রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল

সাবেক শিবির নেতার দাপটে অতিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা   



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
সাবেক শিবির নেতা সাইফুল ইসলাম

সাবেক শিবির নেতা সাইফুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন সাইফুল ইসলাম। সেই সুবাদে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি। বয়স অল্প হলেও স্বল্প দিনেই চড়ে বসেছেন বড় পদে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তার ওপরের পদে আছেন শুধু হাসপাতালের পরিচালক। তবে পরিচালককে কৌশলে চাপে রেখে একক কর্তৃত্বে হাসপাতাল চালাচ্ছেন সাবেক শিবির নেতা সাইফুল।

হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনে ব্যাপক রদবদলের পর হাসপাতালের আয়ের অর্থ সরিয়ে জামায়াত-শিবিরকে দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে সাইফুল ইসলাম ব্যাংক হাসপাতাল থেকে বিভিন্নভাবে বড় অংকের টাকা সরিয়ে গোপনে জামায়াত-শিবিরকে সরবরাহ করে আসছেন। প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে হাসপাতালে নিজ কার্যালয়ে বসে প্রকাশ্যে জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসে বৈঠকও করেন।

কর্মকর্তাদের অভিযোগ, হাসপাতালের আয়ের অর্থের হিসাব নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললেই তাকে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন সাবেক শিবির নেতা সাইফুল। হাসপাতালে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো বিষয়ে কথা তুলেও অনেক সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার রোষানলে পড়তে হয়েছে। ভাগ্যে জুটেছে বদলি আর শোকজ। এছাড়া হাসপাতালের নার্সদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। ফলে তার খাম-খেয়ালিপনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এদিকে, সম্প্রতি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে সাইফুলের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস ও অর্থ কেলেঙ্কারী বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনি কিছুই বলতে রাজি হননি পুলিশ কর্মকর্তারা।

অপরদিকে, সাইফুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের তদন্ত দলও কিছুদিন আগে রাজশাহী এসে তদন্ত করে গেছেন। তবে এখনও সেই তদন্তের প্রতিবেদন জমা পড়েনি। এর আগেও এমন তদন্ত হলেও ঘুষ দিয়ে তদন্ত টিমকে খুশি করে অনিয়ম, দুর্নীতির চিত্র ঢেকে ফেলেন চতুর প্রকৃতির সাইফুল।

আরএমপি কমিশনারকে দেয়া অভিযোগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উল্লেখ করেছেন, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের পরিবর্তনের পর হাসপাতালটির রাজশাহী শাখার পরিচালক পদেও পরিবর্তন হয়। স্বাধীনতা চিবিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এসআর তরফদারকে পরিচালক করা হয়। কিন্তু কৌশলে দ্বিতীয় শীর্ষ পদে থেকে যান শিবির ক্যাডার সাইফুল আলম। ফলে পরিচালক হাসপাতালে কী কী কর্মকাণ্ড করেন, সেই খবর গোপনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেন তিনি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, কয়েক মাস আগে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বনভোজনের নামে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে সাইফুল প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। অথচ বনভোজনের সকল খরচ হাসপাতালের ফান্ড থেকে পরিশোধ করা হয়। ফলে ওই টাকা সাইফুল আত্মসাত করেছেন। টাকার বড় অংশই তিনি গোপনে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সরবরাহ করেছেন। এসব নিয়ে কথা বললেই সাইফুল সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বদলি এবং শোকজ করেন কলমের খোঁচায়। তার কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেম্বার ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, পরিচালক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তি হলেও সাবেক শিবির নেতা সাইফুল তাকে কৌশলে হাত করেছেন। সাইফুল ও তার অনুসারীদের কৌশলে বাধ্য হয়ে সম্প্রতি সাইফুলের বদলি ঠেকিয়েছেন খোদ পরিচালক। ফলে বহাল থাকা সাইফুল আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার কর্মকাণ্ডে ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের রাজশাহীর সবগুলো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে ফোনে সাইফুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘হাসপাতালে প্রায় ৪০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রশাসনিক পদে আছি, সবার সঙ্গে তো সুসম্পর্ক থাকে না। যাদেরকে সুবিধা দেওয়া হয় না তারা হয়তো এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।’

জানতে চাইলে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল পরিচালক ডা. এসআর তরফদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, “হাসপাতালে আমি ছাড়া সবাই তো প্রায় জামায়াত-শিবির। সবাইকে তো আর ছাঁটাই করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় আমি সাইফুলকে সতর্ক থাকতে বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘স্যার, আগে জামায়াত-শিবির করেছি। কিন্তু এখন আর সেসব চলবে না জানি। তবে চাকরি তো করতে হবে, সংসার বাঁচাতে হবে।’ তার এমন কথায় আমি মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে শুধরানোর সুযোগ দিয়েছি।’

