করোনায় ভয়াবহ সংকটে পোশাক খাত, এলসি কমেছে ৭০ শতাংশ

  করোনা ভাইরাস


মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের কারণে ভায়বহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশের পোশাক খাত। প্রায় ২ মাস ধরে চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় একদিকে বায়ার হারাচ্ছে অন্যদিকে বিনা পরিশ্রমে শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে। তাতে এলসি খোলা কমেছে ৭০ শতাংশ। ফলে প্রতিদিনই হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশের শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত।

করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভয়াবহ সংকটের কথা জানিয়েছে আমদানি-রফতানি সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। বাণিজ্যমন্ত্রণালকে এই তথ্য জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অবদান দ্বিতীয়। তৈরি পোশাক খাতের ৭০-৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমাদনি করা হয় চীন থেকে। প্রায় দুই মাস ধরে চীনের সঙ্গে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় একদিকে মালিকেরা সেল-বাই অর্ডার হারাচ্ছেন। পাশাপাশি ক্রেতারাও পাশ্ববর্তী দেশে শ্রীলঙ্কা, ভারত ও ভিয়েতনামে চলে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কোম্পানি শ্রকিদের ছুটি দিয়েছে। অর্থাৎ কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ৭০ শতাংশ এলসি খোলা বন্ধ রয়েছে। এক কথায় অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে পড়েছে। বড় ধরনের সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে পড়েছে অর্থনীতি।

তৈরি পোশাক মালিকাদের সংগঠন বিজিএমইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে ৮ মাস ধরে নেগেটিভ অবস্থায় রয়েছে দেশের পোশাক খাত। কারোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা উভয় সংকটে পড়েছি। কাঁচামাল আমদানির জন্য নতুন করে কারো কাছে যেতেও পারছি না। ঠিক কবে চীন থেকে আমদানি করতে পারবো তাও বলতে পারছি না। তিনি বলেন, শুধু পোশাক আর চামড়া খাতই নয় সব খাতে একই অবস্থা বিরাজ করছে।

করোনা ভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হলে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে। দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর প্রয়োজনীয় উপকরণসহ সব ধরনের শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি হয় চীন থেকে। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের কারণে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ওভেন সেক্টরে। এ খাতের ৬০ শতাংশ ফেব্রিক্স চীন থেকে আমদানি করা হয়। বর্তমানে আমদানি ও জাহাজীকরণ বন্ধ রয়েছে। তাতে সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।

অপরদিকে নিট ওয়ার খাতের ১৫-২০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি হয়। এছাড়া নিট এবং ডায়িং খাতের কেমিক্যাল এবং এক্সেসরিজ খাতের আমদানি ৮০-৮৫ শতাংশ চীন থেকে আসে। এক্ষেত্রেও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা দেখা দিবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের শিল্প উৎপাদন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, সরবরাহ ব্যবস্থায় ও সেবা খাতে প্রভাব পড়বে। কারণ সরবরাহ ব্যবস্থায় কাঁচামালের সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হবে। এর ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও প্রভাব দেখা দিবে। কাঁচামালের সংকটের কারণে রফতানি খাতেও বিরাট প্রভাব পড়বে। উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা অর্থই হচ্ছে সেবা খাতেও সংকট দেখা দিবে। দেশের আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংক বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রেও সংকট দেখা দিবে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থায় এবং সরকারের রাজস্ব আহরণে প্রভাব পড়বে।

প্রতিবেদনে বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রস্তবনা বলা হয়, দেশের জাতীয় রফতানি আয়ের ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও দেশের পোশাক খাতের ৪৯ শতাংশ অবদান রাখার মাধ্য নিটওয়্যার খাত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যে ভূমিকা রাখেছে। সম্প্রতিক সময়ে চীনের উহান প্রদেশ থেকে সংক্রমিত করোনাভাইরাসের প্রভাব আমাদের নিট পোশাক খাতের উৎপাদনকে সরাসরি প্রভাবিত করছে।

প্রথমত, দেশের শতভাগ রফতানিকারী বেশির ভাগ নিট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সাধারণত উৎপাদনের প্রয়োজনীয় মৌলিক কাঁচামাল এল.সি প্রক্রিয়ায় আমদানি করে থাকে। এক্ষেত্রে আমদানি নীতির বাধ্যবাধকতা থাকায় সাধারণত প্রতিষ্ঠানগুলো তিন-চার মাস বা সর্বোচ্চ ছয় মাসের বেশি পরিমাণ কাঁচামাল নিজেদের সংগ্রহ রাখতে পারে না।

