ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সাফল্যের নেপথ্যে এফএবি–১৫০০বোমা



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন বাহিনীর প্রতিরক্ষাব্যূহ তছনছ করে দিচ্ছে রাশিয়ার একটি বোমা। আকাশ থেকে নিক্ষেপ করা এই বোমা যুদ্ধে রাশিয়াকে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছে। এই বোমাটি আসলে সোভিয়েত আমলের।

নতুন প্রযুক্তির মিশেলে এটি এখন দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি এতই শক্তিশালী যে আঘাত হানার পর মাটিতে ১৫ মিটার চওড়া গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে।

বোমাটির নাম এফএবি–১৫০০। এর ওজন দেড় টন। এই ওজনের প্রায় অর্ধেকই শক্তিশালী বিস্ফোরক। বোমাটি যুদ্ধবিমানে বহন করে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে ছোড়া হয়। এই দূরত্ব ইউক্রেনের অনেক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আওতার বাইরে। কোনও এলাকা দখলের চেষ্টার আগে সেখানে এফএবি-১৫০০-এর ব্যবহার করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রাশিয়া।

সম্প্রতি ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে ধারণ করা একাধিক ভিডিওতে রাশিয়ার নতুন এ বোমার ব্যাপক শক্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। এই অঞ্চলে ইউক্রেনের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, কারখানা ও বহুতল ভবনে বোমাটি দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য এসব স্থাপনা ব্যবহার করত ইউক্রেনের বাহিনী।

এফএবি-১৫০০ বোমায় যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সেটি কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত বোমাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য সেটিতে ডানাও যুক্ত করা হয়েছে।

যুদ্ধ–সংঘাত নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট ‘দ্য ওয়্যার জোন’–এ বলা হয়েছে, রাশিয়ার বৈমানিকরা শত্রুর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকেই বোমাটি ছুড়তে পারছেন।

দোনেৎস্কের ক্রাসনোহোরিভকা শহরের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ইউক্রেনের একজন সেনা গত সপ্তাহে সিএনএনকে বলেন, ‘আগে আমাদের ওপর শুধু কামানের গোলা দিয়ে হামলা চালানো হতো। এখন রুশ বাহিনী ক্রাসনোহোরিভকা শহরে আরও আগ্রাসীভাবে হামলা চালাচ্ছে। তারা বিমানবাহিনীর নানা অস্ত্র ব্যবহার করছে, বিশেষ করে এফএবি–১৫০০।’

ইউক্রেনের ওই সেনা বলেন, ‘তারা কেন এফএবি-১৫০০ ব্যবহার করছে? কারণ, এই বোমার ক্ষয়ক্ষতি হয় গুরুতর। আপনি যদি এর কবল থেকে বেঁচেও যান, তবে নিশ্চিতভাবে গুরুতর আহত হবেন। এটা আমাদের সেনাসদস্যদের মনোবলের ওপর বড় প্রভাব ফেলছে। যদিও তারা এই বোমা হামলার ঝুঁকির সঙ্গে নিজেদের অনেকটা মানিয়ে নিয়েছেন, তারপরও এটা নরকের মতো।’

দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ বাহিনীর হামলার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ হয়ে উঠেছে এফএবি-১৫০০ বোমা। গত ফেব্রুয়ারিতে এ অঞ্চলের আভদিভকা শহর দখল করেন রুশ সেনারা। এই শহরে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিতে বোমাটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাতের ভাষায়, ‘আভদিভকায় লড়াইয়ের আগমুহূর্তে ও লড়াইয়ের সময় কয়েক দিনের মধ্যে রুশ বাহিনী আকাশ থেকে শত শত বোমা ফেলেছিল। এর মধ্যে ৪৮ ঘণ্টায় শহরটির দিকে ২৫০টি বোমা ছোড়া হয়েছিল।’

সোভিয়েত আমলের এফএবি–১৫০০ বোমায় পরিবর্তন এনে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে মস্কোর কাছের একটি কারখানায়। কম খরচে বোমাগুলো অনেকটা ক্ষেপণাস্ত্রে রূপ নিচ্ছে।

এ নিয়ে লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইডেট সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের গবেষক জাস্টিন ব্রংক বলেন, ‘এই বোমা নতুন করে তৈরি করা বেশ সময়সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু, রাশিয়ার হাতে সোভিয়েত আমলের পুরোনো বোমার বড় ভাণ্ডার রয়েছে।’

এফএবি-১৫০০ বোমা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন দেশটির বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। তবে এখনো আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেই। রুশ বাহিনী বোমাটি ব্যবহার করে শুধু আমাদের সম্মুখসারির অবস্থানে আঘাত হানছে না, এর পেছনের সামরিক স্থাপনাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করছে।’

