মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক

মাথার ওপর আগুন-ঝরা রোদ, ফেরিতে ঢলে পড়লেন মাদ্রাসা-শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী হয়ে ফেরিতে চড়ে বোয়ালখালী যাওয়ার পথে হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে পড়ে মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী (৫৫) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষক বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল নয়টার এই ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত ওই শিক্ষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

ওই শিক্ষকেরা পরিচিতজনরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাদ্রাসা খোলায় সকালে তিনি নগরীর চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলৈন। সকাল ৯টার দিকে কালুরঘাটের পশ্চিম পাড় থেকে হেঁটে ফেরিতে উঠেন ওই শিক্ষক। এরপর হঠাৎ ঢলে পড়েন তিনি।

শিকক্ষের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আঞ্জুমানে আজিজিয়া মাবুদিয়া সুন্নিয়া সংগঠনের সদস্যসচিব কাজী মো. এমরান কাদেরী। তিনি বলেন, মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী আমাদের সংগঠনের সহসভাপতি ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে মৃতঘোষণা করেন চিকিৎসক। ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণে তিনি মাথা ঘুরিয়ে ঢলে পড়েছেন।

মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরীর বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার লেমশীখালীতে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

দুপুর ২টায় খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপরে বাদে এশা ২য় জানাজা শেষে কুতুবদিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

   

বর্ষার আগেই ভাবাচ্ছে ডেঙ্গু, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৬ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৪৬০ জনে পৌঁছেছে। তবে এ সময় কারোর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ জনেই রইলো। 

রোববার (১২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানাও হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ১৭ জন আর বাকিরা ঢাকার বাইরের। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২৯ জন ও নারী ১৭ জন। এসময়ের মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৩৩ জন।

আর চলতি বছরের শুরু থেকে এ সংখ্যা দুই হাজার ২৯১ জন। 

;

বেনাপোলসহ চার বন্দরে অনলাইন পোর্ট ট্যাক্স চালু, কমবে ভোগান্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
বেনাপোল বন্দর

বেনাপোল বন্দর

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোলসহ দেশের ৪টি স্থলবন্দরে যাত্রী সেবা বাড়াতে অনলাইন পোর্ট ট্যাক্স দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে ভারত ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

এ সেবার আওতায় অন্য তিন বন্দর হলো- বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নওগাঁ স্থলবন্দর।

জানা গেছে, বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও ক্রেডিট এবং ব্যাংকিং কার্ডের মাধ্যমে পোর্ট ট্যাক্স ফি পরিশোধ করা যাবে। বর্তমান যাত্রী প্রতি বন্দর ট্যাক্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ টাকা ৫২ পয়সা।

অনলাইন সেবা চালুর ফলে পাসপোর্টধারীদের সময় সাশ্রয় ও ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন স্থলবন্দর চেয়ারম্যান ও বন্দর পরিচালকেরা।

প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয় হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। এতে প্রতিবছর বেনাপোল স্থলবন্দরে ভ্রমণ খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় এবং পোর্ট ট্যাক্স খাতে আয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ৯০ শতাংশই বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে। ভারত যাতায়াতে পাসপোর্টধারীদের বর্তমানে এক হাজার টাকা ভ্রমণ ট্যাক্স এবং ৫৫ টাকা পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে ভ্রমণ ট্যাক্স সোনালী ব্যাংকে বা অনলাইনে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। তবে এই সুযোগ পোর্ট ট্যাক্সের ক্ষেত্রে এত দিন না থাকায় যাত্রীদের স্থলবন্দরে পৌঁছে আবারও দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি দালালের হয়রানির শিকার হতো যাত্রীরা।

এ বিষয়ে ভারতগামী অনিতা বিশ্বাস নামের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করার পদ্ধতি করায় আমাদের বেশ উপকার হয়েছে। তাছাড়া অনলাইনে তাড়াতাড়ি ও স্বচ্ছভাবে হচ্ছে।