সাইফুলের বিরুদ্ধে বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্ত করতে এসেছিল, আমি তাদেরকে বলেছি ঘটনা সত্য নয়। তাছাড়া আর কী-ই বা বলার ছিল আমার?’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে সাইফুল আলম। স্থানীয় মানুষ ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরাও তাকে ‘ডেঞ্জারস’ বলে চেনে। ছাত্র জীবনে তিনি মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অস্ত্র এনে শিবিরকে সরবরাহ করতেন বলেও এলাকায় মানুষের মুখে মুখে। ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে পড়াশোনার সময়ে কলেজ ভিপি মোসাব্বের হোসেন লাল্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ক্যাম্পাসের মূর্তমান আতঙ্ক ছিলেন সাইফুল।

   

লক্ষ্মীপুরে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দুই মেম্বার প্রার্থীসহ আটক ৮



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার ও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দুই মেম্বার প্রার্থীসহ ৮ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আটক করা হয়।

জানা গেছে, পূর্ব চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে মেম্বার প্রার্থী নুর নবী ও শাহজাহান এবং একই কেন্দ্রের এজেন্ট গিয়াস উদ্দিন ও মো. দিদারকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনস চন্দ্র। ওই কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় রোকেয়া বেগম নামে এক নারী আটক করে পুলিশ।

এর আগে, হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুরের ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে নারী ও পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, মেম্বার পদে ২২৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । নির্বাচনে ৪৬টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার।

;

সিরাজগঞ্জে গাড়ির চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় বিল্লাল হোসেন (২৮) নামের এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে উল্লাপাড়ার কাওয়াক মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল হোসেন উপজেলার সেনগাঁতী গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান জানান, অটোরিকশা নিয়ে বিল্লাল হোসেন বাড়ি থেকে শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাওয়াক মোড়ে আকস্মিকভাবে তার ভ্যানের এক্সেল ভেঙে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় দ্রুতগামী অজ্ঞাত একটি গাড়ি অটোরিকশাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিল্লাল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

আইনি সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, এটা তার অধিকার: আনিসুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনগত সহায়তা পাওয়া কারো প্রতি করুণা নয় বরং এটা তার অধিকার। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার সমান অধিকারের কথা সন্নিবেশ করে গেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উপলক্ষে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, দুঃখজক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাবার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল সহায়সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

কিন্তু ২০০১ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে সাত বছর শেখ হাসিনা সরকারে না থাকায় নাগরিকদের এই অধিকার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, বলেন তিনি।

এরপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার দ্বিতীয়বার দায়িত্বে এলে আবারও আইনি সহায়তা কার্যক্রম আলোর মুখ দেখে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই অভিযাত্রায় তার সরকার আইনগত সহায়তা কার্যক্রম রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপনসহ ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এর ধারাবাহিকতায় আমরা প্রত্যেকটি উপজেলা ও ইউনিয়নে লিগ্যাল এইড কমিটি এবং চৌকি আদালত ও শ্রম আদালতে বিশেষ লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করি। শ্রম আদালতে শ্রমিক আইনি সহায়তা সেল আমরা চালু করি। আমরা দরিদ্র অসহায় মানুষ যেনো দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এসে ন্যায় বিচার পান। সেজন্য ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম শুরু করি।

আনিসুল হক বলেন, সরকারি আইনি সহায়তা আরও সহজ করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে টোল ফ্রি জাতীয় হেল্প লাইন ১৬৪৩০ সার্ভিস চালু করেছি।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে জুলাই ২০১৫ সাল থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৪৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এইবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

;

মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক

মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী হয়ে ফেরিতে চড়ে বোয়ালখালী যাওয়ার পথে হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে পড়ে মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী (৫৫) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষক বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল নয়টার এই ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত ওই শিক্ষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

ওই শিক্ষকেরা পরিচিতজনরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাদ্রাসা খোলায় সকালে তিনি নগরীর চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলৈন। সকাল ৯টার দিকে কালুরঘাটের পশ্চিম পাড় থেকে হেঁটে ফেরিতে উঠেন ওই শিক্ষক। এরপর হঠাৎ ঢলে পড়েন তিনি।

শিকক্ষের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আঞ্জুমানে আজিজিয়া মাবুদিয়া সুন্নিয়া সংগঠনের সদস্যসচিব কাজী মো. এমরান কাদেরী। তিনি বলেন, মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী আমাদের সংগঠনের সহসভাপতি ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে মৃতঘোষণা করেন চিকিৎসক। ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণে তিনি মাথা ঘুরিয়ে ঢলে পড়েছেন।

মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরীর বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার লেমশীখালীতে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

দুপুর ২টায় খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপরে বাদে এশা ২য় জানাজা শেষে কুতুবদিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

;