ইউরি ইহনাতের ভাষ্যমতে, রাশিয়ার সুখোই–৩৫ ও সুখোই–৩৪ যুদ্ধবিমান থেকে বোমাগুলো ছোড়া হচ্ছে। আঘাত হানার জন্য সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তুর কাছেও আসতে হচ্ছে না। যদি ইউক্রেনের হাতে আরও দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকত, তাহলে যুদ্ধের সম্মুখসারির কাছে আসার আগেই যুদ্ধবিমানগুলোকে ধ্বংস করা যেত।

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর ভূমিকা অনেকটা সীমিত ছিল। তবে এফএবি-১৫০০ বোমার কারণে তারা এখন অনেক তৎপর হয়েছে বলে মনে করেন গবেষক জাস্টিন ব্রংক।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের হাতে থাকা প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থারই কেবল এসব বোমা ঠেকানোর সক্ষমতা রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা খুবই কমসংখ্যক রয়েছে ইউক্রেনের হাতে।

এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের বাধার কারণে ইউক্রেনকে নতুন করে সামরিক সহায়তা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে কিয়েভের হাতে প্যাট্রিয়ট ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতও কমে এসেছে।

   

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার হামজার পদত্যাগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ ফার্স্ট মিনিস্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) এবং স্কটিশ গ্রিনসের মধ্যকার ক্ষমতাসীন জোট ভাঙার পরই হামজা ইউসুফ এই পদক্ষেপ নেন। চুক্তিটি শেষ হওয়ার পর থেকে চাপে ছিলেন এই নেতা।

স্কটিশ পার্লামেন্টে বিরোধী দল দুটি আস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে এই ভোট হয় স্কটিশ পার্লামেন্টে। কিন্তু সেই ভোটে হেরে যান হামজা। ফলে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না তার সামনে।

পদত্যাগের পর ইউসুফ বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আমি আমার মূল্যবোধ এবং নীতির বাণিজ্য করতে ইচ্ছুক নই। তিনি বলেন, পরবর্তী ফার্স্ট মিনিস্টার নিযুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ। তৎকালীন ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের পদত্যাগের পর এসএনপির দলীয় প্রধানের পদটিতে ৩৭ বছর বয়সী হামজা ইউসুফ ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী। করোনাভাইরাস মহামারির সময় স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সে সময় দক্ষতার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যখাত সামলিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের মার্চে স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।

হামজার জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় হলেও তার পূর্বপুরুষেরা উনিশ শতকের ষাটের দশকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব থেকে স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তার বাবা মুজাফফর ইউসুফের জন্ম পাকিস্তানে, আর মা সায়িস্তার জন্ম কেনিয়ায়।

;

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো মিয়ানমার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম মাসের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটিতে রোববার (২৮ এপ্রিল) রেকর্ড ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট) তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের এই তথ্য জানিয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যা মিয়ানমারের ইতিহাসে ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এবং দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মিয়ানমারের চাউক শহরের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমদের সবাইকে বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।’

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি-ই গাজার সেরা সমাধান: ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে যুদ্ধবিরতিই তার সবচেয়ে সেরা সমাধান বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। গাজা ইস্যুতে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সৌদি আরবে পৌঁছে এ কথা বলেন তিনি। 

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রিয়াদে সৌদির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ৫ দেশ কাতার, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে কিভাবে আরব দেশগুলোকে সমন্বয় করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টায় ইউরোপ কিভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়েও তিনি আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসী সংগঠন-হামাসকে নির্মূল করতে ইসরাইলের উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত যুক্তরাষ্ট্র, যাতে ভবিষ্যতে গাজায় আর কোনও ভূমিকা রাখতে না পারে দলটি। তবে ইসরাইল গাজা উপত্যকা দখল করুক-এমনটাও চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এর পরিবর্তে গাজার শাসন ব্যবস্থায় আরব দেশগুলোর সমর্থনসহ সংস্কারকৃত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে কিভাবে অর্ন্তভুক্ত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। পাশাপাশি রিয়াদের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি ও ওয়াশিংটন রিয়াদকে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির সঙ্গে পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তির বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। 

রিয়াদ থেকে জর্ডান ও ইসরাইলে যাবেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিতের গুরুত্বের ওপর জোর দেবেন তিনি। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন ব্লিঙ্কেন।



;

নিউ ইয়র্কে দুই বাংলাদেশি হত্যায় সন্দেহভাজন যুবক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে দুই বাংলাদেশি বাবুল মিয়া এবং আবু ইউসুফকে গুলি করে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করে বাফেলো পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভরদুপুরে গুলি করে হত্যা করে এক বন্দুকধারী। যে বাড়িতে বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফকে গুলি করা হয়, তার  পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই যুবককে শনাক্ত হয়। অবশ্য এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে এক বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে অবিলম্বে দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসী এই বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন, বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা এসেছিলেন কমিউনিটির সংকটে সংহতি প্রকাশ করতে। 

বিক্ষোভের দুই ঘণ্টা পরই সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তকে সিটির ইস্ট ডেলাভান এবং নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জোড়া খুনের সংবাদ জানার পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন এবং বাফেলো কমিউনিটির মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

;