‘চিন্তা করো না, আমরা শক্ত আছি…’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক চিঠিতে লেখা ‘চিন্তার কিছু নেই....আমরা সবাই শক্ত আছি।’অন্য চিঠিতে লেখা, টিচাররা যেন আমাদের আর বেশি বেশি হোম ওয়ার্ক না দেয়’। কেউবা ফ্রাইড চিকেন খাওয়ার আকুতির কথা জানিয়েছে। অনেকেই তাদের বাবা-মাকে জানিয়েছে ভালোবাসার কথা।

শনিবার (৭ জুলাই) সন্তানদের হাতে লেখা চিঠি নিয়ে থাই নেভি সিলের সদস্যরা গুহা থেকে বেরিয়ে এলে ভারী হয়ে ওঠে আশেপাশের পরিবেশ। দুই সপ্তাহ হল প্রিয় সন্তানদের দেখতে পান না বাবা-মা। আবেগাপ্লুত অভিভাবকেরা তাই সন্তানের চিঠি জড়িয়ে চোখের পানি মুছতে থাকেন।

বাব-মা উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে তাদের দু:শ্চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই এলাকার থাম লুয়াং  গুহায় ভেতরে আটকে থাকা ১২ কিশোর। চিঠিগুলোতে কেউ ফ্রাইড চিকেন খেতে চেয়েছেন, কেউ জন্মদিন উদযাপনের পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন, কেউ নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন, ভালো আছেন থাই ফুটবলাররা, দেওয়া হয়েছে এনার্জি জেল


গুহায় আটকে থাকা মিক নামের এক কিশোর জানায়, মা, খালা দাদি, বাবা ও ভাই সবাইকে মিস করছি খুব। তোমাদেরকে খুব ভালোবাসি। আমি এখানে ভালো আছি। নাবিকেরা আমার খুব ভালো খেয়াল রাখছে। খুব ভালোবাসি’।

/uploads/files/D3BO5dNMujFYfTSci4H19IxgAnXxLnjs4wBLcnjr.jpeg

ডম নামে অপর এক কিশোর লিখেছে, আমি ভালো আছি তবে এখানকার আবাহওয়া খুব ঠাণ্ডা। চিন্তা করার দরকার নেই। আর হ্যাঁ, আমার জন্মদিনের কথা যেন ভুলে যেও না ‘ ৩ জুলাই ডমের জন্মদিন ছিল।

খুদে ফুটবলার আদুল লিখেছে, আমাদের জন্য দু:শ্চিন্তার দরকার নেই। সবাইকে মিস করছি। বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে খুব।’

নাইট লিখেছে, নাইট বাবা-মাকে খুব ভালোবাসে। নাইটের জন্য তোমাদের আর ভাবতে হবে না। নাইট সবাইকে ভালোবাসে।’ 


আরও পড়ুন, অক্সিজেন দিতে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবেই নৌ ডুবুরির মৃত্যু  


কিশোর ফুটবল দলটির কোচ ভিন্ন একটি চিঠিতে আটকে পড়া কিশোরদের অভিভাবকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২৫ বছর বয়সী কোচ এক্কাপল চান্টাওয়াং অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, প্রিয় অভিভাবকরা, আমরা এখন সবাই ভালো আছি, উদ্ধারকারীরা আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে আমি প্রতিজ্ঞা করছি সব শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতে আমি আমার সর্বোচ্চটুকু করে যাব। আপনারা যারা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন সবাইকে ধন্যবাদ-অভিভাবকদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী’ 

উল্লেখ্য, ২৩ জুন গুহাটি ঘুরে দেখতে গেলে ভারী বর্ষণের দরুণ গুহার ভেতরেই আটকে পড়ে ১২ কিশোর ও তাদের কোচ। ওয়াইল্ড বোরস ফুটবল টিমের সদস্য দলটির কিশোদের বয়স ১১ থেকে ১৬ মধ্যে। নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর গুহার ভেতরে তাদের প্রথম খুঁজে পায় ব্রিটিশ উদ্ধারকারীরা। এরপর তাদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করতে থাকে উদ্ধারকর্মীরা। একপর্যায়ে আটকে থাকা সন্তানদের অভিভাবকেরা চিঠি দিলে তার জবাব দিয়েছে গুহায় আটকে থাকা দলটি। থাই নেভি সিলের ফেসবুক থেকে চিঠিগুলো শেয়ার করা হলে সেগুলো মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

গুহার বর্তমান অবস্থা

গুহা মুখ থেকে ৪ কি.মি গভীরে ছোট্ট একটি পাথর খণ্ডের উপর ওই দলটি এখন আশ্রয় নিয়ে আছে।

থাই ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারীদের সমন্বয়ে গঠিত দল তাদের খাবার, অক্সিজেন, ফার্স্ট এইড বক্স সরবরাহ করছে। কিন্তু গুহায় অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ে এখনো ব্যাপক শঙ্কা আছে, সরকারি কর্মকর্তা বলছে অক্সিজেনের মাত্রা সেখানে ১৫ শতাংশ এ নেমে এসেছে যা স্বাভাবিক ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ থাকে।

/uploads/files/JwmFACj9aPOG7t0CTKEYfgcqM6oFaHkTKCfiqBdx.jpeg

থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছে, গুহার ভেতর বাতাস দেয়ার জন্য একটি পাইপ সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে।

আটকে পড়া দলটি যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে সেটি আরো স্পষ্ট হয় যখন শুক্রবার একজন উদ্ধারকর্মী ডুবুরি অক্সিজেন সংকটে গুহা থেকে ফেরার পথেমারা যান।

