রাজধানীতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল

  • Font increase
  • Font Decrease

সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ঢাকায় পা রেখেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে সোমবার সকালে রাজধানীতে এসেছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল। যদিও বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টে জিম্বাবুয়ে অংশ নিতে পারবে কীনা এনিয়ে শঙ্কা ছিল। হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সদস্যপদ স্থগিত করে তাদের। তারপরই প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশে আসবে তো জিম্বাবুয়ে দল?

সেই প্রশ্নের উত্তরটা মিলেছে। সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন দলটির ক্রিকেটাররা। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে উঠেছে সফরকারী দল।

ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবেন মাসাকাদজা। ৩৬ বছর এই ক্রিকেটার সিরিজের সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পরই দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা।

বোর্ডের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করে আইসিসি। তারপরই ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। তবে এরপরই জানা যায়-জিম্বাবুয়ে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বা অন্য টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে।

১১ সেপ্টেম্বর ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে। যেখানে মাসাকাদজাদের প্রতিপক্ষ বিসিবি একাদশ।

আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মিরপুরে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজ। টুর্নামেন্টের অন্য দল আফগানিস্তান। সিরিজের ফাইনাল ২৪ সেপ্টেম্বর।

জিম্বাবুয়ে দল-
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), রেগিস চাকাভা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, শেন উইলিয়ামস, নেভিল মাদজিভা, টিনোতেন্দা মুতুমবদজি, টনি মুনিয়ঙ্গা, কাইল জার্ভিস, টেন্ডাই চাতারা, ক্রিস্টোফার এমপোফু, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, আইন্সলে এনডলোভু, তিমিসেন মারুমা ও রায়ান বার্ল।

   

হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইনাল বুঝি এভাবেই জিততে হয়! কলকাতা নাইট রাইডার্স তা করে দেখাল বটে। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে ফাইনালে আসা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়েই দিল রীতিমতো। ১১৩ রানে অলআউট করে তাদের ডোবাল আইপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার গ্লানিতে। এরপর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সে রান তাড়া করে ফেলল মোটে ৬৩ বল খেলে, ৮ উইকেট হাতে রেখে। আর তাতেই এক দশক পর আবারও আইপিএলের শিরোপা যাচ্ছে কলকাতায়। আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এবারের আইপিএলে যেখানেই অধিনায়ক কামিন্স টস জিতেছেন, প্রায় সব দিনই নিয়েছেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। নেবেনই বা না কেন? দলের ওপেনিং জুটিতে যখন থাকবে ট্র্যাভিস হেড আর অভিষেক শর্মার মতো দুজন, তখন পাওয়ারপ্লেতে সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে প্রতিপক্ষের টুঁটি চেপে যে কোনো অধিনায়কই চাইবেন।

তবে এমন চাওয়া যে সব দিন কাজে দেয় না, তার প্রমাণটা তো হায়দরাবাদ পেয়েছিল কোয়ালিফায়ারেই! এই কলকাতার বিপক্ষেই শুরুতে ব্যাট করে ধসে পড়েছিল দলটার ব্যাটিং লাইন আপ। সেই ভুলটা ফাইনালেও হলো। এবার আরও বড় পরিসরে। 

ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের নিখুঁত এক ডেলিভারি স্টাম্প উপড়ে দেয় অভিষেক শর্মার। সে বলটা যেন আঘাত হানল গিয়ে সোজা হায়দরাবাদের আত্মবিশ্বাসেও। পরের ওভারে বৈভব অরোরা তুলে নিলেন ট্র্যাভিস হেডের উইকেট। ৬ রান তুলতে দুই ওপেনারকে খুইয়ে বসে হায়দরাবাদ। গোটা আইপিএল জুড়ে যে দলটা পাওয়ারপ্লেতে ভয়ের দোকান সাজিয়ে বসেছে সব দলের জন্য, সেই দলটা কি-না আইপিএল ফাইনালে পাওয়ারপ্লেতে তুলতে পারল মোটে ৪০, তাও ৩ উইকেট খরচায়!

সে ধাক্কাটা থেকে আর বেরোনো হয়নি হায়দরাবাদের। এইডেন মার্করাম, হাইনরিখ ক্লাসেনরা মিডল অর্ডারে ছিলেন বলে একটা আশার প্রদীপ জ্বলছিল হায়দরাবাদের। তবে নারাইন, রাসেলদের তোপের সামনে সে প্রদীপ নিভতে সময় নেয়নি। ৭৭ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে এক পর্যায়ে তো দুই অঙ্কে শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল দলটার।

শেষমেশ সে শঙ্কা থেকে দলটাকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে সে ২৪ রানের ইনিংস দলকে তিন অঙ্কে নিয়ে যায় বটে, কিন্তু আইপিএল ফাইনালে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়া থেকে হায়দরাবাদকে উদ্ধার করতে পারেনি। ১১৩ রানে অলআউট হয়ে নতুন নজির গড়ে আইপিএল ২০১৬ এর চ্যাম্পিয়নরা। 