জানুয়ারির শুরু থেকে এই ভাইরাসের প্রভাব এবং চীনের নতুন বর্ষ উদযাপন উভয় কারণে দেশের উৎপাদকদের কাছে উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল, কেমিকেলসহ মধ্যবর্তী কাঁচামাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্রেতার অর্ডার অনুসারে সর্বোচ্চ তিন চার মাসের কাঁচামাল মজুদ থাকলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের কাছে মজুদকরা কাঁচামাল প্রায় শেষ হবার পথে এবং সে সুযোগে আমদানিকারকরা তাদের কাছে পূর্বের মজুদ করা কাঁচামালের মূল্য ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু ক্রেতার সাথে পূর্বনির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহের চুক্তি বিদ্যমান থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

দ্বিতীয়ত অন্যান্য দেশগুলোকে কাঁচামাল আমদানির বিকল্প উৎস হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে দেখা যাচ্ছে, সেই দেশগুলোও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চীন থেকে আমদানি করা কাঁচামালের উপর সরাসরি নির্ভরশীল এবং চীন থেকে তারা কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পারায় ও চাহিদার তুলনায় তাদের মজুদের পরিমাণ কম থাকায় প্রত্যেকটি কাঁচামালের মূল্য সেখানেও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তৃতীয়ত, চীনের সাথে অতি দ্রুত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে গেলেও দেশের নিট উৎপাদকদের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে ২০-২৫ কার্যদিবস লেগে যাবে। ফলে সামগ্রিকভাবে রফতানি কার্যক্রমে আমরা ইতোমধ্যেই প্রায় এক দেড় মাস পিছিয়ে পড়েছি।
এক্ষেত্রে কিছু বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মানবিক কারণকে বিবেচনাধীন রেখে পণ্য গ্রহণ অথবা ডিসকাউন্টের বিষয়াবলিকে এখনো উপস্থাপন না করলেও বেশিরভাগ নিট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান পণ্য রফতানিতে বড় ধরনের আশঙ্কায় রয়েছেন। চীন ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে সংক্রমিত করোনা ভাইরাস বছরজুড়ে ঋণাত্মক প্রবণতায় থাকা নিট রফতানিকে সরাসরি প্রভাবিত করছে এবং এর ফলে ছোট ও মাঝারি অনেক প্রতিষ্ঠানসমূহ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

প্রাথমিকভাবে নিট উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনায় উক্ত বিষয়গুলো উপস্থাপিত হলেও সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে এই সংক্রমণের দৃশ্যমান প্রভাব এখন সবাই অনুধাবন করতে পারছেন এবং আশু ভবিষ্যতের দিকে আমরা সবাই তাকিয়ে রয়েছি। যদিও এখানে লক্ষ্যনীয় যে, চীনের উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে পণ্যের অর্ডার দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং উদ্যোক্তারা এ বিষয়ে অনেক আশাবাদী।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বলছে, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে ১৩.৬৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। এর বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৮৩১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। মূলত চীন থেকে থেকে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর উপকরণসহ নানা ধরনের শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি হয়। অন্যদিকে, পোশাক, চামড়াসহ বেশকিছু পণ্য রফতানি হয়। স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য ও মসলা পণ্যের সংখ্যা অসংখ্য। খেলনা, প্লাস্টিক পণ্য, খাদ্য থেকে শুরু করে ভারী শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি হয় চীন থেকে। আবার রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেশিনারিজ, কাঁচামাল, প্রাথমিক পণ্য ও আমদানি হয়। সামগ্রিকভাবে দেশের মোট আমদানির ২৫ শতাংশের বেশি আমদানি হয় চীন থেকে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বলছেন, আরএমজি শিল্পে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে প্রায় ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করা হয়। পাশাপাশি টেক্সটাইল ও আরএমজি খাতে প্রায় ৪০ শতাংশ মেশিনারি ও যন্ত্রাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়। দেশের ৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন রফতানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ এই খাত থেকে অর্জিত হয়েছে। উক্ত অর্থবছরে এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ১১ দশমিক ৪৯শতাংশ।

এছাড়া অন্যান্য উৎপাদনমূলক শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন- স্টিল, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রনিক্স, ফুড, ওষুধ ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করা হয়। এমতাবস্থায়, পর্যাপ্ত কাঁচামাল সরবরাহের অভাবে দীর্ঘমেয়াদি শিল্প উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছে। দেশে আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। গত ৮ দিনে এলসি খোলার হার প্রায় ৩৭ শতাংশ কমে গেছে বলে মনে করছে সংগঠনটি। নতুন এলসি খোলার হার কমে যাওয়াতে আগামীতে এই আমদানির পরিমাণ আরো অনেক কমে যাবে। এলসি খোলার হার কমে যাওয়ায় ব্যাংকের মুনাফাতেও ঘাটতি দেখা দিবে।

