ঢাকার ৫ আসনে নৌকা ঝুঁকিতে



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকার ৫ আসনে নৌকা ঝুঁকিতে

ঢাকার ৫ আসনে নৌকা ঝুঁকিতে

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা জেলা ও মহানগরের ২০টি আসনের মধ্যে একটি আসন লাঙলকে ছেড়ে দিয়ে বাকি ১৯টি আসনে লড়াই করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি না থাকলেও ঢাকার ৫টি আসনে নৌকা জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু আসনে সরকারি দলের প্রার্থীরা ফুরফুরে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকার নোঙর টেনে ধরছেন কোথাও কোথাও। সে সব আসনে রাত-দিন এক করে ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। ভোট চাইছেন ভোটারদের। সে সব আসনের জনগণের মাঝেও একটু বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। তবে বাকি ১৪টি আসনেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা অনেকটাই চিন্তামুক্ত।

ঢাকার আসনগুলোর নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রার্থীদের জনসম্পৃক্ততার দিকে তাকালে দেখা যায়, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৯ ও ঢাকা-২০ আসনে নৌকা পেয়েও কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রার্থীদের। নৌকার সমান তালে প্রচারণা চালাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।

এসব আসন বিশ্লেষণে দেখা যায়, নৌকার সঙ্গে লড়তে আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন স্বতন্ত্ররা। নৌকাকে পাল্লা দিতে নৌকার কর্মীদের কাছে টানছেন তারা।অনেক ক্ষেত্রেই যেহেতু স্বতন্ত্ররা আওয়ামী লীগের নেতা, আবার কেন্দ্র থেকেও শিথিলতা আছে ফলে কর্মীরাও ভিড়ছেন স্বতন্ত্রদের কাছে।

রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলি এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন। আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন সানজিদা খানম। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। এছাড়াও বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনের একজন সংসদ সদস্য।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্রসহ মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আসনটি থেকে। তবে তার মূল লড়াই হবে বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেনের সঙ্গে। আওলাদ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব।

ঢাকা-৫ আসন থেকে নৌকা নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন হারুনর রশীদ মুন্না। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আছেন দলটির আরও দুই নেতা। ফলে ত্রিমুখী লড়াইয়ে পড়েছে নৌকার প্রার্থী। তিনজনেই স্থানীয়ভাবে পরিচিত। আছে প্রভাব ও জনপ্রিয়তাও ফলে এখানে পরাজয়ের নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে আঞ্চলিকতা।

আসনটি থেকে নৌকার মনোনয়ন চেয়েও পাননি মশিউর রহমান মোল্লা সজল এবং কামরুল হাসান রিপন। পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান তারা। তাদের মধ্যে সজল ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন নির্বাচনে। অপর প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রিপন। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে।

রাজধানীর মিরপুর, শাহআলী, দারুসসালাম, রূপনগরের একাংশ ও সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা ১৪ আসন। আসনটিতে ত্রিমুখী প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন এখান থেকে। তাদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মো. লুৎফর রহমান এবং সাবিনা আক্তার তুহিনকেই দেখা হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে।

মো. লুৎফর রহমান লড়ছেন কেটলি প্রতীকে। তিনি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও গাবতলী এলাকার বাসিন্দা। তাছাড়াও তিনি একজন সিআইপি ও ধনাঢ্য ব্যক্তি। এটি তার নিজস্ব এলাকা হওয়ায় আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থনে জমিয়ে তুলেছেন নির্বাচনী মাঠ। অন্যদিকে সংরক্ষিত আসনের বর্তমান এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন, তিনি নির্বাচন করছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে।

নৌকার প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিল যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে হিসেবে সর্বমহলে তারও একটি সমর্থকগোষ্টি রয়েছে। তাই ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে টিকে থাকতে এলাকার অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে নিয়মিত গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভার মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তারা।

সবচেয়ে বেশি ভোট ঢাকা-১৪ আসনে পড়বে জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ প্রচারণা অনেক ভাল চলছে।

