বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হওয়া শিক্ষক পেলেন প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব

, ক্যাম্পাস

জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-01-25 02:44:38

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীন পরিচালিত পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হওয়া এক শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

তবে পেশাগত অসদাচরণ, দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ থাকা ওই শিক্ষকের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন অন্য শিক্ষকেরা। তারা এরই মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই শিক্ষকের নাম শরিফুল আলম।

প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার বলেন, শরিফুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সনদ জাল করা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের উসকে দেওয়া, মানসিক নির্যাতন, নৈতিক স্খলন, নারী সহকর্মীদের অনৈতিক কাজের প্রস্তাবসহ নানা অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগে গত বছরের ২৫ মে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ছিলেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর গভর্নিং বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতভাবে তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি অনুমোদনের জন্য ৩০ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির কাছে আবেদন করা হয়।  

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, তারা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি বিষয়টি পুনরায় তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। উপাচার্যকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আবদুস সাত্তার বলেন, ‘ওই শিক্ষক স্কুলের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় নিয়ে গেছেন এবং বিভিন্ন সময় আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে শরিফুল আলম বলেন, আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। যেহেতু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আমাকে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই এখন আমার সঙ্গে কে দায়িত্ব পালন করবেন, কে করবেন না—এটা তাদের (শিক্ষকদের) একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমার মাত্র ৯ দিন চাকরিজীবন রয়েছে। আমি আমার দায়িত্ব পালন করে চাকরিজীবন শেষ করতে চাই।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যেসব অভিযোগ উঠেছে, মনে হয় সেসব আমলে নেয়নি অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকেরা অভিযোগগুলো নিয়ে এসেছিলেন। বিশেষ করে সেই শিক্ষকের সঙ্গে কাজ করতে নারী শিক্ষকেরা অনেক বেশি অনিরাপদ বোধ করছেন। যদি সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সত্য হয়ে থাকে, তবে প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতার জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া ভালো হবে না।’



এ সম্পর্কিত আরও খবর