জোফরা আর্চার কে এবং কেন তিনি স্পেশাল?



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, কিন্তু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে জোফরা আর্চার

জন্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজে, কিন্তু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে জোফরা আর্চার

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরো নাম জোফরা চিওকে আর্চার। জন্মেছেন বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছেন ২০১৩ সালে। এবারের বিশ্বকাপে খেলবেন ইংল্যান্ডের হয়ে।

সাধারণত কোনো বিদেশি সাতবছর ইংল্যান্ডে বসবাস করার পরই সেদেশের হয়ে খেলার সুযোগ পান। কিন্তু ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) সম্প্রতি সেই সময়টা তিন বছরে নিয়ে এসেছে। সুযোগটা দারুণ কাজে লেগেছে  আর্চারের।

৩ মে ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে তার। এখন পর্যন্ত খেলেছেন মাত্র তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টুয়েন্টি। অথচ সেই তাকেই বিশ্বকাপ দলে নেয়ার জন্য গোটা ইংল্যান্ডে এমন কোনো জায়গা নেই যে যেখান থেকে দাবি উঠেনি। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ার থেকে শুরু করে এই সময়কার প্রায় সব ক্রিকেটার জোসেফ আর্চারকে ইংল্যান্ড দলে নেয়ার জন্য বেশ জোরেসোরেই দাবি তুলেন।

এই শ্লোগানে সম্ভবত সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেন-‘জোসেফ আর্চারকে সঙ্গে রেখে বাকি যে কোনো দশজনকে নিয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল গড়া যেতে পারে!’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558452824894.jpg

শেষপর্যন্ত সেই দাবির মুখে পড়ে ইংল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ দলে বদল আনে। বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে ছিলেন না আর্চার। চুড়ান্ত দলে সেই তিনি ঠিকই জায়গা করে নিলেন। তাকে জায়গা দিতে গিয়ে অভিজ্ঞ ডেভিড উইলিকে বাদ দিয়েছে ইংল্যান্ড। যে ডেভিড উইলি চার বছর ধরে খেলছেন ইংল্যান্ড দলে। ৪৬টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে যার। উইকেট শিকারের সংখ্যা ৫২টি।

আর্চারের মধ্যে কি এমন বিশেষ কিছু দেখতে পেয়েছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা জানি সেই প্রসঙ্গে। মুলত ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাসেক্সের হয়ে খেলে প্রথম নজরে আসেন আর্চার। তারপর বিগব্যাশ এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলে ভালো পরিচিতি পান তিনি। পারফেক্ট অলরাউন্ডার আর্চার। একহারা অ্যাথলিট শরীর। ফিল্ডিংয়েও চোস্ত। সঠিক লাইন ও লেন্থে বল রেখে ব্যাটসম্যানকে নাস্তানাবুদ করার দক্ষতা আছে তার। উইকেট শিকারি বোলার। এক্সপ্রেস গতি আছে। সঙ্গে নিশানাও নিখুঁত! ব্যাটসম্যানের গোড়ালিতে ইয়র্কার করতে পারেন। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খুব বেশি খেলা হয়নি তার। অথচ তাকে নিয়ে যেভাবে আগাম শোরগোল হচ্ছে সেই চাপ কতটুকু নিতে পারেন এই ২৪ বছর বয়সী তরুণ-সেই আশঙ্কাও থাকছে।

তবে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের ভীষণ সুবোধ এবং জিনিয়াস ছাত্র হিসেবেই মর্যাদা পাচ্ছেন জোসেফ আর্চার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558452843519.jpg

আইপিএলে টানা দুই মৌসুম রাজস্থান রয়েলসের হয়ে খেলেছেন জোসেফ আর্চার। খুব যে পারফরমেন্স আহামরি ঘরানার তাও কিন্তু নয়। রাজস্থানের হয়ে ২১ ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন ২৬টি।

তাকে নিয়ে রাজস্থান রয়েলসের তার তার সতীর্থ লিয়াম লিভিংস্টোন বলেছেন-‘আমি একাদশে তার নামটা সবার আগে লিখে দল গড়বো। জোফরা জিনিয়াস ক্রিকেটার। এখনো সে তার সম্ভাবনার পুরোটা দেখাতে পারেনি। আশা করছি সামনের তিন বছরে সে যদি বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার হয়, তবে মোটেও অবাক হওয়ার কিছু নেই! ক্লান্তিহীন ভাবে যে ৯৩ থেকে ৯৫ মাইল বেগে বোলিং করে যেতে পারে। বলের লাইন ও লেন্থের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ চমৎকার। ব্যাটিংও ভালো জানে। পুরোদুস্তর পারফেক্ট ক্রিকেটার আর্চার।’

