সন্দ্বীপে সি-ট্রাক বা ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করে দেব: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,`সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে আমরা সন্দ্বীপকে আলোকিত করেছি। আমি জানি যোগাযোগের অসুবিধা, ওখানে সি-ট্রাক বা ভালো একটি ল্যান্ডিং স্টেশন আমরা তৈরি করে দেব। যাতে চলাচলের অসুবিধা না হয়, আমরা ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেব।‘

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী সন্দ্বীপবাসির উদ্দেশ্যে বলেন, `আপনাদের আন্তরিক অভিনন্দন, ধন্যবাদ। বারবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করার জন্য।‘

ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর সন্দ্বীপে থানার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,‌ ‌`মনে আছে ঘূর্ণিঝড়ের পর আমি ওখানে ছিলাম। অনেকদিন থেকে ওইসব এলাকায় রিলিফের কাজ করেছি। প্রায় ১০ লাখ সোলার প্যান দিলাম। এবার তো সাবমেরিন কেবল দিয়ে আমরা সন্দ্বীপকে আলোকিত করেছি। আমি জানি ওখানে যোগাযোগের অসুবিধা, আমরা ওখানে সী-ট্রাক বা ভালো একটি ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করে দেব। যাতে করে চলাচলে অসুবিধা না হয়। একটা ডেট তৈরি করে দিব উন্নতমানের, আমরা ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেব। আশা করি, ৭ জানুয়ারি আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের মিতাকে আপনারা জয়যুক্ত করবেন। আমি মনোনয়ন দিয়েছি, আপনারা তাকে জয় করবেন।‘

এ সময় সন্দ্বীপ এলাকার একজন নতুন ভোটার ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া গৃহহীন এক নারীর কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী।

সন্দ্বীপ এবি কলেজের শিক্ষার্থী মো. আরাফাত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতেছি। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল যে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব। আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের সন্দ্বীপের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমরা সন্দ্বীপবাসীর আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে আমাদের বিদ্যুৎ দিয়েছেন, বেড়িবাঁধের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, একটি মডেল মসজিদ আর জাহাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমি যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করি, ওই কলেজে আপনি ৬ তলা ভবনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমাদের একটাই চাওয়া, আমাদের যে নৌ পথের ব্যবস্থা, এই নৌ পথ যেন সড়কপথ হয়।

আরাফাত আরও বলেন, আমি একজন তরুণ ভোটার হিসেবে আমাদের সন্দ্বীপের সকল তরুণ ভোটারদের বলতে চাই, মাঠ বাংলাদেশ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নৌকায় মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে। এবং পরিশেষে আমি একটা কথা বলি, আল্লাহ যেন আপনাকে দীর্ঘ হায়াত দান করে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

এরপর কথা বলেন উপহারের ঘর পাওয়া দিঘারপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা কাজল। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আমরা যারা গৃহহীন ছিলাম বা যাদের কোনো আশ্রয় ছিল না, আপনি আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ। আমাদের দ্বীপরত্ন মাহফুজুর রহমান মিতার কাছেও কৃতজ্ঞ। আপনার উদ্যোগে ওনার প্রচেষ্টায় আমরা ৪৩০ পরিবার আশ্রয় পেয়েছি, যাদের কোনো ঠিকানা ছিল না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চারটা দাবি জানান কাজল। তিনি বলেন, আমাদের দিঘার পার আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। আমাদের ওখানে ৬০০ পরিবার, ওখানে কোন স্কুল নেই। আর একটা হাসপাতালের প্রয়োজন। ওখানে অনেক বাচ্চারা আছে, তাদের শিক্ষা প্রয়োজন। গর্ভবতী মায়েরা আছে, তাদের স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন। আমাদের ওখানে যে নারীরা আছে, তাদের অনেকের স্বামী নেই। ওদের পরিবারে কর্মক্ষম কোন লোক নেই। কোন কাজের ব্যবস্থাও নেই। আমরা চাই আমাদের নারীদের জন্য যেন একটা কাজের ব্যবস্থা যেন করে দেওয়া হয়। কারণ আমরা কারো করুণার পাত্র হতে চাই না।

