জাবিতে ৩ দিনব্যাপী স্বাধীনতা বইমেলা শুরু



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্টলে পছন্দের বই দেখছে পাঠকরা / ছবি: বার্তা২৪

স্টলে পছন্দের বই দেখছে পাঠকরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মুক্ত চিন্তা, মুক্ত বই' শ্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী স্বাধীনতা বইমেলা-২০১৯।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলা বিভাগের আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নুরুল আলম বলেন, ‘বইমেলা মানুষকে কাছে টানে ও সম্পর্ক দৃঢ় করে। বইমেলার মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/13/1552467972153.JPG

এছাড়া এমন আয়োজনের জন্য বাংলা বিভাগকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্ববজিৎ ঘোষ বলেন, ‘স্বাধীনতার মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আয়োজনে আমি মুগ্ধ। বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা, ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মেলা। এই মেলার সাফল্য কামনা করছি।'

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, মেলার আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খালেদ হোসাইন, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা প্রমুখ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/13/1552467988433.JPG

   

ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য

ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে তীব্র গরমে সাপের পাশাপাশি মশার উপদ্রব বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, মফিজ লেকসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে সাপের। এছাড়া সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই বৃদ্ধি পায় মশার উৎপাত। ফলে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দায়িত্বে অবহেলা এবং সময়মতো ঝোপঝাড় পরিষ্কার না করায় সাপ ও মশার উৎপাত বেড়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাপের উপদ্রব এবং মশা নিধনে তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় হলের পিছনে, লেকে ও আবাসিক এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড় থেকে বিভিন্ন সময় সাপ বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই গরম বাড়ায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে যখন তখন সাপের দেখা মিলছে। এছাড়া হলে মশার উপদ্রব বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে তীব্র গরমে মশারি টানালেও গরমে ঘুমানো যাচ্ছে না। এদিকে মশারি না টানালে মশার কামড়ে ঘুমানো যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যত্রতত্র ময়লার স্তূপ এবং প্রশাসনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অমনোযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদাসীনতাকেও দায়ী করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল, জিয়াউর রহমান হল ও লালন শাহ হলের চারপাশে ঝোপঝাড় চোখে পড়ার মতো। মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং খালেদা জিয়া হলের মাঝামাঝি জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট খেলার মাঠ সংলগ্ন পেয়ারা বাগান ঝোপঝাড়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। এছাড়াও ফুটবল খেলার মাঠের পূর্বপাশে, শিক্ষার্থীদের সময় কাটানোর জন্য মফিজ লেকসহ আবাসিক এলাকায় ঝোপঝাড়ের উপস্থিতি রয়েছে। ফলে রাস্তাঘাটে হাঁটতে বা রাতে মাঠে বসে আড্ডা দিতে গিয়েও দেখা মিলছে সাপের।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক, এস্টেট অফিস, কেন্দ্রীয় দুইটি খেলার মাঠ, আবাসিক এলাকা, বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাপ মারা পড়েছে।

প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, সব হলের প্রভোস্টের সাথে আলোচনা করব বিষয়টি নিয়ে। সবগুলো হলের চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। তবে আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীর কিছু সংকট আছে। ভাড়া করা লোকদের দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়, ফলে অনেকসময় সময়মতো করা হয়ে ওঠে না। এই সিন্ডিকেটে নিয়োগের কথা ছিল, কিন্তু নিয়োগ হয়নি এখনো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক সামছুল ইসলাম জোহা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। তাছাড়া আগামীকাল থেকেই ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের কার্যক্রম চলবে।

চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, সাপের উপদ্রব ইদানিং আমাদের মেডিকেল সেন্টারেও দেখতে পাচ্ছি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ছাড়া এর বিকল্প নেই। তবে যদি কাউকে সাপে কামড়ায়, তাহলে অবশ্যই সাথে সাথে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের এখানে এন্টি ভেনমসহ সকল ধরনের চিকিৎসা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাপের কামড়ের পর আমরা যদি দুইটি দাঁতের চিহ্ন দেখতে পাই, তবে বুঝতে হবে সেটি বিষাক্ত। তাই কাউকে সাপে কামড়ালে সাথে সাথে তার ওপর শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে ফেলতে হবে। তারপর মেডিকেল সেন্টারে আসলে আমরা চিকিৎসা যতটুকু দরকার করতে পারব। আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

;

ছাড়া পেলেন অস্ত্র মামলার আসামী ইলিয়াস মিয়া



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামিনে ছাড়া পেলেন অস্ত্র আইনের মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মিয়া।

