গরমে অনলাইন ক্লাসের আর্জি অভিভাবকদের



কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গরমে অনলাইন ক্লাসের আর্জি অভিভাবকদের

গরমে অনলাইন ক্লাসের আর্জি অভিভাবকদের

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপদাহের মধ্যে আবার শুরু হয়েছে স্কুল। সাত দিন বন্ধের পর রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতেই টেনশনে অভিভাবকগণ। তাদের আর্জি, বিরূপ আবহাওয়ায় স্কুল বন্ধ না করে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হোক।

নগরীর অনেক স্কুল গেটে অপেক্ষমাণ অভিভাবকরা বাড়ি না গিয়ে বসে আসেন। 'ক্লাসের সময় কমিয়ে দেওয়ায় বাচ্চাকে নেওয়ার জন্য বসে আছি। বাসায় গিয়ে আসতে আসতে স্কুল ছুটি হয়ে যাবে।' বললেন, রহমানিয়া স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

চট্টগ্রামের প্রায় সব স্কুলের গেটে উদ্বিগ্ন অভিভাবকের ভিড় দেখা গেছে। পাবলিক স্কুলের মোড়ে জটলা করে অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই। তাদের মতে, এই গরমে স্কুলে আসার সময় যানবাহনের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ঘাম ছুটেছে। বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ও একই ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে।

বেসরকারি চাকরিজীবী নূর আলম খোন্দকার বলেন, অভিভাবক হিসাবে আমরা চিন্তিত বাচ্চাদের পড়াশোনা ও শারীরিক নিরাপত্তার জন্য। স্কুল বন্ধ থাকলে তাদের ক্ষতি। আবার তীব্র গরমেও তাদের বিপদ হতে পারে। এজন্য সামনের কয়েকদিন স্কুল বন্ধ না করে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলে সবদিক থেকে ভালো হয়।

মিসেস সুমাইয়া রহমাতুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস হলে স্কুল-কলেজে হতে অসুবিধা কোথায়? কোভিড মহামারিতে অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। এখনও গরমের কারণে বিরূপ পরিস্থিতি চলছে। সবার কাছেই অনলাইনে ক্লাস করার মতো সুবিধা আছে। একে কাজে লাগিয়ে বিরূপ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে।

এদিকে, অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে এসে গরমে অসুস্থ হচ্ছে বলেও গণমাধ্যমের খবর। তেমনই একজন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকা রহমান। সকাল ৭টায় তার ক্লাস শুরু হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে ছুটি হয়েছে। ছুটি শেষে এই কোমলমতি শিক্ষার্থী বমি করে এবং কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে তাকে স্কুলে নিয়ে আসা অভিভাবক মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। যার কারণে বাসায় গিয়ে মেয়ের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আগামীকাল স্কুলে দেবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনলাইনে ক্লাসের আর্জি অভিভাবকদের অনেকেরই।

   

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দেশে কোন দল ক্ষমতায় আছে, তার ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। বরং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে স্থায়ী বন্ধন।

তিনি বলেন, পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির উন্নয়নে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থায়ী হবে।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-এর আয়োজনে অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা এবং ‘ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী সাবের চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন সাংবাদিকেরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। টেকসই উন্নয়নের চর্চা এবং জনমত গঠনের জন্য তারা গুরুদায়িত্ব পালন করেন।

মন্ত্রী দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য সংবাদকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-এর দ্বিবার্ষিক সম্মেলন-ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স’ প্রদান অনুষ্ঠা

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি, ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ভারত থেকে আগত অনিমেষ বিশ্বাস, প্রমুখ।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, কলামিস্ট, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আফসান চৌধুরীকে এ বছর ‘ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

এর আগে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় ফরিদ হোসেনকে সভাপতি ও আঙ্গুর নাহার মন্টিকে সাধারণ সম্পাদক করে আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-এর ২০২৪-২৬ মেয়াদে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

;

অপদ্রব্য পুশকৃত ৬৬০ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পৃথক তিনটি স্থানে অভিযান চালিয়ে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করার সময় ৬৬০ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়।