ম্যাচ তো কার্যত ওখানেই শেষ! তবু প্যাট কামিন্স একটা আশা জাগিয়েছিলেন সুনীল নারাইনকে দ্রুত ফিরিয়ে। তবে সে আশাটাও উবে যেতে সময় নেয়নি। কলকাতা বিষয়টা সামলে নেয় ভেঙ্কটেশ আইয়ার আর ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে। তাদের ৯১ রানের জুটি ম্যাচের বাকি অনিশ্চয়তাটুকুও শেষ করে দেয়। দলীয় ১০২ রানে যখন গুরবাজ ফিরলেন, তখন জয়ের বন্দরটা থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে কলকাতা। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার নেমে শুধু দলের জাহাজটাকে টেনে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। তাতে ৮ উইকেটে ম্যাচটা জিতে ১০ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতে কলকাতা।

;

ফাইনালের মঞ্চে নিষ্প্রভ হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্কোরবোর্ডে একটা সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রান দেখাচ্ছিল ৭৭/৭, ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে যা একদমই কাম্য নয়। সেখানে থেকে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে প্যাট কামিন্সদের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৩ রানে।

ম্যাচে যেন একক আধিপত্য দেখিয়েছে কলকাতার ফাস্ট বোলাররা। প্রথম আঘাতটা করেন অজি গতিদানব মিচেল স্টার্ক। তাকে নিয়ে হওয়া সমালোচনার যোগ্য জবাব তিনি দিয়ে দেখালেন বিগত তিন ম্যাচে, সঙ্গে আজ ফাইনালের বড় মঞ্চেও।

হারশিত রানা ও আন্দ্রে রাসেলও ছিলেন দারুণ ছন্দে, স্টার্কের মতো তারাও তুলে নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

অপরদিকে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। যে ব্যাটাররা পুরো আইপিএল জুড়েই চালিয়েছেন তাণ্ডব, গড়েছেন একাধিক রেকর্ড, তারাই আজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে এসে যেন খেই হারিয়ে ফেললেন। রানের খাতা ঠিকমতো খোলার আগেই একে একে সাজঘরে ফেরত গেছেন সবাই।

নিজেদের তৃতীয় আইপিএল শিরোপা তুলে ধরতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রয়োজন মাত্র ১১৪ রান। এই ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই কতক্ষণ জমিয়ে রাখতে পারে হায়দরাবাদ সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (১ম ইনিংস)

হায়দরাবাদঃ ১১৩/১০ (১৮.৩ ওভার); কামিন্স ২৪, মারক্রাম ২০; রাসেল ৩-১৯, স্টার্ক ২-১৪।

;

কলকাতার বোলারদের তোপের মুখে হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে যেন বড়সড় ধাক্কা খেল হায়দরাবাদ। পাওয়ার-প্লের ছয় ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৪০ রান।

প্রথম ওভারের শেষ বলে মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক সুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হন অভিষেক শর্মা দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে অরোরার আউটসুইং খেলতে ব্যর্থ হন ট্র্যাভিস হেড, ব্যাটের কোণায় লেগে উইকেটরক্ষকের তালুবন্দি হয় বল। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন হেড।

দলের হাল ধরতে উইকেটে অবস্থান করেন এইডেন মারক্রাম এবং রাহুল ত্রিপাঠি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারও স্টার্কের শিকার হন রাহুল। ২১ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে হায়দরাবাদ।

পাওয়ার-প্লে শেষে হায়দরাবাদের স্কোরবোর্ডে লেখা হয় ৪০ রান। উইকেটে আছেন এইডেন মারক্রাম ও নীতিশ কুমার।

;

ফাইনাল টসে জিতে ব্যাটিংয়ে হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের ১৭ তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যেখানে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দরাবাদ।

আইপিএলের এবারের আসরে ফাইনাল ম্যাচের আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা-হায়দরাবাদ। যেখানে দুই ম্যাচেই জয়ের হাসি হেসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবশেষ আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে পাত্তাই পায়নি হায়দরাবাদ, ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছিল শ্রেয়াস আইয়ারের দল। এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪ রানের জয় পেয়েছিল তারা।

আজ ফাইনাল ম্যাচে এককভাবে ফেভারিট বলা যাচ্ছে না কাউকেই। কারণ দুই দলই চলতি আইপিএলে দেখিয়েছে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ছিল দু'দলের ক্রিকেটাররাই।

২০১৪ সালের পর কলকাতার আর শিরোপা জেতা হয়নি। এবার সেই আক্ষেপ ভুলিয়ে দিতে চান শ্রেয়াস। অপরদিকে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পেয়েই দলকে ফাইনালে তুলেছেন কামিন্স। শিরোপা তার হাতে উঠলে অধিনায়ক হিসেবে নতুন এক উচ্চতাতেই উঠবেন তিনি।

কলকাতা একাদশ: সুনীল নারাইন, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রিংকু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, বৈভব অরোরা, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।

হায়দরাবাদ একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, রাহুল ত্রিপাঠি, এইডেন মার্করাম, নীতিশ কুমার, হেনরিখ ক্লাসেন (উইকেটরক্ষক), শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, জয়দেব উনাদকাট, টি নটরাজন।

;