নারীর স্বাধীনতা ও অধিকারের উপর গুরুত্ব দেব: মঞ্জু



অন্তু মুজাহিদ স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
মজিবুর রহমান মঞ্জু / ছবি: বার্তা২৪

মজিবুর রহমান মঞ্জু / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মজিবুর রহমান মঞ্জু। জন-আকঙ্খার বাংলাদেশের সমন্বয়ক। অধুনালুপ্ত ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরুার কর্মপরিষদ সদস্য হিসেবে। এর আগে ২০০৩ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর গড়ে তুলেছেন নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ জন-আকাঙ্খার বাংলাদেশ। শিগগিরই নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছেন নতুন রাজনৈতিক দলের।

বার্তা২৪.কম এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে হঠাৎ কেন নতুন দল গঠনের উদ্যোগ নিলেন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইস্যুতে আমি যেহেতু (জামায়াতের) দলের সমালোচনা করেছি সেহেতু যদি কোনো দল বা প্ল্যাটফর্ম করার চিন্তা করি সেখানে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা মতাদর্শের জায়গায় যেতে চাই না, আমরা অধিকারের কথা বলতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টা আমাদের ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট করেছি। যেহেতু আমি সমালোচনা করে বলেছি, সেহেতু একটা দায় আমার ওপর চলে আসে। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করছি এরকম একটা রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করতে। তাছাড়া লোকজন বলবে, তোমরা এতো ভালোভালো কথা বলো, তোমরা করছো না কেন? সুতরাং এটা আমাদের অঙ্গিকার। আমরা করার চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা ধর্মভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করছি না। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আমরা একিভূত করব। একটা ইনক্লুসিভ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম করার চিন্তা করছি। আমাদের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎসস্থল ইসলামের উদার ঐতিহ্য, সাম্যের দর্শন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার দায়িত্বানুভূতি। ধর্ম মানুষকে একটি সুন্দর জীবনের দিকে ধাবিত করে। কিন্তু যিনি ধর্ম মানেন না, যিনি ধর্ম থেকে দূরে আছেন তিনিও তো রাষ্ট্রের নাগরিক। সবাইকে নিয়ে রাষ্ট্রের যে মূল দর্শন সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারের কথা বলা হচ্ছে যেখানে ধার্মিক বা অধার্মিক প্রত্যেকের সমান ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকবে।

মঞ্জু বলেন, ‘আমি মনে করি, কোনো দল বা মতের আদর্শ না। যে আদর্শ আমার মধ্যে লালন করি, তা ইসলামের অনুপ্রেরণা। একজন মানুষ হিসেবে মানবিক সত্তা আমার মধ্যে আছে। এটাই আমার অনুপ্রেরণার উৎস।’

 

মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ লোকদের কাছ থেকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করতো মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কি? আমরা সবসময় যে উত্তরটা পেয়েছি, মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত রাজনৈতিকভাবে এর বিরোধিতা করেছিল। একটা ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের জন্য তারা সমর্থন দিয়েছিল। সুতরাং আমি মনে করি, জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল সেকথা তারা স্বীকারও করে। আমরা বারবার বলেছি, এই অবস্থানকে জামায়াতের পরিষ্কার করতে হবে।’

নতুন মোড়কে উন্মোচিত হওয়া জন আকাঙ্খার বাংলাদেশের বিষয়ে মঞ্জু বলেন, ‘কেউ বলছে এটা জামায়াতের বি টিম, কেউ বলছে জামায়াতেরন এক্সিট প্ল্যান হিসেবে করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন এটা সরকারের প্ল্যান। তাদের প্ল্যানে আমরা পা দিয়েছি। দু ধরনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। একদিকে, সরকার আমাদের চাপে রেখেছে। আবার জামায়াতে ইসলামী আমাদের সংশয়ে রেখেছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, এটা জামায়াতের কোন অংশ নয়, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন কাজটা শুরু করব, লোকদের কাছে যাব। এর আগে অনেক দল-মতের লোক আমাদের কাছে এসেছে জানতে চেয়েছে। আমরা কিন্তু কাউকে বলিনি। সংবাদ সম্মেলন করার পর নানা প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এভাবে যুক্ত করতে চাই আমরা। সেখানে, কে কোন দলের বা মতের সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের চিন্তার সঙ্গে যারা একমত, তাদেরকে নিয়ে চলতে একটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।’

পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ একটা আলাদা সত্তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একইভাবে দেশ, সমাজও আলাদা সত্তা। প্রত্যেকের আলাদা সমাজ সংস্কৃত একটা ব্যবহারিক জীবনের ধারা আছে। একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি আছে। সেজন্য তুরস্ক, মিশর, মালয়েশিয়া, তিউনেশিয়া, ভারত বা পকিস্তান প্রত্যেকেরই সামাজিক ব্যবস্থা আলাদা। রাজনৈতিক অবস্থান আলাদা। সুতরাং তুরস্কে যেটা হয়েছে, এখানে সেটা করতে হবে, এটা সঠিক নয়। আবার এটাও সত্য যে, বিশ্বায়নের যুগে এক ধরনের তত্ব বা আচরণ গড়ে ওঠে যেটা এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় মানুষ শেখে। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আমরা নেব। কিন্তু কোনো আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে কপি করে কোনো রাজনৈতিক দর্শন তৈরি করা ভুল পদক্ষেপ।

নারী হোক পুরুষ হোক সবাইকে যোগ্যতা দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে জানিয়ে মঞ্জু বলেন, ‘কেউ নারী বলে পিছিয়ে দেবেন, পুরুষ বলে পিছিয়ে রাখবেন এটা একটা বৈষম্য। কিন্তু লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য আপনি অযোগ্য একজন নারীকে বসিয়ে দেবেন সেটাও এক ধরনের বৈষম্য। সুতরাং যৌক্তিকভাবে আমরা নারী পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে আমরা বিশ্বাস করি। পুরুষ শাসিত সমাজ হওয়ার কারণে বাংলাদেশে নারীরা এখনো অবহেলিত। নারীরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। সে জায়গা থেকে নারিদের উঠিয়ে আনতে হবে। নারী স্বাধীনতা ও নারী অধিকারের উপর আমরা গুরুত্ব দেব।’

   

আরও ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের আরও ৫৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চার জন ও বুধবার (১৫ মে) ৫১ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

গত ৮ মে থেকে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নেতাকর্মীরা। এ কারণে প্রথমে তাদের শোকজ এবং পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কার করছে দলটি। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে।

প্রথম পর্বে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলিয়ে অন্তত ১৪৯ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে দলটি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

;

সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন

সর্বস্ব খুইয়ে স্বদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

সেদিন ছিল কালবৈশাখীর তাণ্ডব। সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি, আছে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা। তবে সব কিছু উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকাল সাড়ে চারটায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ৭০৭ বোয়িং বিমানটি।

মুষলধারার বৃষ্টি-বাদলা উপেক্ষা করে গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিল এসে থামে বিমানবন্দরের সামনে। মানুষের স্রোতে ভেঙে পড়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রানওয়ের দুই পাশে লাখ লাখ মানুষ, তার মাঝে পদ্ম হয়ে নেমে আসলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন নেমে আসেন বিমান থেকে, তার চোখে পানি, সে পানি মুছে দিচ্ছে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসা আকাশের কান্না। সেই সাথে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারপাশ। কালো ডোরাকাটা তাঁতের মোটা শাড়ি পরা শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসন জীবন কাটিয়ে আবারও পা রাখেন দেশের মাটিতে। নেমে এসে মিশে গেলেন মানুষের স্রোতে।

সর্বস্ব হারিয়ে মেয়ে পুতুলকে নিয়ে সেদিন দেশে ফিরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তবে বাবা-মা, ভাইদের হারালেও তিনি যে একা নন বরং পুরো দেশই তার পরিবার, সে কথা মনে করিয়ে দিতে ভুল করেনি উপস্থিত জনতা। সেদিনের সে জনতা ‘পিতৃহত্যার বদলা নিতে/লক্ষ ভাই বেঁচে আছে, শেখ হাসিনার ভয় নাই/রাজপথ ছাড়ি নাই' এমনই নানা স্লোগানে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন একজন বোন হিসেবে, একজন পরিবারের পরম আপনজন হিসেবে।

