এনআরসি তালিকা

বাঙালি হিন্দুদের বাদ পড়ায় উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা

বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির বেশ কিছু নেতা ও মন্ত্রী। তালিকায় বিপুলসংখ্যক বাঙালি হিন্দুর বাদ পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আসামের মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা।

তার আশঙ্কা, বহু বাঙালি হিন্দুর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে অন্যদিকে অনেক বিদেশি তালিকায় ঢুকে থাকতে পারে। এনআরসি তালিকা প্রকৃত অর্থে বিদেশিদের হাত থেকে আসামকে কতটা মুক্তি পেতে সহায়তা করবে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের হেরফেরের কারণে বেশ কিছু অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে বিজেপির শক্তিশালী অবস্থানের প্রধান স্থপতি হেমন্ত বিশ্বশর্মা।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হতে দলিল হিসেবে শরণার্থী প্রমাণপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় বহু ভারতীয়কে নাগরিক বাদ পড়েছে। একাত্তরের আগে বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হয়ে যেসব নাগরিক এসেছিলেন তাদের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ, কর্তৃপক্ষ শরণার্থী প্রমাণপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল। আবার উত্তরাধিকারী তথ্যের হেরফেরের কারণে অনেক নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এনআরসি তালিকাটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে বৈধ বাসিন্দাদের চিহ্নিত করা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বাতিল করতে কতটা সমর্থ হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

হেমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেন, আমরা খসড়া তালিকার ঠিক পরেই এনআরসির বর্তমান রূপ নিয়ে আশা হারিয়ে ফেলেছি। যখন এত সংখ্যক প্রকৃত ভারতীয়রাই তালিকার বাইরে থাকেন তখন কিভাবে দাবি করা যায়—এই নাগরিক তালিকা অসমিয়া সমাজের মঙ্গল করবে?

‘দক্ষিণ সলমারা ও ধুবরির মতো বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে মানুষের বাদ পড়ার হার সর্বনিম্ন অথচ ভূমিপুত্র জেলায় প্রচুর মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এটি কীভাবে হতে পারে? আমরা আর এই এনআরসিতে আগ্রহী নই, বলেন হেমন্ত শর্মা।

তিনি বলেন, এনআরসি কোনও বাংলাদেশিকে বহিষ্কারের জন্য কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল বা ফাইনাল নয়…. কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং আপনি বিজেপি আমলে এমন অনেক ফাইনাল দেখতে পাবেন।

এ দিকে ভারতের কেন্দ্র সরকার অবশ্য বলেছে, যাদের নাম চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় স্থান পাবে না সমস্ত আইনি বিকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এখনই বিদেশি ঘোষণা করা যাবে না। এনআরসির বাইরে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন এবং আবেদন করার সময়সীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।

হেমন্ত বলেন, আমরা কেবল শান্তিপূর্ণভাবে, ভালোভাবে এই এনআরসি তালিকা করার কাজ শেষ করতে চাই এবং আমরা এটি নিশ্চিতভাবেই করব। তবে এই এনআরসি আমাদের বিদেশিদের হাত থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে না।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আসাম সরকার ও কেন্দ্র দুই দিক থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের মোকাবিলার নতুন কৌশল নিয়ে আলোচনা চলছে। দিশপুর ও দিল্লিতে আমরা ইতিমধ্যেই কীভাবে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন করতে পারি সে সম্পর্কে নতুন কৌশল নিতে শুরু করেছি এবং আমরা নতুন পরিকল্পনাও নিয়ে আসব।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৯৫১ সালে আসামে প্রথম প্রকাশিত এনআরসিতেই আপডেট করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে আসামে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা পৃথকভাবে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পরে বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে প্রবেশ করেছেন তাদের আলাদা করা হচ্ছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের (এনআরসি) তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় প্রায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন নাগরিক বাদ পড়েছেন এবং ঠাঁই পেয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন।

   

