মাদক মামলায় শ্রীঘরে, ছুটির আবেদনে লিখলেন অসুস্থতা

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 22:40:22

ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খেটেছেন। জামিন মিললে অসুস্থতার অজুহাতে অফিসে ছুটির আবেদন করেন। আবেদনে যুক্ত করেন ডাক্তারের ছাড়পত্রও! এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাব্বির হোসেন।অসুস্থতার লক্ষণ না থাকায় তার আবেদনটি মঞ্জুর করা হয়নি।

জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর কাঁটাবন এলাকা থেকে মো. আসলাম উদ্দিন রাজু ও মো. সাব্বির আলমকে ৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। আটক রাজু গাউসুল আজম মার্কেটের মামা হোটেলের মালিক। ওইদিন রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হলে একদিনের মাথায় জামিন পান তারা।

জেলে থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সাব্বির হোসেন ২৭ তারিখ অফিস আসতে পারেনি। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে বের হয়ে তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতরের কাছে মেডিকেল ছুটির আবেদন করেন। ছুটির আবেদনের সঙ্গে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি ছাড়পত্রও যুক্ত করেন।

এদিকে ডাক্তারের ছাড়পত্র অনুযায়ী ১৫ দিনের বিশ্রাম নেওয়ার দোহাই দেন সাব্বির। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত মেডিকেল ছুটির আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অফিস শেষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আমার শ্বশুর বাড়িতে যাই। শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হই।

এদিকে সাব্বিরের ছুটির আবেদনের সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার কোনো মিল না থাকায় আবেদন গ্রহণ করেনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর। এব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর থেকে বলা হয়েছে, আমরা এটি নিয়ে একটি মিটিংয়ে বসবো। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরীর বার্তা২৪.কম-কে জানান, সাব্বিরের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিষয়ে আমি জানতাম না। পরে খোঁজ নিলে তারা মামলার সত্যতা পান।

এ বিষয়ে সাব্বির প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে তিনি পুলিশের কাছে আটক হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে তা আমি মেনে নেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি বিষয়টা জানি না। কেউ যদি এরকম কাজ করে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর