নবম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়াতে বাজেটে অর্থের সংস্থান রাখা এবং সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ত্রিশ হাজার টাকা করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন।
শনিবার (১১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সংগঠনটির নেতারা।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূঁঞা।
তিনি বলেন, বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সীমিত আয়ের কর্মচারীরা সংসারের ন্যূনতম ব্যয় বহন করতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে তাদের উত্তরণের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ১ম থেকে ১০ম গ্রেড এবং ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের পে স্কেলে অনেক বৈষম্য।
১১-২০ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের আর্থিক দুর্দশা লাঘবে বেতন বৃদ্ধি সহ যাবতীয় বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আমরা সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি রাখছি।
১. ১৯৭৩ সনের জাতীয় বেতন স্কেলের অনুরূপ ১০ (দশ) ধাপ বিশিষ্ট বেতন স্কেল নির্ধারণ-পূর্বক ০৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের ব্যয় বিবেচনায় সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ৩০ হাজার টাকা করতে হবে।
২. প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীদের পদ-পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন সহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। শতভাগ পেনশন প্রদান, স্বেচ্ছায় অবসর ২০ বছর নির্ধারণ এবং আনুতেষিক প্রতি ১টাকায় ৩০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৩. ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার, পদোন্নতিযোগ্য পদ শূন্য না থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর উচ্চতর পদের বেতন স্কেল প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকে যৌক্তিকভাবে ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে এবং সকল শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ প্রদান করত আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে;
৪. প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ৫% এর পরিবর্তে ২০% এ উন্নীত করতে হবে।
৫. প্রজাতন্ত্রের ১১-২০তম গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের জন্য সকল নিয়োগে ৩০% পোষ্য কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. প্রধানমন্ত্রীর সাথে কর্মচারী প্রতিনিধিদের সরাসরি সাক্ষাৎ ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ দ্রব্যমল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ৬ দফা সম্বলিত স্মারকলিপি আগামী ১৫ মে প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রদান করা হবে। দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেলে পরবর্তীতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি মোঃ মহসিন ভূইয়া, মোঃ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মোঃ বাহার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নজির আহমেদ ভূইয়া, মাহবুব আলম, জহুরুল হক, মোঃ আব্দুল করিম, মোঃ আশিকুর রহমান প্রমুখ।