ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ আটক ৬ ডাকাত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আটককৃত ডাকাতদল / ছবিঃ বার্তা২৪

আটককৃত ডাকাতদল / ছবিঃ বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কুষ্টিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ছয় ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) গভীর রাতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুর এলাকা থেকে ডাকাতদের আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বার্তা২৪-কে জানান, সোমবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুর বালিয়াপাড়া পশুহাটের পাশে একটি ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে আমরা ডাকাতদলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলি। এসময় তাদের ৬ জনকে আটক করতে সমর্থ হয়েছি।

অভিযানে একটি দেশীয় একনলা ওয়ান শুটার গান, ৫ রাউন্ড গুলি ও তিনটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা ডাকাতি, ছিনতাই ও মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত।

আটককৃতরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার গোয়ালবাড়িয়া এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে ঝন্টু মিয়া (৪০), মহেশপুর থানার গোপালপুর স্কুলপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে মিকাইল হসেন (৩৬), কোটচাঁদপুর থানার ইকবাল হোসেনের ছেলে মামুন আল হাসান (৩৫), কোটচাঁদপুর কলেজপাড়া এলাকার আবু তালেব কারিগরের ছেলে লাভলু (২৫)।

এছাড়া বাকি দুইজন চুয়াডাঙ্গা জেলার রাজাপুর এলাকার শওকত আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান ওরফে আতিয়ার (৩২) ও আকন্দবাড়িয়া এলাকার আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে মিলন হসেন (৩০)।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

 

   

জেলে সেজে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবার চালান জব্দ করল পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের নির্দিষ্ট পোশাক পরিবর্তন করে লুঙ্গি ও গামছা পরে মাছ ধরার জেলে সেজে রাতভর সমুদ্র মোহনায় ওৎ পেতে ছিল পুলিশ। উদ্দেশ্য ইয়াবার চালান কবজা করা। অবশেষে রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে আসে ইয়াবার সর্ববৃহৎ সেই চালান। চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী এমনই এক চৌকস পরিকল্পনা এঁকে অপেক্ষা করেছিলেন রাতভর। জব্দও করেন চকরিয়ার ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ১০টা থেকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা পর্যন্ত গত একসপ্তাহ ধরে চালানো তৎপরতার পর সর্ববৃহৎ এই ইয়াবার চালান জব্দ করতে উপজেলার খুটাখালীস্থ নদীতে এ অভিযান চালানো হয়।

সোমবার বিকেলে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, ‘বিপুল ইয়াবা পাচার হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম নিয়ে জেলের ছদ্মবেশে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক পাচারকারীদের ট্রলারটি ধাওয়া করলে পাচারকারীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘মাদক পাচারকারীদের রেখে যাওয়া ট্রলার জব্দ করা হয়। ট্রলারে তল্লাশি করে ইয়াবা ভর্তি মাঝারি সাইজের ৫টি ড্রাম উদ্ধার হয়। যেখান থেকে ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।’ এটি ছিল কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহৎ ইয়াবা উদ্ধারের অভিযান।

পুলিশ জানায়- কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে পাচারের সময় এক চালানেই জব্দ করা হয় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা। প্রতি পিস ইয়াবা ৩০০ টাকা হারে জব্দকৃত এই ইয়াবার বর্তমান বাজারমূল্য ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। থানার ইতিহাসে এত বড় ইয়াবার চালান আগে কখনো উদ্ধার বা জব্দ করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পশ্চিমাংশের চকরিয়া-মহেশখালী সমুদ্র চ্যানেলের বহলতলী চিংড়িজোন এলাকায় ইয়াবা উদ্ধারের দুঃসাহসিক এই অভিযান চালায় পুলিশ।

অভিযানে ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীর সাথে ছিলেন থানার অপারেশন অফিসার রাজীব কুমার সরকার, এসআই যথাক্রমে জামাল চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, এএসআই পারভেজ মাহমুদসহ সঙ্গীয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

