শারীরিক সুস্থতা পেতে গড়ুন ১০ অভ্যাস



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
মানসিক অস্থিরতা কমাতে ডুব দিন প্রিয় বইয়ের পাতায়, ছবি: সংগৃহীত

মানসিক অস্থিরতা কমাতে ডুব দিন প্রিয় বইয়ের পাতায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কেবলমাত্র অসুস্থ হলেই সুস্থ থাকার মর্ম হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়।

শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভুগতে হয়, কষ্ট পোহাতে হয় কেবলমাত্র নিজেকেই। কিন্তু অসুস্থতা ভালো হয়ে গেলেই আবারো সব ভুলে পুরনো অভ্যাসে ফেরা হয়। অথচ খুব চমৎকার ও সাধারণ নিত্যদিনের কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে শারীরিক সুস্থতা পাওয়া কঠিন কিছু নয়।

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি নিজের মানসিক চাপ ও অশান্তিকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নতুবা কোন উপকারই পাওয়া যাবে না নিয়ম মেনে। খুবই উপকারী যে দশটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন বয়স ও লিঙ্গ ভেদে সকলের, জেনে নিন সে বিষয়গুলো।

১. প্রতিদন নিয়ম করে ঠিক একই সময়ে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার গ্রহণ করুন। সময়ের পরিবর্তনে শরীরে চাপের সৃষ্টি হয়, যা থেকে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে করে শরীরে ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটে।

২. খুব বেশি মানসিক অশান্তি ও অস্থিরতায় আছেন? প্রিয় ও পছন্দের কোন বই পড়ুন। এতে করে মন অন্যদিকে কাজ করবে ও কর্টিসল নিঃসরণের মাত্রা কমে যাবে।

৩. চা পানের জন্য ফুটন্ত পানিতে টিব্যাগ ২-৩ মিনিটের বদলে ৫ মিনিট রাখুন। বিশেষত যদি গ্রিন টি পান করেন তবে অবশ্যই ৫ মিনিট রেখে এরপর সেই চা পান করবেন। এতে করে চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভালোভাবে পানিতে মিশ্রিত হবে। গবেষক জানাচ্ছে, এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্ট অ্যাটাক, ক্যানসার, টাইপ-২ ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার হার কমাতে কাজ করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563194079935.jpg

৪. অফিসে দীর্ঘসময়য়ের জন্য বসে থাকা হয় প্রায় প্রতিদিন। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন থেকে চেষ্টা করবেন প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর বসা অবস্থা থেকে দাঁড়িয়ে যেতে ও বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে। দীর্ঘসময় বসে থাকার ফলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ও ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটা।

৫. খাদ্যাভ্যাসের মাঝে যদি কোন পরিবর্তন আনতে চান, তবে প্রথমেই মাংস গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, আপনি ৪ টুকরো মাংস খান। এখন থেকে চেষ্টা করুন ২ টুকরো খাওয়ার। বাকি দুই টুকরোর স্থানে রাখুন সবজি ও ফল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563194093891.jpg

৬. প্রতিদিন একটি আপেল, চিকিৎসককে দূরে রাখতে সাহায্য করবে- বহু পুরনো এই কথাটাই নতুনভাবে আবারো মনে করিয়ে দেওয়া হলো। ফলের মাঝে আপেলের বিকল্প নেই। এই ফলের স্বাদ সবার কাছে ভালো না লাগলেও, এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অতুলনীয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563194106249.jpg

৭. প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক চাপ, চারদিকের সবকিছু খুব বেশি অস্থির করে তুলছে? বই পড়তে, গান শুনতেও ইচ্ছা করছে না? বাম হাত শক্তভাবে মুঠি করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আবার খুলুন, আবার বন্ধ করুন। খুব সহজ এই পদ্ধতিতেই খেলোয়াড়রা নিজেদের শান্ত রাখেন ও মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563194621626.jpg

৮. অফিসে কাজের পাহাড়ে হিমশিম খাচ্ছেন, অস্থিরতায় কর্টিসলের মাত্রা বেড়েই চলেছে। চটজলদি ইউটিউবে ফানি ক্যাট ভিডিও দেখে ফেলুন। পনের-বিশ মিনিট সময় ব্যয় করুন এমন মজার ভিডিও দেখে। এরপর আবারও কাজের সমুদ্রে ঝাঁপ দিন। সাইকোলজি টুডে জানাচ্ছে, গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে বিড়ালের মজার ভিডিও মানসিক অস্থিরতা কমাতে কাজ করে ও আবারো কাজ করার উদ্যম ফিরিয়ে আনে।

৯. হুটহাট ছোটখাটো ক্ষুধাভাবকে তাড়াতে বেছে নিন বাদাম। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সমৃদ্ধ বাদাম খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ও প্রদাহ কমাতে কাজ করবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563194123306.jpg

১০. সানস্ক্রিনকে ভুলে গেলে একেবারেই চলবে না। খুবই প্রয়োজনীয় এই জিনিসটিকে প্রতিদিনের ব্যবহার্য অনুষঙ্গের মাঝে অবশ্যই রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: নিজের যত্নে অবহেলা নয়

আরও পড়ুন: যে অভ্যাসগুলো কমাবে বয়স বৃদ্ধির হার

   

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;