মফিজুর রহমান নামের আরেক যাত্রী বলেন, অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধের নিয়ম করায় আমরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি। আগে রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম জানান, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন লিংক ব্যবহার করে বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রযোজ্য যাত্রী সুবিধা চার্জ অনলাইনে পরিশোধপূর্বক প্রামাণিক হিসেবে মানি রিসিট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের প্রদর্শনের জন্য পাসপোর্টযাত্রীদের অনুরোধ করা হলো। অনলাইনে ইস্যুকৃত মানি রিসিটের মেয়াদ যাত্রার নির্ধারিত তারিখ থেকে সাত দিন বলবৎ থাকবে। এতে যাত্রীদের যাত্রা সহজ হবে ও ভোগান্তি কমে আসবে। অনলাইন বন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ পরিশোধের ওয়েবসাইট passenger.blpa.gov.bd

;

কৃষককে ভর্তুকির মাধ্যমে সবকিছুই দিয়ে যাচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
কৃষককে ভর্তুকির মাধ্যমে সবকিছুই দিয়ে যাচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী

কৃষককে ভর্তুকির মাধ্যমে সবকিছুই দিয়ে যাচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, কৃষি ক্ষেত্রে সরকার দায়িত্ব পালন করতে কার্পণ্যতা করছে না। কৃষি বিভাগ এবং কৃষকের উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার সবকিছুই ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষককে দিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে সদর উপজেলার রিচি মাঠে ব্রি-৯২ ধান কাটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পরে মন্ত্রী রিচি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এসময় তিনি বলেন, সারের জন্য কৃষককে এখন গুলি খেয়ে মরতে হয়না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষকের হাতে হাতে সার পৌঁছে দিচ্ছে। কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের কৃষিকে অনুসরণ করছে। এছাড়া কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা প্রমুখ।

;

নওগাঁয় কৃষক-ধান ব্যবসায়ীদের ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মহাদেবপুরে ব্যবসায়ী ওসমান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওসমান গণির বিরুদ্ধে ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

কৌশল হিসেবে তার প্রতিষ্ঠানটি একটি কোম্পানিকে ভাড়া দিয়ে পরিবারসহ ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা টাকা না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে পাওনাদাররা রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার মডেল স্কুল মোড়ে ‘ভুক্তভোগী সকল পাওনাদার গং’-এর ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী ও কৃষক উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

মানববন্ধনে আড়ৎদার আবু আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে আড়ৎদার সামিউল আলম, ইমতিয়াজ হোসেন সরদার, মাসুদ মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী কৃষক বক্তব্য রাখেন।

অভিযোগে জানা যায়, ন্ওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-মহাদেবপুর সড়কের আখেড়া এলাকায় ওসমান গণি গত প্রায় ৪০ বছর আগে চালকল গড়ে তুলে ব্যবসা শুরু করেন।পর্যায়ক্রমে চালকলটি অটোমেটিকে রূপান্তর করে ওসমান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেড নাম দেন। সেখানে কয়েক একর জায়গার ওপর পাঁচটি ইউনিট গড়ে তোলেন, যা টাকার অংকে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।

ধানের আড়ৎদারদের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে ধান কিনে চালকল পরিচালনা করা হতো। এতে ব্যবসার সুবাদে আড়ৎদারদের সঙ্গে ওসমান গণির সখ্যতা গড়ে উঠে। এভাবে জেলা ও জেলার বাইরের প্রায় ২শ ৬০ জন ধান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে ধান কিনতেন তিনি। এক পর্যায়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ধান ব্যবসায়ীদের কাছে বকেয়া রাখেন। গত ৩-৪ মাস থেকে ধান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওসমান গণির দূরত্ব বাড়তে থাকে। এরপর তিনি পরিবারসহ ঢাকায় অবস্থান করতে থাকেন।