বার্বাডোজে জোসেফ আর্চারের কোচ ছিলেন হ্যামো উইন। উইন জানাচ্ছেন-‘ সে ইংল্যান্ডে তার ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার এই সিদ্ধান্তকে আমি সন্মান জানাই। আমি বলে রাখছি বিশ্বকাপে আমি তার একটা বলও মিস করবো না। তার করা প্রতিটি ডেলিভারি দেখবো আমি। এই পর্যায়ের একজন ক্রিকেটার আমার কোচিংয়ে ছিলো এটা ভাবতেই গর্ব হচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/21/1558452866778.jpg

সাসেক্সে আর্চারের বোলিং কোচ জন লুইস কি বলছেন শুনি তা-‘গতি এবং নিখুঁত নিশানার এমন বোলার পাওয়ার সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তার কাঁধের যে গতি সেটাই তার বোলিংয়ের বিশেষত্ব। সে যখন হাঁটু উচু করে দৌড়াতে শুরু করে আমার তখন কার্টলি অ্যামব্রোসের বোলিং অ্যাকশনের কথা মনে পড়ে যায়। অ্যামব্রোসের সেই প্রভাবী বোলিংয়ের ছায়াটা আমি দেখতে পাই তার মধ্যে।’

মুলত ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে টি-টুয়েন্টিই এখন পর্যন্ত বেশি খেলেছেন জোফরা আর্চার। তিনটি আর্ন্তজাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে বোলিং করেছেন মাত্র ২২ ওভার। উইকেট শিকার তিনটি।

-তো মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না ওয়ানডেতে?

আর্চার স্মিত হাসলেন। বললেন-‘আমার মতো মনে হয় ওয়ানডেতে সুযোগ আরো বেশি। টি-টুয়েন্টিতে ৪ ওভার বল করতাম। ওয়ানডেতে আরো ৬ ওভার বেশি বোলিংয়ের সুযোগ পাবো। বেশি উইকেট নেয়ার সুযোগও থাকবে।’

পারফেক্ট ইয়র্কার, এই কথার লড়াইয়েও!

   

ভারতীয় স্পিনারদের দুষলেন মুরালিধরন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাইকারি দরে রান তুলছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আগে যেখানে ২০০ রান হতো কালেভদ্রে, সেখানে এবারের আইপিএলে বেশিরভাগ ম্যাচেই রান উঠেছে ২০০ এর অধিক। আবার সে রান তাড়া করে জয়ও পেয়েছে দলগুলো।

ক্রিকেট খেলাটা সাম্প্রতিক সময়ে যেন শুধু ব্যাটিং নির্ভর হয়ে গেছে, এমনটাই বলছেন অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষক ও দর্শকরা। বোলারদের অসহায়ত্ব প্রকাশ পাচ্ছে প্রতি ম্যাচেই। তবে এই বিষয়ে মুখ খুলে কিছুটা ভিন্ন মত প্রকাশ করলেন লঙ্কান কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। বর্তমানে তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে আছেন, তার দলই এবার আইপিএল ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ২৮৭ রানের রেকর্ড গড়েছে।

চলতি আইপিএলে এমন রান-বন্যার জন্য মূলত স্পিনারদেরই দোষ দিচ্ছেন মুরালিধরন। তার মতে, এবারের আইপিএলে রান বেশি হচ্ছে কারণ, স্পিনাররা বল ঘোরাতে পারছেন না। কিংবদন্তি এই স্পিনার নিজেও দীর্ঘদিন ব্যাটারদের নিজের স্পিন ঘূর্ণিতে নাস্তানাবুদ করেছেন। আইপিএলে ৬৬ ম্যাচে ৬৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

বরাবরের মতোই ভারতের পিচ স্পিনসহায়ক হয়ে থাকে। তবে এবারের আসরে দেখা যাচ্ছে ফ্ল্যাট উইকেট। যার ফলে রান হচ্ছে প্রচুর। এরকম পিচে স্পিনারদের দাপট নেই বললেই চলে। নেই পর্যাপ্ত টার্নও। তার ওপর স্পিনাররাও যেন বল ঘোরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করছেন না।

তিনি বলেছেন, ‘ভারতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বেশির ভাগ স্পিনারই বল ঘোরানোর চেষ্টা করছে না। আমার কাছে বল ঘোরানোটাই প্রধান মাপকাঠি। ওরা কিছুটা জোরে বল করছে, কিন্তু ঘোরাচ্ছে না। বল সুইং করাতে দেখা যাচ্ছে না।‘

স্পিনারদের ঘাটতি নিয়ে মুরালিধরন আরও বলেন, ‘স্পিনাররা যদি বল ঘোরাত বা সুইং করতে পারত, তাহলে ব্যাটারদের মস্তিষ্ক আগে থেকেই এটা জানতে পারত না। আমার মনে হয়, এ কারণেই স্পিনারদের বল ঘোরানো শিখতে হবে। যদি ওরা এটা করতে পারে, তাহলে আরও ভালো করার সুযোগ থাকবে।‘

;

