আক্রমণাত্মক ক্রিকেটেই সমাধান দেখছেন মোসাদ্দেক



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জয়ে চোখ মোসাদ্দেক হোসেনের

জয়ে চোখ মোসাদ্দেক হোসেনের

  • Font increase
  • Font Decrease

তার ওপর অধিনায়কের আস্থা অনেক। চট্টগ্রাম টেস্ট চলার সময়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়ে দেন-আফগানিস্তানের স্পিন দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে পারছে যে ক’জন, তার মধ্যে ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেকই সেরা।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেই দক্ষতার জন্যই দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে বিশাল প্রমোশন হয় মোসাদ্দেক হোসেনের। এক লাফে একেবারে ওয়ান ডাউন পজিশনে। সাকিব নাকি তাকে সেই ইনিংসে একেবারে ওপেন করানোর কথাও চিন্তা করেছিলেন! দ্বিতীয় ইনিংসে মোসাদ্দেক অবশ্য খুবই বাজে ভঙ্গিতে আউট হন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি- টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দলের জয়ে বড় ভুমিকা রাখে মোসাদ্দেকের ব্যাট। ২৪ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেন তিনি।

চট্টগ্রাম পর্বের তিনজাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচেও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন অধিনায়কের বাজির ঘোড়া। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল অনুশীলনে অংশ নেয়। অনুশীলন পর্বে ব্যাটে-বলে বাকিদের সঙ্গে মোসাদ্দেকও বেশ ভালই ঘাম ঝরালেন।


 
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচে বাংলাদেশের হিসেবটা পরিস্কার-এই ম্যাচ জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত। আর তাই জেতার জন্য ছকও বাংলাদেশ সাজিয়েছে আক্রমণাত্মক কৌশল নিয়েই। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে মিরপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৩ উইকেটে। তাও আবার একেবারে শেষ ওভারে এসে। সেই ম্যাচে দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছিলেন। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে ম্যাচ জেতার জন্য আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের বিকল্প দেখছেন না মোসাদ্দেক-‘আমাদের একটা মোমেন্টাম জরুরি। একটা ম্যাচ জেতা আসলে দরকার। এখন পর্যন্ত একটা ম্যাচ জিতেছি। আরেকটা হেরে গেছি। তাই পরের ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জেতার জন্য আমরা শতভাগ আক্রমনাত্মক ক্রিকেটই খেলবো।’

চলতি সিরিজে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম আত্মবিশ্বাসহীনতা। বিশেষ করে আফগানিস্তানের স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে কাঁপাকাঁপি করছেন, এলোমেলো শটস খেলছেন, তা দেখে পুরো ড্রেসিংরুমেই আতঙ্ক ভর করেছে যেন!

এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কি?

মোসাদ্দেকের প্রেসক্রিপশনটা এমন-‘যখন রান মিলবে না তখন ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস দুর্বল হয়ে হয়ে পড়ে এটাই স্বাভাবিক। আসলে আমরা আফগানিস্তানের কাছে ম্যাচটা হেরেছি হয়তো ২০ রানের (২৫) মতো ব্যবধানে। আত্মবিশ্বাস নিচু থাকার পরও যদি আমরা মাত্র ২০ রানে হারির তাহলে আমরা যদি আরেকটু পরিকল্পনামাফিক ব্যাটিং বা আরেকটু ক্যালকুলেশন করে খেলতে পারি তাহলে সেটা অবশ্য আমাদের জন্য ভালো হবে।’

সমস্যা হলো ক্যালকুলেশন করার সময়ই যে নিতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। তার আগেই আউট!

দলের সাম্প্রতিক ব্যাটিং সঙ্কটকে খুব বড় কোনো সমস্যা হিসেবে দেখছেন না মোসাদ্দেক। জানালেন-‘আমাদের এক্সিকিউশন সবগুলোই মোটামুটি ঠিক আছে। কিছু কিছু জায়গায় হয়তো একটু ঘাটতি রয়ে গেছে। এই কারণে ছোট ছোট গ্যাপ তৈরি হচ্ছে, অল্প রানে আমরা ম্যাচ হেরেছি। এই ফাঁক ফোঁকড় গুলো যত কমিয়ে আনা যায় ততই আমাদের জন্য ভাল।’