প্রতিত্তোরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্দ্বীপবাসীসহ সংগঠনের নেতাকর্মী সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। এটাই চাই সন্দ্বীপবাসীর কাছে। আর আশ্রয়হীন, ভূমিহীন, যাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছি এখন আর গৃহহীন নেই। এখন তারা ঘরের মালিক। আর বাচ্চাদের শিক্ষার ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং মেয়েদের কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার, আমরা করে দেব। সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুৎ দিয়েছি ওখানে, ছোটখাটো ইন্ডাস্ট্রিও হবে ভবিষ্যতে।

বক্তব্য শেষে ইঞ্জিনিয়ার মো. মোমেনের সার্বিক নির্দেশনায় আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ অংশে চট্টগ্রাম-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর পর আপনি আজকে সন্দ্বীপবাসীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। প্রথম ২০১৮ সালে বিদ্যুৎ উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন। আজকে আপনার মাধ্যমে একটি আলোকিত সন্দ্বীপ পেয়েছি। আপনি সন্দ্বীপের মানুষকে অভূতপূর্ব উন্নয়ন দিয়েছেন। সেজন্য সন্দ্বীপবাসী আজকে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ, আপনার কাছে ধন্য। আমরা আপনার দীর্ঘ হায়াত কামনা করি। এবং আমরা আগামী দিনে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সন্দ্বীপের সংযোগ চাই। আমরা একটি সেতুর স্বপ্ন আপনাকে নিয়ে দেখতে চাই। এখানে ১৫-২০ হাজার নেতা কর্মী উপস্থিত হইতে শুধু আপনাকে দেখার জন্য আপনার কথা শোনার জন্য। আপনি আমাদের সন্দ্বীপবাসীকে অনেক কিছু দিয়েছেন, কৃতজ্ঞ। আমি শুধু আপনার কাছে চাই, আপনার ভোটটুকু প্রয়োজন। আমার বাবাকে তিনবার মনোনয়ন দিয়েছেন। আমাকে তিনবার মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ, আমি ধন্য।

এসময় মিতা প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনউদ্দিন মিশন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

   

দেশকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ অন্যান্য নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও বেশি মাত্রায় বেপরোয়া, কর্তৃত্ববাদী ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ ভিন্ন মত ও পথের মানুষের ওপর দমন—পীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে দখলদার সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে এক সর্বগ্রাসী অরাজকতার ডালপালা বিস্তার লাভ করেছে। আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের দুঃশাসন প্রলম্বিত করতেই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।

;

‘সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে 'সিম্প্যাথি কার্ড' খেলার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি একথা বলেন। এতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন; প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন। জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে 'সিম্প্যাথি কার্ড' খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতৃবৃন্দ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাঁর সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে! বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল।

সেতুমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দ টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বোঝা উচিত, বিরোধী দল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয় হবে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে।

আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। সে সকল কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনও শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

;

‘উন্নয়নের নামে দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নের নামে সরকার গোটা দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গরমে অতিষ্ঠ অসহায় মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জনগণের এই দুঃসময়ে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা এই তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এদেশে নাকি অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ কী করেছে? সরকার গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। দাবদাহে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন মারা গেছে।

পুলিশের সহায়তায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকার ঘটিয়েছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যা করছে পুলিশও তাই করছে। সেভাবেই পুলিশকে গড়ে তুলেছে শেখ হাসিনা সরকার।

পুলিশকে সত্যের পক্ষে এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেনজীর আহমেদ, আসাদুজ্জামানদের ব্যবহার করেছেন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী প্রমুখ।

;

আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ : মির্জা ফখরুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও হিংস্র করে তুলেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবুসহ আরও অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলালসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তা অস্বীকার করেছে।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ।

;