ছুটির দিনে প্রাণের বইমেলায় প্রাণোচ্ছ্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা ২৪.কম
স্টলে বইপ্রেমীদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪

স্টলে বইপ্রেমীদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বইয়ের স্টলে দাঁড়িয়ে গল্পের বই পড়ছে শিশু নির্ঝর। সে খুলনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র। বাবার সাথে এবারই প্রথম বইমেলায় এসেছে সে। বইমেলায় এসে যেনো তার আনন্দের সীমা নেই। প্রতিটি স্টলে ঘুরে ঘুরে কার্টুন, কমিকস, গল্পের বই খুঁজছে সে। নির্ঝরের মতো অনেক শিশু বইমেলা প্রাঙ্গণে এসে যেনো প্রাণের জোয়ার খুঁজে পেয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/08/1549630952255.JPG

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খুলনার বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের বইমেলা প্রাঙ্গণে দুপুর থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মেলায় প্রবেশ করেন বইপ্রেমীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গোটা বইমেলা প্রাঙ্গণ যেনো জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খুলনার একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে উঠেছে পাঠক-দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীদের পদচারণায়। বইমেলা প্রাঙ্গণে হাজারো পাঠক, লেখক, কবি- সাহিত্যিকদের যেনো এক মিলন মেলা বসেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/08/1549630968247.JPG

বইমেলার স্টলে স্টলে ভিড় করছেন বইপ্রেমীরা। কেউ কেউ বই কিনছেন, অনেকে আবার ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন, অনেকে প্রিয় লেখকের বই খুঁজছেন ঘুরে ঘুরে।

মেলায় ঘুরতে আসা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসনিয়া বারী তুনা বার্তা২৪.কম কে বলেন, প্রতি বছর বইমেলায় শুরু হলে আমরা যেনো প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পাই। বই পড়া আমার নেশা আর শখ। আমার প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ। প্রতি বছরই তার কিছু বই কিনি। তবে খুলনার বইমেলায় অনেক বই পাওয়া যায়না। তাছাড়া বইমেলায় স্থানটাও ছোট, অল্প স্টল। বড় জায়গায় মেলার আয়োজনের দাবি করেন এ শিক্ষার্থী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/08/1549630987591.JPG

বাক স্টলের মালিক কবি সুলতান মাহমুদ শ্রাবন বার্তা২৪.কম কে বলেন, এবারের বইমেলায় নতুনত্ব থাকায় পাঠক সমাগম বেড়েছে। শুরু থেকে বই বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। শুরু থেকে শেষের দিকে বই বিক্রি বেশি হয়। এখন মেলায় দর্শনার্থী বেশি। এখন বই পছন্দ করছেন পাঠকেরা, শেষ দিকে বইকেনা বেচার ধুম পরবে। বইমেলা উপলক্ষে আমরা সব বইয়ে বিশেষ ছাড় দিচ্ছি। এতে ক্রেতাদের আকর্ষণ আরও বাড়ছে।

বইমেলা প্রচার উপ-কমিটির সদস্য নূর হাসান জনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিদিনই বিকাল থেকে বইপ্রেমীরা মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমায়। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সব বয়সের মানুষের আগমনে জনসমুদ্রে পরিণত হয় মেলা প্রাঙ্গণ। সন্ধ্যার পর ভিড় বেড়ে যায় আরও। এবারের বইমেলায় বিশেষ আকর্ষণ রাখা হয়েছে লেখককুঞ্জে। এখানে প্রতিদিন লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা বসে। পাঠকরা এখানে এসে লেখকদের সাথে দেখা করার সুযোগ পান।

খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক ও বইমেলার সদস্য সচিব ড. আহসান উল্লাহ বার্তা২৪.কম কে বলেন, রাজধানীর অমর একুশে গ্রন্থমেলার পরে খুলনার এ বইমেলা দেশের ২য় বৃহত্তম বইমেলা। এবারের বইমেলায় স্টল রয়েছে সব মিলিয়ে ৯৫টি। প্রতি বছরই খুলনার এ বইমেলা লেখক-পাঠক-কবি-সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করি ভালো কিছুর আয়োজন করতে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে মেলা আয়োজন করতে পারব বলে আশা করি।

উল্লেখ্য, খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ বইমেলায় বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা, সাহিত্য সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরি অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিদিন বইমেলা বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। তবে ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। এছাড়া বিকেলে প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ, আলোচনা, নতুন লেখকদের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও শিশুদের জন্য উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীত ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বই পাঠের ব্যবস্থা আছে এবার।

   

চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ



md.nazrul
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যে চামড়া কিনেছেন তার চেয়েও কমে বিক্রির অভিযোগ করেছেন তারা। তাদের দাবি, কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে চামড়া কিনছেন।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে এই অভিযোগ করেন।

মিরপুর ৬০ ফিট এলাকায় আবু বকর মাদ্রাসার সংগ্রহ করা চামড়া নিয়ে এসেছেন খাদেম মোখসুর রহমান। তিনি বার্তা২৪. কমকে বলেন, এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ির মালিকরা তাদের কোরবানির পশুর চামড়া মাদ্রাসায় দান করেছেন। সরকার বলছে দাম নূন্যতম ১২০০ টাকা। কিন্তু এখানে এসে বিক্রি করতে হয়েছে ৬৫০ টাকায়।