সমস্যা হলো সময় খুবই কম। এরই মধ্যে ফাঁক ফোকড় কমিয়ে আনতে হবে। ফাইনালে খেলতে হলে ম্যাচ জিততে হবে।

   

হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইনাল বুঝি এভাবেই জিততে হয়! কলকাতা নাইট রাইডার্স তা করে দেখাল বটে। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে ফাইনালে আসা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়েই দিল রীতিমতো। ১১৩ রানে অলআউট করে তাদের ডোবাল আইপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার গ্লানিতে। এরপর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সে রান তাড়া করে ফেলল মোটে ৬৩ বল খেলে, ৮ উইকেট হাতে রেখে। আর তাতেই এক দশক পর আবারও আইপিএলের শিরোপা যাচ্ছে কলকাতায়। আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এবারের আইপিএলে যেখানেই অধিনায়ক কামিন্স টস জিতেছেন, প্রায় সব দিনই নিয়েছেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। নেবেনই বা না কেন? দলের ওপেনিং জুটিতে যখন থাকবে ট্র্যাভিস হেড আর অভিষেক শর্মার মতো দুজন, তখন পাওয়ারপ্লেতে সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে প্রতিপক্ষের টুঁটি চেপে যে কোনো অধিনায়কই চাইবেন।

তবে এমন চাওয়া যে সব দিন কাজে দেয় না, তার প্রমাণটা তো হায়দরাবাদ পেয়েছিল কোয়ালিফায়ারেই! এই কলকাতার বিপক্ষেই শুরুতে ব্যাট করে ধসে পড়েছিল দলটার ব্যাটিং লাইন আপ। সেই ভুলটা ফাইনালেও হলো। এবার আরও বড় পরিসরে। 

ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের নিখুঁত এক ডেলিভারি স্টাম্প উপড়ে দেয় অভিষেক শর্মার। সে বলটা যেন আঘাত হানল গিয়ে সোজা হায়দরাবাদের আত্মবিশ্বাসেও। পরের ওভারে বৈভব অরোরা তুলে নিলেন ট্র্যাভিস হেডের উইকেট। ৬ রান তুলতে দুই ওপেনারকে খুইয়ে বসে হায়দরাবাদ। গোটা আইপিএল জুড়ে যে দলটা পাওয়ারপ্লেতে ভয়ের দোকান সাজিয়ে বসেছে সব দলের জন্য, সেই দলটা কি-না আইপিএল ফাইনালে পাওয়ারপ্লেতে তুলতে পারল মোটে ৪০, তাও ৩ উইকেট খরচায়!

সে ধাক্কাটা থেকে আর বেরোনো হয়নি হায়দরাবাদের। এইডেন মার্করাম, হাইনরিখ ক্লাসেনরা মিডল অর্ডারে ছিলেন বলে একটা আশার প্রদীপ জ্বলছিল হায়দরাবাদের। তবে নারাইন, রাসেলদের তোপের সামনে সে প্রদীপ নিভতে সময় নেয়নি। ৭৭ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে এক পর্যায়ে তো দুই অঙ্কে শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল দলটার।

শেষমেশ সে শঙ্কা থেকে দলটাকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে সে ২৪ রানের ইনিংস দলকে তিন অঙ্কে নিয়ে যায় বটে, কিন্তু আইপিএল ফাইনালে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়া থেকে হায়দরাবাদকে উদ্ধার করতে পারেনি। ১১৩ রানে অলআউট হয়ে নতুন নজির গড়ে আইপিএল ২০১৬ এর চ্যাম্পিয়নরা। 

ম্যাচ তো কার্যত ওখানেই শেষ! তবু প্যাট কামিন্স একটা আশা জাগিয়েছিলেন সুনীল নারাইনকে দ্রুত ফিরিয়ে। তবে সে আশাটাও উবে যেতে সময় নেয়নি। কলকাতা বিষয়টা সামলে নেয় ভেঙ্কটেশ আইয়ার আর ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে। তাদের ৯১ রানের জুটি ম্যাচের বাকি অনিশ্চয়তাটুকুও শেষ করে দেয়। দলীয় ১০২ রানে যখন গুরবাজ ফিরলেন, তখন জয়ের বন্দরটা থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে কলকাতা। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার নেমে শুধু দলের জাহাজটাকে টেনে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। তাতে ৮ উইকেটে ম্যাচটা জিতে ১০ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতে কলকাতা।