শনিবার (১১ মে) উপজেলার চাপড়া গ্রামে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এ দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। জব্দকৃত চিংড়িগুলো পরে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. পলাশ আহমেদ জানান, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের তিনটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের ইশার আলী গাজীর ছেলে আব্দুল মালেকের বাড়ির বেডরুম থেকে সরঞ্জামাদিসহ জেলি পুশকৃত ১০০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়। এ অপরাধে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের জেল প্রদান করা হয়। এরপর একই গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন সরদারের ছেলে মোহাম্মদ আলী সরদারের দোতলা বিল্ডিং এর নীচতলার তালাবদ্ধ বেডরুমের ভিতর থেকে ৫০০ কেজি জেলি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি, সিরিঞ্জ ও জেলি জব্দ করা হয়। এছাড়া মৃত আফিল উদ্দিন সরদারের ছেলে আলতাফ হোসেন সরদারের বাড়ি থেকে ৬০ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা চিংড়ি ও পুশিং সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চিংড়িগুলো পরে উপজেলা পরিষদ চত্বর মাঠে আগুনে পুড়িয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় মামলা রুজুর বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের এসআই আব্বাস আলীসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

;

বাংলাদেশের নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে: বদিউল আলম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

শনিবার (১১ মে) বিকেল ৪টায় সিলেট নগরীর অভিজাত হোটলে সচেতনতা, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ স্লোগানকে ধারণ করে নাগরিক সমাজের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভার প্রধান আলোচক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কিন্তু আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলতে গেলে বাংলাদেশের নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে উঠেছিল। আমরা যুদ্ধ করেছি অধিকার আদায়ের জন্য। কিন্তু এখন অনেক নাগরিকের অধিকার খর্ব হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে আমরা যোজন যোজন দূরে। উন্নয়ন হয়েছে দেশের কিন্তু উন্নতি হয়নি। যখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন হয় তখন কর্তৃত্ববাদের সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবেন, তাদের ভূমিকা আছে। নাগরিক সমাজেরও ভূমিকা আছে। কিন্তু দেশের রাজনীতিতে ধস নেমেছে। বুদ্ধিভিত্তিক রাজনীতি নেই এখন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও সুজনের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।

;

নিখোঁজ যুবককে পাওয়া গেল মিল্টনের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেলিম মিয়া

সেলিম মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ছয় মাস ধরে নিখোঁজ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম মিয়ার সন্ধান মিলেছে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে। উদ্ধার সেলিমের পেটে অস্ত্রোপচারের ক্ষতচিহ্ন দেখে পরিবারের সন্দেহ- তার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। এরই মাঝে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে সেখানে সেলিমের ছবি দেখতে পান স্বজনরা। তারপর গত মঙ্গলবার সেলিমের মা রাবিয়া, চাচাতো ভাই গ্রাম পুলিশ আব্দুর রশিদ সেলিমের সন্ধানে ঢাকা চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে যান এবং তাকে শনাক্ত করেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

দীর্ঘদিন পর সেলিমকে পেলেও ছেলের অসুস্থায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা রাবিয়া খাতুন। তিনি বলেন, আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও সুস্থ ছিল। এখন সে খুবই অসুস্থ। তার কিডনি নিয়ে গেছে আশ্রয়দাতারা। এ সময় তিনি সেলিমের পেটে অস্ত্রোপচারের ক্ষতচিহ্ন দেখান।

সেলিমের ছোট ভাই মাহিন মিয়া বলেন, আমার সুস্থ ভাইয়ের পেটের ডান পাশে অস্ত্রোপচারের বড় দাগ দেখে সন্দেহ, ভাইয়ের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা হতদরিদ্র পরিবার। অর্থের অভাবে এখন ভাইয়ের অঙ্গহানি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, পরিবারের লোকজনকে সেলিমের চিকিৎসা ও কিছু পরীক্ষা করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে কিডনি বিক্রি করা হয়েছে কি না।

;