সুড়ঙ্গের শ্রমিকদের উদ্ধারে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ বার্তা মোদির
পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গের মধ্যে নয় দিন ধরে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। এই পরিস্থিতিতে ওই ৪১ জন শ্রমিক যাতে মনোবল না হারান, সোমবার (২০ নভেম্বর) সেই বার্তাই দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দ্য হিন্দু জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মোদি। শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে কেন্দ্রীয় সরকার সব রকম সাহায্য করছেন বলে ধামীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই এটাও বলেছেন যে, আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বজায় রাখতে হবে।
গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। তখন থেকে সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকেরা।
এদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন জন। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের পাইপের সাহায্যে খাবার, অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে এখনও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই গত শুক্রবার দুপুরে খননযন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথর সরানোর সময় জোরে ফাটল ধরার শব্দ পান উদ্ধারকারীরা। তার পরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উদ্ধারকাজ।
এদিকে, নয় দিন ধরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সর্বত্র। দ্রুত তাদের উদ্ধার করার আর্জি জানিয়েছেন তারা। দুশ্চিন্তায় দুই চোখের পাতা এক করতে পারছেন না শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যেরাও। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মোদি।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজে কেন্দ্রীয় সরকার সব রকম সাহায্য করছে। কেন্দ্র এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের সহযোগিতায় সকল শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা হবে।
গত সোমবার সকালে ওই সুড়ঙ্গের সামনে বড় বড় মেশিন আনা হয়েছে। চেষ্টা চলছে শুকনো খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে থাকা ওই শ্রমিকদের ভাত-রুটি-তরকারি পৌঁছে দেওয়ার। সে জন্য তুলনায় চওড়া গহ্বরের একটি পাইপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খসে পড়া পাথরের মধ্য দিয়ে।
প্রায় ৬০ মিটার ধ্বংসস্তূপের ভেতরে ওই পাইপ ৪২ মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। অন্য রসদের সঙ্গে অবসাদ কাটানোর ওষুধও পাঠানো হচ্ছে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে।