একদিকে কালবৈশাখীর চোখরাঙানি অন্যদিকে লক্ষ জনতার একবার বঙ্গবন্ধুরকন্যাকে দেখার তৃষ্ণা। এর মধ্য দিয়ে সেদিনের ঢাকা শহর হয়ে উঠে এক স্তব্ধ নগরী। যে কারণে বিমানবন্দর থেকে বনানী হয়ে শেরে বাংলা নগরে আসতে সময় লেগে যায় সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি। কিছু দুষ্কৃতিকারীর হাতে পরিবারের সবাইকে হারালেও প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠেননি তিনি। বরং হাঁটলেন পিতার দেখানো পথে। তাই তো সংবর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশ্যে কন্যা তার বাপের মত করেই বললেন, 'পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই।’

আপ্লুত শেখ হাসিনা সেদিন আরও বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছু নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। জীবনের ঝুঁকি নিতেই হয়, মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।’

সেই যে প্রতিজ্ঞা, পিতার দেখানো স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞা, সে প্রতিজ্ঞা পূরণে দেশে ফিরেই হাল ধরেন আওয়ামী লীগের। নানা লড়াই, সংগ্রাম ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে শক্তিশালী করেন দলকে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আস্থা ফিরিয়ে আনেন নেতাকর্মীদের মাঝে। সে আস্থার সুফল পান ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

ক্ষমতায় এসেই মনোযোগী হন দেশ গঠনে, বাবার স্বপ্ন পূরণে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাত্র পাঁচ বছরে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেন। করেন গঙ্গা চুক্তি। কোন তৃতীয় পক্ষ ছাড়ায় অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে করেন শান্তি চুক্তি। এছাড়াও বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব জায়গায়, জনগণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে গ্রহণ করেন নানা কার্যক্রম।

তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। এরপর আবারও ঘটে ১৯৭৫ সালের মত আরেকটি নিকৃষ্ট ঘটনা। তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে হয় গ্রেনেড হামলা। তবে তার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান নেতাকর্মীরা। প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে নিহত হন দলটির ২৪ জন নেতাকর্মী।

তবে এসব কিছুতেও দমে যাননি জাতির পিতার কন্যা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পিছপা হননি এক পাও। তাই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে 'মাইনাস-টু ফর্মুলা'ও টলাতে পারেনি তাকে। সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আবারও বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তারপর থেকে টানা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে দেশ চালানোর দায়িত্বে আছে আওয়ামী লীগ।

এই সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বের কারণেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের। বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাসেবা, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, অবকাঠামো, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি লাভ করেছে। হয়েছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে সব বাধা অতিক্রম করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যথার্থ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলছেন তিনি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। মহাকাশে উড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- যা ছিল এক সময় কল্পনারও অতীত। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার।

;

আওয়ামী লীগ কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক

আওয়ামী লীগ কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনোদিন কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনোদিনও কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ ৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তানি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জেনারেল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনতার জয়ের মধ্য দিয়ে ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই করেছে।

তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার সামরিক অফিসারকে আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন গঙ্গা পানির চুক্তি সমাধান করেননি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে আছে, সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে কোনো আতাত করে না।

বিএনপির লজ্জা নেই এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ওরা বেহায়া, ওদের লজ্জা নেই। মির্জা ফখরুল আপনারা যা বলবেন বুঝে শুনে বলবেন। ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪ এর নির্বাহী পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. আফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী প্রমুখ।

;

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের খাবার বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এতিমখানায় খাবার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করে দলটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় অতিথিরা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিলো দুষ্কৃতকারীরা। তবে সে সময় জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই আজকে দেশের এতো উন্নয়ন। শৃঙ্খল মুক্ত গণতন্ত্র। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তিনি ফিরে এসেছেন বলেই আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হবার স্বপ্ন দেখছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

;