বন্ডেড লাইসেন্সের অপব্যবহার রোধে কঠোর কাস্টমস

৪ মাসে ৪ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত ৩০২



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৩০৬টি প্রতিষ্ঠানের বন্ডেড লাইসেন্সের অপব্যবহারসহ নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা। চলতি বছরের (মার্চ মাস থেকে জুন পর‌্যন্ত) ৪ মাসে প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান চালিয়ে এর প্রমাণ মিলেছে।

এর মধ্যে ৪ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল ও ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাসপেন্ড ও বিআইএন লক করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান যাতে পণ্য আমদানি করতে না পারে, সেজন্য তাদের ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর (বিআইএন) লক করা হয়েছে। এছাড়াও ২২টি প্রতিষ্ঠানের সাসপেন্ড কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকার অধীনে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৮১৩টি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৮৩টি নিষ্ক্রিয় আর সক্রিয় রয়েছে ৩ হাজার ৮৩০ প্রতিষ্ঠানের বন্ডেড ব্যবহার। তার মধ্যে ৩০৬টির বন্ডেড লাইসেন্সের অপব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ ভিত্তিতে কমিশনের কাস্টম প্রিভেন্টভ টিম পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ১০৫ অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় ৪৭টি যানবাহন আটক, ৫টি গুদাম সিলগালা এবং ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর এ অভিযানে সরকারের অন্তত ১৫৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়ও হয়েছে।

লাইসেন্স স্থগিত করা উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-থ্রিএমএস টেক্স (বিড), অ্যাকটিভ সোয়েটার লিমিটেড, আলম ইন্ডাস্ট্রিজ, আনারকলি নিটওয়্যার লিমিটেড, আরাফ নিটওয়্যার, বি. ব্রাদার্স গার্মেন্টস, বিআর নিটিং মিলস, বাংলাদেশ ড্রেসেস লিমিটেড, বন অ্যাসোসিয়েটস, বাংলাদেশ কাওয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো. লিমিটেড, থ্রেডস লিমিটেড, বেঙ্গল জিনস লিমিটেড, ব্লুটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড, বডি স্ট্রিস বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রাইট পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সিটাস ইন্টারন্যাশনাল বিডি লিমিটেড, চৈতি ক্লাসিক স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড, চিটাগং ফ্যাশন প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, চুন জি নিট লিমিটেড, কমান্ডো ফ্যাশন লিমিটেড, দারদা নিটওয়্যার লিমিটেড, ঢাকা কার্টুন অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, ডায়মন্ড প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, দোতি ফ্যাশন লিমিটেড, ইস্ট এশিয়া অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড, ইস্টার্ন পেপার কনভারটিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, ইজি অ্যাকসেসরিজ কোম্পানি লিমিটেড, অ্যাপকট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, এভার ব্রাইট পলি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইভিন্স অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড, এক্সএনসিভ ফ্যাশন লিমিটেড, এক্সপোর্ট এইড প্রাইভেট লিমিটেড (ইউনিট-২), ফা অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফিডাস অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফিন ফ্যাশন লিমিটেড ও ফরচুন অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড।

সার্বিক বিষয়ে কাস্টম বন্ড কমিশনারেট ঢাকার সহকারী কমিশনার আল আমিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যার (জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের-এনবিআর চেয়ারম্যান) একটি গতিশীল ও শক্তিশালী কাস্টমস বন্ড গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন কমিশনার এসএম হুমায়ুন কবীরকে স্যারকে। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তার নেতৃত্বে বন্ড ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সে জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনিয়ম খুঁজে বের করার জন্য ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। টিমগুলো রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে।’

আর এসব অভিযানে ৩ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বন্ডেড অপব্যবহারে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এর মধ্যে ৪ প্রতিষ্ঠানের বন্ডেড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ২২টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাসপেন্ড কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাসপেন্ড ও বিআইএন লক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, কাগজে-কলমে কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে বেশির ভাগেরই কারখানা নেই। অথচ এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ড সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করে আসছে।

কাঁচামালের মধ্যে সুতা, কাপড়, কাগজ, এক্সেসরিজ, পিপি দানা খোলা বাজারে বিক্রি করাই হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ। এক শ্রেণির অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তার সহায়তায় চক্রটি ফ্রি স্টাইলে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর নির্ধারিত বিভিন্ন স্পটে বন্ডের পণ্য দেদার বিক্রি করে আসছে। এ কারণে অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে দেশীয় বস্ত্র শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

এদিকে ঢাকা কাস্টমস বন্ড লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিলের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ব্যাংক হিসাব জব্দের মাধ্যমে পাওনা আদায়ের উদ্যোগ নিচ্ছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির পর যে পরিমাণ গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করার কথা, তা যারা করেননি তাদের কাছ থেকে সমপরিমাণ পণ্যের ডিউটি আদায় করার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ড সুবিধায় শূন্য শুল্কে কাঁচামাল আমদানি করলেও নিজস্ব কারখানা নেই উল্লেখ্য করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

অথচ শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাপড়সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য এনে পুরান ঢাকার ইসলামপুর, নয়াবাজার, বাবুবাজার, মতিঝিলের আরামবাগে বিক্রি করে ব্যাপক বাণিজ্য করে আসছিলেন অনেকে। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় বস্ত্রশিল্পের উদ্যোক্তারা।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকা বন্ড কমিশনারেটের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭০ ভাগের বেশি চোরা কারবারীর সঙ্গে জড়িত। মূলত দুইভাবে বন্ডের পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রথমত, অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বন্ড লাইসেন্স খুলে পণ্য আমদানি করে। দ্বিতীয়ত, ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাঁচামাল শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করে। আমদানি প্রাপ্যতা নির্ধারণ পদ্ধতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই এ কাজটি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

অনেক প্রতিষ্ঠানের রফতানি আদেশ যৎসামান্য থাকলেও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শুধু মেশিনের উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী প্রাপ্যতা নির্ধারণ করিয়ে নিচ্ছে। এভাবে আমদানি করা অতিরিক্ত কাঁচামাল তারা খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই কালোবাজারে শুল্কমুক্ত পণ্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত। এ চক্রটি বন্ডের কাপড় চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে খালাস হয়ে ঢাকার আশপাশের পাইকারি বাজারে নিয়ে যায়। রাতের আঁধারে নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর এলাকায় কাপড়বোঝাই গাড়ি আনলোড হয়।

এজন্য চিটাগাং রোডের অনেক বাসা-বাড়িতে অস্থায়ী গোডাউনও গড়ে উঠেছে। এসব গোপন গোডাউন থেকে সুবিধা মতো সময়ে কাপড় হাতবদল হয়। নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে সুতা, পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বন্ডের কাপড়, নয়াবাজারে কাগজ ও উর্দু রোডে পিপি দানা বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন:

বন্ডেড ওয়্যার হাউজের অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরিয়ে দিন: সালমান

বাতিল হচ্ছে চেক পয়েন্ট সিস্টেমসের বন্ড লাইসেন্স

চেক পয়েন্ট সিস্টেমসের ৪০ কোটি কর ফাঁকি

বন্ড অপব্যবহারকারীর মুখোশ উন্মোচন করুন: এনবিআর চেয়ারম্যান

   

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;