নিষ্প্রাণ ভোটকেন্দ্র!



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটকেন্দ্রের প্রাণ যদি হয় ভোটার, তবে সেই ভোটারশূন্য কেন্দ্রগুলোকে নিষ্প্রাণই বলা যায়। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের চট্টগ্রামের উপজেলা নির্বাচনের বেশিরভাগ কেন্দ্রে শুরু থেকেই ভোটার উপস্থিত কম লক্ষ্য করা গেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর পর্যন্ত হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়া থেকে কেন্দ্রগুলোর চিত্র ছিল এমন। 

দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে তেমন ভোটার দেখা যায়নি। এসময় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অলস বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও এ কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ফটিকছড়ি পৌর সদরের এ কেন্দ্রটিকে নিজেদের ভোট ব্যাংক মনে করে থাকেন প্রার্থীরা।


এই কেন্দ্রটির অদূরে ফটিকছড়ি সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুপুর দেড়টায় গিয়ে কোনো ভোটার দেখা যায়নি। দুপুর ১২টার পর্যন্ত এ কেন্দ্র ১৩ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার।

দুপুর ২টার দিকে সুন্দরপুরের ছিলোনিয়া কেন্দ্রে গিয়েও দেখা মিলে একই দৃশ্যের। ভোটকেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরের কোনো ভোটার পাওয়া যায়নি। একদম নিষ্প্রাণ ছিল এ কেন্দ্রটিও।

কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মো. রায়হান নাছিম বলেন, 'এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৮ জন ভোটার রয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৮৪টি ভোট কাস্ট হয়েছে।'

তবে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর বেশ কিছু কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

তিনি বলেন, 'আজকের চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। আমরা হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির বেশ কিছু কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশ ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবং জনসাধারণ ভোট দিতে এসেছেন। কিছু কিছু কেন্দ্র কাস্টিং কম হয়েছে, আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে বেশি হয়েছে। মহিলাদের কিছু কেন্দ্রে কম, এটি গরম একটি কারণ হতে পারে।'


দুপুরের পর ভোটার আরও বাড়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমাদের ধারণা যে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশেষ করে মধ্যাহ্ন ভোজের পর ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন। এখন পর্যন্ত যে ভোট কাস্টি হয়েছে সেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যথেষ্ট। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের এই ভোটগ্রহণের সংখ্যা এখন পর্যন্ত তুলনামূলক ভালো।'

এদিকে নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট অ্যাপের তথ্যানুযায়ী, দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাটহাজারী ১০৬টি কেন্দ্রের বিপরীতে ৪০ কেন্দ্রের প্রদত্ত ভোটের হার মাত্র ১৮ শতাংশ। এছাড়া এই উপজেলায় সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪৭ কেন্দ্রে ৮ শতাংশ ভোট পড়ে। একই অবস্থা ফটিকছড়ি উপজেলায়ও।
এ উপজেলায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৪২ কেন্দ্রের বিপরীতে ৯৫টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল ১৪ শতাংশ। এ উপজেলায় প্রথম দুই ঘণ্টায় ১১০টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল মাত্র ৬ শতাংশ।

তিন উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলায় সবকটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও রাঙ্গুনিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। এ উপজেলায়ও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি কেন্দ্র প্রদত্ত ভোটের হার মাত্র ৯ শতাংশ।


এবারে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে তিন উপজেলায় মোট ভোটার ১১ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ জন। এর মধ্যে হাটহাজারী উপজেলায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন। এতে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৩ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮০৫ জন। অন্যদিকে ফটিকছড়ি উপজেলায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৮ জন, নারী ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৭ জন। আরেক উপজেলা রাঙ্গুনিয়ায় মোট ভোটার ২লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৮ হাজার ১২২ জন এবং নারী ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৭ জন।

তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৪৩টি। এরমধ্যে হাটহাজারীতে ভোট কেন্দ্র ১০৬টি, ফটিছড়িতে ১৪২টি এবং রাঙ্গুনিয়ায় ৯৫টি। ভোটগ্রহণে জন্য তিন উপজেলা নিয়োগ করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৭৪ জন কর্মকর্তা।

এছাড়াও ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।

স্থানীয় সরকারের ২২৩ পদে নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচন কমিশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারে বিভিন্ন পর্যায়ে ২২৩টি পদে আগামী ২৭ জুলাইয়ের উপ-নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম নির্বাচন স্থাগিতের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারদের চিঠি দেন। তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে কারফিউর কারণে ২৭ জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনগুলো স্থগিত করেছে কমিশন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ জুলাই, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সময় ৬ থেকে ৮ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ৯ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে ১১ জুলাই। এসব নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন সংক্ষুব্ধরা। এজন্য জেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারে চালাতে পারেন। আগামী ২৭ জুলাই সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে৷ সে অনুযায়ী, ১১ জুলাই থেকে আগামীকাল ২৫ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ দিন প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারতেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২৭ জুলাই বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২৩টি পদে, পৌরসভার পাঁচটি পদে ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৫টি পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ২৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে/ছবি: সংগৃহীত

সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি সৌদি প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সহজ করতে সেই দেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে চলতি জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এনআইডি সরবরাহের কার্যক্রম চালু করা হবে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসীদের এনআইডি সেবাটি উদ্বোধন করতে দেশটিতে যাবেন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। এজন্য আগামী ২০ থেকে ২৯ জুলাই সৌদি আরব সফর করবেন তিনি। তার সফর সঙ্গী হিসেবে সাথে থাকবেন সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক ও একান্ত সচিব শাহ মো. কামরুল হুদা।

ইসির চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স শাখার উপ-সচিব মো. আলমের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে জানা গেছে, পুরো সফরের ব্যয় বহন করা হবে স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতঃমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও যুক্তরাজ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধন হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে সৌদি আরবেও কার্যক্রমটির উদ্বোধন করা হবে।

পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এই সেবা ওমান, বাহরাইন, জর্দান, সিংগাপুর, লেবানন, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ ও কানাডাতে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়।

সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।

;

ঢাকা সিটি নির্বাচন

বাড়বে প্রার্থীর জামানত, পরিবর্তন হবে আচরণবিধির



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম, নির্বাচন কমিশন

ছবি: বার্তা২৪.কম, নির্বাচন কমিশন

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিধিমালায় ব্যাপক রদবলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নতুন বিধিমালায় প্রার্থীদের জামানত ও নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় পরিবর্তনের ঈঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এই লক্ষ্যে ইসি গঠিত বিধি সংস্কার কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন এই বিধিমালা কার্যকর হবে আসন্ন ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।

ইসি’র একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের জামানত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটার স্বাক্ষর বিধান সংস্কারসহ একাধিক বিষয় পরিবর্তনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি। সে অনুযায়ী, মেয়র প্রার্থীদের জামানত বাড়বে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনশতাধিক ভোটারের স্বাক্ষরসহ জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। একইসঙ্গে ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এর আগে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বাড়ানোসহ একাধিক বিধিমালা সংস্কার করার বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা প্রার্থীদের জামানত বাড়ানোর বিষয়ে বিরোধিতা করেছিলেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন-২০২৩ (আরপিও) অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেসব এলাকায় পাঁচ লক্ষাধিক ভোটার থাকবে, সেখানে মেয়র প্রার্থীর জামানত ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ভোটার থাকলে প্রার্থীর জামানত হবে ৩০ হাজার টাকা এবং যেসব সিটিতে ২০ লাখের ওপরে ভোটার থাকবে, সেখানে মেয়র প্রার্থীর জামানত ১ লাখ দেওয়ার বিধান আছে।

সিটি নির্বাচনে বর্তমানে ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী কাউন্সিলর প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা জামানত দেওয়ার বিধান রয়েছে। নতুন বিধিমালা সংস্কার হলে সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে কাউন্সিল প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে ইসি। কিন্তু স্থানীয় সরকারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে ‘উপজেলা নির্বাচন সংশোধন আইন-২০২৪’ করা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় এখন ইসি উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বাড়ানো হবে।

ইসির আইন বিধিমালা সংস্কার কমিটির নেতৃত্বে আছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

সিটি নির্বাচনের নতুন বিধিমালা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি নির্বাচনে একাধিক বিধিমালা ও আচরণবিধি পরিবর্তন করার বিষয়টি আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্তগুলো এখনো খসড়া পর্যায়ে আছে। ফলে এখনি চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না।

ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আসন্ন দেশের সব সিটি নির্বাচনে আইন ও আচরণবিধি পরিবর্তন করা হবে। তার মধ্যে অন্যতম- নির্বাচনি প্রচারণায় সাদাকালো পোস্টারের পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ব্যবহার, নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচার করা, মেয়র ও কাউন্সিল প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধি, ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

 এগুলো ছাড়াও একাধিক বিষয় পরিবর্তন করতে ইসির আইন বিধিমালা সংস্কার কমিটি কাজ করছে।

তারা আরো বলেন, ইতোমধ্যে খসড়া বিধিমালাগুলো নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। কমিটি প্রধান বিষয়টি আর পর্যালোচনার কথা বলেছেন। পরবর্তীতে কমিশন সভা খসড়ার সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ভেটিং চূড়ান্ত হলে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিধিগুলো কার্যকর হবে।

;

বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে ২২৩ স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারের ২২৩টি পদে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জুলাই। এই সব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ২৭ জুলাই বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২৩টি পদে, পৌরসভার ৫টি পদে ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৫টি পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ জুলাই। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সময় ৬ থেকে ৮ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ৯ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ১১ জুলাই। আর ভোটগ্রহণ ২৭ জুলাই।

;