বিশ্বকাপের জন্য কিউইদের দল ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরে জুনে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। এবারই প্রথমবার ২০ দল নিয়ে আইসিসির সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে এটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সবকটি ম্যাচ।

টুর্নামেন্টটি শুরু হতে এখনও সময় বাকি এক মাসের মতো। সবার আগে আজ (সোমবার) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড। ১৫ সদস্যের এই দলে প্রায় সবাই ছিলেন ২০২২ বিশ্বকাপেও। প্রথমবারের মতো মাত্র দুইজন কিউইয়ের জায়গা হয়েছে দলে, তারা হলেন রাচিন রবীন্দ্র ও ম্যাট হেনরি।

১৫ সদস্যের কিউইদের এই দলটি অভিজ্ঞতায় ভরপুর। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনে এবারের আসর মিলিয়ে নিজের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন। তবে এই ক্ষেত্রে তার চেয়েও অভিজ্ঞ টিম সাউদি, কারণ তিনি খেলবেন নিজের সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

দল নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট কিউইদের কোচ গ্যারি স্টেড। বিশ্বকাপ ভাবনায় তিনি বলেন, ‘আশা করছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠগুলো বেশ বৈচিত্র্যময় পরিস্থিতির তৈরি করবে। সেসব অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো উপযুক্ত দল আমরা পেয়েছি।‘

নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল সান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি।

ট্রাভেলিং রিজার্ভ: বেন সিয়ার্স।

;

শিরোপার দাবিদার ম্যানচেস্টার সিটি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার দৌড়ে একে অপরকে টেক্কা দিয়েই যাচ্ছে আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। শীর্ষের এই তিন দলের যেকোনো এক দল তুলে ধরবে চলতি মৌসুমের লিগ শিরোপা। তবে পয়েন্ট টেবিলের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল।

গতরাতে টটেনহামকে তাদেরই মাঠে যেয়ে হারিয়েছে আর্সেনাল। ঠিক তার পরের ম্যাচেই নটিংহাম ফরেস্টকে তাদের ঘরের মাঠে ২-০ গোলের হারিয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই রাত শেষে ৮০ পয়েন্টের সঙ্গে শীর্ষস্থান নিজেদের দখলেই রাখল আর্সেনাল, এক ম্যাচ কম খেলে ৭৯ পয়েন্টের সঙ্গে দুইয়ে আছে সিটি।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে রাখতে থাকে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ফলাফল আসে ৩২তম মিনিটে। কেভিন ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্ট থেকে নটিংহামের জালে বল জড়ান জোস্কো গাভার্ডিওল। এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে সিটি।

বিরতির পর কয়েকবার আক্রমণের সুযোগ তৈরি করলেও সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। উল্টো ৭১তম মিনিটে দলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান আর্লিং হালান্ড। এবারের গোলেও নিজের ভূমিকা বেশ ভালোমতই পালন করেছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনা। পরে কোনো দলই আর কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ম্যান সিটি।

এই জয়ের পর লিভারপুলকে টপকে পয়েন্ট তালিকায় আবারও দুইয়ে উঠে এলো গার্দিওলার দল। আর্সেনালের থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও ম্যান সিটি ম্যাচও খেলেছে আর্সেনালের থেকে একটি কম। সেই হিসেবে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে আছে তারা। কারণ পরের তিন ম্যাচেই জয় পেলে আর্সেনালের পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়াবে ৮৯ তে। অপরদিকে নিজেদের বাকি চারটি ম্যাচেই জয় তুলে নিলে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট হবে ৯১।

;

টটেনহামকে হারিয়ে শীর্ষেই রইল আর্সেনাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার জন্য চলছে ত্রিমুখী লড়াই। যেখানে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের তুলনায় কিছুটা এগিয়েই আছে আর্সেনাল। গতরাতে টটেনহামকে ৩-২ গোলে হারিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট আদায় করেছে মিকেল আর্তেতার দল, এতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তারা।

এদিন ম্যাচের শুরুর দিকেই ভাগ্য কিছুটা সহায় হয় গানারদের। ১৫তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন পিয়েরে এমিল-হয়বার্গ। এগিয়ে যেয়ে যেন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আর্সেনাল, ২৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান বুকায়ো সাকা। সাকাকে গোল করানো কাই হাভার্টজ প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে এবার নিজের গোলটিও আদায় করে নেন।

তিন গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতির পর মাঠে নেমেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিক টটেনহাম। ৬৪তম মিনিটে আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়ার ভুলে গোল পান আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডার। ম্যাচের শেষদিকে ৮৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে ব্যবধান কমান সন হিউং-মিন। তবে এক গোলে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।

এই জয়ের পর ৩৫ ম্যাচে ৮০ পয়েন্টের সঙ্গে শীর্ষেই আছে আর্সেনাল। লিগের বাকি আর তিন ম্যাচ, সবকটি ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার উদ্দেশ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে তারা।  

;