;

ফাইনালের মঞ্চে নিষ্প্রভ হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কোরবোর্ডে একটা সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রান দেখাচ্ছিল ৭৭/৭, ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে যা একদমই কাম্য নয়। সেখানে থেকে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে প্যাট কামিন্সদের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৩ রানে।

ম্যাচে যেন একক আধিপত্য দেখিয়েছে কলকাতার ফাস্ট বোলাররা। প্রথম আঘাতটা করেন অজি গতিদানব মিচেল স্টার্ক। তাকে নিয়ে হওয়া সমালোচনার যোগ্য জবাব তিনি দিয়ে দেখালেন বিগত তিন ম্যাচে, সঙ্গে আজ ফাইনালের বড় মঞ্চেও।

হারশিত রানা ও আন্দ্রে রাসেলও ছিলেন দারুণ ছন্দে, স্টার্কের মতো তারাও তুলে নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

অপরদিকে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। যে ব্যাটাররা পুরো আইপিএল জুড়েই চালিয়েছেন তাণ্ডব, গড়েছেন একাধিক রেকর্ড, তারাই আজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে এসে যেন খেই হারিয়ে ফেললেন। রানের খাতা ঠিকমতো খোলার আগেই একে একে সাজঘরে ফেরত গেছেন সবাই।

নিজেদের তৃতীয় আইপিএল শিরোপা তুলে ধরতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রয়োজন মাত্র ১১৪ রান। এই ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই কতক্ষণ জমিয়ে রাখতে পারে হায়দরাবাদ সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস)

হায়দরাবাদঃ ১১৩/১০ (১৮.৩ ওভার); কামিন্স ২৪, মারক্রাম ২০; রাসেল ৩-১৯, স্টার্ক ২-১৪।

;

কলকাতার বোলারদের তোপের মুখে হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে যেন বড়সড় ধাক্কা খেল হায়দরাবাদ। পাওয়ার-প্লের ছয় ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৪০ রান।

প্রথম ওভারের শেষ বলে মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক সুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হন অভিষেক শর্মা দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে অরোরার আউটসুইং খেলতে ব্যর্থ হন ট্র্যাভিস হেড, ব্যাটের কোণায় লেগে উইকেটরক্ষকের তালুবন্দি হয় বল। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন হেড।

দলের হাল ধরতে উইকেটে অবস্থান করেন এইডেন মারক্রাম এবং রাহুল ত্রিপাঠি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারও স্টার্কের শিকার হন রাহুল। ২১ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে হায়দরাবাদ।

পাওয়ার-প্লে শেষে হায়দরাবাদের স্কোরবোর্ডে লেখা হয় ৪০ রান। উইকেটে আছেন এইডেন মারক্রাম ও নীতিশ কুমার।

;

ফাইনাল টসে জিতে ব্যাটিংয়ে হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের ১৭ তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যেখানে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দরাবাদ।

আইপিএলের এবারের আসরে ফাইনাল ম্যাচের আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা-হায়দরাবাদ। যেখানে দুই ম্যাচেই জয়ের হাসি হেসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবশেষ আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে পাত্তাই পায়নি হায়দরাবাদ, ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছিল শ্রেয়াস আইয়ারের দল। এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪ রানের জয় পেয়েছিল তারা।

আজ ফাইনাল ম্যাচে এককভাবে ফেভারিট বলা যাচ্ছে না কাউকেই। কারণ দুই দলই চলতি আইপিএলে দেখিয়েছে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ছিল দু'দলের ক্রিকেটাররাই।

২০১৪ সালের পর কলকাতার আর শিরোপা জেতা হয়নি। এবার সেই আক্ষেপ ভুলিয়ে দিতে চান শ্রেয়াস। অপরদিকে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পেয়েই দলকে ফাইনালে তুলেছেন কামিন্স। শিরোপা তার হাতে উঠলে অধিনায়ক হিসেবে নতুন এক উচ্চতাতেই উঠবেন তিনি।

কলকাতা একাদশ: সুনীল নারাইন, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিংকু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।

হায়দরাবাদ একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠি, এইডেন মার্করাম, নীতিশ কুমার, হেনরিখ ক্লাসেন (উইকেটরক্ষক), শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, জয়দেব উনাদকাট, টি নটরাজন।

;