রওশনের চাওয়া-১২, কাদের রাজি তিনে



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রওশন এরশাদ, সাদ এরশাদ ও ডা. কেআর ইসলামকে মনোনয়ন দিতে রাজি আছেন জিএম কাদের। অন্যদিকে মসিউর রহমান রাঙ্গা, গোলাম মসীহ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, কাজী মামুনুর রশীদ, জিয়াউল হক মৃধা, এসএম ফখরউজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলনসহ ১২ জনের মনোনয়ন নিশ্চিত করার দাবি রওশন এরশাদের।

এসব নেতারা অনেকদিন ধরেই রওশন এরশাদের সঙ্গে রয়েছেন। রওশন এরশাদ ঘোষিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব নেতার কারোরই জাতীয় পার্টিতে পদ-পদবি নেই। আগে থাকলেও কেউ স্বেচ্ছায় নিস্কিয় হন, আবার কাউকে কাউকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পাশাপাশি রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের রংপুর-৩ আসন নিয়েও দেবর-ভাবি (জিএম কাদের-রওশন এরশাদ) একমত হতে পারছেন না। ওই আসনে বর্তমান এমপি সাদ এরশাদকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই নির্বাচনে লড়তে চান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

ছেলের আসন নিয়ে টান দেওয়ায় দূরত্ব আরও বেড়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পুত্র সাদ এরশাদ। ২০ নভেম্বর জিএম কাদের এর পক্ষে রংপুর-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে। জিএম কাদের বিগত কয়েকটি সংসদে লালমনিরহাট সদর থেকে নির্বাচন করে আসছেন।

দেবরের এমন আচরণে বেজায় চটেছেন রওশন এরশাদ। প্রয়োজন হলে নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চান তবুও অনুসারীদের ছেড়ে নির্বাচনে যেতে নারাজ তিনি। সরকার প্রধানকে জানিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চান। সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র বার্তা২৪.কমকে বলেছেন।

তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগেও রওশনের অবস্থান ছিল ভিন্ন। তার অনুসারীরা ভিন্নভাবে মনোনয়ন ফরম বিক্রির পরামর্শ দিলেও তাতে সায় দেন নি। তখন বলেছিলেন, সবাইকে নিয়ে পার্টি করতে হবে, পার্টিকে ভাগ করা উচিত হবে না।

গত ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিকট দলীয় ফরম বিতরণ করে জাতীয় পার্টি। মনোনয়ন ফরম বিতরণ শেষ হলেও রওশন এরশাদ কিংবা তার সন্তান সাদ এরশাদসহ অনুসারীরা কেউই পার্টির মনোনয়ন ফরম তোলেন নি। অবশ্য আগেই রওশন অনুসারীদের মনোনয়ন ফরম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রাখেন জিএম কাদের।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের জানান, আমাদের সম্মানিত প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ গতকালও আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন। তিনি তার ও পুত্র সাদ এরশাদ এবং ডাঃ কে আর ইসলামের জন্য তিনটি মনোনয়ন ফরম চেয়েছেন। বেগম রওশন এরশাদ বললে, আমরা তাঁর মনোনয়ন ফরম পাঠিয়ে দেবো। প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে পৌঁছে দেবো। তার জন্য সময় কোনো বিষয় না। যখন চাবেন তখনই দেওয়া হবে। পার্টির মহাসচিব কয়েকদিন ধরেই এমন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

২৫ নভেম্বর রাতে রওশন এরশাদের বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন জিএম কাদের। ওই বৈঠকের পর অনেকেই আশা করেছিলেন দেবর-ভাবির ঠান্ডা লড়াই এবার শেষ হবে। খবর রটে যায় রওশন এরশাদ ও তার অনুসারীরা রোববার (২৬ নভেম্বর) মনোনয়ন নিতে বনানী আসবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউকেই দেখা যায় নি।

এদিকে পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষ হয়েছে রোববার। ২৭ নভেম্বর প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

দেবর-ভাবির ঠান্ডা যুদ্ধ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই দৃশ্যমান। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় দেবর ভাবির মধ্যে। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ জিএম কাদের এবং রওশন এরশাদ পাল্টাপাল্টি চিঠি দেন স্পিকারকে। শেষ পর্যন্ত রওশনের চিঠিকে মূল্যায়ন করেন স্পিকার।

ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্যে ২০২২ সালে ৩১ আগস্ট হঠাৎ করেই একতরফা জাতীয় পার্টির কাউন্সিল আহ্বান করেন রওশন এরশাদ। ২৬ নভেম্বর পার্টির কাউন্সিলের তারিখ দিয়ে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দেন। প্রতিক্রিয়ায় মাঠে নেমে পড়ে জিএম কাদের পন্থীরাও। একদিনের ব্যবধানে রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিতে স্পিকারকে চিঠি দেন।

যদিও শেষ পর্যন্ত সেই চিঠির কোন কার্যকারিতা দেখা যায় নি। রওশন পন্থি বলে পরিচিত মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ কয়েকজন নেতাকেও বহিষ্কার করেন জিএম কাদের। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ পদ থেকেও মসিউর রহমান রাঙ্গাকেও সরাতে চিঠি দেন জিএম কাদের। এবারও আটকে দেন রওশন এরশাদ।

