বরিশালে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা২৪.কম
বরিশালে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ছবি: প্রতীকী

বরিশালে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বাকি আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা। ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে ঘিরে বরিশালের ছয়টি সংসদীয় আসনের ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্ট গার্ড, র‌্যাব, পুলিশ এবং আনসারের পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্যও নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রে কোনো ধরনের অগ্নিসংযোগসহ অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে প্রথমবারের মতো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একাধিক সদস্যরা কাজ করছে। ইতোমধ্যে তারাও তাদের টহল কার্যক্রম শুরু করেছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম অজিয়র রহমান।

তিনি জানান, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সবকটি উপজেলায় ভোটগ্রহণের ব্যালট পেপারসহ নানা সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনে ৮০৫টির মধ্যে ৪১৬টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। ওই সকল কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রত্যেক ভোটার নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। ভোটারদের নিরাপত্তা এবং কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জেলার ৬টি আসনে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৩ হাজারের অধিক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।

উল্লেখ্য, বরিশাল জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮৫ এবং নারী ভোটার ৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৪ জন।

   

সোনাইমুড়ীতে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তা আটক, ২ জনের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জালভোটে সহযোগিতা করার অভিযোগে দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও চার পোলিং অফিসারকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন।

অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার আমিশাপাড়া নজরুল একাডেমি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দুপুরে তানিমুর রহমান নামের এক ব্যক্তি জাল ভোট দিতে আসেন। তখন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মো. কামাল উদ্দিন এবং চারজন পোলিং কর্মকর্তা মো. সোলাইমান সেলিম, কোহিনুর আক্তার, মহিনুল ইসলাম ও সাবিনা ইয়াসমিনকে দায়িত্ব থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে সেখানে নতুন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও চার পোলিং অফিসারকে থানায় আনা হয়েছে। সরকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, ভুয়া ভোটারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন

৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৬ উপজেলায় ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৬ উপজেলায় মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮শ ২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৬শ ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬শ ৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫শ ৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

১শ ৫৬ উপজেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭শ ৪৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ করা হয় ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫শ ৮৯টি ভোটকক্ষে।

এর মধ্যে ২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ১শ ৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়। এছাড়া উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছেন। ১৬টি উপজেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭শ ২০ জন সদস্য ভোটের দায়িত্বে মাঠে রয়েছেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবির ৪শ ৫৮ প্লাটুন, ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ৪৭ হাজার ৮শ ২৯ জন, স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ ১৯ হাজার ৫৭ জন, র‍্যাবের দুই হাজার ৭শ ৬৮ জন ও আনসার সদস্য রয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২শ ৮৭ জন।

নির্বাচনি আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। প্রতি উপজেলায় নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের জন্য ছিলেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। রয়েছে মাঠ পর্যায় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং ও সমন্বয় সেল। এ সেল যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। ইতোমধ্যে, যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে ভোটের এলাকায়।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এর আগে বলেছিলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন।

দেশের ৪শ ৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪শ ৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১শ ৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। অন্যগুলোতে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। কয়েকটি উপজেলার মেয়াদ পূর্তি না হওয়ায় ভোটের তফসিল এখনো দেয়নি ইসি।

;

কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় আহত ৬, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি বিভাগীয় কমিশনারের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অন্তত ৬ সমর্থক আহত হয়েছেন। তবে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর সতর্কতায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদার ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি জানার পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, ভোটগ্রহণে কোনো প্রভাব পড়েনি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক জানান, সকালে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক আছে।

তবে এদিন দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর সতর্কতায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই সকাল থেকে দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলার মোট ২৬৭টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।

এ সময় তিনি ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আশ্বস্ত করেন। আর সেখানে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারী ও তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশি।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী জানান, দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সকালে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে দুর্গাপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অন্তত ৬ সমর্থক আহত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, যেমন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিজিবি, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

;

নিষ্প্রাণ ভোটকেন্দ্র!