এগুলোর পাশাপাশি চীনের সাথে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বর্তমান সরকার কর্তৃক চলমান ১ লাখ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার ফলে এসব প্রকল্পের সময় ও ব্যয় দু’টোই বৃদ্ধি পাবার কারণে দেশের অর্থনীতির উপর বাড়তি চাপ পড়বে বলে আশংকা করছে। চীন থেকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও ইকুইপমেন্ট আসতে না থাকলে অবকাঠামো উন্নয়নের এসব প্রকল্পের কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। তাই কর্ণফুলী টানেল-সহ অনেক মেগা প্রকল্প সম্পন্ন করতে দেরি হওয়ার কারণে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি পাবে। চীন থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তার বিকল্প উৎস জরুরি ভিত্তিতে খুঁজে বের করতে হবে এসব বিকল্প সূত্র থেকে এলসি খোলার মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এই অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সমন্বয় বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রলণালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের বাহিরের মিশনগুলোতে আউট সোর্সিং সেল খুলে স্বল্প ও দীর্ঘকালীন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে আগামী দিনে যাতে আর কখনো ভোগান্তিতে পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারিভাবে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

   

প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য মাসের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকে। এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। প্রথম ২৬ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এ ছাড়া ৬০টি ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের সাত কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৬৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৪৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৯৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

  করোনা ভাইরাস

;

ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশটির সহযোগিতা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বাণিজ্য জোরদারে ফ্রান্সের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন মেদেফের সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনেও আগ্রহের কথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। ফ্রান্স দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি পণ্যের বাজার হিসেবে ধরা হয় ফ্রান্সকে। দেশটিতে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মো. আমিন হেলালী ফরাসি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে বিজনেস টু বিজনেস (B2B) বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান (টিটো), এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাটাচে ইয়ান রিগেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  করোনা ভাইরাস

;

একীভূত হতে চায় না ন্যাশনাল ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

একীভূত না হয়ে নিজেই সবল হতে চায় বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। এ কারণে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন পরিচালক বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক যাতে ঘুরে দাঁড়ায় এ লক্ষ্য নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যবস্থাপনায়ও পরিববর্তন এসেছে। এখন  যদি বলা হয় একীবূত করা হবে, তা হয় না। যে কারণে একীভূত না হয়ে ব্যাংকটিকে কীভাবে সবল হতে পারে সে ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এর আগে গত ৯ এপ্রিল জানানো হয়, বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সংকটে থাকা বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক।

এদিকে, ব্যাংক খাতে একীভূতকরণ নিয়ে আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাহকরা আমানত তুলে নিচ্ছে বলেও বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা যায়। গত ১৫ এপ্রিল ব্যাংক খাতের এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনো একীভূতকরণের আবেদন নেওয়া হবে না।

এর আগে ১৮ মার্চ এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই হয়। এটি ছিল একীভূতকরণের প্রথম ধাপ। এছাড়া সিটির সঙ্গে বেসিক, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে জানানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে কয়েকটি ব্যাংকে একীবূত করার  সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করে। এর আলোকে একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মূলধন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য পরিস্থিতি এই ৪টি সূচকের ভিত্তিতে দূর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে বলে জানানো হয়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এক করার কথা। এরপর গত ৪ এপ্রিল ব্যাংক কিভাবে একীভূতকরণ করা হবে সে বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

  করোনা ভাইরাস

;

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড- ২০২৩’ পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনা করে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় ওয়ালটন পরিবার
অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে দেশে স্বনির্ভর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে গড়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্প।

সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক মেশিনারিজের সমন্বয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সেসব পণ্য রফতানি হচ্ছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে। যে পণ্য একসময় দেশে আমদানি হতো তা এখন রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এতে দেশ ও মানুষের সম্মান সমুন্নত হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির কারণে। এই নীতি সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন সবসময় পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ওয়ালটনের উৎপাদিত ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। যা পরিবেশ সুরক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখে চলছে। পরিবেশ অধিদফতর ও ইউএনডিপির সমন্বয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে এসি এবং ফ্রিজে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ওয়ালটন যেমন পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখছে, তেমনি দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের সুষম ব্যবহারও নিশ্চিত করছে।

নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও অধিক পরিমাণে উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান ও টেকসই করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিযোগিতামূলক
অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বছর ১২টি খাতে ওয়ালটনসহ মোট ২৯টি শিল্প-কারখানা এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

  করোনা ভাইরাস

;