গাড়াবাড়ীয়া-হিতিমপাড়া সংযোগ সেতু হবে কবে?



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গাড়াবাড়ীয়া-হিতিমপাড়া সংযোগ স্থলের  সাঁকো। ছবি: বার্তা২৪.কম

গাড়াবাড়ীয়া-হিতিমপাড়া সংযোগ স্থলের সাঁকো। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সদর উপজেলার হিতিমপাড়া ও গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের সংযোগ স্থলে পারাপারের জন্য এখনো বাঁশের সাঁকোটিই একমাত্র ভরসা। তাইতো প্রতিদিন কর্মব্যস্ত হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি পার হয়।

দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে সেতু নির্মাণ করার ব্যাপারে অনেকে আশ্বস্ত করলেও এলাকাবাসীর দাবি পূরণ হয়নি আজও। তাই স্থানীয়দের মনে এখন একটাই প্রশ্ন কবে হবে গাড়াবাড়ীয়া-হিতিমপাড়া সংযোগ সেতু?

জানা গেছে, হিতিমপাড়া ও গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের ওই সংযোগ সড়কটি রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন কাজে হাজারো মানুষ চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিতে সেতু না থাকায় স্থানীয় লোকজন প্রতি বছর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। গ্রামের লোকজনের আর্থিক সহায়তায় সাঁকোটি তৈরি হয়। ফলে সংস্কার প্রয়োজন হলে অর্থ জোগাড় নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/28/1543384995433.gif

এলাকার চাষিরা জানায়, সদর উপজেলার বালিরমাঠ, শোলমারী, ভিটিরমাঠ, শুভরাজপুর এবং গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া, সহগলপুর, কাথুলী, ধলাসহ আশপাশের গ্রামের পথচারীরা বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য ওই সংযোগ সড়ক ব্যবহার করে। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার গাড়াবাড়ীয়া বাজারে হাট বসে। এখানে সবজি ও মাছসহ নিত্যপণ্যের কেনাবেচা করে এলাকার চাষিরা। আশপাশের গ্রামের লোকজনের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন মেটাতেই যেতে হয় ওই হাটে। কিন্তু বাঁশের সাঁকো পারাপারের ফলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।

এছাড়াও গাড়াবাড়ীয়াতে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। আশপাশের গ্রামের ছাত্রছাত্রীদেরকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসতে হলে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে।

সবজি চাষি হিতিমপাড়া গ্রামের আখের আলী বলেন, ‘গাংনী উপজেলা শহর ও গাড়াবাড়ীয়া বাজার কিংবা সদরে যেতে হলে ওই সংযোগ সড়ক দিয়ে যেতে হয়। সেতু না থাকায় আমরা যে কী পরিমাণে কষ্ট পাচ্ছি তা ভাষায় বোঝানো যাবে না।’

কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগ সড়কটিতে সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরি। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি অবহেলিত। সরকারি দপ্তরগুলোতে বারবার ধরনা দিলেও এখনো সেতু নির্মাণ হয়নি।

এলজিইডি গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেতুটি নির্মাণের চেষ্টা করব।’

 

   

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এ সময়ে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তবে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একইসময়ে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

;

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে তা বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে রাজবাড়ী সচেতন নাগরিক।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী সচেতন নাগরিক ব্যানারে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক পরীক্ষার্থী অংশ নেন।

মানববন্ধনে পরীক্ষার্থী আমজাদ আলী ভূইয়া, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার রূপা, সুরাইয়াসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়ার প্রশ্ন অনেকের হাতে পৌঁছেছে। অনেক শিক্ষার্থী ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে উত্তীর্ণ হয়েছেন। যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা হচেছ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ও মৌখিক পরীক্ষা বন্ধের দাবি করেন তারা।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

;

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওষুধসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদকের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাসাপাতালটিতে রোগীদের ওষুধ সরবরাহের অনিয়ম, চিকিৎসকের অনুপস্থিতিসহ কয়েকটি অভিযোগ তদন্তে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ জানিয়েছে।

অভিযান পরিচালনার সময়ে দলটি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও স্টোর রুমে সরকারিভাবে সরবরাহ করা ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামের কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসকের অনুপস্থিতি হাজিরা মেশিনের তথ্য সংগ্রহ করেন।

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এবং আগত সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে সেবার মানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে । হাসপাতালের হাজিরা খাতা ও বায়োমেট্রিক হাজিরা পর্যালোচনায় এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও অন্যান্যদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় সেবাদান ব্যহত হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিবেন সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চালানো হবে।

;

বেপরোয়া মাটি-বালু ব্যবসায়ী চক্র, অভিযানেও থামছে না তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ ড্রেজিং বসিয়ে মাটি ব্যবসায়ী চক্র। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলেও আবার সবকিছু ম্যানেজ করে পুনরায় মাটি কাটা শুরু করে মাটি খেকোর দল।

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, সামান্য জরিমানা করে চক্রকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

জানা যায়, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুন ব্রিজের ডানপাশে এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী হতে বালু তোলা হচ্ছে। নদীতে ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত দেদারছে মাটি তুলছেন মাটি খেকোরা। এ নিয়ে জমির মালিকরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে তোয়াক্কা করছেন না। তাদের নানাভাবে ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

মরা পদ্মায় ইসমাইল হোসেন ও মনোয়ার হোসেন মনা দাবি করেন, তারা জমির মালিকদের সাথে সমন্বয় করেই মাটি তুলছেন। তবে প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই। একইভাবে দেবগ্রাম পিয়ার আলীর মোড়ে লাল্টু, দৌলতদিয়া ক্যানালঘাটে কাদের ফকির, জিয়া, শহীদসহ বিভিন্ন স্থানে নদী ও পুকুর খনন করে মাটি ব্যবসায়ীরা ড্রেজার ও ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি-বালি তুলছেন। উত্তোলিত বালি-মাটি বিভিন্ন ইটভাটা ও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা-৪ এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্য সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, অবৈধ বালু, মাটি ব্যবসায়িদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারি বা বেসরকারি কোনো কাজের জন্যই কাউকে নদী হতে মাটি-বালি উত্তোলনের অনুমতি দেয়া হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইতিপূর্বে এ ধরনের দুটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। ভেকু ও ড্রাম ট্রাকের চালককে জরিমানা করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;