রওশন ঘোষিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব গোলাম মসিহ্ বেশ তোড়জোড় নিয়েই কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ৪৫টি জেলায় প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে। এতে জায়গা পান নানা কারণে নিষ্ক্রিয় জাতীয় পার্টির সিনিয়র ও পদবঞ্চিত নেতারা। গুলশানের ৪৭ নম্বর রোডে আলাদা অফিস নিয়ে চলে পার্টির কর্মকাণ্ড। যে অফিস এখনও বিদ্যমান।

দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানের এক সময়ে সংসদ বর্জনের আল্টিমেটাম দেন জিএম কাদের। অন্যদিকে রওশন এরশাদ এক তরফা কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই দুই পক্ষই রণে ভঙ্গ দেন। জিএম কাদের সংসদ বর্জনের হুমকি থেকে সরে আসেন। ২ মাসের মাথায় ৩০ অক্টোবর হঠাৎ করেই কাউন্সিল সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন রওশন।

দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে রওশন এরশাদ দেশে ফিরলে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে হাজির হন দেবর-ভাবি। সেই বৈঠকের পরে বরফ গলতে শুরু করে। অনেক দিন পর ১ জানুয়ারি পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হন রওশন এরশাদ। এরপর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে রওশন পন্থিরা।

কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়তে থাকে। জিএম কাদের ছিলেন অনেকটাই নির্বাচনের বিপক্ষে, আর রওশন এরশাদ আগাগোড়া নির্বাচনমুখী। রওশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা আগেভাগেই দিয়ে রেখেছিলেন। আর ২২ নভেম্বর অনেকটা বাধ্য হয়েই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জিএম কাদের। কথিত রয়েছে দুই পক্ষই পৃথকভাবে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছেন।

গত ১৮ নভেম্বর জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ পৃথক চিঠি জমা দেন ইলেকশন কমিশনে। রওশন তার চিঠিতে মহাজোট গঠন ও নৌকা অথবা লাঙল প্রতীকে নির্বাচনের কথা জানান। অন্যদিকে জিএম কাদের নিজে লাঙল প্রতীক বরাদ্দ করার জন্য স্বাক্ষরের নমুনা কপি প্রেরণ করেন।

   

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

;

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন: ২৫ মনোনয়ন বিক্রি করে আ.লীগের আয় সাড়ে ১২ লাখ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য তিনদিনে ২৫টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আয় করে সাড়ে ১২ লাখ টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকেল পর্যন্ত এ ফরম বিক্রি হয়েছে। দলের উপ-দপ্তর সায়েম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এম আব্দুল হাকিম আহমেদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোছা. সেলিনা পারভীন, মো. নজরুল ইসলাম, সাইদুল করিম মিন্টু, মো. রেজাউল ইসলাম, সাইদুর রহমান, পারভেজ জামান, মো. নায়েব আলী জোয়াদ্দার ও কাজী আশরাফুল আজম, তানভীর হাসান, মোসা. কামরুন্নাহার, মোসা. সুলতানা বুলবুলি, মো. আবেদ আলী, মো. সালাউদ্দিন জোয়দ্দার ও মো. সফিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান, মো. ইফতেখার আলম, নজরুল ইসলাম, মোসা. ফেরদৌসী খাতুন, সো. হুমায়ুন কবির, মো. লিটন আহমেদ, মো. বাদল আলম ও মো. ইনামুল হোসাইন প্রমুখ।

এর আগে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ফরম বিক্রি শুরু হয়। যা শেষ হয় সোমবার বিকেলে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে গত শনিবার সকাল থেকেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।

;

স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে’

‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আসন্ন উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, স্বাধীনতার সকল অর্জন আওয়ামী লীগ সরকার ম্লান করে দিয়েছে। জনগণের অধিকার হরণ করে তারা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। মানুষের মৌলিক অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। এই ডামি সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তাই বিগত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের নির্বাচনী কার্যক্রমকে প্রত্যাখান করেছে।

উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও ভিপি হারুনুর রশীদ।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুন জনগণ কাদের ভোট দেয়। আওয়ামী লীগতো জাতীয় নির্বাচন খেয়ে ফেলেছে, এখন স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে কী করবে। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি ও জনগণ। তাই সাজানো নির্বাচন বন্ধ করুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, ডামি ভোটে ক্ষমতায় এসে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি দলের লোকজন। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর প্রভাব ভোক্তার উপর পড়ছে। নির্বাচিত সরকার না থাকায় সুবিধাভোগীরাই এসব ফায়দা লুটছে। যতদিন পর্যন্ত অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এ দুর্ভোগ জনগণের উপর চেপে বসবে।

ভিপি হারুনুর রশীদ বলেন, বর্তমানে যারা ক্ষমতায় বসে আছে তাদেরকে সরকার বলা যাবে না। তারা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতা দখল করেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে শুধু লুটপাট করার জন্য। ডামি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ায় মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

এতে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাহউদ্দীন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সারোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অধ্যাপক আজম খান, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক কতুব উদ্দীন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত প্রমুখ।

;

দেশকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ অন্যান্য নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে বন্দিশালা বানানো হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও বেশি মাত্রায় বেপরোয়া, কর্তৃত্ববাদী ও জুলুমবাজ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ ভিন্ন মত ও পথের মানুষের ওপর দমন—পীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে দখলদার সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে এক সর্বগ্রাসী অরাজকতার ডালপালা বিস্তার লাভ করেছে। আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের দুঃশাসন প্রলম্বিত করতেই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।

;