এদিকে, গোপনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি একটি কোম্পানির কাছে ভাড়া দিয়ে দেন। গত দেড়মাস থেকে ওই প্রতিষ্ঠানটি অন্য একটি কোম্পানির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এরপর ধান ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারেন যে, ওসমান লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছেন। কৌশল হিসেবে ওসমান গণি ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলার মাতাজি হাট এলাকার মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সামিউল আলম বলেন, গত কয়েক বছর থেকে ওসমান গণিকে ধান দিয়ে আসছি। নগদ ও বাকিতে ধান দিতাম। এভাবে প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা পাওনা হয়েছে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে ওসমান গুণি বিভিন্নভাবে টালবাহানা শুরু করেন। তিনি ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আলিসান জীবন-যাপন করছেন। সম্পদগুলো ছেলে ও মেয়ে-জামাইয়ের নামে লিখে দিয়েছেন। এখন তিনি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করছেন। অথচ তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

সামিউল আলম বলেন, আমার মতো ২শ ৬০ জন ব্যবসায়ীর প্রায় ৩৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। আমরা এখন পথে পথে ঘুরছি।

ধামইরহাট উপজেলার মেসার্স বেলাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবু আহসান হাবিব ও বেলাল ইসলাম দুই ভাই যৌথভাবে ধানের ব্যবসা করেন। আবু আহসান হাবিব বলেন, ওসমান গণির সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর থেকে ব্যবসা করে আসছি। ব্যবসা চলমান ছিল। আমন মৌসুম থেকে লেনদেন করা হয়নি। কিন্তু সপ্তাহে ৫০ হাজার করে টাকা দিতো।

সবশেষ, ফেরুয়ারিতে ১ লাখ টাকা দিয়েছে। লেনদেনের সুবাদে প্রায় ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে যায়। পাওনা টাকা ‘দিচ্ছি’, ‘দেবো’ বলে সময়ক্ষেপণ করছিলেন। এখন তিনি লাপাত্তা হয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। পুঁজি হারিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছি। পাওনাদার বা কৃষকের কাছ থেকে ধান নিয়েছিলাম। তারা এখন টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। পাওনাদারদের ভয়ে এখন বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে আমাদের।

দিনাজপুর জেলার ডুগডুগিহাট এলাকার মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মাসুদ মোল্লা বলেন, গত ৫ বছর থেকে ওসমানের চালকলে ধান দিয়ে আসছি। তবে গত ৩ বছর থেকে ধান দেওয়ার পর টাকা বকেয়া রাখা হচ্ছে। এভাবে প্রায় আমার ৭৮ লাখ টাকা বকেয়া রেখেছে। বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে অনেকবার তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু ওসমান গণি ‘দিচ্ছি’, ‘দেবো’ বলে এখন লাপাত্তা। ফোন করা হলে ওসমান ফোন ধরে না। কিন্তু আমার কাছে অনেক কৃষকের টাকা পাওনা রয়েছে। তারা এখন চাপ দিচ্ছে।

দুশ্চিন্তার কারণে ইতোমধ্যে আমার দুইবার স্টোক করেছে। বাবাও অসুস্থ। ৭ বিঘা জমি বিক্রি করে কিছুটা দেনা পরিশোধ করেছি। এদিকে, ব্যাংকের ৭০ লাখ টাকা ঋণ এখন কোটি টাকায় ঠেকেছে। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, এখন পথে বসার উপক্রম। বকেয়া টাকা দ্রুত ফেরত পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে মহাদেবপুর উপজেলার ওসমান এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওসমান গণির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রায় ৩৮ বছর থেকে ব্যবসা করছি। ব্যবসার সুবাদে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছেও আমার দেনা রয়েছে। আমার কাছে নগদ টাকা নেই। পাওনাদারদের বলেছি, যে সম্পদ আছে, তা বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করা হবে।

আমি গত ৩১ জানুয়ারি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আদালতে একটি আবেদন করেছি। তবে আমি আমার প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া দিয়েছি।

;