সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটিতে রয়েছে দেশবাসী। সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও আজ সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে। নেই ঈদকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীর চাপ। তবে হকারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
গরমের তীব্রতা এবং কোরবানি ঈদে মানুষের ব্যস্ততাকে দর্শনার্থী না থাকার কারণ হিসেবে দেখছেন কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আগামীকাল দর্শনার্থীর চাপ বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।
সোমবার (১৭জুন) দুপুরে রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের উপস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই দুটি স্থান। হাতেগোনা কিছু মানুষের আগমন ঘটলেও সাধারণ দিনের তুলনায় অনেক কম দর্শনার্থী ঘুরতে এসেছেন এখানে। অনেকটা অবসর সময় কাটাচ্ছেন চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হকারদের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তবে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি না থাকাই হতাশ তারা।
ময়ুরের পাখা বিক্রেতা সিরাজ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে এখানে আছি। এখন পর্যন্ত তিন থেকে চারটি ময়ূরের পাখা বিক্রি করতে পেরেছি। ছুটির দিনে অনেক মানুষ ঘুরতে আসে এখানে আমাদেরও বেচা বিক্রি ভালো হয়। কিন্তু এবার মানুষ কম তাই বেচা বিক্রিও কম।
ইন্ডিয়ান আইস গোলা নামের একটি ভ্যান নিয়ে আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, সকাল থেকে তেমন কোনো মানুষ এখানে ঘুরতে আসে নাই। আমাদেরও বেচাকেনা নেই। সন্ধ্যার আগে হয়তো একটু বেচাকেনা বাড়তে পারে তারপরেও ঠিকভাবে বলা যায় না।
এদিকে পোস্তগোলা থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা ঘুরতে এসেছেন জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, আজকে ছুটির দিন। ঈদ উপলক্ষে অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে। তাই আমিও ভাবলাম একটু ঘুরে আসি। ভেবেছিলাম অনেক চাপ থাকবে কিন্তু এসে দেখছি মানুষ খুবই কম।
তবে দর্শনার্থী না থাকার কারণ হিসেবে চিড়িয়াখানার পরিচালক ড.মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদুল আযহার দিনটাতে প্রতিবছর তুলনামূলক চাপ কম থাকে। তবে এবার আমরা যেটা খেয়াল করেছি এবার প্রচণ্ড তাপ প্রবাহের পর থেকেই দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এবারের আবহাওয়া কিন্তু মানুষের খুব একটা অনুকূলে না, সব থেকে বড় একটা বিষয়। এই আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পর কারণ মনে করছি। আমরা আশা করছি আগামীকাল দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। কারণ সাধারণত কোরবানির ঈদে মানুষ কোরবানির কাজে ব্যস্ত থাকে।