পুলিশ জানায়- চকরিয়া থানার ইতিহাসে এত বড় ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়নি। এবারই প্রথম এই ইয়াবার চালান জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম কেটে একে একে বের করা হয় অত্যাধুনিক মোড়কের ১২৫টি কার্ড বা পোটলা। এসব পটলার প্রতিটিতে ১০ হাজার পিস করে সর্বমোট ১২ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবার চালান জব্দ করা হলো।

এত বড় ইয়াবার চালান জব্দের একমাত্র কারিগর চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত একসপ্তাহ ধরে ইয়াবার এই চালান জব্দ করার জন্য পুলিশের চোখে ঘুম ছিল না। গোপন সোর্সের দেওয়া তথ্য শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার দিবাগত রাত থেকে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মাছ ধরার জেলে সেজে সমুদ্র উপকূলের চকরিয়া অংশের খুটাখালীর বহলতলী চিংড়িজোন এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। এতে পরদিন সোমবার ভোরে আসে ইয়াবার সেই চালান।

;

পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, পাঠ্যক্রমে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়গুলো যুক্ত করে ছোট থেকেই শিশুদের সচেতন করার তাগিদ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে টেকসই নগরায়ন ও পরিবেশের সুরক্ষা সুপারিশমালা বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশ সংরক্ষণে অভ্যাসগত দৈনন্দিন ব্যবহার পরিবর্তনের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন,  প্লাস্টিক ব্যবহারে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী বর্জ্য অপসারণে নগর সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী ভূমিকার রাখার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, সরকার এককভাবে কিছু করতে পারবে না, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। নির্বাচনের আগে যারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এমন ৪৬ জন এমপিকে নিয়ে সংসদে একটি ককাস গঠনের আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএসএইডের বাংলাদেশের অফিস ডিরেক্টর মোহাম্মদ খান, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব প্রোগ্রামস গোয়েনডোলিন অ্যাপেল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক অধ্যাপক ও ডিন, ডিপার্টমেন্ট অব কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ড. ইজাজ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল পিএআর কর্মসূচির চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক প্রদীপ কুমার রায়, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরিফ জামিল এবং সুশীলনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা নুরুজ্জামান।

;

বেনাপোল বন্দরে অমদানি নিষিদ্ধ চিংড়ির চালান আটক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যা ঘোষণায় ভারত থেকে আমদানিকৃত সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছের চালান আটক করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

সোমবার(২৯ এপ্রিল) বিকেলে বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে ৪৭০ কেজি চিংড়ি আমদানি করে সরকারের ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল।

চিংড়ির চালনটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার বুলবুল ট্রেডার্স। পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট শহিদ ট্রেডিং কর্পোরেশন।

কাস্টমস সূত্রে জানায়, মাছের চালানটিতে ঘোষণা দেওয়া হয় ৮৭ কার্টুন মাছ। যার ঘোষিত নিট ওজন ৫ হাজার ১৭ কেজি। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ট্রাকটিতে মিথ্যা ঘোষণার ১১ প্যাকেজ মাছ বেশি পায়। আমদানিকৃত চিংড়ি মাছের চালানে ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো: আব্দুল হাকিম জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারত থেকে আমদানি করা একটি সামুদ্রিক মাছের চালানের ট্রাকে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি করে ঘোষণা অতিরিক্ত ১১ প্যাকেজে ৪৭০ কেজি বড় আকারের চিংড়ি মাছ আটক করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিন লক করা হবে এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হবে জানান তিনি।

জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধপথে যাতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি বা অবৈধ পণ্য প্রবেশ না করে এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য প্রবেশ দ্বারে একটি মোবাইল স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। তবে এ স্ক্যানিং মেশিনটি দীর্ঘ ৭ মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও সেটি এখনও মেরামত হয়নি। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ বন্দর দিয়ে বৈধ পথে অনিয়ম বেড়েছে। এর আগেও এ ধরনের পণ্য চালান একাধিবার আটক করেছে কাস্টমস। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক বা সহযোগী কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেনতেন দায়সারা ব্যবস্থা নেওয়ায় থামছেনা এসব অনিয়ম।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় নিরাপদ বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

