ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুল। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (০৩ মে) এ তথ্য জানায়।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে গত সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনে আমরা অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারব। তখন মৃত্যুর সংখ্যায় আরও বাড়তে পারে। ’

বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে ভূমিধ্বস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের আংশিক ধসে পড়েছে। আরেকটি জলাধারও ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভৌগোলিক অবস্থানের রিও গ্রান্দে দো সুল প্রায়ই চরম আবহাওয়ার মুখে পড়ে। কখনো কখনো সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। কখনো আবার দেখা দেয় খরা। স্থানীয় বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেখানকার আবহাওয়া আরও চরম রূপ নিচ্ছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন।

   

মোদিকে ‘হিটলার’ বলল কংগ্রেসও



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মঙ্গলবার (২১ মে) ‘হিটলার’ বলে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল। এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার (২২ মে) সেই পথে হাঁটলো কংগ্রেসও।

দুই দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে মোদি দাবি করেছিলেন, তার সরকারের কাজের প্রভাব হাজার বছর থাকবে। তারপরেই তার সঙ্গে হিটলারের তুলনা করে তাকে আক্রমণ করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। মোদিকে তিনি ‘নরেন্দ্র হিটলার মোদি’ সম্বোধন করেন।

কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনতে বুধবার সংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘বিজেপি নেতারা সুপরিকল্পিতভাবে প্রচার করে মোদিকে ঈশ্বরের অবতার হিসাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার মোদি নিজেও বলছেন তিনি পরমাত্মার প্রেরিত দূত। একইভাবে হিটলারের প্রচারকরা তাকে ঈশ্বরের দূত বলত। বিশ্বের সমস্ত স্বৈরতান্ত্রিক নেতাদের এটা সাধারণ লক্ষণ। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এভাবেই তারা দেবত্ব জাহির করেন।’

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছিলেন, ‘যতো দিন মা বেঁচেছিলেন, ততো দিন আমার মনে হত আমি মাতৃগর্ভে জন্মেছি। কিন্তু, মা চলে যাওয়ার পরে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, আমাকে ঈশ্বর পাঠিয়েছেন। আমার মধ্যে এই যে এতো প্রাণশক্তি, তা ঈশ্বর আমাকে দিয়েছেন কোনও কাজ করিয়ে নেবেন বলে।’

এদিকে, মঙ্গলবার বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র, প্রভু জগন্নাথকে ‘মোদির ভক্ত’ বলার পর বিতর্ক তৈরি হয়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকসহ বিভিন্ন মহল থেকে ক্ষোভ প্রকাশের পর সম্বিত বিষয়টিকে ‘মুখ ফস্কে’ বেরিয়ে গেছে বলে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।

শ্রীনতে বলেন, ‘এটা মুখ ফস্কে বেরিয়ে যাওয়া কথা নয়, বরং এটা পরিকল্পিত প্রচার। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় বিজেপি একটি ছবি প্রকাশ করে, যেখানে দেখানো হয় রামলালার হাত ধরে মোদি মন্দিরে নিয়ে যাচ্ছেন। তাকে বিষ্ণু অবতার বলা হয় রামমন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে। গিরিরাজ সিংও মোদিকে অবতার বলেন।’

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত বলেছেন, ‘মোদী রামের অংশ।’ সাক্ষী মহারাজের ভাষ্যমতে, ‘রামই মোদি।’

শ্রীনতে বলেন, ‘এই একই জিনিস হিটলারের সময়েও হত। তাকেও ঈশ্বরের দূত বলা হতো। গোয়েবলস সেই প্রচার চালাতেন। উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন বলেন, তার ভেতরে দৈবশক্তি রয়েছে। গত ১০ বছরে মোদি কী কাজ করেছেন তার হিসেব না দিয়ে আগামী এক হাজার বছরের স্বপ্ন দেখানো, আসলে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর কৌশল।’

কংগ্রেসের বক্তব্য, গত দশ বছরে উল্লেখ করার মতো কোনও কাজই করেনি মোদি সরকার। তাই, নির্বাচনে মেরুকরণকেই একমাত্র অস্ত্র করতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি নেতৃত্বকে।

ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘আজ আমরা এর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে মোদি-অমিত শাহকে হিটলার এবং গোয়েবলসের সঙ্গে তুলনা করেছি। মোদি শুধুই সংখ্যার চমক দেখিয়ে মানুষকে ভোলাতে চেয়েছেন। কখনও বলেছেন বছরে ২ কোটি চাকরি হবে। কখনও বলেছেন, বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে সকলের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ নগদ দেওয়া হবে। আবার নোট বাতিলের পরে সমস্যা মেটাতে ৫০ দিন সময় চেয়েছিলেন। এমনকি কৃষকদের সমস্যা না বুঝেই ২০২২ সালের মধ্যে চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলেছিলেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রথমে ‘অমৃতকাল’ এবং তারপরে ‘ভিশন-২০৪৭’-এর গল্পকথা শুনিয়েছেন।’’

ডেরেকের মতে, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ‘এসবের কোনওটাই কাজ করেছে না। তাই একেবারে হিটলারের মতো হাজার বছরের কথা শুনিয়েছেন! এ বার মানুষ মোদির মিথ্যে ধরে ফেলেছেন। তাই তার এই মিথ্যে স্বপ্নে তারা ভুলবেন না।’