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার হামজার পদত্যাগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ ফার্স্ট মিনিস্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) এবং স্কটিশ গ্রিনসের মধ্যকার ক্ষমতাসীন জোট ভাঙার পরই হামজা ইউসুফ এই পদক্ষেপ নেন। চুক্তিটি শেষ হওয়ার পর থেকে চাপে ছিলেন এই নেতা।

স্কটিশ পার্লামেন্টে বিরোধী দল দুটি আস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে এই ভোট হয় স্কটিশ পার্লামেন্টে। কিন্তু সেই ভোটে হেরে যান হামজা। ফলে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না তার সামনে।

পদত্যাগের পর ইউসুফ বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আমি আমার মূল্যবোধ এবং নীতির বাণিজ্য করতে ইচ্ছুক নই। তিনি বলেন, পরবর্তী ফার্স্ট মিনিস্টার নিযুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ। তৎকালীন ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের পদত্যাগের পর এসএনপির দলীয় প্রধানের পদটিতে ৩৭ বছর বয়সী হামজা ইউসুফ ছিলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী। করোনাভাইরাস মহামারির সময় স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সে সময় দক্ষতার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যখাত সামলিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের মার্চে স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।

হামজার জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় হলেও তার পূর্বপুরুষেরা উনিশ শতকের ষাটের দশকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব থেকে স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তার বাবা মুজাফফর ইউসুফের জন্ম পাকিস্তানে, আর মা সায়িস্তার জন্ম কেনিয়ায়।

;

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো মিয়ানমার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম মাসের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটিতে রোববার (২৮ এপ্রিল) রেকর্ড ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট) তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের এই তথ্য জানিয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যা মিয়ানমারের ইতিহাসে ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এবং দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মিয়ানমারের চাউক শহরের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমদের সবাইকে বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।’

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি-ই গাজার সেরা সমাধান: ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে যুদ্ধবিরতিই তার সবচেয়ে সেরা সমাধান বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। গাজা ইস্যুতে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সৌদি আরবে পৌঁছে এ কথা বলেন তিনি। 

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রিয়াদে সৌদির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ৫ দেশ কাতার, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে কিভাবে আরব দেশগুলোকে সমন্বয় করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টায় ইউরোপ কিভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়েও তিনি আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসী সংগঠন-হামাসকে নির্মূল করতে ইসরাইলের উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত যুক্তরাষ্ট্র, যাতে ভবিষ্যতে গাজায় আর কোনও ভূমিকা রাখতে না পারে দলটি। তবে ইসরাইল গাজা উপত্যকা দখল করুক-এমনটাও চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এর পরিবর্তে গাজার শাসন ব্যবস্থায় আরব দেশগুলোর সমর্থনসহ সংস্কারকৃত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে কিভাবে অর্ন্তভুক্ত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। পাশাপাশি রিয়াদের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি ও ওয়াশিংটন রিয়াদকে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির সঙ্গে পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তির বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। 

রিয়াদ থেকে জর্ডান ও ইসরাইলে যাবেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিতের গুরুত্বের ওপর জোর দেবেন তিনি। গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন ব্লিঙ্কেন।



;

নিউ ইয়র্কে দুই বাংলাদেশি হত্যায় সন্দেহভাজন যুবক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে দুই বাংলাদেশি বাবুল মিয়া এবং আবু ইউসুফকে গুলি করে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করে বাফেলো পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভরদুপুরে গুলি করে হত্যা করে এক বন্দুকধারী। যে বাড়িতে বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফকে গুলি করা হয়, তার  পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই যুবককে শনাক্ত হয়। অবশ্য এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে এক বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে অবিলম্বে দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসী এই বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন, বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা এসেছিলেন কমিউনিটির সংকটে সংহতি প্রকাশ করতে। 

বিক্ষোভের দুই ঘণ্টা পরই সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তকে সিটির ইস্ট ডেলাভান এবং নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জোড়া খুনের সংবাদ জানার পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন এবং বাফেলো কমিউনিটির মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

;