সোমবার (২০ মে) জামিনে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে আমরা খবর পেয়েছি হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক তিনি জামিন পেয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত হন ইলিয়াস মিয়া। সেই মাসের ২৩ তারিখ তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। তবে নয় মাসের মধ্যেই তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ির সালমানপুর এলাকার ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক ম্যাগাজিন ও দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদি হয়ে ঐ দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

ইলিয়াস মিয়া কুবির ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম ব্যাচ) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৮ মে তিনি কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ–বাণিজ্য, সাংবাদিকদের নিপীড়ন ও মারধর, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মারধর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষকের বাসায় হামলা, মাদক সেবন, র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণে প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ রয়েছে।

;

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্রীড়া বিভাগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ক্যাম্পাসের ক্রীড়া বিষয়ক নানা সমস্যা দূরীকরণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।

সোমবার (২০ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ আলম বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বির উপস্থিতিতে ক্রীড়া সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ রায় ও উপ ক্রীড়া সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ফুটবল মাঠে স্থাপিত দুইটি সুপেয় পানির কল সংস্কার এবং ক্রিকেট মাঠে অনতিবিলম্বে দুটি পানির কল স্থাপন করতে হবে, ক্রিকেট মাঠে স্থায়ী দুইটি প্লেয়ার ডগআউট স্থাপন করতে হবে, জিমনেশিয়াম এবং ইনডোর সপ্তাহে ৭ দিন খোলা রাখতে হবে, ক্রিকেটারদের সুবিধার্থে নতুনভাবে কংক্রিট পিচ স্থাপন করতে হবে, ফুটবল ও ক্রিকেট মাঠ যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে, সকল ইনডোর এবং আউটডোর গেমস সমূহ যথাযথভাবে আয়োজন করতে হবে।

এসময় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ আলম বলেন, আমি স্মরকলিপিটি জমা নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক ছিলো। আমি দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করবো। আশা করি প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নিবে।

;

সর্বজনীন পেনশন বাতিল চান শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন শিক্ষকরা এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (২০মে) সকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া। লিখিত বক্তব্যে পেনশন স্কিম বাতিল না করা হলে প্রথমে তিন দফায় আন্দোলন ও পরবর্তীতে বড় ধরনের আন্দোলনের কথা জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া আরও বলেন, এই ব্যবস্থা পহেলা জুলাইয়ের আগে যোগদানকৃত এবং তার পরে যোগদানকৃতদের মধ্যে দুটি শ্রেণির জন্ম দেবে। একই কর্মক্ষেত্রে অবস্থানরত সহকর্মীদের মধ্যে এই বিভাজন শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রতিটি ধাপেই নতুন নিয়োগ হয়। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অন্য প্রভাব ফেলবে।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলে সেটিও নতুন নিয়োগের ভিত্তিতে হয়। এই ব্যবস্থা সরকারি অন্যান্য চাকরিজীবী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য তৈরি করবে, যা সংবিধানের সমতার নীতির পরিপন্থি। বর্তমান ব্যবস্থায় পেনশন বাবদ কোনো অর্থ কর্তন করা হয় না। 'প্রত্যয়' স্কিমে মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা ৫০০০ টাকা (যেটি সর্বনিম্ন) হারে টাকা কর্তন করার বিধান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন। 'প্রত্যয়' স্কিমে আনুতোষিক শূন্য। বিদ্যমান পেনশনার ও নমিনি আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হন। 'প্রত্যয়' স্কিমে পেনশনারের মৃত্যু হলে নমিনি পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পূর্তি হওয়া পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় পেনশনের ওপর বৎসরিক ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিষয়টি সুস্পষ্ট নয়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অর্জিত ছুটি নগদায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রস্তাবিত স্কিমে সে সুবিধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদকাল ৬৫ বছর। প্রত্যয় স্কিমে অবসরকালীন বয়স স্থির করা হয়েছে ৬০ বছর।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অবনমন করা হয়েছিল। সে সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিষয়টির সুরাহা হয়। সেই আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের তৎকালীন নেতৃবৃন্দকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছিল।

অদ্যাবধি সে বিষয়টি কার্যকর করা হয়নি। সেটি অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রদানের দাবি দীর্ঘদিনের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা মেধাবীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে পেশাগত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় ৪ জুনের পর কেমন আন্দোলন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, সেটা সময় আসলেই জানা যাবে। পলিসি মেইনটেইন যারা করছেন তার সাথে তো আমরা জড়িত না তবে একটা মহল তো আছেই যারা এ ধরনের কাজ করছে। একটি চক্র কি আসলে শিক্ষকদেরকে নিয়ে কোনো অপচেষ্টা চালাচ্ছে কি না সেটা গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা পলিসি যারা মেইনটেইন করে তাদেরকে নোটিশ করতে চাই।

সম্মেলনে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

;