রোববার ( ৬জুলাই ) থেকে আবারো ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। যাতে গুহার ভেতরে আরো পানি প্লাবিত হতে পারে। তাই সামরিক ও বেসামরিক উদ্ধারকারীরা সময়ের আগে ছুটছে যাতে করে আটকে পড়া দলটিকে নিরাপদে বের করে আনতে পারে।

আরও পড়ুন, গুহায় ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছে উদ্ধারকারীরা

উদ্ধার হয়নি গুহায় আটকে পড়া থাই ফুটবলাররা

   

ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুল। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (০৩ মে) এ তথ্য জানায়।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে গত সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনে আমরা অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারব। তখন মৃত্যুর সংখ্যায় আরও বাড়তে পারে। ’

বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে ভূমিধ্বস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের আংশিক ধসে পড়েছে। আরেকটি জলাধারও ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভৌগোলিক অবস্থানের রিও গ্রান্দে দো সুল প্রায়ই চরম আবহাওয়ার মুখে পড়ে। কখনো কখনো সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। কখনো আবার দেখা দেয় খরা। স্থানীয় বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেখানকার আবহাওয়া আরও চরম রূপ নিচ্ছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন।

;

হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয় গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডার নাগরিক এবং সেখানে বসবাসরত শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। 

শুক্রবার (০৩ মে) কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) এর একটি দল কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হল-করণপ্রীত সিং (২৮), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণ ব্রার (২২)। তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার তিন জনকে গ্রেফতারের পর আরসিএমপির সুপারিন্টেডেন্ট মনদীপ মুকার বলেন, ‘ভারতের সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’

আরসিএমপির কমিশনার ডেভিড টেবৌল বলেছেন, ‘তদন্ত এখনই শেষে হচ্ছে না; কারণ আমাদের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও লোকজন যুক্ত। আমরা প্রত্যেককে গ্রেফতার করার লক্ষ্য নিয়েছি।’

এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে রাজধানী অটোয়ায় ভারতের প্রধান দূতাবাস কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স; কিন্তু কোনো মুখপাত্র ও কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যানকুভার শহরের শহরতলী এলাকা সারেতে একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর  কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক ভাষণে সরাসরি ভারতকে দায়ী করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন।

নিজ্জর হত্যার ঘটনা কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য যে তীব্র অবমাননাকর, নিজ বক্তব্যে তা উল্লেখও করেছিলেন তিনি।ভারত অবশ্য এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মনগড়া’ বলে প্রত্যাখ্যান করে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে কানাডা।

এ ঘটনার পর ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটতে দেখা দেয়। 

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র খালিস্তান বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ভারতীয় শিখদের একাংশ। সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে সেই আন্দোলন দমনে সফল হয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন-এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। 

তবে ভারতে থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপে গিয়ে স্থায়ী হওয়া খালিস্তানপন্থি শিখরা এই আন্দোলন জারি রেখেছেন। হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের কানাডা শাখার সংগঠক এবং আধ্যাত্মিক নেতা। ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতা হওয়ার কারণে নয়াদিল্লির একজন তালিকাভুক্ত ফেরার সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। 

;

ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা হুথিদের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সীমানার মধ্যে থাকা ইসরায়েলগামী যেকোন জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের শিয়া মুসলিম গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার (৩ মে) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, ইয়েমেনের হুথিরা তাদের সীমার মধ্যে থাকা যেকোনো এলাকায় ইসরায়েলি বন্দরগামী জাহাজগুলোর ওপর হামলা করবে। 

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারব সেখানেই ইসরায়েলের বন্দরগামী জাহাজে আমার হামলা চালাব।

উল্লেখ্য, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য ইরানপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের জাহাজগুলোতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে অনেক শিপিং কোম্পানি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়ার বদলে এখন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ঘুরে জাহাজগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে পরিবহন খবর আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

;

সারাবিশ্বে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশের ৪৪ জন পরিবেশ সাংবাদিক সহিংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন; আর বেঁচে ফিরতে পেরেছেন ২৪ জন।

শুক্রবার (৩ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সাংবাদিকদের ওপর হামলা বাড়ছে। উল্লেখিত প্রতিবেদনটি প্রস্তুতের জন্য ১২৯টি দেশের ৯০৫ জন পরিবেশ সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধিরা।

সাক্ষাৎকারে ৯০৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৭৪৯ জনই (শতকরা হিসেবে ৭০ শতাংশেরও বেশি) জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদেরকে শারীরিক হামলা কিংবা ভয়ভীতি, হুমকি, চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেককে আটক-গ্রেপ্তার ও মানহানির মামলা আইনী সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়েছে।

হামলা-হয়রানির ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শারীরিক হামলার ঘটনাগুলো পুরুষ সাংবাদিকদের বেলায় ঘটেছে বেশি। অন্যদিকে হয়রানির শিকার বেশি হয়েছেন নারী সাংবাদিকরা।

পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ইস্যুতে প্রতিবেদন করতে গিয়ে হামলা-হয়রানির শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এসব ইস্যুর মধ্যে খনি সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ভূমির দখল সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, বন উজাড় হয়ে যাওয়া, চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ, দূষণ এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি, জীবাশ্ম জ্বালানি খাত এবং এর বাণিজ্য প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এসব হামলা ও হয়রানির সবই এসেছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে। ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা ও চাকরিজীবী, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের লোকজন এসব হামলা ও হয়রানির জন্য দায়ী।

;