মাদ্রাসার এই খাদেমের মত অভিযোগ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী কাউসার মিয়া। তিনি পান্থপথ কাঠাল বাগান এলাকা থেকে ২৯টি গরুর চামড়া কিনেছেন। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, এলাকায় চামড়া আকারভেদে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। ভ্যান ভাড়াসহ একেকটা চামড়ার দাম পড়েছে গড়ে ৮০০ টাকা। এখানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছে ছোট চামড়া দাম ৭০০ টাকা।

চামড়া কিনতে আসা এপেক্স ট্যানারির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বেশি দামে চামড়া কিনে এখন আমাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে তিনি বলেন, সরকার লবণ জাত চামড়ার সর্বোচ্চ দাম দিয়েছেন ১২০০ টাকা। সর্বনিম্ন দিয়েছেন ১০০০ টাকা। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এটা না বুঝে কাঁচা চামড়ার দাম বেশি চাচ্ছে।

এদিকে ঈদের আগে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিপিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাহিরে ১ হাজার টাকা।

;

২৪ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে করা হবে: তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপনে উৎপন্ন সৃষ্ট বর্জ্যের আনুষ্ঠানিক অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করার সময়ে তিনি একথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা গত রাত থেকেই হাট গুলো থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করে দিয়েছি এবং এই কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবো।

মেয়র আরও বলেন, দুপুর ২টার আগেই দক্ষিণ সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড হতে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। আমাদের নতুন কিছু সরঞ্জাম যোগ হওয়ার কারণে আমরা অনেক দ্রুতই বর্জ্য অপসারণ করতে পারবো।

ডিএসসিসির এলাকা গুলো পরিষ্কার করার পরেও কাউন্সিলরদেরকে পুরো এলাকা ভালোভাবে ঘুরে দেখার আহবান জানিয়েছেন মেয়র।

এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। তারা বলেন, আমরা খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে যাচ্ছি। অতিদ্রুতই বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে।

বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেজন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে তিনটি টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

;

রাজধানীতে বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহায় রাজধানীর দুই সিটিতে কয়েক লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। পশু জবাই ও কাটা-কাটিতে সৃষ্ট বর্জ্য পরিষ্কারে কাজ করছেন কয়েক হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী। সকাল থেকে মাঠে রয়েছেন তারা।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকাল সাতটা থেকে রাজধানীতে পশু কোরবানি শুরু হয়। এরপর থেকে মাঠে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। সঙ্গে থাকে আধুনিক ভেকু ও ট্রাক। ফলে দ্রুতই সরে যাচ্ছে বর্জ্য।

আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঈদের দিন রাজধানীর তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে অনুভূত হচ্ছে ৪৪ ডিগ্রী পর্যন্ত। তীব্র গরম উপেক্ষা করে সিটি করপোরেশনের হাজারো পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের একাংশ ঝাড়ু দিয়ে সড়কের ময়লা একত্রিত করে নিচ্ছেন। আরেক দল একত্রিত করা ময়লা সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আরেকটি দল শুধু কুরবানির পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। সব কিছু এক জায়গায় নিয়ে আসার পর বড় গাড়ির মাধ্যমে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডাম্পিং স্টেশনে।

ভেকু দিয়ে সরানো হচ্ছে কুরবানির বর্জ্য

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন মোহাম্মদ সবুজ। তিনি বলেন, 'আমরা সকাল থেকেই কাজ করতাছি। দুপুরের আগে সব ময়লা ক্লিয়ার করমু। গরম অনেক, একটু কষ্ট তো হইতাছে।'

একই তথ্য জানিয়েছেন আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, 'গরমে কাজ করার অভ্যাস আমগো আছে। আজকে তো তাড়াতাড়ি কাজ শ্যাষ করা লাগবো। স্যাররা আগেই কইয়া দিছে। সব ঈদেই এমন হয়।'

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ঈদের দিনের মতো ঈদের পর আরও দুইদিন একইভাবে ঘাম ঝড়াতে হবে তাদের। কারণ রাজধানীতে টানা তিনদিন পশু কুরবানি হয়। তবে মূল চাপটা আজই।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টায় নয় মাত্র ৬ ঘণ্টায় তার সিটির অলিগলিসহ সকল সড়ক পরিষ্কার করা হবে। নতুন সময় বেঁধে না দিলেও পূর্ব নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ সিটির কোরবানি বর্জ্য পরিষ্কারের কথা জানিয়েছেন মেয়র ফজলে নুর তাপস।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির ঈদে দুই সিটি করপোরেশন ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য সরানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আর হাজারের উপর যানবাহন ও যন্ত্রপাতি। এ জন্য কেনা হয়েছে নতুন নতুন যন্ত্রও।

;

বৃষ্টিতে ভিজে ঈদের নামাজ আদায় করলেন সিসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিতে ভিজে মুসল্লিদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ পড়লেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টায় সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন তিনি। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল কম।

দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাসহ দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য এই জামাতে মুসল্লিরা দোয়া করেন। এরপর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

জামাতে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি আবু হোরায়রা নোমান।

এদিকে, ঈদের জামাত শেষ করে নগর ভবনে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখায় কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে সকালের নাস্তা করেন এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজের সূচনা করেন তিনি।

অপরদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের ট্রাকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের জন্যে ১৬০০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাঠে রয়েছেন। যেকোনো প্রয়োজনে নগর ভবনে সরাসরি কিংবা হটলাইন নাম্বারে ( ০১৯৫৮২৮৪৮০৭) যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।

;