কিস্তি আদায়, করোনায় সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে এনজিওরা?

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


লুৎফে আলি মহব্বত, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতেও নিষ্ঠুর সংবাদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতেও নিষ্ঠুর সংবাদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘোরতর মানবিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতেও এমন নিষ্ঠুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, বিপন্ন, অসহায় ও জীবন বাঁচাতে মরিয়া মানুষদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায় করা হচ্ছে। দেশের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাঙ্কের নাম এসেছে এই অমানবিক ঘটনার সংবাদ বিবরণে।

শুধু গ্রামীণ ব্যাঙ্কই নয়, আরও অনেক এনজিও এমন মানবিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে এহেন তৎপরতা চালাচ্ছে বলেও খবরে প্রকাশ। উন্নয়ন ও মানবিক সেবা বা কল্যাণের নাম ভাঙিয়ে গড়ে উঠা এনজিওগুলোর এমন কার্যক্রম কতটুকু গ্রহণযোগ্য? নীতি, নৈতিকতা ও বিবেকের দিক থেকে এসব কাজ আদৌ সঠিক?

কিন্তু, বিশ্ব ও বাংলাদেশব্যাপী চরম আতঙ্কের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবকিছু থমকে গেলেও এনজিওগুলো ঠিকই তাদের লাভের হিসেব কষে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুল, কলেজ, ব্যবসা বন্ধ হয়েছে জনস্বার্থে। এমন পরিস্থিতিতে এনজিওগুলোও কর্মীদের ছুটিতে পাঠালে সেটাই স্বাভাবিক ও সময়োপযোগী হতো।

অথচ দেখা যাচ্ছে, এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের মাঠে মাঠে পাঠাচ্ছে কিস্তি আদায়ের জন্য। এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত আপত্তিকর ও করোনা বিস্তারের জন্য বিপজ্জনক এবং কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রশ্ন উঠেছে, এনজিও হয়েও এমন বিপজ্জনক কাজ তারা কেন করছেন? তারা তো লাভজনক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, অলাভজনক মানবিক উদ্যোগ! লাভজনক প্রতিষ্ঠান যেখানে কর্মী ও মানুষের স্বার্থ দেখার প্রয়োজনে বন্ধ, তখন 'অলাভজনক মানবিক উদ্যোগ' নামধারীরা কর্মীদের সুদখোর কাবুলিওয়ালার মতো ব্যবহার করছে? করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান বিপদের মধ্যে পাঠাচ্ছে?

বিশ্বে ও বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সঙ্কুল পরিস্থিতিতে নানা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ঋণ মওকুব, বকেয়া ও কিস্তি আদায়ে সময় বাড়ানো, বিলম্বের জন্য জরিমানা বাতিল ইত্যাদি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে মানুষকে। আর এনজিওগুলো বিপদাপন্ন মানুষকে কিস্তির জন্য চেপে ধরছে?

এই হলো মুদ্রার একদিক, যাতে তাদের লোভাতুর, আগ্রাসী চেহারা দেখা যাচ্ছে। কর্মী ও গ্রাহকদের প্রতি আগ্রাসী চরিত্র ফুটে উঠছে। অন্যদিকে, ভয়ঙ্কর মানবিক বিপদে প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তাদের পক্ষে আদৌ কোন পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে কিনা, তা-ও জানা যাচ্ছে না। হচ্ছে যে না, তা বলাই বাহুল্য। যারা করোনাভাইরাসের সংক্রামক পরিস্থিতিতে কর্মীদের বাইরে পাঠায় ও গ্রাহকদের কিস্তি আদায়ে লিপ্ত থাকে, তাদের সামাজিক দায়িত্বের মানদণ্ড যে কত নিম্নস্তরের, তা সহজেই অনুমেয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ অনিবার্য। সরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো এনজিও কর্মীদের ছুটির আওতায় আনা এবং সকল ধরনের ঋণ ও কিস্তি প্রদানের জন্য সময় বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সরকারকেই আদেশ জারি মাধ্যমে করতে হবে। ভয়াবহ করোনা আতঙ্কের মহামারী থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে যেভাবে সঙ্গরোধে বাধ্য করেছে সরকার, তেমনিভাবে এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সামাজিক, নৈতিক দায়িত্ব পালনে বাধ্য করার বিকল্প নেই।

   

ইসলামী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে গাড়ি জিতলেন কাপাসিয়ার মুঞ্জিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দামের ১,৫০০ সিসির প্রাইভেটকার বিজয়ী হয়েছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-য়ের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার বিজয়ী হন।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ব্যাংকের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মো. রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র-য়ের মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।

 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড় হিসেবে এর পরিমাণ ৭৪৮ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জুন মাসে  ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।  

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

আরো ১৫ বছর ব্যবসা করবে ফাইবার এট হোম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটর ফাইবার এট হোম-কে ১৫ বছর মেয়াদী নবায়নকৃত এনটিটিএন লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে লাইসেন্স হস্তান্তর করেন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। ফাইবার এট হোমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রফিকুল রাহমান নবায়নকৃত লাইসেন্সটি গ্রহণ করেন।

কমিশন থেকে ইতোমধ্যে তিনটি সরকারি এবং তিনটি বেসরকারিসহ মোট ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করেছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বপ্রথম ফাইবার এট হোম লিমিটেড ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি বিটিআরসির কাছ থেকে ১৫ বছরের জন্য লাইসেন্স পায়। এ বছরের গত ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ কার্যকর ছিল। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ১২ নভেম্বর-২০২৩ নবায়নের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ৭ জানুয়ারি থেকে আগামী ১৫ বছরের জন্য এনটিটিএন লাইসেন্স কমিশন থেকে নবায়ন করা হয়।

লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের কমিশনার জনাব মো. দেলোয়ার হোসাইন, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক জনাব আশীষ কুমার কুণ্ডুসহ বিটিআরসি ও প্রতিষ্ঠানটির ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ন্যাশনাল ব্যাংকের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংকের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল ব্যাংকের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ‘Operation of Web Based Card Payment & Deposit Software’ শীর্ষক কর্মশালা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, আঞ্চলিক প্রধান, অফিসারগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার সেশন পরিচালনা করেন কার্ড ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট উজ্জল কুমার পাল।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমেদ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ইনফরমেশন ও টেকনোলজি ডিভিশনের প্রধান ও এসইভিপি কাজী কামাল উদ্দিন আহমেদ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ও ভিপি শাহ্‌ সৈয়দ রাফিউল বারী।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;