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটকেন্দ্রের প্রাণ যদি হয় ভোটার, তবে সেই ভোটারশূন্য কেন্দ্রগুলোকে নিষ্প্রাণই বলা যায়। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের চট্টগ্রামের উপজেলা নির্বাচনের বেশিরভাগ কেন্দ্রে শুরু থেকেই ভোটার উপস্থিত কম লক্ষ্য করা গেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর পর্যন্ত হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়া থেকে কেন্দ্রগুলোর চিত্র ছিল এমন। 

দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে তেমন ভোটার দেখা যায়নি। এসময় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অলস বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও এ কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ফটিকছড়ি পৌর সদরের এ কেন্দ্রটিকে নিজেদের ভোট ব্যাংক মনে করে থাকেন প্রার্থীরা।


এই কেন্দ্রটির অদূরে ফটিকছড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপুর দেড়টায় গিয়ে কোনো ভোটার দেখা যায়নি। দুপুর ১২টার পর্যন্ত এ কেন্দ্র ১৩ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার।

দুপুর ২টার দিকে সুন্দরপুরের ছিলোনিয়া কেন্দ্রে গিয়েও দেখা মিলে একই দৃশ্যের। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরের কোনো ভোটার পাওয়া যায়নি। একদম নিষ্প্রাণ ছিল এ কেন্দ্রটিও।

কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মো. রায়হান নাছিম বলেন, 'এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৮ জন ভোটার রয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৮৪টি ভোট কাস্ট হয়েছে।'

তবে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর বেশ কিছু কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

তিনি বলেন, 'আজকের চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। আমরা হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির বেশ কিছু কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশ ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবং জনসাধারণ ভোট দিতে এসেছেন। কিছু কিছু কেন্দ্র কাস্টিং কম হয়েছে, আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে বেশি হয়েছে। মহিলাদের কিছু কেন্দ্রে কম, এটি গরম একটি কারণ হতে পারে।'


দুপুরের পর ভোটার আরও বাড়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমাদের ধারণা যে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশেষ করে মধ্যাহ্ন ভোজের পর ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন। এখন পর্যন্ত যে ভোট কাস্টি হয়েছে সেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যথেষ্ট। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের এই ভোটগ্রহণের সংখ্যা এখন পর্যন্ত তুলনামূলক ভালো।'

এদিকে নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট অ্যাপের তথ্যানুযায়ী, দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাটহাজারী ১০৬টি কেন্দ্রের বিপরীতে ৪০ কেন্দ্রের প্রদত্ত ভোটের হার মাত্র ১৮ শতাংশ। এছাড়া এই উপজেলায় সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪৭ কেন্দ্রে ৮ শতাংশ ভোট পড়ে। একই অবস্থা ফটিকছড়ি উপজেলায়ও।
এ উপজেলায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৪২ কেন্দ্রের বিপরীতে ৯৫টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল ১৪ শতাংশ। এ উপজেলায় প্রথম দুই ঘণ্টায় ১১০টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল মাত্র ৬ শতাংশ।

তিন উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলায় সবকটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও রাঙ্গুনিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। এ উপজেলায়ও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি কেন্দ্র প্রদত্ত ভোটের হার মাত্র ৯ শতাংশ।


এবারে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে তিন উপজেলায় মোট ভোটার ১১ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ জন। এর মধ্যে হাটহাজারী উপজেলায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন। এতে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮০৫ জন। অন্যদিকে ফটিকছড়ি উপজেলায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৮ জন, নারী ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৭ জন। আরেক উপজেলা রাঙ্গুনিয়ায় মোট ভোটার ২লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৮ হাজার ১২২ জন এবং নারী ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৭ জন।

তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৪৩টি। এরমধ্যে হাটহাজারীতে ভোট কেন্দ্র ১০৬টি, ফটিছড়িতে ১৪২টি এবং রাঙ্গুনিয়ায় ৯৫টি। ভোটগ্রহণে জন্য তিন উপজেলা নিয়োগ করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৭৪ জন কর্মকর্তা।

এছাড়াও ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।

;