মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ৩

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-01-23 17:04:34

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে সালাম দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার উপস্থিতিতেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে শেখ ইনান এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই শেখ ইনানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক কামরুল হাসান। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আহত হন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রলীগের কর্মী সাইদুর রহমান শান্ত এবং তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের এক কর্মী।

পত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে শেখ ইনান মধুর ক্যান্টিনে আসলে তাকে সালাম দেওয়া নিয়ে সূর্যসেন হল ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে একাত্তর হল সেখান থেকে বের হয়ে স্টাম্প, হকিস্টিক নিয়ে প্রস্তুত থাকে। মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হলেই একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে হামলা বন্ধ হলে গুরুতর আহত কামরুলকে মেডিকেলে পাঠানো হয়।

একাত্তর হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেখ ইনানের অনুসারী সাদিক হাসান বলেন, প্রথমে আমরা যখন ইনান ভাইকে সালাম দিতে যাই তখন সূর্যসেন হলের কর্মীদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে সাধারণত এমন হয়। কিন্তু ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে তারা আমাদের হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসফিউরকে আহত করে। তবুও আমরা আমাদের প্রায় ৯০ জন নেতাকর্মীকে নিয়ন্ত্রণ করে ইনান ভাইয়ের নির্দেশে বাইরে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর সূর্যসেন হলের নেতাকর্মীরা বাইরে এসে এই বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করার একপর্যায়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটে যায়। এটা পূর্বপরিকল্পিত কোনো কিছু নয়। আমরা নিজেরাই কামরুলকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি এবং এতক্ষণ সেখানেই ছিলাম। এটা আকস্মিকভাবে হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সূর্যসেন হলের শীর্ষপদ প্রত্যাশী (শেখ ইনানের অনুসারী) শামিমুল ইসলাম। তিনি বলেন, কামরুলের মাথায় দেড় ইঞ্চি ক্ষত হয়েছে এবং কাল সিটি স্ক্যান করা হবে। আমরা প্রক্টরকে জানিয়েছি এবং মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করা হয়েছে বিজয় একাত্তর হলের মারুফ, ফিরোজ আলম অপি, মাশফিউর রহমান, অনন, নিঝুম ইফতেখাররসহ বেশ কয়েকজন। এরা প্রত্যেকেই বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং ইনানের অনুসারী।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর