এতিম-গরিবের হক মেরে দিলো চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সড়কেই পড়ে আছে কোরবানির পশুর চামড়া, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সড়কেই পড়ে আছে কোরবানির পশুর চামড়া, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানিতে জবাই করা পশুর চামড়া বিক্রির টাকা মূলত এতিম, গরিব ও মিসকিনদের হক। সরকার নির্ধারিত দামে এবারে ঈদে যে গরুর চামড়া এক হাজার টাকা বিক্রি হওয়ার কথা, সেই চামড়া রাজধানী ঢাকায় বিক্রি হয় ২০০-৩০০ টাকায়। ভাল মানের যে চামড়া ১২০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা ছিল, তা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দরে।

শুধু তাই নয়, খোদ রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় ফোন করে অনুরোধ করার পর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নামকা-ওয়াস্তে কিছু টাকা দিয়ে চামড়া নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর চামড়া প্রতি ৬০০-৭০০ টাকা নাই হয়ে গেলো গরিবদের। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরেও। আর তাতে ঠকানো হলে এতিম, গরিব ও মিসকিনদের।

অথচ চামড়ার দাম কমাবেন না বলে আশ্বাস দিয়ে কম দামে লবণ কেনার পাশাপাশি কম সুদে ব্যাংক থেকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার পর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সস্তায় চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা। পোস্তা ও ট্যানারি মালিকরা মিলে এই সিন্ডিকেট তৈরি করেছে বলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।

মহাখালী হোসানিয়ার মাদরাসার শিক্ষক আওলাদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'এই এলাকার মানুষ কোরবানির চামড়া মাদরাসার ফান্ডে দেন। চামড়ার বিক্রির এই টাকায় এতিম ও দরিদ্র শিশুদের পড়াশুনা ও খাবারের খাতে খরচ করা হয়।'

এতিম-গরিবের হক মেরে দিলো চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট

তিনি বলেন, 'প্রতিবছর চামড়া বিক্রির টাকা দিয়ে অন্তত চার মাস এতিমদের বরণ পোষণ করা হয়। কিন্তু এবার চামড়া সংগ্রহের জন্য যে টাকা খরচ হয়েছে। তাও মেটেনি। ব্যবসায়ীরা এতিম,গরিবদের হক মেরে খেল। তার জবাব দিতে হবে একদিন।'

মহাখালীর আরেকটি শাকেরীয়ার (এতিম মাদরাসা ও মসজিদ) কমিটির সদস্য তারেকুজ্জামান বলেন, 'কোরবানির চামড়ার হকদার এতিম, গরিব ও মিসকিনরা। এবার চামড়া মালিকরা মিলে এতিমদের হক মেরে দিলো।'

রাজধানীর এতিম খানা, মসজিদ ও মাদরাসাগুলোর চামড়ার দাম কিছু পেলেও ঢাকার বাইরে প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুই পায়নি। ফলে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চামড়া রাস্তা ও ডাস্টবিনে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে চামড়া মাটিতে পুতে ফেলেছে সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিনে পোস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা কাঁচা চামড়া পোস্তায় সড়কে নষ্ট হচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে না বলে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ফেলে রেখে গেছেন।

নরসিংদী থেকে ১৮৪টি চামড়া নিয়ে আসা হাসান মিয়া বলেন, 'ভালো দামের আশায় পোস্তায় চামড়া নিয়ে এসেছি। এখানে কেউ জিজ্ঞাসাও করছে না। তাই নিয়ে যাচ্ছি।'

এতিম-গরিবের হক মেরে দিলো চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট

আড়তদাররা বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম কম হওয়ার পাশাপাশি লবণযুক্ত চামড়া না হওয়ায় কিনছি না। কারণ চামড়াগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।'

এবার শুধু রাজধানীতে ৮৫ লাখ পশু কোরবানি করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র এক লাখ পিস গরুর চামড়া কিনেছেন পোস্তার আড়তদাররা। তাদের চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত লাখ পিস। বাকি চামড়াগুলো নষ্ট হচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'চামড়ার বাজার অস্থিতিশীল করছে পোস্তার ব্যবসায়ীরা। কাঁচা চামড়ার বাজারটা তারাই নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যখন পোস্তায় চামড়া বিক্রি করতে যান, তখন তারা সেটি ৩০০ কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি টাকা দিয়ে কেনেন। কিন্তু আমাদের কাছে বিক্রির সময় তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করেন। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পোস্তার ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হবার বিষয়টি সঠিক নয়। এখানে সিন্ডিকেটও কাজ করে।'

তিনি বলেন, 'মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অনেক সময় না বুঝে কম দামে চামড়া বিক্রি করে দেন। কিন্তু তারা যদি ট্যানারিগুলো যখন চামড়া কিনে, তখন বিক্রি করে তাহলে কিন্তু তাদের কোনো লোকসান হবে না।'

প্রসঙ্গত, সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম অনুযায়ী ঢাকায় কোরবানির গরুর প্রতিটি ২০ থেকে ৩৫ বর্গফুটের চামড়া লবণ দেওয়ার পরে ৯০০ থেকে এক হাজার ৭৫০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি মালিকদের। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন। আর রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য স্থানে চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে আরও কম দামে।

আরও পড়ুন: চামড়ার বাজারে সিন্ডিকেট কারা!

