ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন

সরে গেলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানা আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বর্জনের বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণার কথা জানান।

রুমানা আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই রুমানা আহমেদ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২২ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তবে রুমানা আহমেদ তার প্রার্থিতায় অনড় ছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

ব‌হিষ্কারের বিষয়ে রুমানা আহমেদ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসা ছিল তার জন্য অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য দলীয় নীতি-নির্ধারক এবং মেহেরপুর জেলার নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রুমানা আহমেদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান।

   

প্রবৃদ্ধিতে চীনকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইএমএফের কর্মকর্তারা সেদিন বলে গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত খুব মজবুত। এই অবস্থা চলতে থাকলে প্রবৃদ্ধিতে এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারত আমাদের চেয়ে একটু এগিয়ে থাকবে। এমনকি চীন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের কম প্রবৃদ্ধি হবে। আইএমএফ এটা ঘোষণা করে গেছে।

শনিবার (১১ মে) মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন। অনেকেই অপবাদ দেবে, মিথ্যাচার করবে, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, কান দেবেন না। এই সংকট কেটে যাবে। আবারও সুদিনের অপেক্ষায় আমরা থাকতে পারব।

বিএনপি এখন আবার চাঙা উল্লেখ করে কাদের বলেন, যখন টেলিভিশনে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছে, বিএনপি নেতারা আবার চাঙা হয়ে গেছেন। আবার ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছে। অথচ লু আসছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্ন পূরণের জন্য আমেরিকাও আর আসবে না। কেউ আসবে না। লন্ডন থেকে ডাক দিয়ে কোন লাভ হবে না।

বিএনপি নাটক সাজায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কত নাটক, জর্জ মিয়া নাটক, মিয়া আরেফি নাটক। বাইডেনের উপদেষ্টা বানিয়ে নয়া পল্টনে কি নাটকই না তারা বানিয়েছিল। মনে আছে? মিয়া আরেফি ইংরেজিতে কথা বলে, হঠাৎ পুলিশ দিল পিটুনি, পিটুনি খেয়ে বরিশালের স্থানীয় ভাষায় কথা বলে। আবারও নাটক শুরু করছেন, খেলা কিন্তু আবারও হবে, জনগণের জানমালের সুরক্ষায়, এ অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা আবারও হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা (নেতাকর্মী) প্রস্তুত আছেন? প্রস্তুত থাকেন। জনগণ না থাকলে আন্দোলন হবে নাকি? বিএনপি হল ভুয়া দল, ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলন জনগণ বিশ্বাস করে না। ধৈর্য ধরুণ, অপেক্ষা করুন। 

;

আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন মোড়কে দেশে পুনরায় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।

শনিবার (৫ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেই খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভয় খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে অবৈধ ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে। বিচার ব্যবস্থাকে অপব্যবহার করে সরকার নির্যাতনের হাতিয়ার বানিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপক্ষে গিয়ে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি সব বিনষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই জনগণ এদের কাছ থেকে মুক্তি চায়।

এর আগে, দুপুরের পর থেকে সমাবেশে অংশ নিতে ব্যানার, ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন। এ সময় তাদেরকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।

;

‘ভারতের সঙ্গে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন শেখ হাসিনা’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে সংশয়-অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে রাঝধানীর মোহাম্মদপুরে গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারো দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস এদেশের জনগণ। তিনি বলেন, ভারতকে আমাদের স্বার্থেই দরকার। কারণ শত্রুতা করে বিএনপি দেশের ক্ষতি করেছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না।

ভারতের সঙ্গে করা বিভিন্ন চুক্তির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বাংলাদেশের সমান আয়তনের সমুদ্রসীমা পেয়েছি।

বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গতকাল পল্টনে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র মিথ্যাচার করে গেলেন। গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? ভারতে? তার মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভন্ডামি শুরু করেছে। গয়েশ্বর কালকে পল্টনে দাঁড়িয়ে আমাদের বলে ভারতের দালাদ। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া দিয়েছে।

৪২ শতাংশ লোক আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচনে কোন প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখান করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিলো তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন, অর্জনে মুগ্ধ।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লায়লী প্রমুখ।

;

ব্যবহার করতে পারছেন না বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানালেন কেন? প্রশ্ন জিএম কাদেরের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ব্যবহার করতে পারছেন না, তাহলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানালেন কেন? প্রয়োজনের চেয়ে কিছু বেশি বানাতে পারেন, তারপরও তো লোডশেডিং থাকে কিভাবে।

