মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশে কাজ করতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া স্থগিত রেখেছে দেশটির জান্তা। মিয়ানমারে বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের আইন কার্যকর হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মাথায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের আইন কার্যকর হওয়ার পর মিয়ানমারের নাগরিকদের অনেকে দেশ ছাড়তে চাইছেন।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চলছে। গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের জাতিগত বিদ্রোহী তিনটি গোষ্ঠীর জোট সমন্বিতভাবে অভিযান শুরুর পর দেশটির সেনাবাহিনী চাপে পড়ে। এমন অবস্থায় সেনাবাহিনীতে জনবল বাড়াতে গত ফেব্রুয়ারিতে বাধ্যতামূলক যোগদানের আইন কার্যকর করে জান্তা। আইন অনুসারে, দেশটির ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী সব নারীকে কমপক্ষে দুই বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আইনটি কার্যকরের পর ইয়াঙ্গুনে বিভিন্ন দূতাবাসের সামনে হাজারো মানুষের ভিড় জমে যায়। কেউ কেউ আবার আইনটি থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে পালিয়ে যান।

মিয়ানমারের শ্রম মন্ত্রণালয় বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক পুরুষদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে জান্তার তথ্য দল থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশত্যাগের প্রক্রিয়াসহ আরও বিভিন্ন বিষয় যাচাইবাছাইয়ে বেশি সময় নিতে হবে। সে কারণে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে বিবৃতিতে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুসারে ২০২০ সালে ৪০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক বিদেশে কাজ করছিলেন। মিয়ানমারের তৎকালীন সরকারের তথ্যের বরাতে এমন হিসাব দিয়েছিল আইএলও।

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের আইনটি মূলত ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে এ বছরই প্রথম তা কার্যকর করা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থায় সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক কাজ করার সময়সীমা দুই বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত করা যাবে। সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য কাউকে তলব করা হলে তিনি যদি যোগ না দেন তবে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।  

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে মিয়ানমার জান্তা। সম্প্রতি আরও ছয় মাসের জন্য সে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

জান্তাপন্থী বিভিন্ন টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত তথ্য বলছে, বাধ্যতামূলক যোগদানের আইন কার্যকরের পর সেনাবাহিনীতে প্রথম ধাপে নিয়োগ পাওয়া কয়েক হাজার সদস্যকে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

মিয়ানমার জান্তার এক মুখপাত্র বলেছেন, দেশে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে আইনটি কার্যকর করা প্রয়োজন ছিল।

ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ সেনাবাহিনীতে যোগদানের উপযোগী। তবে বছরের ৫০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সক্ষমতা আছে সেনাবাহিনীর।

   

রাইসির মৃত্যুতে সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করল ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর কারণ নিছক দুর্ঘটনা নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করছে সারাবিশ্ব। এরই মধ্যে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।

সোমবার (২০ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা নিয়ে এরই মধ্যে সন্দেহ জাগছে অনেকের মধ্যে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ মধ্যপ্রাচ্য, ইরান বা অন্যান্য ইসরায়েল বিরোধী রাষ্ট্রগুলোর উপির নজরদারি অব্যাহত রেখেছিল। রাষ্ট্রের বুদ্ধিবৃত্তিক সুরক্ষা প্রদান এবং সে অনুযায়ী সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার মতো নজর বিছিয়ে রাখার মাধ্যমে ইসরায়েলের স্বার্থরক্ষা করে মোসাদ। কিন্তু কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যার সাথে সংস্থাটির আগের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

চিরশত্রু ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের চক্ষুশূল ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কখনো মাথা নত করেননি মধ্যপ্রাচ্যের এই নেতা, রাজি হননি আপোষেও। তাই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। অন্যান্য নেতারাও করেন স্বস্তির মন্তব্য।

এই উচ্ছ্বাস শুধু মার্কিন সিনেটরেরই নয়, যেন ইসরায়েল-আমেরিকার প্রতিচ্ছবি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরানো একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তাকে শেষ করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের দিকে মিসাইল তাক করার মতো আর কেউ নেই তা ভালো করেই জানেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার। এমনকি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েও ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাইসিকে টার্গেট করতে পারে বাইডেন প্রশাসন সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

;

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে পাকিস্তানে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন করছে পাকিস্তান।

সোমবার (২০) মে ইরানের বার্তাসংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) ও পাকিস্তানের নিউজপোর্টাল দ্য নিউজ এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে দেশটিতে সোমবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোকদিবস ঘোষণা করেছেন। এদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক ঐতিহাসিক সফরে পাকিস্তান আসেন। তারা পাকিস্তানের ভালো বন্ধু-শেহবাজ শরীফ

খবরে আরো বলা হয়, শেহবাজ শরীফ ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও দেশের নাগরিকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বার্তায় শেহবাজ শরীফ বলেন, মাত্র এক মাস আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুলাইহে এক ঐতিহাসিক সফরে পাকিস্তান আসেন। তারা পাকিস্তানের অত্যন্ত ভালো বন্ধু।

;

ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোখবার, ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি জানিয়েছেন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন তিনি।

সোমবার (২০ মে) এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোখবার দেশের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।

আলি খামেনির বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরনা আরও জানায়, মোখবার দেশের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।

এর আগে, সোমবার (২০ মে) দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলে। উদ্বার করা হয় দেশটির পেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির মৃতদেহ।

দেশটির বিভিন্ন বার্তাসংস্থার খবরে বলা হয়, ওই হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। তারা কেউই আর বেঁচে নেই বলে জানায় ইরান প্রসাশন।

;

এখন বিশ্ব আগের চেয়েও নিরাপদ: মার্কিন সিনেটর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের একটি পোস্ট দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের সিনেটর রিক স্কট বলেন, এখন বিশ্ব আগের চেয়েও নিরাপদ

রাইসির নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিতের আগে দেওয়া ওই পোস্টে রিক বলেন, রাইসি যদি মারা গিয়ে থাকেন, তবে বলতে হবে, বিশ্ব এখন আগের চেয়ে নিরাপদ এবং ভালো জায়গা হয়ে উঠেছে। লোকটি অত্যাচারী ও সন্ত্রাসী ছিলেন। তাকে (রাইসি) কেউ ভালোবাসত না, সম্মান করত না। কেউ তার শূন্যতা অনুভব করবে না।

রিক আরও লিখেছেন, তিনি যদি মারা গিয়ে থাকেন, তবে আমি সত্যিই আশা করি যে ইরানি জনগণ খুনি স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে নিজেদের দেশকে পুনরুদ্ধার করতে পারবে।

সোমবার (২০ মে) সিনেটর রিক স্কট যখন পোস্টটি করেন, তখনো রাইসির নিহত হওয়ার খবর জানায়নি ইরান। সে সময় পর্যন্ত বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের খোঁজ চলছিল।

প্রায় একই সময়ে এক্সে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারপারসন মাইকেল ওয়াটজও। তার মতে, রাইসির মৃত্যু হয়ে থাকলে ‘পরিত্রাণ’ হয়েছে। পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় এবং আগে রাইসিকে মারাত্মকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে দেখা গেছে।

রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। পাহাড়ি এলাকায় বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধার অভিযান চালানোর পরে আজ সকালে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট দল বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি খুঁজে পায়।

;