আরও পড়ুন: কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার

আরও পড়ুন: চামড়ায় নিঃস্ব ফড়িয়ারা, লাভবান আড়তদাররা

   

রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে ভারতের প্রতিনিধি দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি) অধীন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারা রাবার বাগান, নার্সারি ও রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শন করেছেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ রাবার বোর্ড, বিএফআইডিসি এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ভারতীয় রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসান বলেন, বাংলাদেশের রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে এসেছি। দুই দেশের আবহাওয়াগত মিল থাকলেও রাবার চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পার্থক্য রয়েছে। ফলে রাবারের মানের তারতম্য হচ্ছে। উন্নতজাতের গাছের চাষ হলে রাবার উৎপাদন বাড়বে এবং তা ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বিশ্ববাজারে রফতানি করা যাবে।

বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরওয়ার জাহান বলেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল আমাদের রাবার বাগান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের দেশে রাবার গাছের যেজাত আছে তা থেকে যে কষ পাওয়া যায় তা খুবই কম। তাই আমরা চেষ্টা করছি ভারত থেকে রাবারের উন্নত ক্লোনিং জাত আমদানি করতে। তাদের জাতটি আমার যদি ক্লোনিং এর মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারি তাহলে দেশের রাবারের উৎপাদন বাড়ানো যাবে।

তিনি বলেন, আমরা যে গাছগুলো থেকে রাবার সংগ্রহ করছি তা প্রায় ৪০-৫০ বছর আগে বিদেশ থেকে আনা জাত। যা থেকে ২০০-৩০০ গ্রাম রাবারের কষ পাওয়া যায়। কিন্তু উন্নতমানের গাছ লাগালে এর উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়বে।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে হিট স্ট্রোকে লতিফা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। লতিফা বেগম উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের নারগুন গ্রামের মৃত মোকসেদুলের স্ত্রী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের সিংহাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম‌্যান আবু তাহের বলেন, অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ পায় তার দেবর ইলিয়াস। সোমবার সকালে দেবরের পরিবর্তে শ্রমিক হিসেবে কাজে আসেন ল‌তিফা বেগম। এ সময় একটি মাটির রাস্তা সংস্কারে মা‌টি কাটার কাজ কর‌ছিলেন তি‌নি। এসময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অন‌্য শ্রমিকরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার প‌থে তি‌নি মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা নুর নেওয়াজ আহমদ। তিনি বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে তিনি মাটি কাটা কাজ করছিলেন৷ ধারণা করা হচ্ছে তাপপ্রবাহ সহ্য না হওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান৷

;

উপজেলা নির্বাচন

ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকবে ১৭ থেকে ১৮ জনের ফোর্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে দায়িত্বে পালন করবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট।

প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান।

গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সাধারণ ভোট কেন্দ্রসমূহে নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগে যা ছিল, সেটা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ পুলিশ মোতায়েন থাকবে তিনজন, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি এপিসিসহ থাকবে তিনজন, মোট ছয় জন অস্ত্রধারী সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য কমপক্ষে ১০ জন আনসার থাকবে। ছয়টির বেশি বুথ যেখানে আছে সেখানে অতিরিক্ত আরও একজন করে থাকবেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন, মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

যেহেতু ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বন্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে যেটা করবে, সেইভাবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখভালের জন্য ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স প্রস্তুত থাকবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতি বছরের মতো এবারও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এই পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেইরকম কোন সহিংসতার খবর নেই। তারপর আমাদের প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।

সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল খোলা হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আদলে সকল ধরনের নির্বাচন সংক্রান্ত কমপ্লেইন ৯৯৯- এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে, প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কিভাবে নিষ্পত্তি হলো, কে এটি দেখল- সবকিছু ট্র্যাকিং থাকবে এবং একটি টিম এখানে বসে দেখভাল করবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন আমাদের এই সমন্বয় সেল থাকবে।

;

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এ সময়ে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তবে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একইসময়ে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

;