তিনি আরও বলেন, এমন কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা কোন দিনই বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নাই। বিদ্যুতের চাহিদা ১৩ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট, গতবছর হঠাৎ করে ১৭ হাজার হয়ে গিয়েছিলো। তখন ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া ১০ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্লান্ট বসিয়ে রাখা হয়েছিলো ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেয়া হয়নি। অথচ ২৭ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়রম্যান বলেন, ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ। বসিয়ে বসিয়ে পয়সা দেয়া হচ্ছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আরো উৎপাদন কেন্দ্র বানানো হচ্ছে, সেগুলোতেও বসিয়ে বসিয়ে পয়সা দিতে হবে। ঋণের ২০ ভাগ নেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। অথচ বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। লোকসান কমানোর নাম করে বছরে ৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। ৩ টাকা থেকে বছরে ৮ টাকা হয়েছে ইউনিট। সামনে আরো তিনগুণ বেড়ে যেতে পারে। এই টাকা দেয়া হচ্ছে বসিয়ে রাখা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে।

জিএম কাদের বলেন, আমরা জানি, ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া চুক্তি হয়। ব্যবসায়ীরা ঠিক করবে কেমনে তারা ব্যবসা করবে। এই সেক্টরে ব্যবসায়ী আনা হয়নি, কিছু সুবিধাভোগী লোক আনা হয়েছে। কোন ব্যবসা ছাড়াই তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে। সামনে বিদ্যুতের দাম বাড়বে, মালামালের দাম বাড়বে, জনগণের কষ্ট আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা আছে। এখন আমরা ১ হাজার কম ব্যবহার করছি, কারণ আমরা কিনতে পারছি না। বিদ্যুৎ খাতে আমাদের দরকার ২ হাজার ১৩৪ মিলিয়ন ঘনফুট, সেখানে আমরা দিচ্ছি ১ হাজার ৬৮১ দিচ্ছি মিলিয়ন ঘনফুট, শিল্পখাতে ৯৩১ মিলিয়ন ঘনফুট দরকার সেখানে দেয়া হচ্ছে ৭৩৩ মিলিয়ন ঘনফুট। ৩ হাজার ৮ শো মিলিয়ন ঘনফুট যেখানে দরকার সেখানে ৮শ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি দিতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, যেটুকু গ্যাস দিতে পারছি তার ৩ ভাগের ২ ভাগ দেশ থেকে দেয়া হচ্ছে। আর ১ ভাগ বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। আমাদের গ্যাস ১ থেকে ৩ ডলারে পাওয়া যায় কিন্তু বিদেশ থেকে কিনতে ৩০ থেকে ৪০ ডলার খরচ করতে হয়। আমাদের দেশে এখনো যথেষ্ট পরিমানে গ্যাস মজুদ আছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো দেশে ৩৮ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস মজুদ আছে। আমরা গ্যাস উত্তোলন না করে কেনার দিকে গিয়েছি। আমরা যে গ্যাস দিচ্ছি তার একটি বড় অংশ পাচ্ছি বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে। গেলো নভেম্বরে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবার কথা ছিলো, আল্লাহর রহমতে আমরা বোনাস পাচ্ছি। এটি যেকোন সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাহলে, যে পরিমান গ্যাস আমরা আমদানী করছি, আরো সেই পরিমান গ্যাস আমদানি করতে হতে পারে। এই জ্বালানি না দিলে বিদ্যুৎসহ সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা একটা বড় ঝুকির মধ্যে পড়েছি।

কারণ, সরকার সময় মতো এক্সপ্লোরেশন করে নাই। আমাদের দেশি কোম্পানীগুলো বলেছে আমরা যতটা অনুসন্ধান করেছি তার অর্ধেকেই গ্যাস পেয়েছি। বিদেশীরা আমাদের তুলনায় কম গ্যাস পেয়েছে। ৮ থেকে ১০ বছর আগে যদি আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়া হতো তাহলে আমাদের এমন বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। দেশ বিপদজনক পরিস্থিতিতে আছে। যদি হঠাৎ করে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ঐ পরিমান গ্যাস ইমপোর্ট করতে ২ বিলিয়ন ডলার লাগবে বর্তমান বাজার অনুযায়ী। শুধু টাকা নয় আনলোড, ট্রান্সমিশন এর সুবিধাও নেই। দূরদর্শীতার অভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু পারসেজের দিকে নজর দেয়ার কারনে কিছু লোকের বিপুল পরিমান মুনাফা হয়েছে। অন্যায্য ভাবে জনগণের সম্পদ চলে যাচ্ছে। দেশ বাঁচাতে হলে এগুলো দেখতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক সামছুল হক সামছু। মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সুলতান আহমেদ সেলিমের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, মহানগর উত্তর ও মহানগর উত্তর ২৬ থানার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;