;

'পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস' সেকশন চালুর ঘোষণা দিলেন ডিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিএমপি থেকে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের অবসর পরবর্তী সকল সেবা নির্বিঘ্ন করতে পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস নামে নতুন একটি শাখা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার নতুন এই শাখা চালুর ঘোষণা দেন।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোপূর্বে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পেনশন পাওয়া অনেক কষ্টকর ছিলো। তখন তাদের সেবা সহজ করার জন্য ডিএমপিতে ‘ওয়ান স্টপ পেনশন সার্ভিস’ চালু করা হয়। এরপরও কিছু সদস্যের পেনশন পেতে কমিশনারের দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এ কারণে ডিএমপির ‘ওয়ান স্টপ পেনশন সার্ভিস’ এর সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি এখন থেকে যারা অবসরে যাবেন তাদের অবসরকালীন সময় পুলিশী সেবা সংক্রান্ত যেকোনো সহযোগিতার ক্ষেত্রে ‘পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস সেকশন’ দায়িত্ব পালন করবে। তাদের সকল সেবা নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে ডিসি হেডকোয়ার্টার্সের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে এই শাখা।

অবসরপ্রাপ্ত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন এদেশের জন্য, এদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছেন। চাকুরি জীবনে আপনাদের ত্যাগ, কষ্ট ও অবদান পুলিশ বাহিনী বিনয়ের সাথে স্মরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের চাকরি কেবল চাকরি নয়, এটি একটি ইবাদত বটে। সকল ধর্মে মানবতার সেবা ও প্রাণীর সেবা করার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ তেমন একটা চাকরি, যেখানে চাকরি করার সুবাদে মানষের সেবা করার সুযোগ রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর কখন ঘুমাতে যাবেন ঠিক থাকে না, ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি কাজ মানুষের সেবার জন্য করেন। এটি যদি নিয়ত নিয়ে করেন তাহলে চাকরির পাশাপাশি ইবাদতও হয়। আপনারাও এই মহান পেশা থেকে চাকরি জীবন শেষ করে অবসর নিয়েছেন। আমি আপনাদের সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘ আয়ু কামনা করি।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, আপনাদের দীর্ঘ দাপ্তরিক জীবন থেকে একটি সফল সমাপ্তি ঘটলো। আপনারা বাকী সময়টুকু পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে সুস্থতার সাথে বসবাস করবে এমন প্রত্যাশা রইল। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মুনির হোসেন চৌধুরী তার অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘদিন সুনামের সাথে বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করেছি। অবসর গ্রহণ করাটা চাকরির একটি অংশ। এমন সুন্দরভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ডিএমপি কমিশনার মহোদয়কে ধন্যবাদ।

অবসরপ্রাপ্ত কনস্টবল রইস উদ্দিন তার অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন পুলিশের চাকরি করে খুব সুন্দর ও আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছি। এই স্মৃতি বাকি জীবন আমার স্মরণ থাকবে। ভালোভাবে সুস্থতার সাথে অবসর যেতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।

বাংলাদেশ পুলিশে দীর্ঘ কর্মময় জীবন শেষে সম্প্রতি ডিএমপি থেকে অবসর নিয়েছেন ১৯৬ জন পুলিশ সদস্য। আজ তাঁদেরকে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। বিদায়ী পুলিশ সদস্যদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ও উপহার প্রদান করেন তিনি। অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার দুইজন, সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার ১৩ জন, পুলিশ পরিদর্শক ২৫ জন, এসআই/টিএসআই ২৭ জন, এএসআই জন/এটিএসআই ১৮ জন, নায়েক ১৯ জন, কনস্টেবল ৮৭ জন ও সিভিল স্টাফ ৫ জন।

ঢাকার বাইরে থেকে যারা বিদায় সংবর্ধনায় এসেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে তাদের জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

;