তিনি বলেন, এটা আমার এলাকা, এই এলাকায় আমি অনেক দিন ধরে কাজ করি। আসলাম ভাইয়ের মতো লোকের সঙ্গে আমি এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমি এই এলাকার প্রতিটা ঘরে আমার লোক তৈরি করেছি। এটা আমার তৈরি করা মাঠ। এই মাঠে কেউ এসে আমার একজন নেতাকর্মীকেও কেউ নিতে পারে নাই। তখন আমার পদ ছিলো না। এখন আমি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।

ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়া নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৯ আসন। এ আসনের নৌকার মাঝি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে আসনটি থেকে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের অনেকেই মনে করছেন এই হ্যাভিওয়েট দুই প্রার্থীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে।

এছাড়াও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামও আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। ট্রাক প্রতীক নিয়ে আশুলিয়া এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা করে যাচ্ছেন তিনি। তাই এই ত্রিমুখী প্রচারণা আগাম জানান দিচ্ছে ভোটের মাঠের তীব্র লড়াইয়ের।

আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-২০ আসনে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলার শাখার সভাপতি। এর আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আসনটি থেকে সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন।

আসনটি থেকে এম এ মালেক লড়বেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে, অন্যদিকে মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীকে। তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রার্থীদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।

   

স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে’

‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আসন্ন উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, স্বাধীনতার সকল অর্জন আওয়ামী লীগ সরকার ম্লান করে দিয়েছে। জনগণের অধিকার হরণ করে তারা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। মানুষের মৌলিক অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। এই ডামি সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তাই বিগত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের নির্বাচনী কার্যক্রমকে প্রত্যাখান করেছে।

উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও ভিপি হারুনুর রশীদ।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুন জনগণ কাদের ভোট দেয়। আওয়ামী লীগতো জাতীয় নির্বাচন খেয়ে ফেলেছে, এখন স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে কী করবে। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি ও জনগণ। তাই সাজানো নির্বাচন বন্ধ করুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, ডামি ভোটে ক্ষমতায় এসে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি দলের লোকজন। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর প্রভাব ভোক্তার উপর পড়ছে। নির্বাচিত সরকার না থাকায় সুবিধাভোগীরাই এসব ফায়দা লুটছে। যতদিন পর্যন্ত অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এ দুর্ভোগ জনগণের উপর চেপে বসবে।

ভিপি হারুনুর রশীদ বলেন, বর্তমানে যারা ক্ষমতায় বসে আছে তাদেরকে সরকার বলা যাবে না। তারা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতা দখল করেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে শুধু লুটপাট করার জন্য। ডামি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ায় মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

এতে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাহউদ্দীন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সারোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অধ্যাপক আজম খান, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক কতুব উদ্দীন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত প্রমুখ।

;

দেশকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ অন্যান্য নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও বেশি মাত্রায় বেপরোয়া, কর্তৃত্ববাদী ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ ভিন্ন মত ও পথের মানুষের ওপর দমন—পীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে দখলদার সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে এক সর্বগ্রাসী অরাজকতার ডালপালা বিস্তার লাভ করেছে। আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের দুঃশাসন প্রলম্বিত করতেই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।

;

‘সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে 'সিম্প্যাথি কার্ড' খেলার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি একথা বলেন। এতে তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন; প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন। জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে 'সিম্প্যাথি কার্ড' খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতৃবৃন্দ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাঁর সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে! বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল।

সেতুমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দ টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বোঝা উচিত, বিরোধী দল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয় হবে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে।

আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। সে সকল কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনও শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

;

‘উন্নয়নের নামে দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নের নামে সরকার গোটা দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গরমে অতিষ্ঠ অসহায় মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জনগণের এই দুঃসময়ে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা এই তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এদেশে নাকি অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ কী করেছে? সরকার গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। দাবদাহে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন মারা গেছে।

পুলিশের সহায়তায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকার ঘটিয়েছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যা করছে পুলিশও তাই করছে। সেভাবেই পুলিশকে গড়ে তুলেছে শেখ হাসিনা সরকার।

পুলিশকে সত্যের পক্ষে এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেনজীর আহমেদ, আসাদুজ্জামানদের ব্যবহার করেছেন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী প্রমুখ।

;