কুল পর্যায়ে ছেলেদের তুলনায় লেখাপড়ায় অনেক ভালো। কিন্তু পারিবারিক, সামাজিকসহ নানান বৈষম্যের কারণে তাদের অনেকেই স্কুলের গণ্ডি পার হতে পারে না। 

মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক কল্পনা রায় বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা আছে। বর্তমান সমাজে একজন ছেলেও যেমন সংসারের হাল ধরে ঠিক সমানভাবে একজন নারীও হাল ধরতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ভালো করে তাকালে দেখা যায় যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে নারীরাই পরিবারের পাশে বেশি দাঁড়ায়। তাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে।

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক দিল সেতারা চুনি বলেন, নারীরা অনেক এগিয়েছে। আরো সামনে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ থেকে শুরু করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সুন্দর সমাজ গঠনে পুরুষ ও নারীর সমান ভূমিকা আছে।

   

উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল

উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে কয়রা, খুলনার নিকট অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে পরবর্তী ৩ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিবে।

সোমবার (২৭ মে) ভোরে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আব্দুল কালাম মল্লিকের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৮ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০কিলোমিটার. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

;

রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে এ অবস্থা শুরু হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর কর্মজীবীরা। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজে বের হয়েছেন অনেকে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় স্থান থেকে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোববার বিকেল ও সন্ধ্যা থেকে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল রোববার রাতে উপকূলে আঘাত হেনেছে। রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রামে রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২১ টি গ্রাম।

নোয়াখালীর হাতিয়ার বেশ কিছু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। খুলনার দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল।

এই ঘূর্ণিজড়ের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জেলায় গুড়ি গুড়ি থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।

;

২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল ছাড়বে রিমাল, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূল অতিক্রমরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রেখেছে। ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ৩ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আব্দুল কালাম মল্লিকের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৭ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০কিলোমিটার. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি / ২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

;

রিমালের তাণ্ডবে তছনছ উপকূল

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনচ হয়েছে, ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা। প্রাণহানি হয়েছে বেশ কয়েকজনের।

মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রিমাল। শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে রাতভর বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা। জেলার অন্য এলাকাতেও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।

রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কলাপাড়া, খেপুপাড়া ও কুয়াকাটায়। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিষখালি-সন্ধ্যা, পায়রা, আন্ধারমানিক, গলাচিপা ও তেতুলিয়া নদীর উপচে পড়া পানিতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বরগুনায় তলিয়ে গেছে ২৭ গ্রাম, ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। আমতলী ও তালতলী উপজেলার ২৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে উপজেলা নির্বাহী অফিস।

বলেশ্বর নদীর পানিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বাগেরহাটের বলেশ্বর,পানগুছি-খাসিয়াখালি এবং দড়াটানা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে। এতে শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত। প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন।

করমজলসহ বনের উঁচু এলাকাগুলোও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। সদর হাসপাতালের কোন একসাইড ভেঙে ভিতরে পানি ঢুকেছে। বাগেরহাটে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

মোংলার শ্যালা নদী ও পশুর নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপরে। রাস্তা ভেদ করে জয়মুনি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।

চট্টগ্রামে রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২১ টি গ্রাম।

নোয়াখালীর হাতিয়ার বেশ কিছু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

খুলনার দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল।

এই ঘূর্ণিজড়ের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জেলায় গুড়ি গুড়ি থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।

টানা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠবে। সকাল নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

রবিবার (২৬ মে) দিবাগত রাত ২টার পর ঘূর্ণিঝড় রেমালের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

আবুল কালাম রিমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) ও মঙ্গলবারও (২৮ মে) সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’

;