;

আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বুধবার (২২ মে) আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের জন্য প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল।

রয়টার্স জানিয়েছে, জরুরি পরামর্শের জন্য দেশ দুটি থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ আমি আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়েকে একটি কঠিন বার্তা পাঠাচ্ছি যে, ইসরায়েল এ বিষয়টি নীরবে সহ্য করবে না। আমি এইমাত্র পরামর্শের জন্য ডাবলিন এবং অসলোকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতদের ইসরায়েলে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশের তাড়াহুড়ো পদক্ষেপের পরিণতি হবে গুরুতর। স্পেন যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগামী ২৮ মে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে নরওয়ে।

আয়ারল্যান্ডও চলতি মাসের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছে দেশটির নেতারা।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গত সপ্তাহে বলেছিলেন, তিনি বুধবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার তারিখ ঘোষণা করবেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইউরোপীয় দেশগুলোর এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং এর গত ৭ অক্টোবরের হামলার বিপরীতে পুরষ্কারস্বরূপ।’

কাটজ বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে আজ ফিলিস্তিনসহ সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চায়। বার্তাটি হলো, তারা সন্ত্রাসবাদকে মূল্য দেয়। তাদের পদক্ষেপ গত ৭ অক্টোবরের নিহতদের স্মৃতির প্রতি অবিচার।’

;

রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজতে নিজস্ব ড্রোন ব্যবহার করেছে ইরান



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টারটি সনাক্ত করতে দেশীয়ভাবে তৈরি ড্রোন ব্যবহার করেছে তেহরান।

রয়টার্সকে বুধবার (২২ মে) এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনী।

উল্লেখ্য, রাইসির হেলিকপ্টারটি আজারবাইজানের সীমান্তে একটি অনুষ্ঠান থেকে তাবরিজ শহরে ফিরে আসার সময় রবিবার (১৯ মে) একটি কুয়াশা-ঢাকা পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।

সোমবার (২০ মে) ভোরে বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটি সনাক্ত হওয়ার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং তুরস্কের সহায়তা নিয়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

ইরানের সামরিক বাহিনী বলেছে, সেই সময় নাইট-ভিশন সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় তুরস্কের পাঠানো একটি ড্রোন।

দেশটির সামরিক বার্তা সংস্থা আইআরএনএ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওই ড্রোনটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং সেটিকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

আইআরএনএ ওই বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘অবশেষে সোমবার ভোরে উদ্ধারকারীরা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ড্রোন দ্বারা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের সঠিক স্থানটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।’

এদিকে, সশস্ত্র বাহিনী প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তেহরানে অনুষ্ঠিত জানাজায় লাখো মুসল্লির ঢল নেমেছে। বুধবার (২২ মে) তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

সংবাদ মাধ্যম তেহরান টাইমস জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহিম রাইসির দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

এসময় হাজার হাজার মানুষ কালো পোশাক পরে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে প্রচুর মানুষকে রাইসির কফিন ছুঁয়ে শোক প্রকাশ করতে এবং কফিনের ছবিও তুলতে দেখা গেছে। এরপর আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতেও যোগ দেন শোকার্ত জনতা।

;

রাইসির জানাজায় লাখো মুসল্লির ঢল, ইমামতি করলেন খামেনি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তেহরানে অনুষ্ঠিত জানাজায় লাখো মুসল্লির ঢল নামে। বুধবার (২২ মে) তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

সংবাদ মাধ্যম তেহরান টাইমস জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহিম রাইসির দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জানাজায় ইমামতি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

এসময় হাজার হাজার মানুষ কালো পোশাক পরে রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে প্রচুর মানুষকে রাইসির কফিন ছুঁয়ে শোক প্রকাশ করতে এবং কফিনের ছবিও তুলতে দেখা গেছে। এরপর আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতেও যোগ দেন শোকার্ত জনতা।

নিহতদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রার্থনায় আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, হে আল্লাহ, আমরা তার ভালো কাজ ছাড়া আর কিছুই দেখিনি। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ইরানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবার কেঁদে উঠেন।

রাইসির জানাজায় লাখো মুসল্লির ঢল

এরপর লোকজন কফিনগুলো কাঁধে করে ‘আমেরিকা নিপাত যাক’! স্লোগান দিতে থাকেন। তারা একটি সেমিট্রাক ট্রেলারে মরদেহগুলো নিয়ে তেহরানের কেন্দ্রস্থল হয়ে ‘ফ্রিডম স্কয়ারে নিয়ে যান। রাইসি অতীতে সেখানে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাইসিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে দাফন করা হবে।

গত রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের উদ্ধারে অংশ নেয় ৪০টি দল। তবে দুর্ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। অঞ্চলটি পাহাড়-পর্বতে ভরপুর হওয়ায় দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাইসির হেলিকপ্টারের খোঁজ পান উদ্ধার কর্মকর্তারা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরে যুক্তরাষ্ট্রের এটি ইরানের কাছে বিক্রি করার কথা নয়। সে হিসেবে উড়োযানটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরনো।

এর আগেও আকাশপথে দুর্ঘটনায় দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন সময়ে পরিবহনমন্ত্রী, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ও সেনাবাহিনীর কমান্ডার বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

;