ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: সাঈদ খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বক্তব্য রাখছেন সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য রাখছেন সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া আতঙ্কিত হওয়ার মতো বিষয় না। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। জনগণের সচেতনতাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে 'ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক' সায়েন্টিফিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সাঈদ খোকন বলেন, 'ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে যেন আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর বাসায় বসে সাত থেকে ১০ দিনেই ভালো হয়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে।’

এ সময় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মাসব্যাপী কর্মসূচির পরিকল্পনা তুলে ধরেন মেয়র খোকন।

মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে আগামী ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত মশক নিধন কর্মসূচি চালানো হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলে টানা ১৫ দিন চলবে মশা নিধন কর্মসূচি।

১৫ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি মাইকিং করা হবে। সেই সঙ্গে বাড়ির ছাদ, ফুলের টবে, পানি যেন জমে না থাকে এবং সে ব্যাপারে করণীয় কী তা জানানো হবে।

1
বক্তব্য রাখছেন সাঈদ খোকন, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ৪৫০টি মোবাইল টিমের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।

যদি ১৫ জুলাইয়ের পর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বাড়লে কল সেন্টার খুলে দেওয়া হবে। কোনো ওয়ার্ডে যদি কেউ এ রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে আমাদের ফোন করলে আমাদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গিয়ে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেবে। প্রয়োজন হলে রোগীকে কাছাকাছি কোনো চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর কনক কান্তি বড়ুয়া ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।

   

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এ সময়ে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তবে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একইসময়ে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

;

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে তা বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে রাজবাড়ী সচেতন নাগরিক।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী সচেতন নাগরিক ব্যানারে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক পরীক্ষার্থী অংশ নেন।

মানববন্ধনে পরীক্ষার্থী আমজাদ আলী ভূইয়া, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার রূপা, সুরাইয়াসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়ার প্রশ্ন অনেকের হাতে পৌঁছেছে। অনেক শিক্ষার্থী ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে উত্তীর্ণ হয়েছেন। যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা হচেছ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ও মৌখিক পরীক্ষা বন্ধের দাবি করেন তারা।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

;

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওষুধসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদকের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাসাপাতালটিতে রোগীদের ওষুধ সরবরাহের অনিয়ম, চিকিৎসকের অনুপস্থিতিসহ কয়েকটি অভিযোগ তদন্তে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ জানিয়েছে।

অভিযান পরিচালনার সময়ে দলটি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও স্টোর রুমে সরকারিভাবে সরবরাহ করা ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামের কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসকের অনুপস্থিতি হাজিরা মেশিনের তথ্য সংগ্রহ করেন।

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এবং আগত সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে সেবার মানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে । হাসপাতালের হাজিরা খাতা ও বায়োমেট্রিক হাজিরা পর্যালোচনায় এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও অন্যান্যদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় সেবাদান ব্যহত হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিবেন সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চালানো হবে।

;

বেপরোয়া মাটি-বালু ব্যবসায়ী চক্র, অভিযানেও থামছে না তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ ড্রেজিং বসিয়ে মাটি ব্যবসায়ী চক্র। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলেও আবার সবকিছু ম্যানেজ করে পুনরায় মাটি কাটা শুরু করে মাটি খেকোর দল।

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, সামান্য জরিমানা করে চক্রকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

জানা যায়, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুন ব্রিজের ডানপাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী হতে বালু তোলা হচ্ছে। নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত দেদারছে মাটি তুলছেন মাটি খেকোরা। এ নিয়ে জমির মালিকরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে তোয়াক্কা করছেন না। তাদের নানাভাবে ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

মরা পদ্মায় ইসমাইল হোসেন ও মনোয়ার হোসেন মনা দাবি করেন, তারা জমির মালিকদের সাথে সমন্বয় করেই মাটি তুলছেন। তবে প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই। একইভাবে দেবগ্রাম পিয়ার আলীর মোড়ে লাল্টু, দৌলতদিয়া ক্যানালঘাটে কাদের ফকির, জিয়া, শহীদসহ বিভিন্ন স্থানে নদী ও পুকুর খনন করে মাটি ব্যবসায়ীরা ড্রেজার ও ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি-বালি তুলছেন। উত্তোলিত বালি-মাটি বিভিন্ন ইটভাটা ও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা-৪ এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্য সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, অবৈধ বালু, মাটি ব্যবসায়িদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারি বা বেসরকারি কোনো কাজের জন্যই কাউকে নদী হতে মাটি-বালি উত্তোলনের অনুমতি দেয়া হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইতিপূর্বে এ ধরনের দুটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। ভেকু ও ড্রাম ট্রাকের চালককে জরিমানা করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;